পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
পুরুলিয়াতে পুরো শ্যুটিং হয়েছে। মফস্সলেরই গল্প। ছবির সত্ত্ব নিতে অনেকটা সময় লেগে যায় বলে জানালেন সুব্রত। তাঁর কথায়, ‘গল্পই এই ছবির সব। চিত্রনাট্য লিখতে প্রায় এক বছরের মতো সময় নিয়েছিলেন পরিচালক। তিনবার পুরুলিয়া গিয়েছিলেন। রিয়েল লোকেশনে শ্যুট হয়েছে। নো মেকআপ লুক। লোকজন বুঝতেই পারেনি আমরা শ্যুট করেছি। অর্গানিক প্রসেসে শ্যুট হয়েছে।’
এই ছবির প্রতিটি পরতে রাজনীতি। মূল চরিত্র সুখেন রাজনীতিরই শিকার। সুব্রত বললেন, ‘ভোটে আমরা দেখছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যেমন দায়ী, আবার জনতার দায়ও কম নয়। সেটার প্রতিফলন এই ছবিতে পাওয়া যাবে। আয়নায় নিজের মুখ দেখা যাবে। কখনও কখনও আয়নায়, ওই স্ক্রিনের ভিতর অন্যদের মুখও দেখতে পাওয়া যাবে। ১৯৬৭ সালে লেখা হয়েছিল। সেসময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। এখনও সংঘর্ষ রয়েছে রাজনীতিতে। তার একটা প্রতিফলন রয়েছে ছবিতে। ফলে দর্শক ছবিটা দেখতে গেলে মনে হবে, আরে! সত্যিই তো এটা হয়।’
এ গল্পে প্রজাপতি কোনও মহিলা নন। তিনি পরম প্রজাপতি ব্রহ্মা। অভিনেতা হিসেবে ২৫ বছরের পেশাদার জীবন কাটিয়ে ফেলেছেন সুব্রত। থিয়েটার করছেন তারও আগে থেকে। রাজনীতি এবং অভিনয় কি একসঙ্গে চলতে পারে? সুব্রত হেসে বললেন, ‘অভিনেতার একটা দায়িত্ব থাকে। রাজনীতি এবং অভিনয় রেললাইনের মতো সমান্তরাল থাকতে হবে। যদি দুটো মিশে যায়, তাহলে সংঘর্ষ হতে বাধ্য। আমি যদি কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি, আর তার বিরোধী কোনও রাজনৈতিক চেতনার চরিত্র করতে হয়, করব। কারণ ওটা আমার পেশা। এই ছবিতেও আমার চরিত্র সুখেন কেন একটা বিশেষ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে সেটা বুঝতে হবে। ও কিন্তু বাড়ির রাজনীতির শিকার।’
স্বরলিপি ভট্টাচার্য