পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
হুগলি জেলার ১৮টি ব্লকে মোট চারটি পঞ্চায়েত বামেদের দখলে গিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তারকেশ্বরের কেশবচক পঞ্চায়েত। ১৪টি বুথে প্রায় ১৩ হাজারের উপর ভোটার রয়েছেন এখানে। এই পঞ্চায়েতে আগে ছিল ১২টি আসন। এই বছর আসন পুনঃবিন্যাসের পর তা হয়েছে ১৪টি। ভোটে আটটি আসন দখল করেছে সিপিএম। আর ছ’টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের একমাত্র কেশবচক পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে গিয়েছে। এক সময়ে আরামবাগ ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। তারকেশ্বর ব্লকের মধ্যে কেশবচক গ্রাম ছিল বামেদের আঁতুড়ঘর। ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে এই পঞ্চায়েত জোর করে তৃণমূল দখল করে নেয় বলে অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সিপিএমের দীর্ঘদিনের মজবুত সংগঠন রয়েছে এই গ্রামে। দামোদরের তীরে অবস্থিত বন্যা কবলিত এই এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের অভাব ছিল। সরকারি গৃহনির্মাণে ছিল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। অন্যদিকে, তৃণমূলের বেশ কিছু পুরনো নেতা এবারের পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট না পাওয়ায় সুবিধা হয়েছে বামেদের। তৃণমূল বিক্ষুব্ধ ভোট সরাসরি বামেদের পক্ষে গিয়েছে।
সিপিএমের হুগলি জেলা কৃষকসভার সম্পাদক স্নেহাশিস রায় জানান, ২০০৮ সালে কেশবচক রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিল। তখনই এই গ্রামে প্রতিটি রাস্তা ছিল ঢালাইয়ের। ১০০ দিনের কাজ ফের চালু করা, বাস্তুহীন, গৃহহীন মানুষদের জমি ও গৃহপ্রদান, জলের সমস্যার সমাধানে এলাকায় পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি, সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার অভাব মেটানো আমাদের প্রথম কাজ হবে। গ্রামের মহিলারা বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বিপর্যস্ত। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ঋণের বোঝা থেকে তাঁদের মুক্ত করতে হবে। আবাস যোজনায় গৃহ বণ্টনে বৈষম্য হয়েছে। বহু গরিব মানুষ ঘর পায়নি। সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
পরাজয় প্রসঙ্গে তারকেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় জানান, ব্লকের একটিমাত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে আমাদের। সাংগঠনিক কোনও ত্রুটি থাকলে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামী দিন এই এলাকার সাংগঠনিক পরিকাঠামোর উপর আরও জোর দেওয়া হবে। আমরা আশা করি উন্নয়নকে সামনে রেখে এলাকার মানুষ ফের তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ভরসা রাখবে।