পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
তাঁর প্রত্যয়ী বার্তা, রাজ্যে পরিবর্তনের ঢেউ আসছে।
পাঁচ বছর আগে মধ্যপ্রদেশ জয় করেছিল কংগ্রেস, কিন্তু ক্ষমতা ধরে রাখা যায়নি। ১৫ মাসের মাথায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ বেশ কিছু বিধায়ককে দলে টেনে সরকার ফেলে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনার পর এই প্রথম গোয়ালিয়ারে সভা করলেন প্রিয়াঙ্কা। জ্যোতিরাদিত্য বহুদিন ধরেই প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠ। দু’জনে একসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বেও ছিলেন।
তাই এদিন ভাষণে জ্যোতিরাদিত্য সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কা কতটা আগ্রাসী হবেন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিলই। কিন্তু এদিন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার বার্তা দিলেও, চুপ থাকলেন দলের প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে।
ভাষণে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় এলে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি পালন করা হবে।
এই নিয়ে ৪০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার মধ্যপ্রদেশ সফরে এলেন প্রিয়াঙ্কা। শুক্রবার গোয়ালিয়ারে জন আক্রোশ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। জ্যোতিরাদিত্যের গড়ে পৌঁছে দিনের শুরুতেই ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইয়ের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। তারপরই তোপ দাগেন মোদিতন্ত্রের বিরুদ্ধে। মণিপুর ইস্যুতে মোদিকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, রাজ্য জ্বলছে। মহিলাদের উপর নৃশংস অত্যাচার চলছে। তা সত্ত্বেও ৭৭ দিন মুখে কুলুপ মোদির। শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেও শুধু রাজনীতি করছেন মোদি। অন্যরাজ্যের নাম টেনে মণিপুরের হিংসাকে খাটো করে দেখানো হচ্ছে। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, বিরোধী শিবিরের নেতাদের চোর বলে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অথচ ওই নেতারা নিজের নিজের রাজ্যে যথেষ্ট সম্মান পান। জাতীয় স্তরেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। কিন্তু সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে মোদি তাঁদের মর্যাদাহানি করছেন।