Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল। তার কিছুক্ষণ পরেই সহকর্মী এডউইন অলড্রিন জুনিয়র ঈগল চন্দ্রযান থেকে বেরিয়ে আসেন। চাঁদের বিস্তীর্ণ সৌন্দর্য দেখে বলেছিলেন, ‘অভাবনীয় নির্জনতা’। ১৯৬৯ সালের জুলাইয়ে সেই অ্যাপোলো-১১ অভিযানের পর চাঁদ বহুদিন স্পর্শহীন থেকেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের চাঁদের প্রতি টান কমেনি। চন্দ্রাহত আমরা বরাবরই। আক্ষরিক। পৃথিবী সৃষ্টির গোড়া থেকেই।
সেই চাঁদের দেশে আবার পাড়ি দিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। প্রায় ৪০ দিন পরে, আগামী ২৩ বা ২৪ আগস্টের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে নামতে পারে তৃতীয় চন্দ্রযান-এর সৌরচালিত ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তা থেকে নামবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সূর্যোদয়ের সময়ই চাঁদের মাটিতে হবে সেই অবতরণ পর্ব। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের ইতিহাস নতুন মাত্রা পাবে। সে ক্ষেত্রে গত এক দশকে চীনের পর আরও কোনও দেশের মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণের নজির গড়বে। আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের পরে চতুর্থ দেশ হিসেবে তালিকায় ঠাঁই পাবে ভারত।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ভারতের মতো দেশের পক্ষে চাঁদে রকেট পাঠিয়ে লাভ কী? আমরা কি ‘বামন’ হয়ে চাঁদে হাত বাড়াচ্ছি? বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাত বাড়ালেই চাঁদ! দূরত্বটা মাত্র ৩ লক্ষ ৮২ হাজার কিলোমিটার। এই সুবিশাল ব্রহ্মাণ্ডে যা নস্যি। আমাদের এত কাছে আর কোনও মহাজাগতিক বস্তু নেই। চাঁদ শুধুই যে আমাদের হাতের নাগালে, তা-ই নয়। এই ব্রহ্মাণ্ড কীভাবে তৈরি হয়েছিল, সেই আদিমতম ব্রহ্মাণ্ডের আচার, আচরণ কেমন ছিল, তা বুঝতে চাঁদের মতো এত কাছের, এত ভালো গবেষণাগার আর নেই। শুধু তাই-ই নয়, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে চাঁদে গড়ে উঠতে চলেছে বড় শিল্পাঞ্চলও। চাঁদ-ই বাঁচাবে আমাদের। চাঁদ-ই হয়ে উঠবে আমাদের একমাত্র পরিত্রাতা। পৃথিবীতে শক্তির যাবতীয় চাহিদা মেটাবে চাঁদ-ই। শক্তির প্রয়োজন মেটাতে তখন আর কয়লা পোড়ানোর দরকার হবে না আমাদের। লাগবে না প্রাকৃতিক গ্যাসও। যে জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা, যার জন্য হু হু করে বেড়ে চলেছে উষ্ণায়নের বিপদ, পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ানো সেই জ্বালানির প্রয়োজনও ফুরবে। একদিন এদেশের মানুষ বুঝবে, আকাশছোঁয়া মূর্তি বানানো, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় যুদ্ধাস্ত্র কেনার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল ‘মহাকাশ গবেষণার’ পিছনে খরচ করা। বহু দশক আগে যে প্রয়োজনের কথা প্রথম বলেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। লিখেছিলেন তাঁর বই ‘দ্য সায়েন্টিফিক ইন্ডিয়ান’-এ।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তো বহু আগেই জানিয়েছেন, চাঁদে রয়েছে যে বিপুল পরিমাণ ‘হিলিয়াম-৩’, তা পৃথিবীতে শক্তির যাবতীয় চাহিদা মেটাতে পারে। অন্তত ১০ হাজার বছরের জন্য। আমাদের গ্রহে ৫ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের কয়লা পোড়ালে যতটা শক্তি উৎপাদন হয়, চাঁদের মাত্র ৪০ গ্রাম হিলিয়াম-৩ মৌল থেকে তৈরি হয় ততটাই শক্তি। হিলিয়াম-৩ মৌলটি দিয়ে অপ্রচলিত উপায়ে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তেজস্ক্রিয়তার বিপদ এড়ানো যাবে পুরোপুরি। তা হবে অনেক বেশি নিরাপদ। পরিমাণে অনেক গুণ বেশি তো বটেই। প্রশ্ন হল, পৃথিবীতে কেন নেই হিলিয়াম-৩? সূর্যের করোনা বা বায়ুমণ্ডল থেকে প্রচুর পরিমাণে বেরিয়ে আসে এই বিশেষ আইসোটোপের মৌলটি। কিন্তু পৃথিবীর পুরু বায়ুমণ্ডল রয়ে‌ছে। সেই বায়ুমণ্ডলের কণাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে সূর্যের করোনা থেকে বেরিয়ে আসা হিলিয়াম-৩ আইসোটোপের মৌল অন্য মৌলে বদলে যায়। ফলে, পৃথিবী আর হিলিয়াম-৩ মৌলটিকে পায় না। কিন্তু চাঁদের কোনও বায়ুমণ্ডলই নেই। তাই সূর্যের করোনা থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসা হিলিয়াম-৩ মৌল সরাসরি এসে আছড়ে পড়ে চাঁদের পিঠে। তারা চাঁদের পিঠে (লুনার সারফেস) বালিকণার মধ্যেই মিশে থাকে। বায়ুমণ্ডল নেই বলে সূর্য থেকে চাঁদে আসা হিলিয়াম-৩ মৌল অবিকৃতই থেকে যায়। অন্য কোনও মৌলে বদলে যায় না বলে চাঁদে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এই বিশেষ আইসোটোপের হিলিয়াম মৌল।
চাঁদে আমেরিকা যতগুলি ‘অ্যাপোলো’ মিশন পাঠিয়েছে, তাদের সকলেরই লক্ষ্য ছিল, আমাদের উপগ্রহে ওই তেজস্ক্রিয় মৌলগুলির সন্ধান ও সেগুলি কী পরিমাণে রয়েছে, তার খোঁজ করা। একই কারণে তখন রাশিয়াও (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) চাঁদে একের পর এক অভিযান চালিয়েছে। ভারত ও চীনের মতো দেশগুলিও এখন ছুটতে শুরু করেছে চাঁদে। যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে ছোট ছোট উন্নয়নশীল দেশগুলিও। কারণ, তারা বুঝে গিয়েছে, অপ্রচলিত উপায়ে শক্তি উৎপাদনের সেরা হাতিয়ারটি রয়েছে চাঁদেই। হিলিয়াম-৩ মৌল। চাঁদকে ঘিরে আরও বড় স্বপ্ন রয়েছে গোটা দুনিয়ার। যে স্বপ্নটা দেখছে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ বা ‘এসা’), ইসরোর মতো বিশ্বের প্রথম সারির মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। চাঁদে মানব সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন। ২০০৮-এ প্রথম চন্দ্রযান যে অপ্রত্যাশিতভাবেই চাঁদে তরল জলের (হাইড্রক্সিল আয়ন) অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছিল তাতে চমকে উঠেছিল গোটা দুনিয়া। জলের অস্তিত্ব মানেই তো প্রাণ টিকে যাওয়ার স্বপ্ন!
না, শুধু স্বপ্ন নয়, আসলে এই অভিযানগুলির পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য— দুই-ই। ইসরো প্রমাণ করেছে, চন্দ্রাভিযানের মতো অভাবনীয় প্রকল্পও অনেক কম খরচে করা যায়। ভাবতে পারেন, দু’মাস আগে রিলিজ হওয়া ‘আদিপুরুষ’ ছবিটি তৈরি করতেই খরচ হয়েছিল ৭০০ কোটি টাকা। সেই তুলনায় চাঁদে অভিযানের খরচ ‘মাত্র’ ৬১৫ কোটি টাকা। যা একটি দৃষ্টান্ত। একটি নজির। শুনলে অবাক হবেন, ৫৪ বছর আগে আমেরিকা যখন অ্যাপোলো-১১ চাঁদে পাঠায় এবং তখন খরচ হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় ২৮৭১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। নাসা, ইসা (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ), জাক্সা (জাপান স্পেস এজেন্সি)-র মতো বিশ্বের বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি ভারতের চন্দ্রাভিযানের খরচ শুনে তাজ্জব। এতে ইসরো ও ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণা দুই’ই উপকৃত হবে। কারণ, সুলভে চোখ টানার মতো নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রকৌশলে আগ্রহী হয়ে ছোট ছোট দেশগুলি যত বেশি করে ইসরোর দিকে ঝুঁকবে, ততই সরকারের উপর নির্ভরতা কমবে ইসরোর। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে তা আরও বেশি করে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার দিশা দেখাবে। ইসরোর বাণিজ্য বাড়বে। সেই লভ্যাংশ ইসরো আরও বেশি করে খরচ করতে পারবে মহাকাশ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণায়। যা ১৯৯৬ সালে ইসরো প্রথম শুরু করেছিল ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’ প্রকল্পের চিন্তাভাবনা শুরুর মাধ্যমে। আলট্রাভায়োলেট ও এক্স-রে তরঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য মহাকাশে এত ভালো অবজারভেটরি আর পাঠাতে পারেনি কোনও দেশই। সেই সময় ইসরো ঠিক করেছিল, নিজেদের আর শুধুই আবহাওয়া ও প্রতিরক্ষা গবেষণায় বেঁধে রাখবে না। নজরদার উপগ্রহ বানানো ও পাঠানো ছাড়াও মহাকাশ গবেষণাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। সেই পথেই এগচ্ছে ইসরো।
১৯৮৪ সালের ৩ এপ্রিল রুশ মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশে দিয়ে নজির গড়েছিলেন ভারতীয় নভশ্চর রাকেশ শর্মা। তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী। চার দশক পরে দেশে তৈরি মহাকাশযানে চাপিয়ে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। নাম দেওয়া হয়েছে ‘গগনযান মিশন’। ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা সফল করতে চায় ইসরো। পাশাপাশি, নাসার সঙ্গে যৌথ ভাবে ইসরোর মহাকাশ অভিযানের লক্ষ্যে ‘আর্টেমিস চুক্তি’তে সই করেছে ভারত। সূত্রের খবর, আর কয়েক বছরের মধ্যেই ইসরোর সঙ্গে যৌথ ভাবে মঙ্গল, শুক্র ও চন্দ্রাভিযানে নামবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা)-র সঙ্গে এখন যে ধরনের যৌথ মহাকাশ অভিযানে নামে নাসা, ঠিক সেই রকম ভাবেই পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে ইসরোর সঙ্গে। ভবিষ্যতে চাঁদে কে যাবে, কারা সেখানে গিয়ে খনিজ আনবে বা মহাকাশ স্টেশন বানাবে, সেই সব প্রশ্ন এখনও কেউ তুলছেন না। কিন্তু এখন একবার গিয়ে খুঁটি গেড়ে না এলে পরে এই নিয়ে কোনও আলোচনায় কেউ ভারতকে পাত্তা না-ও দিতে পারে। সেই কথা ভেবেই চন্দ্রযান পাঠানোর তোড়জোড়। এটা নিশ্চিত, এই প্রজন্মের ভারতীয়রা একটা অন্ধকার অতীত পিছনে ফেলে মহাকাশ অভিযানের পথে এগিয়ে চলেছেন। চোখের সামনে তাঁদের শুধু স্বপ্ন আর স্বপ্ন!
এদেশ ভোলেনি ‘মিসাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া’ কালামের সেই শিক্ষা: স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত স্বপ্ন দেখে যাও। স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখ, স্বপ্ন হল সেটাই যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।
20th  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। বিশদ

21st  July, 2023
নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। বিশদ

19th  July, 2023
সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়।
বিশদ

17th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। বিশদ

15th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
একনজরে
রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে বার্থ রিজার্ভেশন করেও ট্রেনে উঠতে পারলেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ যাবেন হায়দ্রাবাদ, কেউ যাবেন বিজয়ওয়াড়া। পঞ্চায়েত ভোট দিতে তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ...

১৭ বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছিলেন নদীয়ার তেহট্টের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রমাদেবী। রান্নাবান্না, ঘর-সংসার আর ছেলে মেয়েদের সামলাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন তিনি ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...

জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটস। সেই খবর প্রকাশিত হতেই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিলেন বিশ্বভারতী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM