পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে চকমরিচা গ্রাম আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। আইএসএফের লোকজন একটি মাঠে বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর কাশীপুর থানার পুলিসের চোখ এড়িয়ে আহতরা চিকিৎসার জন্য একটি গাড়িতে করে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস তাঁদের কাঁটাতলার কাছে আটকায়। ঝলসানো অবস্থায় চারজনকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা হয় পুলিসের। এরপরই তাঁদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা হলেন, ইমরান মোল্লা, সাকির হোসেন মোল্লা, ইনজামুল মোল্লা এবং রফিক মোল্লা। এঁদের প্রত্যেকের বাড়ি চকমরিচাতে।
যদিও গ্রামের লোকজনের আবার অন্যমত। তাঁদের দাবি, জঙ্গলে প্যাকেটের মধ্যে বোমা রাখা ছিল। এই চারজন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। একজনের পা তাতে পড়তেই বিস্ফোরণ হয়। তবে কোন তত্ত্বটা সঠিক, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ ঘটনার পর ভাঙড় যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। উত্তেজনা প্রশমনে আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে পুলিস। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পাঞ্জাব পুলিসের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলছে টহলদারি। কিন্তু তারপরও ভাঙড় যেন অশান্তির আবহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এখনও যে গ্রামে গ্রামে বোমা তৈরি হচ্ছে, এদিনের ঘটনা থেকেই তা স্পষ্ট। কেনই বা পুলিস এইসব বন্ধ করতে পারছে না, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ভাঙড়ে এখনও জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। রাস্তাঘাট থমথমে, সন্ধ্যা নামতেই লোকজন কমে যাচ্ছে পথেঘাটে। অন্যদিকে, ভাঙড়ে অশান্তির জন্য পাঁচ ইউটিউবারকে গ্রেপ্তার করেছে কাশীপুর থানা। ভোট গণনার দিন তাঁরা গণনাকেন্দ্রের ভিতর থেকে মোবাইল ব্যবহার করে প্রশাসন বিরোধী বেশ কিছু কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও ভাঙড়কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, তা নিয়ে পুলিস মুখে কুলুপ এঁটেছে।
এছাড়া ভোট শেষে রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ, বুধবার রাতে ঢোলার হালদারচকের ১৩৪ নম্বর বুথে সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাসন্তীতেও আরএসপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।