পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
মানুষ চায়, পরিসংখ্যানের কচকচানির বাইরেই একটু স্বস্তিদায়ক যাপন। সেটা কতটুকু মিলবে? ব্যাপারটা ‘রামরাজ্য’-এর মতো যথার্থ বাসযোগ্য ভারত গড়ে ওঠার মতোই এক অলীক স্বপ্ন নয় কি? নরেন্দ্র মোদি বেকারদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন—বছরে ২ কোটি চাকরি হবে। দুর্নীতির ঠেলায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন—কালো টাকার শেষ দেখে ছাড়বেন। বিদেশ থেকেও উদ্ধার করে আনবেন পাচার হয়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষ কোটি কালো টাকা। গরিবদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন—উদ্ধার হওয়া অর্থ থেকে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হবে ১৫ লক্ষ টাকা। স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল কৃষকদের—তাঁদের আয় দ্বিগুণ হবে খুব শীঘ্রই। এইসব প্রতিশ্রুতির ক’টা বা কতটা রেখেছিলেন, এই প্রশ্ন তুলে দয়া করে আর কেউ লজ্জা দেবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই সরকারের এমন কীর্তিগাথা থেকেই অনুমান করুন শুধু, জিনিসের দামের আগুনে আর কতটা ঝলসে মরতে হবে আমাদের অদূর ভবিষ্যতে।
মানুষকে যখন বেঁধে ঠ্যাঙানো হয় তখন সে একটা সুযোগের অপেক্ষা করে কেবল। খাতাকলমে এখনও গণতন্ত্র। তাই দেশবাসী আর ক’টা মাস সইতে প্রস্তুত। এপ্রিল-মে, ২০২৪-এ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন। কেন্দ্রের সরকার এবং শাসক দলও বুঝে গিয়েছে, মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য ভিতরে ভিতরে তৈরি হচ্ছে দেশবাসী। টম্যাটো বা পেঁয়াজের দামে লাগাম পড়ল কি পড়ল না, ইস্যুটা নিশ্চয় আর তত সোজা নয়। রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রল, ডিজেল, বিদ্যুৎ, ওষুধ, সার, চিকিৎসা পরিষেবা, গাড়িভাড়া প্রভৃতি সবই সাধারণের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। চাল, ডাল, তেল, সমস্তরকম সব্জি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের দামের ছ্যাঁকায় হাত পুড়ে যাওয়ার জোগাড়! দামের সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র উপায় আয়ের বৃদ্ধি এবং হাতে হাতে কাজের জোগান। কিন্তু রুজিরোজগারে সারা দেশেই বস্তুত শনির দশা। এজন্য দায়ী সরকারকে যে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না, তা আঁচ করেই কি এবার জনতার দ্বারস্থ তারা? যে সরকার জনতার মতামত নস্যাতেই শ্লাঘা বোধ করতে অভ্যস্ত, সে-ই এবার মানুষের মত পরামর্শ আহ্বান করছে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে? জলের মতোই পরিষ্কার যে, ভীষণ ঠেলায় পড়েছে বেড়াল। না-হলে হঠাৎ গাছে উঠছে কেন?