পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, মানুষ উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়েছে। বিজেপি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই বিরোধীরা ভোট পায়নি। আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করতে হবে। নতুনরা খুব ভালো কাজ করবে বলে আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে যায় বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি বাজিমাত করে। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। তবে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পক্ষেই ভোট দেন সাধারণ মানুষ। জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্র যায় তৃণমূলের দখলে। এরপর তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন প্রার্থীদেরই দল প্রাধান্য দেবে। সেই মতো পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর জেলা পরিষদের একশো শতাংশ আসনেই নতুন মুখ আনা হয়। শুধু তাই নয়, দহিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বেশকিছু পঞ্চায়েত এলাকা ও পঞ্চায়েত সমিতিতেও নতুন মুখের উপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তাতেই বাজিমাত।
গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১ হাজার ৭টি আসনের মধ্যে ৭১১টি যায় তৃণমূলের দখলে। সেখানে বিজেপি ১৩১টি আসন পেয়েছে। সিপিএম পেয়েছে ২৬টি আসন। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে নির্দল পেয়েছে ১৩৯টি আসন। অপরদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির ২১০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১৯১টি আসনে। বিজেপি ৮টি আসনে জিতেছে। একইসঙ্গে সিপিএম ১টি ও নির্দল ১০টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, জেলা পরিষদে একটিও আসন পায়নি বিরোধী শিবির। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, দলের ফলফল ভালো হয়নি। দলের অভ্যন্তর আলোচনা হবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, জনগণ যে মতদান করেছে, ভোটের রেজাল্ট তার তুলনায় খারাপ হয়েছে। মনে হচ্ছে কারচুপি হচ্ছে। বিনপুরে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস।-নিজস্ব চিত্র