পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
পাটনা বৈঠকের ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকার’ বলেই প্রচারে ব্যস্ত ছিল মোদি শিবির। কিন্তু ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরু বৈঠকে ২৬ দলের রণং দেহি মেজাজ দেখেই কি টলে উঠেছে দিল্লির মসনদ? মোদিবাবুদের মাথা আরও বন বন করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ইন্ডিয়া’ নামটি জোটের জন্য সমাদৃত হওয়ায়! মঙ্গলবার যখন বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চের ভিত মজবুত হচ্ছে, ঠিক তখনই অন্য প্রান্তে দিল্লিতে সরকারি অনুষ্ঠানের প্রোটোকল ভুলে বিরোধী জোটকেই লাগাতার আক্রমণ করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে ছিল তাঁর ২৫ মিনিটের ভাষণ। তাতে পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন জায়গা পেল মেরে কেটে ৬ মিনিট! বাকি সময়জুড়ে লক্ষ্যবস্তু বিরোধীরা। তার মধ্যে বেশিরভাগটাই অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ করলেন বটে কিন্তু তার মধ্যে এক ব্যর্থ নেতার আক্ষেপ এবং প্রলাপই প্রকট হল। মোদির মূল আক্ষেপ, সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এত গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন! তাঁর মূল প্রশ্ন, বিশেষ করে কংগ্রেস ও সিপিএমের কাছে—বাংলায় সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত ভোটে তাদের নেতা-কর্মীদের ‘সংহার’ এবং ‘বাংলাজুড়ে সন্ত্রাস’ নিয়ে কেন তারা আক্রমণ করছে না! প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়-মিশ্রিত আরও প্রশ্ন, ‘তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন তৃণমূলের পাশে থাকতে পারে এই দুটি দল?’ একইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘বিরোধীরা খুলেছে দুর্নীতির পারিবারিক দোকান। এটা দুর্নীতিগ্রস্তদের জোটের দোকান। বিরোধীদের এই জোটের সবটাই তাদের পরিবারের জন্য। দেশ বলে এদের কাছে কিছু নেই। সব দুর্নীতিবাজ একজোট হয়েছে।’ মঙ্গলবার সরকারি অনুষ্ঠানের ‘অমৃতবাণী’ ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, ৩৮ দলের ‘নয়া’ এনডিএ গঠনের যজ্ঞে উপস্থিত হয়ে শুরু করেন ফের সেখান থেকেই। যেখানে জামাই আদর পেয়েছেন অজিত পাওয়ার এবং প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো দুই ‘সম্পদ’!
তারপর রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে হয় দলের বিশেষ স্ট্র্যাটেজি বৈঠক। কোন স্ট্র্যাটেজি? ‘ইন্ডিয়া’-কে রুখে দেওয়া যে আর মোদির একার সাধ্য নয়। অতএব, বাঘের শরীরে ফের চাপাতে হবে গেরুয়া ঐক্যের নামাবলি। বুঝতে অসুবিধা হয় না, ভাষার উপর সামান্যতম নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে ফেলা প্রধানমন্ত্রী—বিজেপির সাম্প্রতিক ইতিহাস ও ‘ঐতিহ্য’ বিস্মৃত হতে বলছেন দেশবাসীকে। কিন্তু, দেশের মানুষ যে ততটা বোকা কিংবা ‘গজনি মেমরি’ নয়। যথাসময়ে মোক্ষম জবাব দিতেই অভ্যস্ত তারা। ইতিমধ্যেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে মোদির ভারতের। এর চেয়ে উপযুক্ত সময় আর হয় নাকি?