পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
বহরমপুর ব্লকেই ৪১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩৮৭টি আসনে নির্বাচন হয়। তার মধ্যে বিজেপি ৭৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। কংগ্রেস জিতেছে ৯৩টি আসনে। তৃণমূল জিতেছে ১৯৭টি আসনে। বামেরা ৩৩টি আসন পেয়েছে। বেলডাঙা-১ ব্লকে ২৬৯টি আসনে নির্বাচন হয়। তার মধ্যে ২৫টি পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছে ৭১টি এবং সিপিএম পেয়েছে ১৮টি। বেলডাঙা-২ ব্লকের ২২১টি আসনের মধ্যে ৪৮টি পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছে ৩৬টি এবং সিপিএম পেয়েছে ১৩টি। কান্দির ২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১১টি পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছে ৪১টি এবং সিপিএম পেয়েছে ৫টি। বড়ঞায় ২২৭টি আসনের মধ্যে ৫২টি পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ৩৮টি, সিপিএম ১৬টি আসনে জিতেছে। ভরতপুর-১ ব্লকে ১৫৫টি আসনে নির্বাচন হয়। সেখানে ১২ আসন পেয়েছে বিজেপি। ৩২টি আসন কংগ্রেস এবং পাঁচটি পেয়েছে সিপিএম। ভরতপুর ২ ব্লকে ১৪৭টি আসনে নির্বাচন হয় সেখানে কংগ্রেসের দ্বিগুণ আসন পেয়েছে বিজেপি। বিজেপি ১৮টি, সিপিএম ১২টি এবং কংগ্রেস ৯টি আসন পায়।
মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় বিজেপি ধীরে ধীরে সংগঠন মজবুত করছে। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি জায়গায় লড়াই করেছে এবং গোটা জেলায় আমাদের ভোট বেড়েছে। আমরা একক ভাবে লড়াই করে যথেষ্ট ভালো ফল করেছি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বাড়ছে তো বটেই। আমরা লক্ষ্য করেছি, একমাত্র মুর্শিদাবাদ বাদে সর্বত্র তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘাত আছে। ২০১৮ সালেও বিজেপিকে মনোনয়ন করতে, প্রচার করতে কোনও অসুবিধা করা হয়নি। এবারেও বিজেপি পার্টির পক্ষ থেকে আর কোনও অভিযোগ নেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে যেহেতু কংগ্রেস শক্তিশালী, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছে মুর্শিদাবাদে বিজেপি শক্তিশালী হয়ে উঠলে আর একটা মেরুকরণের রাজনীতি হবে। সেখানে বিজেপিকে মদত দিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমকে দুর্বল করা হচ্ছে। বিজেপির যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসছে তারা কিন্তু মুর্শিদাবাদে পা দিচ্ছে না। মুর্শিদাবাদে তাদের চোখে কোনও ঘটনা ঘটেনি, তাই আসছে না। কারণ একটাই, এই মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপি পার্টিকে ওরা মদত করছে। কংগ্রেস এবং সিপিএমের মাঝখানে যাতে একটা শক্তিকে বাড়ানো যায়। এভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় মেরুকরণের রাজনীতি করে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি শাওনী সিংহ রায় বলেন, নাচতে না জানলে উঠোন তো বাঁকা হবেই। এখন নিজেরা ভালো ফল করতে পারেনি তাই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। আসলে অধীরদের পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। একসময়ের শত্রু সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তারা আবার মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাচ্ছেন। তাই মানুষ তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফাইল চিত্র