পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
ফ্রান্সের স্ট্র্যাসবুর্গে ইউরোপীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে এই প্রস্তাবে মণিপুরে হিংসায় জীবন ও সম্পত্তি হানির কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। ইউরোপীয় সংসদ ভারতের সার্বিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে সমালোচনায় সরব হয়েছে। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু, নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়মিত নিগ্রহের মুখে পড়তে হচ্ছে। মণিপুরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রস্তাবে ভারত ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দুর্গতদের জন্য অবাধে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থেকে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে। পাশাপাশি, মণিপুর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় সংসদ।
প্যারিস সফরের প্রথম দিনেই ইউরোপে যেভাবে মণিপুরের ভূত তাড়া করল তা প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বিকেল চারটে নাগাদ প্যারিসে পৌঁছন মোদি। ওরলি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন। শুক্রবার বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। তার আগে এদিন অনাবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘দু’দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগসূত্রই ভারত-ফ্রান্স অংশীদারিত্বের ভিত্তি।’
মোদির এই সফরের মধ্যেই রাফাল ও সাবমেরিন কেনার চুক্তি হবে। এবার নৌসেনার জন্য অত্যাধুনিক মেরিন ক্লাস রাফাল কিনছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হবে দু’দেশের মধ্যে। পাশাপাশি তিনটি স্করপিয়ন সাবমেরিন নিয়েও চুক্তি করবে ভারত।
এদিকে, ফ্রান্সের থেকে অস্ত্র কেনা নিয়ে ইতিমধ্যে ‘আত্মনির্ভর’ ইস্যুতে মোদি সরকারকে বিঁধেছে বিরোধীরা। সেই সমস্ত সমালোচনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বাকি ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন। প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে পা রাখার আগেই সেই প্রাথমিক ছাড়পত্র মিলল। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ফ্রান্স সফরের আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।