পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
২১ জুলাইয়ের সভায় প্রধান বক্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বক্তাদের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি বক্তাদের মধ্যে কারা থাকবেন তা নিয়ে বিস্তর চর্চা ছিল রাজনৈতিক মহলে। ২০২৩ সালের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে এমন বেশ কয়েকজন বক্তাকে তৃণমূল হাজির করল, যাঁদের বক্তব্য শুনে উচ্ছ্বসিত দলের নেতা-কর্মীরা। এর থেকেও বড় বিষয় হল, বাংলার অখণ্ড পরিবেশের বার্তা দেওয়া হল বক্তা তালিকার মধ্যে দিয়ে। বক্তব্য রেখেছেন আলিপুরদুয়ার থেকে আসা এবং সদ্য রাজ্যসভায় জয়ী প্রকাশচিক বরাইক। তাঁর ভাষণে ধরা পড়ে চা-বাগান সহ উত্তরবঙ্গে রাজ্য সরকারের সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, জয় বাংলা, জয় গোর্খা। এছাড়াও মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সাফল্য কামনা করে বার্তা দেন পাহাড় থেকে আসা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া আওয়াজ তোলেন, লোকসভায় হবে ৪২-এ ৪২। দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল থেকে উঠে আসা নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বক্তব্য রাখেন। আদিবাসী সমাজের প্রতি বিজেপি কীভাবে অত্যাচার করছে, সে তথ্য ভাষণে তুলে ধরেন তিনি। আওয়াজ তোলেন, আদিবাসীদের রক্ষা করতে বিজেপিকে উৎখাত করতে হবে।
লক্ষণীয় বিষয় হল, মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমা থেকে আসা তৃণমূল নেতা তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সভায় বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ করেন, ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে প্রবেশের জন্য কারও অনুমতি নিতে হয় না। কিন্তু বিজেপি বাধা দিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর পাশাপাশি বক্তাদের মধ্যে নজর কেড়েছেন রাজন্যা হালদার। ছাত্র আন্দোলন থেকে আসা প্রেসিডেন্সির ছাত্রী তৃণমূলের নতুন মুখ। তৃণমূলের গানের দল ‘জয়ী’-র লিড সিঙ্গার। এবারই প্রথম একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চে বক্তব্য দিলেন। সুন্দর ভাষণ ও গানের পরিবেশনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। আওয়াজ তুললেন, ২০২৪ সালের একুশে জুলাই দিল্লির বুকে হবে।
এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সভায় সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বক্তব্য রেখেছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শিউলি সাহা, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল।