Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। এই উস্কানির জন্য সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা আইএসএফ সমানভাবে দায়ী। অর্থাৎ, রাম, বাম, খাম ও হাত যেন জোটবদ্ধ দল হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল। তা নামতেই পারে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। ১৯৮৮ সালে জ্যোতি বসু কলকাতার মঞ্চে অটলবিহারী বাজপেয়ির হাত ধরে কংগ্রেসকে দেশ থেকে তাড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন। আর আজ নব আনন্দে জেগে ওঠা সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশ থেকে বিজেপি এবং রাজ্য থেকে তৃণমূলকে তাড়াতে মরিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ও মুখোশ যে বদলে যায়, ইতিহাস বারবার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। 
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন এত মৃত্যু? কেন এত রক্তপাত? এই কি প্রথম রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটল? না, বারবার এই রাজ্যে যেকোনও নির্বাচনকে ঘিরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজকের কচি সিপিএম নেতাদের দাদু, জেঠুরা রাজ্যে এই সংস্কৃতি শুরু করে গিয়েছিলেন। অতীতের নির্বাচনী ইতিহাস ঘাঁটার চেষ্টা করলেই তা নজরে আসবে। দুর্ভাগ্য এই যে, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পরিবর্তন এলেও সবক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হল না। ভোটসংস্কৃতির এই অধঃপতন আমরা এখনও রুখতে পারিনি। 
সিপিএমের এখন সব লড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইসব লেখা পড়লে মনে হবে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ সব তারা দখল করে নিতে চলেছে। কিংবা তারা দখল করে ফেলেছিল, শুধু তৃণমূলের সন্ত্রাস আর ছাপ্পার জন্য পারল না। লড়াইয়ের ময়দানে জনসমর্থন না পেয়ে সেই গোয়েবলসের থিয়োরি এখনও তারা আউড়ে চলেছে। দশচক্রে যেমন ভগবান ভূত হয়, তেমনই ভূতকেও লোকে ভগবান বলে ভাবতে শুরু করে। সত্যি কথা বলতে কী, এখনও পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরের সমস্ত আসনে সিপিএম, বিজেপি কিংবা কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেই দুর্বলতা ঢাকতে তারা শাসানির অভিযোগ তুলছে। শাসানি হয়নি, তা নয়। ভালো রকমই হয়েছে। কিন্তু তার জন্য এত আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি, সেটা ঠিক নয়। আসলে সব রাজ্যেই যারা ক্ষমতায় থাকে, তারাই মূলত পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ আসনের দখল নেয়। সর্বত্র দেখা যায় ৪০-৫০ শতাংশ আসনে রাজ্যের শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায়। এটাই স্বাভাবিক রাজনীতি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপি ৮০ শতাংশের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল। সেটা তাহলে গণতন্ত্র ছিল? গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ কিংবা হরিয়ানাতেও শাসক দল বিভিন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে। সিপিএম আমলেও এই রাজ্যে এমনটাই হতো। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য সিপিএমের হার্মাদরা ভোটারের হাত কেটে নিয়েছিল, কিংবা বন্ধ ঘরে আগুন জ্বালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল, সিপিএমের নবীন প্রজন্মরা এসব জানেই না! সাঁইবাড়ি, মরিচঝাঁপির ঘটনা ভুলে গিয়েছে কচি সিপিএমরা। তাদের ভরসা ফেক নিউজ।   
এবারের নির্বাচনে আগামী ২৪-এর লোকসভা ভোটের একটা মহড়া হয়ে গেল বলা যায়। না, সেটা সন্ত্রাসের নয়, জনমতের। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে যেভাবে সন্ত্রাস আর ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা, সার্বিক প্রতিফলন বোধহয় তেমনটা নয়, ১০-১৫ শতাংশ আসনে অবশ্যই গোলমাল হয়েছে, মারধর, ছাপ্পা হয়েছে। সব থেকে বড় কথা প্রাণ গিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। শুধু শাসক দল নয়, এই অনভিপ্রেত খেলায় মেতে উঠেছে বাংলার সব দলই। অভিযোগ, দিল্লির কলকাঠিতে আসরে নেমে পড়েছেন রাজ্যপালও। আমরা দেখেছি, যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তারই অস্ত্রের ঝনঝনি বেশি। এবারের মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তৃণমূল কর্মীই বেশি খুন হয়েছেন। বিরোধীরা বলছে, তাদের কর্মীদের তৃণমূল খুন করেছে, আর তৃণমূল কর্মীদের খুন নিয়ে তাদের যুক্তি, ওগুলো জনরোষ। ভাঙড়ে কাদের হাতে অস্ত্র বেশি, কারা ভোটের দিন দাপিয়ে ছাপ্পা, সন্ত্রাস করেছে, সেটা সবাই জানে। ভোটের দিন কার্যত সেখানে তৃণমূল ঢুকতেই পারেনি। তারই পাল্টা লড়াই হয়েছে। ব্যাপারটা একতরফা হয়নি। কিন্তু যা হয়েছে, সেটা মোটেই কাম্য নয়। 
এরপরেও রয়েছে এই নির্বাচনের একটি রাজনৈতিক দিক। সেই দিকের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে বিজেপির আসল লড়াই সিপিএমের সঙ্গে। কেন? এর আগের নির্বাচনগুলিতে মূলত লড়াই ছিল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন বুঝিয়ে দিল, বাম থেকে উজানে যেসব ভোট রামে ঢুকেছিল, সেই ভোট আবার ভাটার টানে ফিরে আসছে বামে। আসলে এখানে বিজেপির নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক বলে কিছু নেই। সিপিএমের আচরণে ক্ষুব্ধ বামেরা একদিন বিজেপির বাক্সে ভোট ঢালত। সেই ভোট ফিরে আসায় একদিকে যেমন বাম শিবির চাঙ্গা ও উল্লসিত, উল্টোদিকে চাপে পদ্মশিবিরও। যদিও বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে আছে, তবে তারা স্বস্তিতে নেই। কেননা সিপিএম তাড়া করেছে বিজেপিকে। যে দূরত্ব ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-কং জোট তা কমিয়ে ফেলেছে। আগামী ২৪-এর ভোটে আরও কিছু ভোট বামে ফিরবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান দখলের লড়াই হবে সিপিএম-কং জোট বনাম বিজেপির। যত এই লড়াই গভীর হবে, তৃণমূলের পথ ততই নিষ্কণ্টক হবে। ড্যাং ড্যাং করে তাদের জেতার পথ পরিষ্কার হয়ে যাবে। 
বিজেপি থিঙ্কট্যাঙ্কদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার। তাঁরাও কৌশল নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। আপাতত তাঁরা বুঝেছেন, বঙ্গের এই শূন্যগর্ভ আওয়াজ সর্বস্ব নেতাদের পিছনে ঘোড়ার বাজি রেখে ম্যাচ জেতা যাবে না। এই ফল দেখে আড়ালে হাসছেন বিজেপির পুরনো নিষ্ক্রিয় বন্ধুরা, যাঁদের সামনের সারি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে বড় রদবদলের চেষ্টা চলছে। এই ফলের পরে ডানা ছাঁটা হতে পারে বঙ্গ বিজেপির আসর গরম করা কয়েকজন অতিসক্রিয় নেতার। হারানো জমি পেতে পুরনো নেতৃত্বের দিকে হাত বাড়াতে পারেন শীর্ষ নেতারা। কেননা বোঝা গেছে, টিভিতে বাহাদুরি দেখানো এইসব নেতা আসলে অশ্বডিম্ব, এদের জনভিত্তি কম। সেটা বুঝেই দম হারানো কিছু পান্ডা লোকসভার টিকিটের সন্ধান করে সটকে পড়তে চাইছেন। তবে রাজ্যে বিজেপির এই ফলের দায় মোদি, অমিত শাহকেও নিতে হবে। 
মোদি, অমিত শাহ বাংলাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যে রাজনীতি করেছেন, যেভাবে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করেছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সঙ্গে যেভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে, এই ভোট তার বিরুদ্ধে প্রথম জবাব। বিজেপি কী ভেবেছে, টাকা আটকে রাজ্যকে জব্দ করবে? দুর্নীতির অভিযোগে একশো দিনের কাজ, আবাসন প্রকল্পের টাকা আটকে দেবে, আর মানুষ গদগদ হয়ে হনুমান চালিশা পড়তে পড়তে পদ্মফুলে ছাপ মারবে? শুধু এবার নয়, এরাজ্যে যতবার ভোট হবে, ততবার বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যের পঞ্চাশ শতাংশের বেশি মানুষ রায় দেবেন। এটাও বিজেপি নেতারা জানেন। তাই তাঁরা আরও বাঙালি-বিরোধী খেলার পথে পা বাড়ালেন। 
ফল বেরনোর পরই বিজেপি রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে অনন্ত মহারাজের নাম ঘোষণা করে পরোক্ষে যেন বাঙালিকে বলতে চাইল, দেখ কেমন লাগে! অর্থাৎ উস্কানি দিয়ে বাংলা ভাগের পক্ষে নেমেছে তারা। বিচ্ছিন্নতার চাষ করা ছাড়া বিজেপি যে আর কোনও রাজনীতি করে না, তা ফের প্রমাণিত হল। অথচ এই পঞ্চায়েতে উত্তরবঙ্গের মানুষ তৃণমূলকে ভোট 
দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। 
শুধু বাংলা ভাগই নয়, এই ভোটে অনেকগুলো প্রশ্নে বাংলা বিজেপিকে ‘না’ বলে দিল। তার মধ্যে আছে রাজ্যভাগ, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ, জাতপাতের বিভেদ, সংখ্যালঘু পীড়ন ইত্যাদি। পঞ্চায়েতে বিজেপির ভোট কমার প্রথম কারণ হল মানুষের মধ্যে মোদি-বিরোধী আবেগ তৈরি হয়েছে। বাংলা আজ বলছে, ‘নো ভোট টু বিজেপি’। বাংলার মানুষের ক্ষতি করার রাজনীতি করছে বিজেপি। আজ গেরুয়া নেতারা বুঝতে পারছেন না, আগামী দিনে তাঁদের সাধের অনন্ত মহারাজ কতখানি গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন।  
পঞ্চায়েত স্তরের ভোট হলেও ওরই মাঝে লুকিয়ে আছে ‘কালপুরুষের সুগভীর পরামর্শ’। এই ভোট ২৪-এর ইঙ্গিতবাহী। আগামী এক বছরে আরও ধস নামবে বিজেপি শিবিরে। টাকার থলি বা দেশাত্মবোধের আবেগ উস্কে আর কাজ হবে না। ফলেন পরিচিয়তে। বিজেপি কেমন ফল, তা দুই টার্মের শাসনে বোঝা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এরাজ্যে কিংবা সারা দেশে বিজেপির পরিণাম স্রেফ নির্বিকল্প সমাধি। হরি ওম্‌! 
19th  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। বিশদ

21st  July, 2023
স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।
বিশদ

20th  July, 2023
সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়।
বিশদ

17th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। বিশদ

15th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
একনজরে
১৭ বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছিলেন নদীয়ার তেহট্টের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রমাদেবী। রান্নাবান্না, ঘর-সংসার আর ছেলে মেয়েদের সামলাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন তিনি ...

রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে বার্থ রিজার্ভেশন করেও ট্রেনে উঠতে পারলেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ যাবেন হায়দ্রাবাদ, কেউ যাবেন বিজয়ওয়াড়া। পঞ্চায়েত ভোট দিতে তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ...

বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ, শনিবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দু’-তিনদিন থানে, রায়গড়, পুনে ও পালঘরেও লাগাতার ভারী বৃষ্টির ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM