Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বলিউডের ‘প্রোপাগান্ডা’
মৃণালকান্তি দাস

চিন্তায় রয়েছেন হিটলার। জার্মান যুবসমাজের মধ্যে তাঁর প্রভাব দ্রুত বাড়াতে কিছু একটা করতে হবে। মাথায় খেলে গেল ভয়ঙ্কর বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত নিলেন বাছাই করা কিছু নাৎসি ভক্ত সিনেমা পরিচালকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করলে কেমন হয়। যার দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হবে জোসেফ গোয়েবেলসকে।
১৯৩৩ সালের ১৪ মার্চ। গঠিত হল ‘রাইখ মিনিস্ট্রি ফর পিপলস এনলাইটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রোপাগান্ডা’। গোয়েবেলস অনেক দিন আগেই ব্রিটেন আর সোভিয়েতকে দেখে বুঝে ফেলেছিলেন চলচ্চিত্র একটি দেশে কী ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চলচ্চিত্রকে হাতিয়ার করেই গোয়েবেলস শুরু করলেন প্রোপাগান্ডার জাল ছড়ানো। লক্ষ্য একটাই— হিটলারের প্রশংসা এবং জার্মানির একমাত্র শত্রু যে ইহুদিরা, সেটা জনগণের মনে গেঁথে দেওয়া। একের পর এক সিনেমা তৈরি হতে লাগল। জার্মান পরিচালক লেনি রিফেনস্টল বানালেন নাৎসি প্রচারমূলক সিনেমা ট্রায়াম্ফ অব দ্য উইল (১৯৩৫)। সেই ছবি দেখলে তো হিটলারকে একজন সর্বাধিনায়ক এবং পরিত্রাতা হিসেবেই মনে হবে! ভেইট হারলানের পরিচালনায় মুক্তি পায় জুড সুস (১৯৪০)। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন ফ্রিটজ হিপলার। তাঁর ‘দ্য ইটারনাল জিউ’-তে প্রচার করা হয়েছিল, ইহুদিরা কতটা অসভ্য ও পরজীবী প্রকৃতির। প্রত্যেকটি সিনেমা ছিল জার্মান শৈল্পিক চলচ্চিত্রের থেকে ভীষণ ভাবে আলাদা। এই সময় গোটা জার্মানি জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চলচ্চিত্র সমালোচনা। জার্মানির হয়ে যুদ্ধ করতে পারা কতটা সৌভাগ্যের বা ইহুদিরা কতটা ‘শয়তান’— এই ছিল সিনেমাগুলির একমাত্র বিষয়বস্তু। ইহুদিদের হত্যা করতে যাতে হাত না কাঁপে সেজন্য সেনাদের নিয়মিত দেখানো হতো এই ধরনের সিনেমা। একাধিক প্রোপাগান্ডা সিনেমা বানিয়ে গোয়েবেলস হিটলারের এমন এক প্রতিচ্ছবি বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন, যা ছিল জার্মানির সাধারণ মানুষের কাছে অপরাজেয় ঈশ্বরসম। আসলে প্রোপাগান্ডার উৎস সবসময় ছোট ছোট মিথ্যের উপর ভিত্তি করে। তারপর এত বড় মিথ্যে বলা শুরু হয় যে, মানুষ বুঝতেই পারে না সেটি ডাহা অসত্য। এভাবেই যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন শাসক নিজের স্বার্থে প্রোপাগান্ডার ব্যবহার করে আসছে।
‘প্রোপাগান্ডা’ ছবি তৈরির জন্য ‘পৃষ্ঠপোষক’রা হাজির হন। কখনও সেখানে পরিচালক প্রচারের স্বার্থে মদতপুষ্ট ছবিটি তৈরি করতে রাজি হন। আবার কখনও ব্যক্তিগত দর্শনের কারণেও এই ধরনের ছবি তৈরি করে থাকেন। এই দুই ক্ষেত্রেই ছবিতে ‘সত্য’ তুলে ধরার প্রক্রিয়া ব্রাত্য হয়ে যায়। অথচ, শিল্পের কাজ মানবিকতার বিকাশ ঘটানো। সেখানে চলচ্চিত্রের মতো একটি শিল্পমাধ্যমকে নাৎসি ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের অমানবিক কার্যকলাপকে আড়াল করার কাজে ব্যবহার করেছে। মিথ্যে আদর্শ প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। ফ্যাসিবাদ বা নাৎসিবাদ এভাবেই শিল্পকে গ্রাস করে। গ্রাস করে শিল্পীর স্বাধীন সত্তা। সুযোগসন্ধানী শিল্পীরা তাঁদের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। ফ্যাসিবাদ জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তোলে। যেখানে জীবন বিপন্ন হয়, শিল্পীর স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয়, সেখানে কোনও শিল্প সৃষ্টি হয় না। সৃষ্টি হয় ‘প্রোপাগান্ডা’!
ধরুন পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি ‘দ্য কেরল স্টোরি’র কথাই। যেসব ভারতীয় মহিলা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে নাম লেখাতে তাদের জন্মভূমি ছেড়ে সুদূর আফগানিস্তান, সিরিয়া বা পশ্চিম এশিয়ার অন্য কোনও দেশে পাড়ি দিয়েছে, তাদের নিয়েই এই সিনেমা। ছবিটির প্রথম ‘টিজার’-এ বলা হয়েছিল— ‘কেরলের ৩২০০০ মহিলার হৃদয়বিদারক কাহিনি’। মামলার ধাক্কায় পরে নির্মাতারা টিজার থেকে ৩২০০০ সংখ্যাটি সরিয়ে দেন। কিন্তু, এই ছবির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে আরও নানা সন্দেহজনক পরিসংখ্যান। যেমন, ছবিতে বার বার দাবি করা হয়েছে যে, কেরলের ৩২ হাজার মহিলা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। একটি দৃশ্যে নিমা নামের চরিত্রটি এক পুলিস অফিসারকে বলে, ‘লাভ জেহাদের শিকার হয়ে নিখোঁজ, কেরলের এমন ৩০ হাজার মেয়ের সন্ধান আমরা পেয়েছি। আমাদের অনুমান, সংখ্যাটি ৫০ হাজারের কাছাকাছি।’ ৩০ হাজার? ৫০ হাজার? সরকারি তথ্য কি ছবির এই পরিসংখ্যানকে মান্যতা দেয়? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, যেখানে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুয়ায়ী কেরল থেকে ‘হারিয়ে যাওয়া’ মানুষের সংখ্যা যখন মেরেকেটে হাজারখানেক, সেখানে ত্রিশ বা পঞ্চাশ হাজার মহিলা জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে— এই সংখ্যাগুলি কোথা থেকে পেলেন ছবির নির্মাতারা? দেশের গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলির চোখ এড়িয়ে এত মহিলার পক্ষে কি সীমান্ত পেরিয়ে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়া সম্ভব? সিনেমা মানে কি যা খুশি বলে দেওয়া যায়? এই কঠিন সময় সমস্ত রাস্তা শাসকের মগজধোলাই করা অবৈতনিক সিপাইদের দখলে। মগজ ধোলাইয়ের মন্ত্র এক দল মানুষের মাথার এতই গভীরে কাজ করছে যে, তাঁরা এসব বুঝতে অপারগ।
আসলে কাশ্মীর ফাইলস বা কেরল স্টোরি তৈরি হয়েছে হিন্দুত্ববাদী মতবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। সংখ্যালঘু বিদ্বেষ ছড়িয়ে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের লক্ষ্যে। নির্দিষ্ট একটা ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঐতিহাসিক সমস্যাকে। প্রধানমন্ত্রী যখন কর্ণাটকের নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বলেন, ‘দ্য কেরল স্টোরি’ সকলের দেখা উচিত, যখন বেশ কিছু বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এই সিনেমাটিকে কর-মুক্ত ঘোষণা করা হয়, তখন এই ছবিটি আর ‘শিল্পকর্ম’ থাকে না, হয়ে ওঠে প্রচারের হাতিয়ার। একইভাবে গুচ্ছ গুচ্ছ ছক-ষড়যন্ত্র করেও যখন কাশ্মীরকে হিন্দুত্বের কাছে মাথা নোয়ানো যাচ্ছিল না, তখন গোটা দেশে কাশ্মীরকে ঘৃণিত-নিন্দিত করতে হাতিয়ার করা হয়েছিল একপেশে এবং অর্ধসত্য তথ্যভিত্তিক সিনেমা— কাশ্মীর ফাইলসকে। কাশ্মীরের মতো কেরলও ‘প্রোপাগান্ডা’-র শিকার। গত কয়েক বছরে কেরল থেকে দু’-একটি মহিলার সন্ত্রাসবাদে যোগ দেওয়ার ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে গল্প বানিয়ে এটা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হয়েছে যে কেরল সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। তারা কেরলের মেয়েদের ফুসলিয়ে নিয়ে যায় এবং হয় বিদেশে চালান করে অথবা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু ঘটনা হল, খোদ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাত থে‍‌কে গত পাঁচ বছরে ৪১ হাজার মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন। এই তথ্য সরকারেরই দেওয়া। পুলিস তাদের কোনও হদিশ দিতে পারেনি। তবে কি এরাও সন্ত্রাসবাদী হয়ে গিয়েছে?
সিনেমা নিয়ে এই জোরা‍‌‍‌লো বিতর্কের মধ্যেই আপাত নিরীহ একটি প্রশ্ন সামনে চলে আসে। যে প্রযোজক-পরিচালকরা ‘কাশ্মীর ফাইলস’ বা ‘কেরল স্টোরি’র মতো সিনেমা তৈরি করেছেন তাঁরা কি তেমনভাবেই ‘গুজরাত স্টোরি’ নাম দিয়ে একটি সিনেমা বানাবেন? কাশ্মীর ফাইলস এবং কেরল স্টোরি প্রচারে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেমন বাজারে নেমে পড়েছিলেন ঠিক তেমনই কি গুজরাত স্টোরির প্রচারে মাঠে নামবেন? সদ্য প্রচারিত বিবি‍‌সি’র তথ্যচিত্র নিয়ে তো রে রে করে তেড়ে এসেছিল গেরুয়াবাহিনী। অথচ গুজরাত গণহত্যা নিয়ে এই ছবি ঘোষিতভাবেই তথ্যচিত্র। মনগড়া কাহিনি চিত্র নয়। সত্য ও তথ্যের ভিত্তিতে দাঁড়িয়েই তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। তাতে বিপদ বেড়েছে মোদিদের। তাই বি‍‌বিসিকে নাজেহাল ও সন্ত্রস্ত করতে নামানো হয়েছিল সরকারি সংস্থাকে।
অথচ, দুয়ারে ভোট থাকলেই এদেশে বাড়ে ‘প্রোপাগান্ডা’ ছবির সংখ্যা। বিনোদন সিনেমার মূল কথা হলেও এখন তার পিছনে জুড়ে গিয়েছে রাজনীতি। সিনেমার মাধ্যমে লোকশিক্ষার অজুহাতে এখন ভোট টানার তাগিদ। যে তাগিদ থেকেই জন্ম হয় ‘প্রোপাগান্ডা’ ছবির। ঠিক যেমন বীর সাভারকরের বায়োপিক। নির্মাতাদের ‘ভয়ঙ্কর’ দাবি, নেতাজি, ভগৎ সিং এবং ক্ষুদিরাম বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন নাকি সাভারকর। সংস্কৃতি ও ইতিহাস থেকে মানুষ যত বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, কোনও ঘটনায় কল্পিত একটি ভাষ্য নির্মাণ করা তত সহজ হয়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপি এমন ছবি তৈরির ‘খেলা’য় মেতেছে। তৈরি হয়েছে ‘আজমের ৯২’। ১৯৯২ সালে আজমেরে এক গণধর্ষণকাণ্ডের উপর তৈরি হয়েছে এই ছবি। অভিযোগ, সিনেমা এবং সমাজমাধ্যমকে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে নিশানা করে তার সঙ্গে যাবতীয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে জুড়ে দেওয়াই এসব সিনেমার কৌশল। এসব ছবি শাসক দলের স্বার্থসিদ্ধি করে, তাই তাকে জনদরবারে যথাসম্ভব পৌঁছে দিতে, এবং সম্ভব হলে তা নিয়ে উন্মাদনা তৈরি করতে তারা একান্ত উদ্‌গ্রীব। তা আর এখন নিছক শিল্প নয়— প্রচার। সেখানে পাথুরে প্রমাণের চেয়ে আবেগ ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের আবেদন শতগুণে অধিক। 
গেরুয়া শিবির চায়, বেঁচে থাক শুধু বলিউডি জাতীয়তাবাদ, যেখানে সরকারের পালে লাগা বাতাসই সত্য-মিথ্যার নির্ণায়ক। এই সময়ের বলিউডের স্বরূপকে বুঝতে হলে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ফিরে যেতে হয়— ‘তখন হিংসেয় জ্বলছে শহর, মানুষের হাতের ছুরি গেঁথে যাচ্ছে/ মানুষেরই বুকে/ রাস্তায় বসে লাশের আগুনে পুড়িয়ে খাচ্ছে ধর্ম/ রক্তবমির মতন ওগরাচ্ছে দেশপ্রেম।’
13th  July, 2023
বিশ্বগুরু কোথায়? এখনও তো বিশ্বক্রেতা! 
সমৃদ্ধ দত্ত

হাইভোল্টেজ প্রচারের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে সেই বিরল দৃশ্য দেখাও গেল আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উচ্চমানের গিফট আদানপ্রদানও হল। বিশদ

মহাকাশ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী

আজকের আকাশ অদ্ভুত মায়াময়। বাতাসে যেন আশ্চর্য আনন্দ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে নীল আকাশের বুক চিরে সাদা ধোঁয়ার রাস্তা বেয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কোটি কোটি মানুষের আবেগ, বিজ্ঞানীদের বহু রাত জাগা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল চাঁদের আলো দেখবে। বিশদ

বন্ধ হোক শহিদ বেদির প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে ভোট মানেই গণ্ডগোল, রক্তক্ষয়, হানাহানি, মৃত্যুর মিছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে বিধানসভা, লোকসভা—কোনও নির্বাচনে এর ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা আজকের নতুন নয়। কংগ্রেস জমানা থেকেই। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এবং বাংলার সর্বত্র এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যাহীন শহিদ বেদি। বিশদ

12th  July, 2023
ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারই সমাধান
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রের পলিসির নির্দেশমূলক নীতিগুলির উপর ভারতের সংবিধানে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত ১৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটি হল ৪৪ নম্বর। সাম্য ও বৈষম্যহীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৩৮(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। যেখানে আয়ের বৈষম্য হ্রাস এবং মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। বিশদ

10th  July, 2023
ভোটে হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ
হিমাংশু সিংহ

দেদার বোমাবাজি, রক্তপাত, অশান্তির মধ্যেও ‘অবাধ’ নির্বাচন! বাহাত্তরে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে আজ পর্যন্ত এটাই এরাজ্যের হকিকত।
বিশদ

09th  July, 2023
আজ বিরোধীদের লড়াই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে
তন্ময় মল্লিক

আজ পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের ২২টি জেলার প্রায় ৭৪ হাজার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। এই নির্বাচনে ক্ষমতা দখল ও ভোগের লড়াইটা একেবারে তৃণমূল স্তরে। তাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রেষারেষি। তার জেরেই মারামারি ও খুনোখুনি মাত্রা ছাড়ায়। বিশদ

08th  July, 2023
রাষ্ট্রের উপেক্ষাই আমাদের ভবিতব্য?
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণ মানুষের প্রাণের মূল্য নেই! এরকম একটি হা-হুতাশ শোনা যায় মাঝেমধ্যে। আজ থেকে নয়। দীর্ঘদিন ধরেই। সাধারণ মানুষের প্রাণের মতো সাধারণ মানুষের কথারও মূল্য নেই এরকম ভাবাই সঙ্গত ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই অভিযোগ সঠিক নয়। বিশদ

07th  July, 2023
প্রিগোজিনের আয়ু আর কতদিন?
মৃণালকান্তি দাস

জেলিমখান খানগোশভিলির পরিচয় কী? বার্লিনের ক্লিনার টিয়ারগার্টেন পার্কে খুন হওয়ার আগে খানগোশভিলির নাম কে শুনেছে? বিশদ

06th  July, 2023
মোদি জমানার ঘোটালা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে
সন্দীপন বিশ্বাস

দুর্নীতির অনুসন্ধানে দেশে বিরোধী নেতাদের ঘরে ঘরে সিবিআই, ইডি পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচন যত কাছে এগিয়ে আসছে, ততই যেন কমজোরি মোদি অস্থির হয়ে শরণাপন্ন হচ্ছেন সিবিআই, ইডির। বিশদ

05th  July, 2023
গণতন্ত্রের খোঁজ মিলল আমেরিকায়
পি চিদম্বরম

আইসল্যান্ডের রাজধানী শহর রেকজাভিক থেকে ৪৮ কিমি পুব দিকে হল অলথিং। এটাকেই বিশ্বের প্রাচীনতম পার্লামেন্ট বা সংসদ বলে মনে করা হয়। অলথিং প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।
বিশদ

03rd  July, 2023
অশান্ত মণিপুর না বাংলা, আধাসেনা কোথায় যাবে?
হিমাংশু সিংহ

একবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আজ জুলাই মাসের প্রথম রবিবারে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গন্তব্য দেশের ঠিক কোথায় হওয়া উচিত? অগ্নিগর্ভ মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর না পাশের ভাঙড়? উপদ্রুত মইরাং না মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বিষ্ণুপুর না কোচবিহারের গীতালদহ? বিশদ

02nd  July, 2023
ফেরানো বন্ধ করলেই লাগাম পড়বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে
তন্ময় মল্লিক

এবার পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা আট হাজারের মতো। বেশিরভাগটাই শাসক দলের বঞ্চিত টিকিট প্রত্যাশী। নির্দল প্রার্থীদের জেতার রেকর্ড তেমন ভালো কিছু নয়। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা অন্যের পরাজয়ের কারণ হন। বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েতে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করাই অধিকাংশ নির্দল প্রার্থীর উদ্দেশ্য। বিশদ

01st  July, 2023
একনজরে
২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। একবছরের মধ্যে তা বেড়েছে আড়াই শতাংশ। তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে সব ধরনের ...

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় সম্প্রতি জিএসটিকে আনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এর ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি নাক গলাতে পারবে জিএসটি নেটওয়ার্কে। সেখান থেকে তারা তথ্য নিতে পারবে।  ...

পাঞ্জাবি বদলের মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে ব্যালট গেলার নেপথ্য রহস্য? গণনাকেন্দ্রের বাইরে গিয়ে নিমেষে কেন পোশাক বদল করলেন তৃণমূলের সেই প্রার্থী? যখন কাগজের মণ্ড মুখে পুরেছিলেন, তখন তাঁর পাঞ্জাবির রং ছিল সবুজ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM