Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটের সমাবেশে তিনি স্লোগান দিয়েছেন, অন্য দলকে অনেক ভোট দিয়েছেন। এবার দেশকে ভোট দিন। আমাদের ভোট দিন। আমাদের ভোট দেওয়ার অর্থ দেশকে ভোট দেওয়া। কারণ আমরা দেশের জন্য কাজ করব। তাই ভোট ফর ইন্ডিয়া। এভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধীরে ধীরে ভারত এবং তিনি যে সমার্থক, এরকম একটি চিত্র অঙ্কনের প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তাঁর দলের প্রোপাগান্ডা মেশিনারি সেই দাবিকে মরিয়া হয়ে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিরলস চেষ্টা করে যায়। মোদিই ভারত, এরকম একটি বিশ্বাস প্রবলভাবে মানুষের মধ্যে  প্রোথিত করাই এই প্রচারগুলির লক্ষ্য। যাকে ইংরাজিতে বলা হয়, মেক বিলিভ।  এই প্রবণতাটি কি নতুন? মোদি কি এই প্রথম এরকম একটি ভাবনার উদ্ভাবন করলেন? একেবারেই নয়। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে থেকেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এরকম একটি প্রচার করা হচ্ছিল। তৎকালীন কংগ্রেসের সভাপতি দেবকান্ত বড়ুয়া দিল্লির বোট ক্লাব থেকে একটি অভিনব স্লোগান দিয়েছিলেন, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা! 
নরেন্দ্র মোদি সেই স্লোগান পছন্দ করেন। বস্তুত তিনি রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধিতা করেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর একান্ত আফশোস হল, কেন তিনি ইন্দিরা গান্ধীর মতো হতে পারলেন না। ইন্দিরা গান্ধী যা যা করে গিয়েছেন, মোদি ঠিক সেগুলিই করতে পারলে প্রচণ্ড খুশি হতেন। যেমন ভারতে প্রথম পরমাণু বোমার পরীক্ষা। এমনকী আমেরিকার অজান্তে। পাকিস্তানকে দু টুকরো করে দেওয়া। বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে। বিরোধীদের দলে দলে জেলে পাঠানো।
এর কোনওটাই মোদি এখনও পারেননি। তাই একটু ঘুরিয়ে ‘তিনিই ভারত’ এই প্রচারটিকে নিজের নামের সঙ্গে সংযুক্ত করার তাড়না তাঁর। কেন? কারণ, তিনি কিছুদিন শাসন করার পর বুঝে গিয়েছিলেন যে, তাঁর পক্ষে এই দেশের নানাবিধ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তিনি যা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটিও যে পালন করার মতো মুন্সিয়ানা তাঁর অথবা তাঁর টিমের নেই, অথবা সম্ভবই নয়। সেটা দ্রুত বুঝতে পেরে মোদি বিকল্প প্রচারের দিকটাই বেছে নিয়েছেন। দুটি ইস্যুকে তিনি বিজেপির একক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অনেকটা‌ই সমর্থ হয়েছেন। প্রথমত, হিন্দুত্ববাদ এবং দ্বিতীয়ত ভারতীয়ত্ব। একটি ধর্ম। অন্যটি রাষ্ট্রীয় আবেগ। এই দু‌ইয়ের কম্বিনেশন আম জনতার বড় অংশকে যেসব সমস্যা থেকে চোখ সরিয়ে নিতে সাহায্য করে এটা বারংবার ইতিহাসই বলে দিয়েছে। অর্থাৎ জিনিপত্রের দাম বাড়ছে? হিন্দু খতরে মে হ্যায়। কর্মসংস্থান নেই? তাতে কী হয়েছে! ওই দেখুন ভারতকে অপমান করছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা? সে তো দেশেরই সমালোচনা। সেই সমালোচনাকারী তাহলে নির্ঘাৎ অ্যান্টি ন্যাশনাল। এভাবে ধীরে ধীরে বিজেপি নিজেদের হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদের স্বঘোষিত পাহারাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রবল চেষ্টা করেছে এবং এখনও করে চলে। 
বিরোধীরা অবশ্য প্রশ্ন করে, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত হিন্দুরা সুরক্ষিত ছিল। আর হঠাৎ ২০১৪ সাল থেকে হিন্দুর বিপদ বাড়ছে কেন? এখন তো অনেক বেশি হিন্দুর সুরক্ষিত থাকার কথা। তবে এসব সমালোচনা অগ্রাহ্য করে যতই ইস্যু উত্থাপিত হোক, এই দুইটি বিষয় কিন্তু বিজেপিকে ঠিক নিয়ম করে এগিয়ে রেখেছে। এই ধারণা পাল্টানোর জন্য যে বিকল্প যুক্তি অথবা প্রবল প্রচার করে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলার দরকার ছিল, সেটি বিরোধীরা পারেনি। তাই বিজেপি নিশ্চিন্ত ছিল, যাই হয়ে যাক, আমাদের দুটি পাশুপত অস্ত্র তো আছেই। ওই দুটি ব্যবহার করলেই সবাইকে মোকাবিলা করা যাবে!
ঠিক এরকমই সময়ে আচমকা নরেন্দ্র মোদি দেখতে পাচ্ছেন যে, এবার তো অস্ত্র ছিনতাই হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এসেছে! তাঁর এবং দলের অস্তিত্বপরিচয়ের প্রধান শব্দটিই হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। শব্দটি হল ইন্ডিয়া। বিরোধীরা নিজেদের জোটের নাম রেখেছে ইন্ডিয়া। এই প্রথম ১০ বছরে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়া অথবা আদর্শগতভাবে তাদেরকে পিছনে ফেলে দেওয়ার কোনও স্লোগান এনে বিরোধীরা সত্যিই বিজেপিকে বিপদে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। 
বিরোধীরাই এখন এই জোটের নাম সামনে এনে প্রচার শুরু করেছে। একদিকে ইন্ডিয়া অন্যদিকে এনডিএ। বিরোধীরা ভোটের ময়দানে প্রশ্ন করবে আম জনতাকে যে, তারা কোনদিকে? স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রীয় আবেগ এবং স্বদেশপ্রেমের এই আহ্বানে বিজেপির অতি বড় সমর্থক অথবা ভক্তও সরাসরি ইন্ডিয়া নামক জোটের নাম ধরে বিরোধিতা করতে পারছে না। এই প্রথম বিজেপি স্লোগান আর চমকপ্রদ প্রচারকৌশলে ব্যাকফুটে। জোটের নাম ইন্ডিয়া হলে বিজেপি মোদির হয়ে একথা আর বলতে পারবে না যে, ভোট ফর মোদি, ভোট ফর ইন্ডিয়া। কারণ ভোট ফর ইন্ডিয়া স্লোগানের অর্থ হতেই পারে যে, বিরোধী জোটকে ভোট দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সুতরাং এতদিন বিজেপি যে জনপ্রিয় স্লোগান আর প্রচারের উদ্ভাবন করে এসেছে এবং বিরোধীরা দিশাহারা হয়ে ভেবেছে ওই প্রচার আর স্লোগানের পাল্টা কী স্লোগান দেওয়া যায়, হঠাৎ চিত্রটি সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে যাচ্ছে। এখন বিজেপিকে ভাবতে হবে যে, ইন্ডিয়া শব্দের বিরুদ্ধতা কীভাবে করা সম্ভব?
সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট বিজেপির কাছে সবথেকে কঠিন হতে চলেছে। কারণ, এখন আর এই জোট কতটা শক্তিশালী, শেষ পর্যন্ত কতটা আসন সমঝোতা হবে, কারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবেন, কারাই বা হঠাৎ জোট ছেড়ে চলে যাবেন, এসব জল্পনাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে জোটের নাম। বিজেপি জোটের কাঠামো নিয়ে কটাক্ষ করেছে। ইন্ডিয়া জোটে যাদের শরিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, তারা রাজ্যস্তরে পরস্পরের বিরোধী। তাহলে কীভাবে জোট সরকার গঠন করা হবে? কীভাবেই বা জোটের শরিক পরস্পরবিরোধীরা থাকতে পারবে? স্বাধীনতার পর নির্বাচনগুলির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে যে, শক্তিশালী শাসকের বিরুদ্ধে জোট আজ পর্যন্ত সমমনস্ক দলগুলির মধ্যেই হয়েছে এমন নয়। বরং উল্টোটা। পারস্পরিক আদর্শগত বিরোধিতা সত্ত্বেও জোট হয়েছে। ১৯৭৭ সালের জনতা দল, ১৯৮৯ সালের তৃতীয় ফ্রন্ট, ১৯৯৬ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৯৮ সালের এনডিএ অথবা ২০০৪ কিংবা ২০০৯ সালে ইউপিএ। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পরস্পরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একই জোটে কেন্দ্রীয়ভাবে আছে। ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করার জন্য মায়াবতী এবং মুলায়ম সিং দুজনেই উদগ্রীব হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন চিঠি দিতে। সুতরাং জোটের কাঠামো নয়, জোটের নাম এবং প্রচার ২০২৪ সালে হতে চলেছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। 
কেন ইন্ডিয়া নামক জোটের নামকরণ নরেন্দ্র মোদিকে এতটা ভাবাচ্ছে? কারণ, এতকাল ইন্ডিয়া অথবা ভারত ছিল মোদি তথা বিজেপির একান্ত নিজস্ব স্লোগানের হাতিয়ার। মেক ইন ইন্ডিয়া। সক্ষম ভারত। ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া। খেলো ইন্ডিয়া। স্বচ্ছ ভারত। এমনকী ট্রেনের নাম বন্দে ভারত। বিরোধীরা দূর থেকে বসে বসে দেখেছে এই মাস্টারস্ট্রোকগুলি। নামের মাহাত্ম্য। হঠাৎ মোদি দেখছেন তাঁর নিজের স্বদেশিয়ানার অস্ত্র  প্রতিপক্ষের হাতে! যে ইন্ডিয়া শব্দটি ছিল তাঁর বল-ভরসা, সেই শব্দই এখন আচমকা প্রতিপক্ষ! এতদিন বিরোধীরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে মোদিকে। তারা সরাসরি বার্তা দিচ্ছে যে, একদিকে মোদি, আর অন্যদিকে আমরা ইন্ডিয়া। কে জিতবে? নিছক বিরোধী দল নয়। এই প্রথম মোদি একটি শব্দের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি! শব্দের নাম ইন্ডিয়া! 
21st  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।
বিশদ

20th  July, 2023
নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। বিশদ

19th  July, 2023
সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়।
বিশদ

17th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। বিশদ

15th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
একনজরে
জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটস। সেই খবর প্রকাশিত হতেই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিলেন বিশ্বভারতী ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...

রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে বার্থ রিজার্ভেশন করেও ট্রেনে উঠতে পারলেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ যাবেন হায়দ্রাবাদ, কেউ যাবেন বিজয়ওয়াড়া। পঞ্চায়েত ভোট দিতে তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ...

পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাস ও ভোট লুটের প্রতিবাদে বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগের বিভিন্ন বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM