পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কাঁদতেও দেখা যায়। ইতিমধ্যে পাঁচলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ‘নির্যাতিতা’। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এমনকী, এদিন রাজ্য পুলিসের ডিজি পর্যন্ত জানিয়েছেন, ওই অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে তদন্ত চলছে।
তবে বিজেপি ডিজির দাবি মানতে রাজি নয়। এদিন নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, ‘মণিপুরের ধর্ষণ বড় ঘটনা হলে বাংলার ঘটনা কি তুচ্ছ?’ তাঁর পাশে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরাও দেশের মেয়ে। মণিপুর যেমন দেশের বাইরে নয়, তেমন বাংলাও দেশের বাইরে নয়। আমরা কোথায় যাব? পুলিস কোনও সহযোগিতা করছে না। রাজ্য সরকারও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’ বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে যেভাবে মণিপুরের ঘটনার সঙ্গে পাঁচলার তুলনা করা হচ্ছে, তাকে রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সুকান্তবাবুরা জানিয়েছেন, বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা।
অন্যদিকে, পাঁচলার ঘটনা নিয়ে এদিন ভবানী ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য। তিনি বলেন, ‘গত ১৩ জুলাই ইমেল মারফত এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে ১৪ জুলাই শ্লীলতাহানি, মারধর সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিসের তরফেই যোগাযোগ করা হয়েছিল ওই মহিলার সঙ্গে। তাঁকে হাসপাতালের সমস্ত নথি ও মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথাও জানায় পুলিস। কিন্তু তিনি আসেননি।’ ডিজির আরও দাবি, ‘ওই জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিস খতিয়ে দেখেছে। কিন্তু এই ঘটনার এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওইদিন ভালো সংখ্যায় পুলিস মোতায়েন ছিল। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমও ওই এলাকায় যায়। এমনকী বিরোধী দলনেতা পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের পর সেখানে গিয়েছেন। কেউ কোনও অভিযোগ করেননি।
যদিও পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির ২০ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসের অভিযোগ, ‘সকালের দিকে ভোটগ্রহণ ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু আচমকা বুথে ঢুকে ঝামেলা পাকাতে শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রথমে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রার্থীকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তাঁকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয়।’ বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও নির্বাচনের দিন ওই বুথে কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক।