Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। কোনওটিতে খোদাই রয়েছে ‘কংগ্রেসি গুন্ডাদের হাতে নিহত’ শহিদদের তালিকা। ‘সিপিএমের গুন্ডাদের হাতে নিহত’ শহিদদের পাল্টা তালিকা বাকিগুলিতে। বস্তুত শহিদ বেদির প্রতিযোগিতাই বাংলাজুড়ে। ক্ষমতার রেষারেষি একসময় এমন স্তরে ছিল যে, রাজ্যের এক মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং নিজের সরকারকেই ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন। 
১৯৬৯-এ দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকারে মুখ্যমন্ত্রী হন বাংলা কংগ্রেসের নেতা অজয় মুখোপাধ্যায় এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী হন সিপিএম নেতা জ্যোতি বসু। পুলিসসহ স্বরাষ্ট্র দপ্তর ছিল জ্যোতিবাবুর হাতে। সবাই ভেবেছিল, এবার বুঝি বাংলা শান্ত হবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছিল উল্টোটাই। সরকারের শরিক দলগুলির মধ্যেই রেষারেষি চরমে ওঠে। এলাকা দখলের লড়াই এমন জায়গায় পৌঁছয় যে রাজ্যের এক-একটি পাড়া এক-একটি দলের নামে চিহ্নিত হয়ে যায়—কংগ্রেসি পাড়া, সিপিএম পাড়া, ফরওয়ার্ড ব্লক বা আরএসপি কিংবা নকশাল পাড়া ইত্যাদি। পাড়ার দাদাদের ঠেলায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। না-জেনে কিংবা অনিবার্য কারণে ‘ভুল’ পাড়ায় ঢুকলেই প্রাণ নিয়ে ফেরা দুষ্কর ব্যাপার। সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে চাইতেন সকলেই। মুখ্যমন্ত্রী সব দলকে সংযত হওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে নিজের সরকারকেই ‘অসভ্য, বর্বর’ দেগে দিয়ে হিংসাবন্ধের দাবিতে কার্জন পার্কে অনশনে বসেন অজয় মুখোপাধ্যায়। এই অবাক করা ঘটনা স্বভাবতই সারা দেশকে চমকে দিয়েছিল। 
১৯৭০-এ বর্ধমান শহরের বুকে ঘটেছিল হাড় হিম করা ‘সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড’! বাংলায় অরাজকতার ঐতিহ্যে অবশ্য সেখানেই ইতি পড়েনি—হত্যাপুরী হয়ে উঠেছিল বারাসত, দমদম, বরানগরসহ শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা। ১৯৭১-এ উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় দিনের আলোয় হত্যা করা হয় ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হেমন্ত বসুকে। অভিযুক্ত ছিল বামপন্থীরাই। হেমন্তবাবুর শেষ আকুতি ছিল, ‘তোমরা আমাকে মারছ কেন, আমি তোমাদের কী ক্ষতি করেছি?’ হেমন্তবাবু সেবার ভোটের প্রার্থীও ছিলেন। আরও দুই প্রার্থীকে (দেবদত্ত মণ্ডল ও পীযূষচন্দ্র ঘোষ) খুন করা হয় সেবার। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ভোটে সেনা নামাতে হয়। 
অরাজকতার নিকৃষ্টতম জমানা টেনে এনেছিলেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। বেনজির কারচুপির নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। এজন্য ১৯৭২ সালে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট করে সিপিএম। সিদ্ধার্থবাবু এমনই স্বৈরাচারী ছিলেন যে, ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা শাহির ‘জরুরি অবস্থা’র আইনি খসড়াটি তিনিই তৈরি করেন।
নিস্তার পেতে রাজ্যবাসী রাইটার্সের চাবি ১৯৭৭ সালের ২১ জুন জ্যোতি বসুর হাতে তুলে দিয়েছিল। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বাংলার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। তাঁর উত্তরসূরি হয়ে আসেন সিপিএমেরই ‘সংবেদনশীল নেতা’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাইটার্স তাঁর দখলে ছিল ২০১১-র ১৩ মে পর্যন্ত। বামফ্রন্টের বকলমে বাংলায় সিপিএম শাহি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল প্রায় ৩৪ বছর। ‘জনগণের সরকার’ নামাবলি গায়ে লালপার্টি আলটিমেটলি যে শাসন উপহার দিয়েছিল তার পাশে হিটলার, নিদেন পক্ষে নরেন্দ্র মোদিই মানানসই। 
বাম জমানার অরাজকতার স্মৃতি তো টাটকা। এই জগদ্দলের অবসান ঘটাতে যে ধারার গণ আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গড়ে তোলেন তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজ যে সচিত্র পরিচয়পত্র (এপিক) হাতে নিয়ে মানুষ ভোট দিচ্ছেন, তার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। জ্যোতি বসুর জমানায় হার্মাদ বাহিনী এবং অংশত পার্টি ক্যাডারে রূপান্তরিত পুলিসের সৌজন্যে একের পর এক নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়। এই অনাচারের অবসানের দাবিতে ‘অগ্নিকন্যা’র আন্দোলন এক ইতিহাস হয়ে রয়েছে। বাম জমানার অবসান নামক এক প্রায়-অসম্ভবকে সম্ভব করেন মমতাই। 
মানুষ ২০ মে, ২০১১ তারিখে তৃণমূল সুপ্রিমোর হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে। মমতা এত বড় ‘বদল’ এনেও ‘বদলা’র রাজনীতি পরিহার করেছিলেন পূর্ব ঘোষণা মতোই। একইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে ভালো রাখতে নিয়েছেন একের পর এক জনমুখী কর্মসূচি। তাঁর শাসনের মূল অভিমুখ হয়ে উঠেছে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে গরিব মানুষ এবং অবশ্যই মহিলা। শাসনব্যবস্থাকে রাইটার্স বা নবান্ন থেকে মুক্তি দিয়ে নিয়ে গিয়েছেন জেলায় জেলায়। শুধু অফিসাররা যান না, তিনি নিজেই অগণিত বার ছুটে চলেছেন পাহাড় থেকে সাগর, জঙ্গলমহল প্রভৃতি সর্বত্র। দিদিকে বলো, পাড়ায় সমাধান, দুয়ারে সরকার এই জমানার এক অভিনব প্রশাসনিক সংস্কার। সব মিলিয়ে গরিব, কৃষক, মহিলা প্রভৃতির আয় বেড়েছে। দূর হয়েছে খাদ্যের অভাব। স্কুলে স্কুলে বেড়েছে গরিব বাড়ির ছেলেমেয়েদের সংখ্যা। সরকারি বৃত্তি, এমনকী স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড মারফত উচ্চ শিক্ষাতেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রশিক্ষণ এবং চাকরি মেলা মারফত চাকরি পাচ্ছেন অনেকে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে, কোনও সন্দেহ নেই, সেটি যুগান্তকারী। 
তবু আলোর নীচে একটি অন্ধকার কিন্তু রয়েই গিয়েছে—ভোট মানেই অশান্তি। পঞ্চায়েত/ পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভা প্রভৃতি প্রতিটি নির্বাচনের প্রেক্ষিত আলাদা হলেও গণ্ডগোল পাকে কিন্তু মোটামুটি একইরকম। ‘বাহুবলীদের রাজ্য’ হিসেবে একদা ‘কুখ্যাত’ বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমূল বদল এলেও বাংলা পড়ে রয়েছে তিমিরেই। অন্য রাজ্যে গিয়ে, এনিয়ে বাংলার মানুষকে এখন উঠতে বসতে খোঁটা হজম করতে হয়। 
পঞ্চায়েত বস্তুত ‘গ্রাম স্বরাজ’-এর ভোট। বাংলার বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তাই এই ভোট যোগ করে বাড়তি উন্মাদনা। রাজ্যে কোন দলের প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা কতটা, গ্রামের ভোটই সেটা বেশ বুঝিয়ে দেয়। রাজ্যে ২০১৮ সালের ভোট পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিস্তর বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টি, ভোটে কারচুপি এবং হানাহানিতে মদতের অভিযোগে আজও বিদ্ধ হয়ে চলেছে শাসক দল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ফল আশানুরূপ না-হওয়ার পিছনে ছিল ২০১৮-র ভোটের প্রভাব।
তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের মাত্র মাস কয়েক আগের এই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিশেষ সতর্ক ছিলেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে হানাহানির অবসানের উপরেই জোর দিতে চেয়েছেন তিনি। অভিষেক কথা দিয়েছিলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোট হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে, নিরপেক্ষভাবে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে। শাসক দলের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ আনতে পারবেন না। অন্য দলের যে কেউ (দলহীন ব্যক্তিও) প্রার্থী হবেন।’ মনোনয়ন পেশ করতে সমস্যা হলে ‘সরাসরি আমাকে জানান, আমিই মনোনয়নপত্র জমার ব্যবস্থা করে দেব’ বলেও আশ্বাস দেন তিনি। বলেছিলেন, ‘প্রতিটি ভোটার তাঁর পছন্দমতোই ভোট দেবেন। আমি চাই, ভোটের বাক্সে মানুষের মতেরই প্রতিফলন।’ তাঁর ইঙ্গিত ছিল, এবারই প্রথম গ্রামবাংলা পেতে চলেছে এক ব্যতিক্রমী ‘গণতন্ত্রের উৎসব’। 
এজন্য তিনি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন নিজের দলের সেরা প্রার্থীদের মনোনয়নের উপরে। পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, ‘তৃণমূলে তাঁরাই প্রার্থী হবেন শুধু, মানুষ যাঁদের চায়। কোনও নেতা বা দাদা ধরে ভোটে লড়ার টিকিট পাওয়া যাবে না।’ কয়েক মাস যাবৎ নানা জেলায় ঘুরে কিছু দলীয় পঞ্চায়েত কর্তার‌ দুর্নীতি, কুকীর্তি ধরলেন, প্রকাশ্যে সাজাও দিলেন কয়েকজনকে। স্পষ্ট করলেন, ‘তৃণমূলকে কোনওভাবেই আর লুটেপুটে খাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।’ ঘুঘুর বাসা ভাঙার উদ্যোগের আন্তরিকতা বোঝাতে জেলায় জেলায় দলের মধ্যে ভোটেরও ব্যবস্থা করেন তিনি। 
এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল না-হলেও, তাঁর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভিনবত্ব  শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশের রাজনীতিতেই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। আগামী দিনে অভিষেকের কিংবা তাঁরই কোনও উত্তরসূরির হাত ধরে উদ্যোগটি সফল হবে, এই প্রত্যাশা রাখা যেতেই পারে। পঞ্চায়েত ভোটের অনেক রেজাল্টও বেরিয়ে গিয়েছে। ফের প্রমাণিত হয়েছে গ্রামবাংলায় শাসক দলের একচ্ছত্র প্রভাব। একাধিক বিরোধী দলও জিতেছে বেশকিছু আসনে। জনপ্রতিনিধিদের দল বদলের নোংরামিতে এবার কি দাঁড়ি পড়বে? লাগাম পড়বে কি নির্বাচনোত্তর হিংসায়? এই দায়িত্ব শাসক এবং সবক’টি বিরোধী দলের। এটাই বাংলার ও ভারতের গণতন্ত্রের আশু চাহিদা।
12th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
আজ বিরোধীদের লড়াই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে
তন্ময় মল্লিক

আজ পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের ২২টি জেলার প্রায় ৭৪ হাজার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। এই নির্বাচনে ক্ষমতা দখল ও ভোগের লড়াইটা একেবারে তৃণমূল স্তরে। তাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রেষারেষি। তার জেরেই মারামারি ও খুনোখুনি মাত্রা ছাড়ায়। বিশদ

08th  July, 2023
রাষ্ট্রের উপেক্ষাই আমাদের ভবিতব্য?
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণ মানুষের প্রাণের মূল্য নেই! এরকম একটি হা-হুতাশ শোনা যায় মাঝেমধ্যে। আজ থেকে নয়। দীর্ঘদিন ধরেই। সাধারণ মানুষের প্রাণের মতো সাধারণ মানুষের কথারও মূল্য নেই এরকম ভাবাই সঙ্গত ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই অভিযোগ সঠিক নয়। বিশদ

07th  July, 2023
প্রিগোজিনের আয়ু আর কতদিন?
মৃণালকান্তি দাস

জেলিমখান খানগোশভিলির পরিচয় কী? বার্লিনের ক্লিনার টিয়ারগার্টেন পার্কে খুন হওয়ার আগে খানগোশভিলির নাম কে শুনেছে? বিশদ

06th  July, 2023
মোদি জমানার ঘোটালা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে
সন্দীপন বিশ্বাস

দুর্নীতির অনুসন্ধানে দেশে বিরোধী নেতাদের ঘরে ঘরে সিবিআই, ইডি পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচন যত কাছে এগিয়ে আসছে, ততই যেন কমজোরি মোদি অস্থির হয়ে শরণাপন্ন হচ্ছেন সিবিআই, ইডির। বিশদ

05th  July, 2023
গণতন্ত্রের খোঁজ মিলল আমেরিকায়
পি চিদম্বরম

আইসল্যান্ডের রাজধানী শহর রেকজাভিক থেকে ৪৮ কিমি পুব দিকে হল অলথিং। এটাকেই বিশ্বের প্রাচীনতম পার্লামেন্ট বা সংসদ বলে মনে করা হয়। অলথিং প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।
বিশদ

03rd  July, 2023
অশান্ত মণিপুর না বাংলা, আধাসেনা কোথায় যাবে?
হিমাংশু সিংহ

একবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আজ জুলাই মাসের প্রথম রবিবারে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গন্তব্য দেশের ঠিক কোথায় হওয়া উচিত? অগ্নিগর্ভ মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর না পাশের ভাঙড়? উপদ্রুত মইরাং না মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বিষ্ণুপুর না কোচবিহারের গীতালদহ? বিশদ

02nd  July, 2023
ফেরানো বন্ধ করলেই লাগাম পড়বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে
তন্ময় মল্লিক

এবার পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা আট হাজারের মতো। বেশিরভাগটাই শাসক দলের বঞ্চিত টিকিট প্রত্যাশী। নির্দল প্রার্থীদের জেতার রেকর্ড তেমন ভালো কিছু নয়। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা অন্যের পরাজয়ের কারণ হন। বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েতে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করাই অধিকাংশ নির্দল প্রার্থীর উদ্দেশ্য। বিশদ

01st  July, 2023
একনজরে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ম্যাকাউট) উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হল অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই অধ্যাপকের কাছে ...

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় সম্প্রতি জিএসটিকে আনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এর ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি নাক গলাতে পারবে জিএসটি নেটওয়ার্কে। সেখান থেকে তারা তথ্য নিতে পারবে।  ...

মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM