Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত। এবারও সামান্য পঞ্চায়েত ভোটে তার অন্যথা হল না। সকাল থেকেই জেলায় জেলায় শাসক ও বিরোধীদের সংঘর্ষ, রাস্তায় মৃতদেহ, ব্যালট লুট, এমনকী ছাপ্পা রুখতে ভোটবাক্সে কোথাও আগুন, কোথাও জল ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটল। পাল্লা দিয়ে অস্ত্র ও বোমার দাপাদাপি চলল দিনভর। একাজে শুধুই শাসক দলের দিকেই আঙুল ওঠেনি, সমানভাবে অভিযুক্ত বিরোধীরাও। যে যেখানে শক্তিশালী অবাধে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তাই প্রাণ হারানোর খতিয়ানে শাসক দলও পিছিয়ে নেই। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ৬১ হাজার বুথের মধ্যে ঠিক কত শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ধুন্ধুমার হল, তা নিয়ে। অমি বলি, ওই হিসেব শাসক দল করুক। ভোটের দিন একটি মাত্র ঘটনাও নিন্দার। একটি মাত্র বুথ দখলও উদ্বেগের। প্রতিটি ভোটার যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করাও নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্তব্য। তা না হলে আমাদের গর্বের গণতন্ত্র ও সংবিধান তার মর্যাদা হারাতে বাধ্য। তা কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনারও তাঁর সদর্থক ভূমিকা পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কিন্তু ক্ষমতাবানেরা যাই বলুন, ভোটারদের পিছিয়ে গেলে হবে না। এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে সাধারণ ভোটারদের। চোয়াল শক্ত করে প্রয়োগ করতে হবে গণতান্ত্রিক অধিকার। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, এত হানাহানি, অস্ত্রের আস্ফালন, বোমাবাজি আর লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়দৌড়ি করে এরাজ্যের গরিব মানুষ কী পেল? পঞ্চায়েত ভোট আক্ষরিক অর্থেই গ্রাম বাংলার ভোট। এরাজ্যের মোট জনগণের প্রায় অর্ধেক, সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার। গত এক দেড় মাসের হিংসায় কী মিলল? কিছু পরিবার তাঁদের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে আরও অন্ধকারে তলিয়ে গেল। বাড়ি ভাঙল, জীবন বিপন্ন হল, সম্পত্তি নষ্ট হল, লাভের লাভ কিছুই হল না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হল কে? কোনও রাজনৈতিক দল নয়, নেতানেত্রীও নয়, বাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। স্বভাবতই আবারও সেই একই জিজ্ঞাসা, রাজনীতিকদের ক্ষমতা দখলের এই নোংরা লড়াইয়ে আর কতদিন ক্রীড়নক হয়ে থাকব আমরা, আম ভোটাররা? আমাদের চৈতন্য ফিরবে কবে?
আর বাংলার সামগ্রিক অগ্রগতি? যুব সমাজের ভবিষ্যৎ? একটা পঞ্চায়েত ভোট ঘিরেই এত মারামারি আর হাঙ্গামার ছবি। মনোনয়ন জমা পড়ার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি। এ লেখা শেষ হলেও মৃত্যুর খতিয়ান থামে না। সংখ্যাটা বাড়তেই থাকে। কেউ আবার মনে করিয়ে দেয়, এখনও গণনা তো বাকি। অর্থাৎ পিকচার আভি বাকি হ্যায়। কিন্তু কোন আদর্শকে তুলে ধরার জন্য? কোন রাজকর্ম সাধনের জন্য? শুধুই ক্ষমতা দখল, পঞ্চায়েতের অর্থের ভাগ উসুল করার জন্য? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেই বুকটা কেমন হু হু করে ওঠে। কোথায় চলেছে বাংলা! উন্নয়ন নয়, মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা নয়, চাকরির সংস্থান নয়, নতুন কোনও ব্যবসা কিংবা শিল্প স্থাপনের দিশাও নয়। যেভাবে একের পর এক রাজ্যে মোদিজির সৌজন্যে জনপ্রতিনিধি কেনাবেচা হচ্ছে, তার প্রতিবাদও নয়, হয় ভোট লুট কিংবা তা রুখে দেওয়ার জন্য রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ! যাঁরা গ্রামে রকে বসে, মাটির দালানে, পাড়ার মাঠে একসঙ্গে আড্ডা দেয়, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাষবাস করে, ভোট এলেই তাঁরা দুটি শিবিরে বিভক্ত। শাসক বনাম বিরোধী, যেন হিন্দুস্তান আর পাকিস্তান। 
অন্য রাজ্যে তো এমন হয় না। উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান এমনকী বিহারে পর্যন্ত নির্বাচন ঘিরে হালে আর সেই পুরনো ছবি চোখে পরে না। রাজনৈতিক রেষারেষি যাই থাক মোটের উপর বিহারেও গত বিধানসভা ভোট রক্তপাতহীনই ছিল। হালের নির্বাচনে কর্ণাটকও তাই। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোটে দেশের অন্যতম বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও এমন প্রাণহানি, ভোট লুটের খবর মেলেনি। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন বাকি রাজ্যগুলিতেও হয়। মানুষ নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করে তার অধিকার। কিন্তু প্রায় এক মাসের উপর এরাজ্যে এমন উত্তেজনা আর আগুন জ্বলতেই দেখা যায়। বাইরের শত্রুর আক্রমণের চেয়েও গৃহযুদ্ধ ভয়ঙ্কর। এতে একটা জাতি ভিতর থেকে নিঃস্ব হয়ে যায়, আর ফায়দা লোটে বাইরের হার্মাদরা। বাংলার আজ সেই শোচনীয় দশা। আর আমরা নীরব দর্শক মাত্র।
এখানে বিরোধীদের সংগঠন নেই, লোকবল নেই বলেই ভোট এলেই তারা আদালতে ছোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে। অন্য আর কোথায় বিশাল ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সামান্য পঞ্চায়েত ভোট করতে হয়, জানা নেই। বাইরের বাহিনীর আসা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। আদালতের নির্দেশের পরও বাহিনী এসে পৌঁছয় না। অগত্যা ভোটের আগের রাতে সুদূর লে থেকে আধাসেনা উড়িয়ে নিয়ে আসতে হয়। রাজ্যপালকে রাজনৈতিক নেতার মতো সকাল বিকেল ক্লিশে বিবৃতি দিয়ে সন্ত্রাস দেখতে বেরতে হয় না অন্য আর কোথাও। প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর, এমনকী ভোটের মধ্যেও গণ্ডগোলের খবর পেয়ে দূর জেলায় ছুটে যেতে হয় না তাঁকে। 
কিন্তু এর ময়নাতদন্ত কি কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা প্রশাসন করবে? এককথায় না। নির্বোধ ছাড়া কেউ এ প্রশ্নের শিকড়ে পৌঁছতে আগ্রহী নন। প্রায়শই বলা হয়, বাংলায় শিল্প হয়নি, চাকরির প্রয়োজনীয় সুযোগ নেই বলেই যুব সমাজের একটা বড় অংশ ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে। দুর্ভাগ্য, আমরা মেধা ধরে রাখতে পারিনি, যুব সমাজকে ন্যূনতম চাকরির সুযোগও করে দিতে পারিনি। অথচ বোমা, গুলি, বারুদ আর হানাহানির সেই সংস্কৃতি বিগত নকশাল আমলেরও অর্ধশতক পরও দিব্যি বহন করে চলেছি সগৌরবে। পরের অর্ধশতকে অমৃতকালই আসুক কিংবা কর্তব্যকাল আমরা দেখে যেতে পারব না সত্যি। কিন্তু হলফ করে বলা যায়, শাসন ক্ষমতায় যেই আসুন, এই বঙ্গে রাজনৈতিক রক্তারক্তির এই ধারাবাহিক মেগা সিরিয়াল মঞ্চস্থ হতেই থাকবে। এবং গরিব মানুষের মাটির ঘর ভাঙচুর হবে। গরিবের দাওয়ায় ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে বোমার সঙ্গে ধূপ, গীতা, আর থান কাপড়ের অদ্ভুত সহাবস্থানও অবলীলায় দেখতে পাওয়া যাবে। সেই ঘৃণার আবর্তে জাতিটার মেরুদণ্ডটাও হয়তো আরও দুর্বল হয়ে যাবে!
আর আমরা কিঞ্চিৎ সুবিধাবাদী মধ্যবিত্ত যাঁদের রেস্তো আছে তাঁরা ভিডিও কল করে সন্ধ্যায় আমাদের প্রবাসী সন্তান-সন্ততিকে সাবধান করব, ভুলেও যেন এই বাংলায় ফিরে না আসে! ঘুরতে আসা ছাড়া পা না রাখে। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের চারপাশের শহুরে মধ্যবিত্ত শহুরে সমাজের মনের কথা। এমনকী গ্রামের সম্পন্ন পরিবারেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এক একটা ভোট আসে নেতারা বুক ফুলিয়ে লড়াই করে। কার ভাগে ল্যাজা আর কার ভাগে বড় কাতলা মাছের মুড়োটা পড়বে তা নিয়ে সংঘাত প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে আসে। মধ্যবিত্ত স্বচ্ছল পরিবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরবর্তী প্রজন্ম সকলের অজান্তেই একটু একটু করে এরাজ্যের সীমানা ছেড়ে অন্যত্র কেটে পড়ে। এই ঝোঁক শুরু হয়েছে বিগত আশির দশকের শেষ থেকে। কার ভোটবাক্সে রক্তক্ষরণ বাড়ল আর কার পক্ষে সমর্থনের জোয়ার সব তুচ্ছ করেই এই বাংলা ছাড়ার হিড়িক আ‌জ আরও ঊর্ধ্বমুখী।
এত গণ্ডগোল হয়, এত রক্তপাত। নেতা উপনেতার এলাকা থেকে পাড়ায় দখলদারির স্বপ্ন কিংবা পুনর্দখলের খোয়াব? কিন্তু তাঁদের গায়ে আঁচড়টি পড়ে না, সংঘর্ষে সবসময়ই প্রাণ যায় উলুখাগরার। একটা নেতাকেও আক্রান্ত হতে দেখেছেন বিগত পাঁচ দশকে। এই নির্বাচনেও গরিবের মাটির দাওয়ায় বসে সদ্য বিধবা হওয়া রমণীর আকুলিবিকুলি কান্না আর আর্তনাদ নেতানেত্রীদের পাঁচমহলা প্রাসাদের অন্দরমহলে পৌঁছয় না। যাঁরা প্রাণ হারালো তাঁদের জন্য মাসিক চাল ডাল, সামান্য কিছু টাকা আর বাৎসরিক শহিদ তর্পণ ব্যস, কর্তব্য শেষ। স্বজন হারানো পরিবারটার প্রতিদিনকার বিড়ম্বনার খোঁজ কেউ রাখে না। ফল বেরলে রং বেরংয়ের আবির, বেলুন পতাকা ফেস্টুনের আড়ালে চাপা পড়ে যায় সবকিছু। নতুন করে আবার রোজগারে মন দেয় নেতা থেকে তার আশ্রিত অনুগামীরা। এভাবেই চলতে থাকে বঙ্গ রাজনীতির অলস বারোমাস্যা। মাঝে মাঝে মনে হয়, যেনতেন ক্ষমতা দখল কিংবা তা অক্ষুণ্ণ রাখাই বুঝি এরাজ্যের ক্ষমতাধর তথা বিরোধীদের ডিএনএতে গেঁথে আছে। তার থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও সুযোগই নেই। উন্নয়ন হোক না হোক, চাকরি জুটুক না জুটুক হরেক কিসিমের নেতার বসন্ত যে!
বিরোধীদেরও সংগঠন নেই বলে ক্রমাগত কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন দেখে মনে হয়, বহিরাগত জওয়ানরাই বুঝি তাঁদের দুর্বলতা ঢেকে দেবে। না হলেই তাঁরা মহাশূন্যে মিলিয়ে যাবে। সেই জন্যই ভোটের ফল বেরনোর দশদিন পরও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার কথা বলেছে হাইকোর্ট। এর উদ্দেশ্য একটাই তিক্ততা শেষে ফল বেরলে যেন অযথা আক্রোশ নতুন করে প্রাণহানি না ঘটে। কিন্তু বাহিনী তো চিরদিন থাকতে পারে না। সবে ভোট কাটল, এখনও গণনা বাকি। তারপর আছে ফলাফলের প্রতিক্রিয়া, নির্বাচনোত্তর গণ্ডগোল। প্রার্থনা একটাই, বাংলার একটা ঘরেও যেন স্বজন হারানোর কান্না শোনা না যায়, নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন। ব্যর্থ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনার গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। বাংলা উন্নয়নে এগিয়ে থাক, গোলাগুলি আর রক্তপাতে নয়।
09th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে। বিশদ

13th  July, 2023
বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
আজ বিরোধীদের লড়াই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে
তন্ময় মল্লিক

আজ পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের ২২টি জেলার প্রায় ৭৪ হাজার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। এই নির্বাচনে ক্ষমতা দখল ও ভোগের লড়াইটা একেবারে তৃণমূল স্তরে। তাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রেষারেষি। তার জেরেই মারামারি ও খুনোখুনি মাত্রা ছাড়ায়। বিশদ

08th  July, 2023
রাষ্ট্রের উপেক্ষাই আমাদের ভবিতব্য?
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণ মানুষের প্রাণের মূল্য নেই! এরকম একটি হা-হুতাশ শোনা যায় মাঝেমধ্যে। আজ থেকে নয়। দীর্ঘদিন ধরেই। সাধারণ মানুষের প্রাণের মতো সাধারণ মানুষের কথারও মূল্য নেই এরকম ভাবাই সঙ্গত ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই অভিযোগ সঠিক নয়। বিশদ

07th  July, 2023
প্রিগোজিনের আয়ু আর কতদিন?
মৃণালকান্তি দাস

জেলিমখান খানগোশভিলির পরিচয় কী? বার্লিনের ক্লিনার টিয়ারগার্টেন পার্কে খুন হওয়ার আগে খানগোশভিলির নাম কে শুনেছে? বিশদ

06th  July, 2023
মোদি জমানার ঘোটালা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে
সন্দীপন বিশ্বাস

দুর্নীতির অনুসন্ধানে দেশে বিরোধী নেতাদের ঘরে ঘরে সিবিআই, ইডি পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচন যত কাছে এগিয়ে আসছে, ততই যেন কমজোরি মোদি অস্থির হয়ে শরণাপন্ন হচ্ছেন সিবিআই, ইডির। বিশদ

05th  July, 2023
গণতন্ত্রের খোঁজ মিলল আমেরিকায়
পি চিদম্বরম

আইসল্যান্ডের রাজধানী শহর রেকজাভিক থেকে ৪৮ কিমি পুব দিকে হল অলথিং। এটাকেই বিশ্বের প্রাচীনতম পার্লামেন্ট বা সংসদ বলে মনে করা হয়। অলথিং প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।
বিশদ

03rd  July, 2023
অশান্ত মণিপুর না বাংলা, আধাসেনা কোথায় যাবে?
হিমাংশু সিংহ

একবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আজ জুলাই মাসের প্রথম রবিবারে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গন্তব্য দেশের ঠিক কোথায় হওয়া উচিত? অগ্নিগর্ভ মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর না পাশের ভাঙড়? উপদ্রুত মইরাং না মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বিষ্ণুপুর না কোচবিহারের গীতালদহ? বিশদ

02nd  July, 2023
ফেরানো বন্ধ করলেই লাগাম পড়বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে
তন্ময় মল্লিক

এবার পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা আট হাজারের মতো। বেশিরভাগটাই শাসক দলের বঞ্চিত টিকিট প্রত্যাশী। নির্দল প্রার্থীদের জেতার রেকর্ড তেমন ভালো কিছু নয়। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা অন্যের পরাজয়ের কারণ হন। বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েতে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করাই অধিকাংশ নির্দল প্রার্থীর উদ্দেশ্য। বিশদ

01st  July, 2023
একনজরে
উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে মুখোমুখি মার্কেটা ভন্ড্রুসোভা ও ওনস জাবিউর। সেমি-ফাইনালে এলিনা ভিতোলিনাকে ৬-৩, ৬-৩ স্ট্রেট সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের অবাছাই প্লেয়ার মার্কেটা। এই প্রথম অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে খেতাবি লড়াইয়ে নামবেন তিনি। ...

সদ্য শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ফলাফলে জেলার বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু, যতদিন বোর্ড গঠন না হচ্ছে, ততদিন কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারছে না গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ...

মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় সম্প্রতি জিএসটিকে আনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এর ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি নাক গলাতে পারবে জিএসটি নেটওয়ার্কে। সেখান থেকে তারা তথ্য নিতে পারবে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM