পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
২০১৯ লোকসভা ভোটের সুখস্মৃতিতে মগ্ন বিজেপি চব্বিশের ফাইনালের আগে এই ভোটকেই গা গরম করে নেওয়ার মওকা বেছে নিয়েছিল। কিন্তু ত্রিস্তরের ফলাফল পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘আশীর্বাদ’ সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গ করতে যারপরনাই ব্যর্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভার নির্বাচন মাস কয়েক বাদেই। তার আগের এই ভোটের ফলাফল নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসক দলকে বাড়তি ভরসা জোগাবে। শাসক দলের প্রতি গ্রাম বাংলার এতখানি ভরসা শহরবাসীকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কোনও সন্দেহ নেই, মানুষের এই টাটকা সমর্থন নিয়েই এবার রাজ্যের শাসক দল এবং সরকার দিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়াবে আরও বেশি। সবচেয়ে বেশি সরব হবে বাংলার মানুষের সঙ্গে কেন্দ্রের মোদি সরকারের লাগাতার বঞ্চনার বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা দিল্লি আটকে রেখেছে। এজন্য সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন গরিব মানুষজন। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প এবং আবাস প্লাস যোজনার টাকা অন্যায় অজুহাতে আটকে রাখার কারণে গরিব শ্রমিকরা কাজ করেও মজুরি পাচ্ছেন না। তৈরি হচ্ছে না তাঁদের ঘর। এই টাকা পেলে কয়েক লক্ষ গরিব পরিবার সরাসরি উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি বাজারও চাঙ্গা হতে পারত। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ত। তাতে একটু হলেও গতি আসত কর্মসংস্থানে। কোনও সন্দেহ নেই যে, রাজ্যের শাসক দলকে বিপাকে ফেলার জন্যই এক নোংরা রাজনীতি চলছে। বাংলায় দুর্বল বিজেপিকে ঘুর পথে সুবিধা পাইয়ে দিতেই দিল্লি এই নোংরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী বাংলার গেরুয়া শিবিরের নেতারা সরাসরি জনবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন প্রকাশ্যে। বাংলার সঙ্গে মোদি সরকারের বঞ্চনাকে তাঁরা শুধু অনুমোদন করেননি, সেটা যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য সওয়ালও করেছেন কোনও কোনও ‘জননেতা’!
কিন্তু দিনের শেষে কী হল? ব্যুমেরাং হল তাঁদের ঘৃণ্য কৌশল। মানুষের ক্ষোভের আগুনে বিজেপি ভস্মই হয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ বুথে। এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বিজেপির এবং কংগ্রেস, মার্কসবাদী কমিউনিস্টসহ অন্য বিরোধীদেরও। মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা মানুষ সইবে কী করে? এই সামান্য সত্যটা ভুলে গিয়ে রাজনীতি করলে আগামী দিনেও নতুন নতুন ব্যর্থতা আহ্বানের জন্যই তৈরি থাকতে হবে তাদের। লোকসভা ভোটের আগে, এর সঙ্গে রাজ্যভাগের খেলা যোগ হলে বাড়তি দাম চোকাতে হবে বিজেপিকে।