Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়। স্বভাবতই, ২০২২ সালে ৬০ হাজারের বেশি পড়ুয়া এখানে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ভর্তির সুযোগ পান দু’হাজারেরও কম পড়ুয়া। এই ব্যাপারে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, ‘এজন্য হার্ভার্ডে সুযোগ পাওয়াটা বিরাট কৃতিত্বের ব্যাপার। চমৎকার রেজাল্টের সঙ্গে জরুরি আকর্ষক সুপারিশপত্র, অথবা ভয়ানক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তবেই সুযোগ মিলতে পারে। এটা আপনার জাতিগত পরিচয়ের উপরেও নির্ভর করে।’
অতীতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলত শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান এবং কৃষ্ণকায় আমেরিকানদের মধ্যে। আমি যখন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ভর্তি হই, তখন প্রায় সাড়ে সাতশো জনের একটি ক্লাসে কিছু ছিলেন কৃষ্ণকায় আমেরিকান, ভারতীয় বংশোদ্ভব চারজনসহ এশীয় ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন এবং জনা দুই আফ্রিকান। কিন্তু সেই আমেরিকা বদলে গিয়েছে নাটকীয়ভাবে। সেখানে ভর্তির লড়াইতে এখন শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান, এশীয়, আফ্রিকানদের সঙ্গে শামিল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা স্প্যানিশভাষীরা এবং মধ্যপ্রাচ্যের পড়ুয়ারা। সর্বশেষ আইনি লড়াইটি হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ফেলোস অফ হার্ভার্ড কলেজ’-এর  বিরুদ্ধে ‘স্টুডেন্টস ফর ফেয়ার অ্যাডমিশন, ইনকর্পোরেটেড’-এর। এই ব্যাপারে দ্বিতীয় মামলাটি হয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার (ইউএনসি) মতো অন্য একটি প্রাচীন বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও। অদ্ভুত এই বছরে ইউএনসি’তে ভর্তির আবেদনপত্র জমা পড়েছে সাড়ে ৪৩ হাজার এবং প্রথম বর্ষের ক্লাসে ভর্তি নেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে থেকে ৪,২০০ জনকে।
প্রতিকূলতা বনাম সমতা
দুটি ক্ষেত্রে মূল ইস্যু ছিল, ভর্তির জন্য পড়ুয়া নির্বাচনে জাতিগত (একটি প্রতিকূল বিষয়) পরিচয় একটি প্রাসঙ্গিক মানদণ্ড বিবেচিত হতে পারে কি না। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশ তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। সমস্যাটি সেই থেকেই আমেরিকাকে উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে। এই সমস্যা থেকেই বেধেছিল গৃহযুদ্ধ (১৮৬১-৬৫)। 
জাতিগত দাবি বনাম সংবিধান কর্তৃক সাম্যের নিশ্চয়তার ইস্যুটি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টকে ১৮৯৬ সাল থেকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে। মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী মারফত এই ইস্যুটি পরীক্ষিত হয়। সংশোধনীতে বলা হয়েছে: ‘কোনও রাজ্য এমন কোনও আইন প্রণয়ন বা প্রয়োগ করবে না যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার বা সুরক্ষার ব্যবস্থাটি খর্ব করবে; অথবা কোনও রাজ্য আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই কোনও ব্যক্তিকে তাঁর 
জীবন, স্বাধীনতা বা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবে না; কিংবা কোনও রাজ্য তার এক্তিয়ারের মধ্যে কোনও ব্যক্তিকে সমান আইনি সুরক্ষা প্রদানের দিকটি অস্বীকার করবে না।’
এই মৌলিক অধিকারগুলিই প্রায় আক্ষরিকভাবে গৃহীত হয়েছে ভারতের সংবিধানের ১৪ ও ২১ অনুচ্ছেদে। 
চতুর্দশ সংশোধনীর ইতিহাসে প্রতিফলিত হয় শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের মধ্যে জাতিগত সম্পর্কের ইতিহাস ও বিবর্তন। ১৮৯৬ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ‘পৃথক কিন্তু সমান’ তত্ত্বটি উত্থাপন করে। ১৯৫৪ সালে ব্রাউন বনাম এডুকেশন বোর্ড মামলায় এটা উল্টে গিয়েছিল, বলা হয়েছিল যে, ‘পৃথক সমান হতে পারে না’। জাতিগতভাবে বৈষম্যমূলক আইনগুলি ‘কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র শর্তে এবং শুধুমাত্র তখনই প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয় যখন একটি ‘আবশ্যক সরকারি স্বার্থ’ ছিল এবং জাতিগত ব্যবহার ছিল ‘সংকীর্ণভাবে ও ক্ষেত্র বিশেষে উপযোগী’। পরবর্তী দুটি সিদ্ধান্তে—ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্টস বনাম বাক্কে (১৯৭৮) এবং গ্রুটার বনাম বোলিঙ্গার (২০০৩)—আদালত এই দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করেছে যে, ‘ছাত্রদের সমষ্টির মধ্যে বৈচিত্র্য রাজ্যের একটি জরুরি স্বার্থ, যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ব্যবহারের ন্যায্যতা দিতে পারে।’ ছাত্র বাছাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সিদ্ধান্তও পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।
২০ বছর পর, আইনের উপর্যুক্ত বক্তব্যটি উল্টে গিয়েছে। পরিহাসের বিষয় এই যে, আইনটি সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের উপলক্ষ করে নয়, বরং এশীয়-আমেরিকানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি বলে দাবি করা একদল ছাত্রের উপলক্ষ্যে পুনরায় লেখা হয়েছে। 
রিপাবলিকান বনাম ডেমোক্র্যাট
হার্ভার্ড এবং ইউএনসি মামলাগুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের (৬:৩) মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের ‘রক্ষণশীল’ এবং ‘উদারপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এবং বিচারপতি থমাস, আলিটো, গোরুশ, ক্যাভানাফ ও ব্যারেট—এই ছয় ‘রক্ষণশীল’ বিচারপতিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টরা নিয়োগ করেন। অন্যদিকে, ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্টরা  নিয়োগ করেন বিচারপতি সোটোমায়র, কাগান ও জ্যাকসন—এই ‘উদারপন্থী’ তিনজনকে। খোলা চোখে, আইনি লড়াইটি ছিল ‘রক্ষণশীল’ বনাম ‘উদারপন্থী’ বিচারপতিদের। কিন্তু এটি বাস্তবে ছিল রিপাবলিকান-নিযুক্ত বনাম ডেমোক্র্যাট-নিযুক্ত বিচারপতিদের আইনি লড়াই।
‘পরিবার পরিকল্পনা বনাম কেসি’ মামলায় একই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় (৬:৩) মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ‘রো বনাম ওয়েড (১৯৭৩)’ মামলার রায় বাতিল করে দিয়েছে, যেখানে একজন মহিলার তরফে গর্ভপাতের অধিকার ঘোষিত হয়েছিল। নির্বাচনগুলি দেখিয়ে দেয় যে, কেসি মামলায় গৃহীত সিদ্ধান্তকে ৬০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রবাসী অনুমোদন করেন না। 
বিচারপতিদের নির্বাচন করার ক্ষমতা, রাজনৈতিক কার্যনির্বাহীর উপর ন্যস্ত হওয়ার বিপদটি চিত্রিত হয়েছে হার্ভার্ড এবং ইউএনসি মামলার রায়ে। যে প্রেসিডেন্টের পার্টি সেনেটকে নিয়ন্ত্রণ করে, তিনি যেকোনও ব্যক্তিকে বিচারপতি নিয়োগ করতে পারেন, এই শর্তে যে মনোনীত আইনজ্ঞটি প্রেসিডেন্টের দলের মতাদর্শের প্রতি সহমত পোষণ করেন। সংবিধানের মৌলিক নীতি, সাংবিধানিক ইতিহাস ও নৈতিকতা, নজির, জনমতের বিবর্তন এবং সর্বোপরি, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বর্তমান নীতি-বিশ্বাস ও ইচ্ছা বর্জিত হল।
বিচারপতিদের প্রবণতা
ভারতের জন্য একটা শিক্ষা আছে। এই দেশে মারাত্মক রকমের মেরুকরণ ঘটে রয়েছে। সেখানে এগজিকিউটিভের (প্রধানমন্ত্রী) হাতে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেছে নেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ বা কলেজিয়াম-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাওয়াটা বিপজ্জনকই হবে। ক্ষমতা কলেজিয়ামের কাছে একচেটিয়াভাবে সংরক্ষিত হয়ে গেলে সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ কলেজিয়ামের পাঁচজন বিচারপতিরও পছন্দ এবং প্রবণতা রয়েছে। একজন অযোগ্য বিচারপতিকে উচ্চতর বিচার বিভাগে নিয়োগের ঘটনা বিরল হতে পারে, তবে বিশেষভাবে যোগ্য ব্যক্তিরা যে উপেক্ষিত হয়েছেন বা কলেজিয়ামের সুপারিশগুলি সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে অথবা সেগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব হয়েছে, তার দৃষ্টান্ত রয়েছে ভূরি ভূরি। পাশাপাশি, আদালতে বৈচিত্র্য ও প্রতিনিধিত্ব  ভীষণভাবে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সমতা হল কাঙ্ক্ষিত আদর্শ। প্রতিকূলতা হল একটি কঠোর বাস্তব। আর বৈচিত্র্যের প্রয়োজন আমরা অনুভব করেছি। এই তিনটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, অবশ্যই এমন বিচারপতিদের নির্বাচন করার ব্যবস্থা আমাদের থাকবে, যাঁরা সংবিধানের মৌলিক নীতির প্রতি বিশ্বস্ত হবেন। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
17th  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। বিশদ

21st  July, 2023
স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।
বিশদ

20th  July, 2023
নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। বিশদ

19th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। বিশদ

15th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
একনজরে
পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাস ও ভোট লুটের প্রতিবাদে বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগের বিভিন্ন বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।  ...

ফের পৃথিবীর বুকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করল চীন। এবারের উদ্দেশ্য, ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে ...

জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটস। সেই খবর প্রকাশিত হতেই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিলেন বিশ্বভারতী ...

১৭ বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছিলেন নদীয়ার তেহট্টের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রমাদেবী। রান্নাবান্না, ঘর-সংসার আর ছেলে মেয়েদের সামলাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM