পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
দেবাদিত্য দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। প্রতীক্ষার বাড়ি বর্ধমানে। হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ি দু’জনকে এক করেছিল কোনও একদিন। প্রেমের প্রথম দিনে এটাই ছিল তাঁদের মিটিং পয়েন্ট। শুক্রবারও এই নিয়মের অন্যথা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সেটিই হল একুশের ভিড়ের দৌলতে। দেবাদিত্যকে খুঁজে দিতে ডাহা ফেল করল বড় ঘড়ি। এদিন শয়ে শয়ে মানুষ ঘড়ির নীচে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই শত শত মানুষের ভিড়ে দেবাদিত্যকে খুঁজে পেতে ১৫ মিনিট দেরি হল প্রতীক্ষার। একে অপরকে খুঁজে পেতে কার্যত গোলকধাঁধাঁর মত ঘুরপাক খেলেন দু’জনে।
সকাল দশটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পা ফেলা দায়। একুশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আসছেন। কেউ ধরবেন বাস তো কারও গন্তব্য লঞ্চঘাট। এদের অনেকেই চেনা লোকের অপেক্ষায় এসে দাঁড়াচ্ছেন বড় ঘড়ির নীচে। ফলে জমাট ভিড় ছোট চতুর্ভুজ এলাকাটি ঘিরে। প্রতীক্ষাকে বলা ছিল বলে দেবাদিত্যকে দাঁড়াতে হয়েছিল সেখানেই। তারপর দু’জনে আসার পর ভিড়ের মধ্যে কয়েক রাউন্ড ঘুরপাক খেলেন। নড়বড়ে নেটওয়ার্কের জন্য মোবাইল কেটে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে ১৫ মিনিট ঘুরে অবশেষে দেবাদিত্য খোঁজ পান প্রতীক্ষার। তাও বড় ঘড়ি ছেড়ে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরের কাছে গিয়ে খোঁজ পেলেন। ‘অভিজ্ঞতা হল বটে একটা। চার বছর এখানেই দেখা করছি। এভাবে খুঁজতে হয়নি কখনও। কোলাঘাট যাব, দু’টো ট্রেন মিস হয়ে গেল’-ক্লান্ত গলায় বললেন দেবাদিত্য।
এদিন ভোর থেকে সাউথ-ইস্টার্ন ও ইস্টার্ন, দু’দিকেই ভিড় সামাল দিতে মোতায়েন ছিল জিআরপি-আরপিএফ। স্টেশনের বাইরে হাওড়া পুলিস। লঞ্চ ও বাসে ছিল ব্যাপক ভিড়। অন্যদিনের তুলনায় বাস ছিল কম। অনেককে বাদুড়ঝোলা হয়ে যেতে হয়েছে অফিসে। এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন নিত্যযাত্রীরা। ভিড়ের চাপ থাকলেও অবশ্য শান্তিপূর্ণ ছিল গোটা দিন।