Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত। এবারও সামান্য পঞ্চায়েত ভোটে তার অন্যথা হল না। সকাল থেকেই জেলায় জেলায় শাসক ও বিরোধীদের সংঘর্ষ, রাস্তায় মৃতদেহ, ব্যালট লুট, এমনকী ছাপ্পা রুখতে ভোটবাক্সে কোথাও আগুন, কোথাও জল ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটল। পাল্লা দিয়ে অস্ত্র ও বোমার দাপাদাপি চলল দিনভর। একাজে শুধুই শাসক দলের দিকেই আঙুল ওঠেনি, সমানভাবে অভিযুক্ত বিরোধীরাও। যে যেখানে শক্তিশালী অবাধে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তাই প্রাণ হারানোর খতিয়ানে শাসক দলও পিছিয়ে নেই। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ৬১ হাজার বুথের মধ্যে ঠিক কত শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ধুন্ধুমার হল, তা নিয়ে। অমি বলি, ওই হিসেব শাসক দল করুক। ভোটের দিন একটি মাত্র ঘটনাও নিন্দার। একটি মাত্র বুথ দখলও উদ্বেগের। প্রতিটি ভোটার যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করাও নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্তব্য। তা না হলে আমাদের গর্বের গণতন্ত্র ও সংবিধান তার মর্যাদা হারাতে বাধ্য। তা কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনারও তাঁর সদর্থক ভূমিকা পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কিন্তু ক্ষমতাবানেরা যাই বলুন, ভোটারদের পিছিয়ে গেলে হবে না। এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে সাধারণ ভোটারদের। চোয়াল শক্ত করে প্রয়োগ করতে হবে গণতান্ত্রিক অধিকার। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, এত হানাহানি, অস্ত্রের আস্ফালন, বোমাবাজি আর লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়দৌড়ি করে এরাজ্যের গরিব মানুষ কী পেল? পঞ্চায়েত ভোট আক্ষরিক অর্থেই গ্রাম বাংলার ভোট। এরাজ্যের মোট জনগণের প্রায় অর্ধেক, সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার। গত এক দেড় মাসের হিংসায় কী মিলল? কিছু পরিবার তাঁদের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে আরও অন্ধকারে তলিয়ে গেল। বাড়ি ভাঙল, জীবন বিপন্ন হল, সম্পত্তি নষ্ট হল, লাভের লাভ কিছুই হল না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হল কে? কোনও রাজনৈতিক দল নয়, নেতানেত্রীও নয়, বাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। স্বভাবতই আবারও সেই একই জিজ্ঞাসা, রাজনীতিকদের ক্ষমতা দখলের এই নোংরা লড়াইয়ে আর কতদিন ক্রীড়নক হয়ে থাকব আমরা, আম ভোটাররা? আমাদের চৈতন্য ফিরবে কবে?
আর বাংলার সামগ্রিক অগ্রগতি? যুব সমাজের ভবিষ্যৎ? একটা পঞ্চায়েত ভোট ঘিরেই এত মারামারি আর হাঙ্গামার ছবি। মনোনয়ন জমা পড়ার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি। এ লেখা শেষ হলেও মৃত্যুর খতিয়ান থামে না। সংখ্যাটা বাড়তেই থাকে। কেউ আবার মনে করিয়ে দেয়, এখনও গণনা তো বাকি। অর্থাৎ পিকচার আভি বাকি হ্যায়। কিন্তু কোন আদর্শকে তুলে ধরার জন্য? কোন রাজকর্ম সাধনের জন্য? শুধুই ক্ষমতা দখল, পঞ্চায়েতের অর্থের ভাগ উসুল করার জন্য? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেই বুকটা কেমন হু হু করে ওঠে। কোথায় চলেছে বাংলা! উন্নয়ন নয়, মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা নয়, চাকরির সংস্থান নয়, নতুন কোনও ব্যবসা কিংবা শিল্প স্থাপনের দিশাও নয়। যেভাবে একের পর এক রাজ্যে মোদিজির সৌজন্যে জনপ্রতিনিধি কেনাবেচা হচ্ছে, তার প্রতিবাদও নয়, হয় ভোট লুট কিংবা তা রুখে দেওয়ার জন্য রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ! যাঁরা গ্রামে রকে বসে, মাটির দালানে, পাড়ার মাঠে একসঙ্গে আড্ডা দেয়, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাষবাস করে, ভোট এলেই তাঁরা দুটি শিবিরে বিভক্ত। শাসক বনাম বিরোধী, যেন হিন্দুস্তান আর পাকিস্তান। 
অন্য রাজ্যে তো এমন হয় না। উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান এমনকী বিহারে পর্যন্ত নির্বাচন ঘিরে হালে আর সেই পুরনো ছবি চোখে পরে না। রাজনৈতিক রেষারেষি যাই থাক মোটের উপর বিহারেও গত বিধানসভা ভোট রক্তপাতহীনই ছিল। হালের নির্বাচনে কর্ণাটকও তাই। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোটে দেশের অন্যতম বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও এমন প্রাণহানি, ভোট লুটের খবর মেলেনি। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন বাকি রাজ্যগুলিতেও হয়। মানুষ নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করে তার অধিকার। কিন্তু প্রায় এক মাসের উপর এরাজ্যে এমন উত্তেজনা আর আগুন জ্বলতেই দেখা যায়। বাইরের শত্রুর আক্রমণের চেয়েও গৃহযুদ্ধ ভয়ঙ্কর। এতে একটা জাতি ভিতর থেকে নিঃস্ব হয়ে যায়, আর ফায়দা লোটে বাইরের হার্মাদরা। বাংলার আজ সেই শোচনীয় দশা। আর আমরা নীরব দর্শক মাত্র।
এখানে বিরোধীদের সংগঠন নেই, লোকবল নেই বলেই ভোট এলেই তারা আদালতে ছোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে। অন্য আর কোথায় বিশাল ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সামান্য পঞ্চায়েত ভোট করতে হয়, জানা নেই। বাইরের বাহিনীর আসা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। আদালতের নির্দেশের পরও বাহিনী এসে পৌঁছয় না। অগত্যা ভোটের আগের রাতে সুদূর লে থেকে আধাসেনা উড়িয়ে নিয়ে আসতে হয়। রাজ্যপালকে রাজনৈতিক নেতার মতো সকাল বিকেল ক্লিশে বিবৃতি দিয়ে সন্ত্রাস দেখতে বেরতে হয় না অন্য আর কোথাও। প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর, এমনকী ভোটের মধ্যেও গণ্ডগোলের খবর পেয়ে দূর জেলায় ছুটে যেতে হয় না তাঁকে। 
কিন্তু এর ময়নাতদন্ত কি কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা প্রশাসন করবে? এককথায় না। নির্বোধ ছাড়া কেউ এ প্রশ্নের শিকড়ে পৌঁছতে আগ্রহী নন। প্রায়শই বলা হয়, বাংলায় শিল্প হয়নি, চাকরির প্রয়োজনীয় সুযোগ নেই বলেই যুব সমাজের একটা বড় অংশ ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে। দুর্ভাগ্য, আমরা মেধা ধরে রাখতে পারিনি, যুব সমাজকে ন্যূনতম চাকরির সুযোগও করে দিতে পারিনি। অথচ বোমা, গুলি, বারুদ আর হানাহানির সেই সংস্কৃতি বিগত নকশাল আমলেরও অর্ধশতক পরও দিব্যি বহন করে চলেছি সগৌরবে। পরের অর্ধশতকে অমৃতকালই আসুক কিংবা কর্তব্যকাল আমরা দেখে যেতে পারব না সত্যি। কিন্তু হলফ করে বলা যায়, শাসন ক্ষমতায় যেই আসুন, এই বঙ্গে রাজনৈতিক রক্তারক্তির এই ধারাবাহিক মেগা সিরিয়াল মঞ্চস্থ হতেই থাকবে। এবং গরিব মানুষের মাটির ঘর ভাঙচুর হবে। গরিবের দাওয়ায় ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে বোমার সঙ্গে ধূপ, গীতা, আর থান কাপড়ের অদ্ভুত সহাবস্থানও অবলীলায় দেখতে পাওয়া যাবে। সেই ঘৃণার আবর্তে জাতিটার মেরুদণ্ডটাও হয়তো আরও দুর্বল হয়ে যাবে!
আর আমরা কিঞ্চিৎ সুবিধাবাদী মধ্যবিত্ত যাঁদের রেস্তো আছে তাঁরা ভিডিও কল করে সন্ধ্যায় আমাদের প্রবাসী সন্তান-সন্ততিকে সাবধান করব, ভুলেও যেন এই বাংলায় ফিরে না আসে! ঘুরতে আসা ছাড়া পা না রাখে। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের চারপাশের শহুরে মধ্যবিত্ত শহুরে সমাজের মনের কথা। এমনকী গ্রামের সম্পন্ন পরিবারেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এক একটা ভোট আসে নেতারা বুক ফুলিয়ে লড়াই করে। কার ভাগে ল্যাজা আর কার ভাগে বড় কাতলা মাছের মুড়োটা পড়বে তা নিয়ে সংঘাত প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে আসে। মধ্যবিত্ত স্বচ্ছল পরিবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরবর্তী প্রজন্ম সকলের অজান্তেই একটু একটু করে এরাজ্যের সীমানা ছেড়ে অন্যত্র কেটে পড়ে। এই ঝোঁক শুরু হয়েছে বিগত আশির দশকের শেষ থেকে। কার ভোটবাক্সে রক্তক্ষরণ বাড়ল আর কার পক্ষে সমর্থনের জোয়ার সব তুচ্ছ করেই এই বাংলা ছাড়ার হিড়িক আ‌জ আরও ঊর্ধ্বমুখী।
এত গণ্ডগোল হয়, এত রক্তপাত। নেতা উপনেতার এলাকা থেকে পাড়ায় দখলদারির স্বপ্ন কিংবা পুনর্দখলের খোয়াব? কিন্তু তাঁদের গায়ে আঁচড়টি পড়ে না, সংঘর্ষে সবসময়ই প্রাণ যায় উলুখাগরার। একটা নেতাকেও আক্রান্ত হতে দেখেছেন বিগত পাঁচ দশকে। এই নির্বাচনেও গরিবের মাটির দাওয়ায় বসে সদ্য বিধবা হওয়া রমণীর আকুলিবিকুলি কান্না আর আর্তনাদ নেতানেত্রীদের পাঁচমহলা প্রাসাদের অন্দরমহলে পৌঁছয় না। যাঁরা প্রাণ হারালো তাঁদের জন্য মাসিক চাল ডাল, সামান্য কিছু টাকা আর বাৎসরিক শহিদ তর্পণ ব্যস, কর্তব্য শেষ। স্বজন হারানো পরিবারটার প্রতিদিনকার বিড়ম্বনার খোঁজ কেউ রাখে না। ফল বেরলে রং বেরংয়ের আবির, বেলুন পতাকা ফেস্টুনের আড়ালে চাপা পড়ে যায় সবকিছু। নতুন করে আবার রোজগারে মন দেয় নেতা থেকে তার আশ্রিত অনুগামীরা। এভাবেই চলতে থাকে বঙ্গ রাজনীতির অলস বারোমাস্যা। মাঝে মাঝে মনে হয়, যেনতেন ক্ষমতা দখল কিংবা তা অক্ষুণ্ণ রাখাই বুঝি এরাজ্যের ক্ষমতাধর তথা বিরোধীদের ডিএনএতে গেঁথে আছে। তার থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও সুযোগই নেই। উন্নয়ন হোক না হোক, চাকরি জুটুক না জুটুক হরেক কিসিমের নেতার বসন্ত যে!
বিরোধীদেরও সংগঠন নেই বলে ক্রমাগত কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন দেখে মনে হয়, বহিরাগত জওয়ানরাই বুঝি তাঁদের দুর্বলতা ঢেকে দেবে। না হলেই তাঁরা মহাশূন্যে মিলিয়ে যাবে। সেই জন্যই ভোটের ফল বেরনোর দশদিন পরও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার কথা বলেছে হাইকোর্ট। এর উদ্দেশ্য একটাই তিক্ততা শেষে ফল বেরলে যেন অযথা আক্রোশ নতুন করে প্রাণহানি না ঘটে। কিন্তু বাহিনী তো চিরদিন থাকতে পারে না। সবে ভোট কাটল, এখনও গণনা বাকি। তারপর আছে ফলাফলের প্রতিক্রিয়া, নির্বাচনোত্তর গণ্ডগোল। প্রার্থনা একটাই, বাংলার একটা ঘরেও যেন স্বজন হারানোর কান্না শোনা না যায়, নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন। ব্যর্থ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনার গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। বাংলা উন্নয়নে এগিয়ে থাক, গোলাগুলি আর রক্তপাতে নয়।
09th  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। বিশদ

21st  July, 2023
স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।
বিশদ

20th  July, 2023
নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। বিশদ

19th  July, 2023
সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়।
বিশদ

17th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। বিশদ

15th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
একনজরে
ফের পৃথিবীর বুকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করল চীন। এবারের উদ্দেশ্য, ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...

জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটস। সেই খবর প্রকাশিত হতেই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিলেন বিশ্বভারতী ...

১৭ বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছিলেন নদীয়ার তেহট্টের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রমাদেবী। রান্নাবান্না, ঘর-সংসার আর ছেলে মেয়েদের সামলাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM