Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদের নির্দেশ এই অধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। শ্রমিক শ্রেণিভুক্ত অগণিত মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের উপযোগী একটি ‘ন্যূনতম মজুরি’ নিশ্চিত করার জন্য অনুচ্ছেদ ৪৩ রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছে। 
দুঃখ এটাই যে, এই নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর কোনও বিতর্কই হয় না। বিতর্ক হয় না সরকারের এজেন্ডার উপরেও। আরএসএস-বিজেপির এজেন্ডা এবং সুপ্রিম কোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণের সৌজন্যে ৪৪ নম্বর অনুচ্ছে একাই রাজনৈতিক পরিসর দখল করে আছে।
শব্দের অর্থ আছে
এবার অনুচ্ছেদ ৪৪-এর ভাষাটা খেয়াল করা যাক: ‘রাষ্ট্র ভারতের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে।’ শব্দদের নিজস্ব অর্থ আছে। অ্যালিসের উদ্দেশে হাম্পটি ডাম্পটির উত্তরের মতো—‘এটা বোঝাতে আমি যা বেছে নিই’ একটি শব্দের সেটাই অর্থ নয়। ‘ইউনিফর্ম’ এখানে ‘কমন’ নয়। ‘সুরক্ষিত করার চেষ্টা করা হবে’ কথার অর্থ ‘সুরক্ষিত হবে’ নয়। বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং তাঁর সহকর্মীরা নির্বোধ ছিলেন না। ভারতীয় জনগণের ইতিহাস, ধর্ম, বর্ণের পার্থক্য, সামাজিক ও পারিবারিক ব্যবস্থা, সংস্কৃতির চর্চা এবং রীতিনীতি সম্পর্কে তাঁদের গভীর জ্ঞান ও উপলব্ধি ছিল। তাই চতুর্থ অধ্যায়ের শব্দগুলি তাঁরা যত্নসহকারেই বেছে নিয়েছিলেন।
ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়া বিধি (ইউসিসি) কথাটি—ব্যক্তিগত আইনগুলির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা চারটি ক্ষেত্রের আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত: বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার (সাকসেশন ও ইনহেরিট্যান্স), নাবালকত্ব ও অভিভাবকত্ব এবং দত্তক ও প্রতিপালন। শত শত বছর ধরে, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি এবং ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষের ব্যক্তিগত আইন নানা উপায়ে উন্নততর হয়েছে। জনগণের শাসকরা ব্যক্তিগত আইনের এমন বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই ক্ষেত্রে ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়ে গিয়েছে। ভূপরিচয়, বংশবিস্তার, বিজয়, অভিবাসন এবং বৈদেশিক প্রভাবও ব্যক্তিগত আইনগুলিকে প্রভাবিত করেছে।
সংস্কারের সূচনা ১৯৫৫ সালে
ব্যক্তিগত আইনগুলি আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে লিঙ্গবৈষম্যের পাশাপাশি রয়েছে লিঙ্গভিত্তিক নয় এমন ক্ষেত্রগুলিতেও বৈষম্য। রয়েছে অবৈজ্ঞানিক ও অস্বাস্থ্যকর প্রথা। আর আছে সামাজিকভাবে নিন্দনীয় কিছু প্রথা ও অভ্যাস। ব্যক্তিগত আইনের এই দিকগুলির অবশ্যই সংস্কার দরকার।
ব্যক্তিগত আইনের সংস্কার নতুন কিছু নয়। এটা জাতীয় এজেন্ডায় রয়েছে সংবিধান প্রণয়নের পর থেকেই। ভারতের প্রথম সংসদের (১৯৫২-৫৭) সবচেয়ে বড় চিন্তার মধ্যেই এটা ছিল। সংস্কারের হোতাদের মধ্যে ছিলেন জওহরলাল নেহরু এবং বাবাসাহেব আম্বেদকর। জনগণের গোঁড়া এবং রক্ষণশীল অংশের বিরোধিতা সত্ত্বেও, হিন্দু আইন সংশোধন ও বিধিবদ্ধ করার সাহস দেখিয়ে পাশ করা হয়েছিল চারটি প্রধান আইন:
       হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫
       হিন্দু উত্তরাধিকার (সাকসেশন) আইন, ১৯৫৬
       হিন্দু নাবালকত্ব ও অভিভাবকত্ব আইন, ১৯৫৬
       হিন্দু দত্তক ও প্রতিপালন আইন, ১৯৫৬
একটি নতুন জাতি তার সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছিল। কাজটি ছিল বৈপ্লবিক, তবে কিছু পুরনো দিক বজায় রাখাতেও সায় ছিল সেই বিপ্লবের। সমস্ত বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার অপসারণ করা হয়নি। একটি আইনি সত্তা হিসেবে হিন্দু অবিভক্ত পরিবারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বিবাহের প্রথা ও ব্যবহার স্বীকৃতি পেয়েছিল ব্যতিক্রম হিসেবে। পদবিটা (লাস্ট-নেম) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভারতে বেশিরভাগ বিবাহ সম্পন্ন হয় প্রথা অনুযায়ী।
আরও কিছু সংশোধন করা হয়েছিল ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৯৯, ২০০১ এবং ২০০৩ সালে। ইউপিএ জমানায়, ২০০৫ ও ২০০৮ সালের মধ্যেও কিছু সংস্কার করা হয়। সংশোধন করা হয়েছিল উপরে তালিকাভুক্ত চারটি আইনের মধ্যে তিনটির। বৈপ্লবিক পরিবর্তন যেটা হয়েছিল তা হল—সম্পত্তির উপর কন্যা ও পুত্রদের সমান অধিকার প্রদান। নতুন তৈরি আইনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: পারিবারিক হিংসা থেকে নারীর জন্য সুরক্ষা আইন, ২০০৫; বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ আইন, ২০০৬; এবং পিতা-মাতা ও প্রবীণ নাগরিকদের প্রতিপালন ও কল্যাণ আইন, ২০০৭। যেসব ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলির (পার্লামেন্ট ও বিধানসভা) দ্বিধা ছিল সেখানে পদক্ষেপ করেছিল আদালতগুলি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত তালাক-ই-বিদাত (তিন তালাক) প্রথাটি, ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক আখ্যাসহ বাতিল করে দেয়।
২১তম আইন কমিশনের দিকে মনোযোগ দিন
জনজাতিদের ব্যক্তিগত আইনের মুখোমুখি হলে আমরা থেমে যাই। উপরে বর্ণিত চারটি আইনের কোনওটিই—সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬৬, ধারা ২৫-এর অধীনে প্রজ্ঞাপিত তফসিলি জনজাতিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল যোগ করা হয়েছিল অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনের জন্য। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির জেলা ও আঞ্চলিক সংসদগুলিকে উত্তরাধিকার, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ এবং সামাজিক প্রথা সংক্রান্ত আইন তৈরির ক্ষমতা প্রদানসহ ওইসঙ্গে একটি অনুচ্ছেদও যুক্ত হয়। বিশেষ বিধান যোগ করা হয় নাগাল্যান্ড (অনুচ্ছেদ ৩৭১এ), সিকিম (অনুচ্ছেদ ৩৭১এফ) ও মিজোরামের (অনুচ্ছেদ ৩৭১জি) ক্ষেত্রে ধর্মীয় বা সামাজিক অনুশীলন এবং প্রথাগত আইন রক্ষার উদ্দেশ্যে। অনুরূপ বিশেষ বিধান পাওয়ার দাবি তোলা হয়েছে ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডের জনজাতি সংস্থাগুলির তরফেও।
ব্যক্তিগত আইনগুলির ক্ষেত্রে আরও কিছু সংস্কার জরুরি। ২১তম আইন কমিশন মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছে: ‘তাই কমিশন একটি ইউসিসি প্রদানের পরিবর্তে বৈষম্যমূলক আইনগুলিরই মোকাবিলা করছে, কারণ  ইউসিসি এই পর্যায়ে প্রয়োজনীয় বা কাম্য নয় ... যখন অভিন্নতা নিজেই দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তখন আমাদের কাঙ্ক্ষিত সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে আপস করা যাবে না।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইস্যুটিকে এমনভাবে সাজিয়েছেন যাতে একটি বাইনারি বা দুটিমাত্র মতের বিষয় হয়ে ওঠে—ইউসিসির ‘পক্ষে’ অথবা ‘বিপক্ষে’। এই দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের জনগণকে নির্বোধ বিবেচনা করে। এই ব্যাপারে যথার্থ উপায় হল—মুসলিম আইনসমেত সমস্ত ব্যক্তিগত আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে একটি অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু করা। মূল শব্দটি হল সংস্কার (রিফর্ম), অভিন্ন (ইউনিফর্ম) নয়।
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
10th  July, 2023
প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে?
তন্ময় মল্লিক

প্রতিহিংসার আগুন কি আরও তীব্র হবে? একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের রোষে দগ্ধ হচ্ছে বাংলা। বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার টাকা দেওয়া। ফের পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল প্রত্যাখ্যান। এবার পরিমাণ অনেকেটাই বেশি। বিশদ

‘ইন্ডিয়া’ শব্দের মোকাবিলাই মোদির নয়া সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

কখনও তিনি ঘোষণা করেছেন, রেডিওর মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি যা বলি, সেটাই আসলে ভারতের মনের কথা। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষে বোঝাতে চান যে, তাঁর কথাই ভারতের কথা। সুতরাং তিনিই ভারত! আবার কোনও সময় তাঁর বার্তা, আমাদের ভোট দেওয়া মানে হল, ইন্ডিয়াকে ভোট দেওয়া। বিশদ

21st  July, 2023
স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইসরো
মৃণালকান্তি দাস

পৃথিবীর প্রথম একজন মানুষ নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশত বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখে যিনি বলেছিলেন: মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।
বিশদ

20th  July, 2023
নির্বিকল্প সমাধির অপেক্ষায় বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে কুনাট্য রচিত হল, তার জন্য শুধু শাসক দলকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই কুনাট্যের পিছনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের পেশি প্রদর্শন আছে, আবার একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির উস্কানিও রয়েছে। বিশদ

19th  July, 2023
সমতা, প্রতিকূলতা ও বৈচিত্র্য
পি চিদম্বরম

হার্ভার্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৬৩৬ সালে এবং এটাই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত চার শতকে অনেক নতুন স্কুল এবং কলেজ যুক্ত হয়েছে। স্থানগৌরব ধরে রেখেছে সেই হার্ভার্ড কলেজই। এই কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি পড়ানো হয়।
বিশদ

17th  July, 2023
ইডি দিয়ে হল না, এবার ৩৫৫ ধারার ষড়যন্ত্র!
হিমাংশু সিংহ

সোজাসুজি লড়াইয়ে এই তেইশ সালের মাঝামাঝি সময়েও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা যে অজুহাতই দিক, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। এবং, আসন্ন চব্বিশে লোকসভার মেগা ফাইনালে প্রধান বিরোধী দলের দুই অঙ্ক স্পর্শ করাও যে খুবই কঠিন হবে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

16th  July, 2023
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ফল কি বদলে যেত?
তন্ময় মল্লিক

রাজ্যের শাসক দল এবার পঞ্চায়েত ভোটে দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। এক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের হার কমানো। দুই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমটায় তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই সফল। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ৩৪ শতাংশ আসনে। বিশদ

15th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

14th  July, 2023
মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

14th  July, 2023
বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
একনজরে
বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ, শনিবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দু’-তিনদিন থানে, রায়গড়, পুনে ও পালঘরেও লাগাতার ভারী বৃষ্টির ...

ফের পৃথিবীর বুকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করল চীন। এবারের উদ্দেশ্য, ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে ...

পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাস ও ভোট লুটের প্রতিবাদে বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগের বিভিন্ন বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।  ...

১৭ বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছিলেন নদীয়ার তেহট্টের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রমাদেবী। রান্নাবান্না, ঘর-সংসার আর ছেলে মেয়েদের সামলাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM