পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটিগুলির মধ্যে কোচবিহার অন্যতম। বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে এদিন জেলা সমস্ত বিডিও অফিস চত্বরে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’র নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা কোচবিহার-১ বিডিও অফিসে গিয়েও স্মারকলিপি দিতে পারেননি। পুলিসের বাধা পেয়ে বিডিও অফিস চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা চলে যায়। দিনহাটা-২ ও তুফানগঞ্জ-২ ব্লকেও একই ছবি ধরা পড়ে। বিধায়ক নিখিলরঞ্জন বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিস বিডিও অফিসে ঢুকতে দেয়নি। তাই বিডিও অফিসগুলিতে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলে এসেছি। তবে হলদিবাড়ি, শীতলকুচি ও তুফানগঞ্জ-১ বিডিও’কে স্মারকলিপি দিয়েছে বিজেপি।
জলপাইগুড়ি জেলাতেও বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে তেমন সাড়া পড়েনি। জেলার সদর বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে শুরু করে বিজেপি। সেখানে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় নেতৃত্ব দেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটের সময় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে রাজগঞ্জ বিডিও অফিস অভিযান হয়। সেখানে পুলিসকে গোলাপ ফুল দেওয়ার চেষ্টা করেন দলের নেতা-কর্মীরা। একইভাবে ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা, মালবাজার বিডিও অফিসেও স্বল্প সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি করা হয়।
আলিপুরদুয়ার জেলাতেও বিজেপির আন্দোলনে তেমন লোক ছিল না। গুটিকয়েক কর্মী নিয়ে ছ’টি বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখায় তারা। এই কর্মসূচিতে দলের জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক সহ জেলা নেতাদের একাংশ গরহাজির ছিলেন। দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়েও তাদের অবস্থা তথইবচ। পাহাড়ের ন’টি ব্লকের মধ্যে জোড়বাংলো-সুখিয়াপোখরি ছাড়া অধিকাংশ জায়গায় তাদের কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য লোক হয়নি।
এদিকে, প্রায় একবছর আগে শিলিগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোট হয়। তা সত্ত্বেও এদিন এখানকার মাটিগাড়া, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। মাটিগাড়া বিডিও অফিসের সামনে পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড ভাঙে বলে অভিযোগ। এখানে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
এ নিয়ে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, মহকুমার রাজনীতিতে বিজেপি এখন অস্তাচলে। এজন্যই এখানে আন্দোলনে নামে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে ওরা। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অবশ্য বলেন, দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। তাতে বিজেপি গোলমাল করেনি।