Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। এবার সেটা ১২ শতাংশ। সংখ্যাটা একধাক্কায় কমেছে ২২ শতাংশ। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়নি। ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় হাঙ্গামা হয়েছে, মারাও গিয়েছেন অনেকে। তবে, এবার বিরোধীদের মূল টার্গেট ছিল ব্যালট বাক্স। উদ্দেশ্য ভোট প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানো। তাই কোথাও ঢালা হয়েছে জল, কোথাও ব্যালট বাক্স ফেলা হয়েছে সোজা পুকুরে। গুলি চালানোর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হলেও পুলিস ফাঁদে পা দেয়নি। তবে, ভোট বানচালের এই নয়া কৌশল আগামীর জন্য বিপজ্জনক। কড়া হাতে দমন না করলে ফল হবে ভয়ঙ্কর।
গ্রামের উন্নয়নের চাবিকাঠিটি পঞ্চায়েতের হাতে থাকলে অশান্তি, মারামারি, খুনোখুনি এড়ানো কার্যত অসম্ভব। বছরে পঞ্চায়েত প্রতি দু’ থেকে পাঁচ কোটি টাকা খরচ হয়। এই নির্বাচনে নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ সবই গৌণ। একমাত্র লক্ষ্য, ক্ষমতা দখল। বোর্ড গঠন করতে পারলেই খুলে যায় কামাইয়ের রাস্তা। একেবারে ইনকাম ট্যাক্স ফ্রি রোজগার। তাই পথের ‘কাঁটা’ সরাতে খুন করতেও হাত কাঁপে না! সেটা বাম জমানাই হোক বা তৃণমূলের রাজত্বেই হোক। সরকার বদলালেও ট্র্যাডিশন বদলায়নি।
অতীতের পরিসংখ্যান টেনে কোনও খুনকে লঘু করে দেখানোটা অন্যায়। ঠিক একইভাবে অনুচিত হবে খুনোখুনি ও অশান্তির দায় কেবল একটি দলের উপর চাপিয়ে দেওয়া। তাই স্বাভাবিক প্রশ্নটি হল, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মারামারি, খুনোখুনির দায় কার?
রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার মূল দায়িত্ব অবশ্যই শাসক দলের। সেটা প্রযোজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। কারণ তাদের হাতেই রয়েছে পুলিস ও প্রশাসন। কোথাও অশান্তি হলে আগে আঙুল ওঠে শাসকের বিরুদ্ধেই। এক্ষেত্রেও তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। কিন্তু তালি তো এক হাতে বাজে না। তাই দায় এড়াতে পারে না বিরোধীরাও। বরং একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এবারের নির্বাচনের অশান্তি ছিল অনেকটাই পরিকল্পিত। 
একুশের নির্বাচন থেকে যত ভোট হয়েছে সবেতেই এরাজ্যের বিরোধীরা নাস্তানাবুদ হয়েছে। ব্যতিক্রম সাগরদিঘি। পঞ্চায়েত ভোটেও শাসক দলের আধিপত্য নিয়ে কারও কোনও সংশয় ছিল না। বিরোধীদেরও নয়। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে তাদের কঙ্কালসার চেহারাটা দেখাতে চাইছিল না। তাই নানাভাবে নির্বাচন বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু বন্ধ করতে না পেরেই ঩নিয়েছিল ঘেঁটে দেওয়ার কৌশল।
প্রশ্নটা হল, নির্বাচন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হলেও কি ফলের খুব একটা হেরফের হতো? পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচনের ফলের দিকে তাকালেই মিলবে এর উত্তর। কারণ পুনর্নির্বাচন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায়। বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বীরভূম জেলায় ১৪টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। তারমধ্যে ১০টি পেয়েছে তৃণমূল। এমনকী, কয়েকটি বুথে তৃণমূল জিতেছে ৩০০ থেকে ৭০০ ভোটে। 
পূর্ব মেদিনীপুরে ৩১টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। তারমধ্যে তৃণমূল ১৮টিতে এবং ১৩টিতে জিতেছে বিজেপি। এই ১৩টি বুথই ময়নার বাকচায়। সেখানে বিজেপির আধিপত্য সীমাহীন। এই পঞ্চায়েতের ২৮টির মধ্যে ২৫টি আসনই পেয়েছে বিজেপি। বাঁকুড়া জেলায় ৮টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল। ৬টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
আরামবাগ মহকুমায় ২৮টি আসনে পুনর্নির্বাচন হয়। তারমধ্যে খানাকুল-২ ব্লকেই ১৪টিতে। সেখানে বিজেপি ১১টি, তৃণমূল ২টি ও নির্দল একটিতে জিতেছে। এই খানাকুল-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি। এমনকী ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি গিয়েছে বিজেপির দখলে। আর সেটা হয়েছে ৮জুন হওয়া ভোটের ভিত্তিতেই।  
এই সমস্ত পরিসংখ্যান কী প্রমাণ করছে? যেখানে যে শক্তিশালী সেখানে সেই দলই জয়ী হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় হওয়া পুনর্নির্বাচনের সঙ্গে ৮ জুনের ভোটের ফারাক প্রায় কিছুই নেই। থাকার কথাও নয়। সেটা বিরোধী দলের নেতারাও জানেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা গলার শিরা ফুলিয়ে সন্ত্রাস, সন্ত্রাস বলে চিৎকার করছেন। কারণ কর্মীদের বোঝাতে হবে, এটা জনগণের রায় নয়। আর সেটা বোঝাতে না পারলে কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবে। তাহলে লোকসভা ভোটে কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে না। 
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের জোট প্রার্থী জেতার পর বিরোধীরা একযোগে প্রচার করেছিল, সংখ্যালঘু 
ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সরে গিয়েছে। তার আগে আনিস খানের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আনিসের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুকে বিরোধীরা রাজনীতির উপাদান বানানোর 
চেষ্টা করেছিল। বিশেষ করে সিপিএম। সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসানোর আশায় বামেরা আনিসের দাদাকে প্রার্থীও করেছিল। কিন্তু সিপিএমের 
অভিপ্রায় পূরণ হয়নি। কারণ আনিসের দাদা হেরেছেন। জিতলে হয়তো আনিসের দাদাই হয়ে যেতেন সিপিএমের সংখ্যালঘু মুখ।
বিরোধীদের এখন একটা সংখ্যালঘু মুখের বড়ই প্রয়োজন। যাঁর কথায় সংখ্যালঘুরা তৃণমূল 
ছেড়ে হুড়মুড়িয়ে তাদের দিকে চলে যাবে। তাই বিরোধীরা ‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই/ পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’ নীতি নিয়ে নেতা খুঁজে বেড়াচ্ছে। 
বগটুইয়ে স্বজনহারা মিহিলাল শেখকে ‘মুখ’ করতে চেয়েছিল বিজেপি। তাঁকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে রাজ্যবাসীকে চমক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। শুধু যোগদান করায়নি, স্বজনহারাদের দু’জনকে প্রার্থী পর্যন্ত করেছিল। মিহিলাল বুক বাজিয়ে বলেছিলেন, বগটুইয়ে জিতবে বিজেপিই। আর তৃণমূল হবে থার্ড। কিন্তু বগটুইয়ের মানুষ জানিয়ে দিয়েছে, স্বজনহারাদের জন্য তাদের সহানুভূতি আছে, কিন্তু ভোট নেই। মিহিলালের বুথে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁরই দিদি। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩১টি, তৃণমূল পেয়েছে ৫০৫টি।
পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে হারানোর জন্য বিরোধীরা ‘সাগরদিঘি মডেল’কে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন। সাগরদিঘি মডেল মানে ‘রামধনু জোট’। বহু জায়গায় সেই জোট হয়েছে এবং সাফল্যও পেয়েছে। কিন্তু ‘সাগরদিঘি মডেল’ মুখ থুবড়ে পড়েছে সাগরদিঘিতেই। এই ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ১১টি। তারমধ্যে ১০টিতে তৃণমূলকে জিতিয়ে এলাকার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, সাগরদিঘির আস্থা মমতাতেই। 
গত বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার বলরামপুর বাদে জঙ্গলমহলের সব আসন পেয়েছিল তৃণমূল। তাই এবার জঙ্গলমহলে থাবা বসানোর জন্য কুড়মিদের সামনে রেখে সাজানো হয়েছিল নতুন গেমপ্ল্যান। ‘আদিবাসী কার্ড’ খেলে কুড়মিদের পাশে টানার চেষ্টা করেছিল বিরোধীরা। সেই কাজে কিছুটা সফলও হয়েছিল। কুড়মিদের একটা অংশ সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার ডাক দিয়েছিল। বহু জনপ্রতিনিধি ও নেতাকে দল ছাড়তে বাধ্য করেছিল। তবে, ভোটের ফলে প্রমাণ হয়েছে, সেই ডাকে সাড়া দেয়নি কুড়মিদের একটা বড় অংশ। তাঁরা সামাজিক সংগঠনের নেতাদের নির্দেশের চেয়ে জীবনজীবিকাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি।  
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জেলায় ভোটে তেমন কোনও অশান্তির খবর ছিল না। বিরোধীরা অভিযোগও করেনি। এই সমস্ত এলাকার অধিকাংশ বিধায়ক এবং সাংসদ বিজেপির। তা সত্ত্বেও প্রতিটি জেলাতেই শাসক দল বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। 
বিরোধীদের চিৎকার থামিয়ে দিতে পারে দিলীপ ঘোষের একটা ইন্টারভিউ।  তখন তিনি বঙ্গ বিজেপির মুখ। দলের রাজ্য সভাপতি। দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘যে মানুষের সঙ্গে থাকবে, মানুষের কথা বলবে সে রাজনীতিতে থাকবে। অনেকে অনেক কিছু করেছেন। তাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। মানুষ তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটাই রাজনীতি। সাময়িক অস্বস্তি হতে পারে, অশান্তি হতে পারে। মনান্তরও হতে পারে। কিন্তু দিনের শেষে এটাই শেষ কথা যেটা পাবলিক বলবে।’ 
পঞ্চায়েত ভোটের পর তাঁর এই কথাগুলো ফের ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কুৎসা, অপপ্রচারে মানুষ হয়তো সাময়িক প্রভাবিত হয়। কিন্তু ভোট দেওয়ার আগে অভিজ্ঞতার আতস কাচে ভালো-মন্দ যাচাই করে নেয়। তাতেই বুঝে যায়, কে জিতলে তাদের লাভ। তার ভিত্তিতেই নেয় সিদ্ধান্ত। সেই কারণেই বাজারে, পথেঘাটে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার সঙ্গে ভোটের ফলাফলের কোনও মিল পাওয়া যায় না। শেষ কথা বলে জনগণই। দিলীপবাবুর ভাষায়, ‘পাবলিক’।
15th  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। বিশদ

21st  July, 2023
স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।
বিশদ

20th  July, 2023
নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। বিশদ

19th  July, 2023
সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়।
বিশদ

17th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
একনজরে
বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ, শনিবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দু’-তিনদিন থানে, রায়গড়, পুনে ও পালঘরেও লাগাতার ভারী বৃষ্টির ...

রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে বার্থ রিজার্ভেশন করেও ট্রেনে উঠতে পারলেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ যাবেন হায়দ্রাবাদ, কেউ যাবেন বিজয়ওয়াড়া। পঞ্চায়েত ভোট দিতে তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ...

ফের পৃথিবীর বুকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করল চীন। এবারের উদ্দেশ্য, ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM