পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ভিনরাজ্যে জেলে বন্দি থাকায় সিউড়ির বিধায়ক বিকাশবাবুকে জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে তিনবার জেলা পরিষদে জিতে হ্যাটট্রিক করলেন বিকাশবাবু। ইলামবাজারের জেলা পরিষদের ১৩নম্বর আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ৩৪ হাজার ৫৮৩টি ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শিবদাস ঘোড়ুই পেয়েছেন ৫১১৬টি ভোট। অর্থাৎ ২৯ হাজার ৪৬৭ভোটে বিকাশবাবু জয়ী হন। এরপর এদিন তিনি জয়ের শংসাপত্র গ্রহণ করেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, দিদির প্রতি মানুষের আস্থা আছে। দিদিই উন্নয়ন করছেন, সেজন্য তাঁর সঙ্গে মানুষ রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের প্রতি আলাদা দুর্বলতা ছিল ও থাকবে। ওঁর মতো দক্ষ সংগঠক আর হয় না। বীরভূমের উন্নয়নের পিছনে ওঁর বড় অবদান রয়েছে। একটা সময় অনুব্রত মণ্ডলের নামে ত্রাসের অভিযোগ তুলত বিরোধীরা। সেই অনুব্রত এখন দূরে রয়েছেন। মানুষ কিন্তু ওঁর এই দূরে থাকার ব্যাপারটি ভালোভাবে নেয়নি। তাই বিধানসভা নির্বাচনে যা ভোট হয়েছিল তার চেয়ে বিপুল ভোটে আমরা এবার জিতেছি।
বিজেপি ও সিপিএমকে আক্রমণ করে বিকাশবাবু এদিন বলেন, বিরোধীদের মতো ভূরি ভূরি মিথ্যা কথা বলে মানুষের মন জয় করিনি। আমরা কাজ করেছি। উন্নয়ন হয়েছে বলেই মানুষ কাছে টেনে নিয়েছে। বিরোধীরা হেরে গিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে। তাই দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোথাও বিজয় মিছিল না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলেও দলীয় কর্মীরা যেন জড়িয়ে না পড়েন তা মেনে চলতে বলা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে বীরভূমে একটা বোমা পর্যন্ত ফাটেনি। একটা সময় বীরভূম চর্চার কেন্দ্রে থাকত। কিন্তু এবারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। কারণ প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। জয়ের শংসাপত্র নিচ্ছেন বিদায়ী জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র