পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
ভোটের ফল প্রকাশের পর অভিমানী আরাবুল! কেন? আসলে পোলেরহাট দু’নম্বর পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে আরাবুলের উত্তর গাজিপুরের হোম বুথ ৯৫ নম্বর আসনে জিতেছে তৃণমূল। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী তাঁরই ভাই আজিজুল ইসলাম ওরফে খুদে। এই পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনেই হার হয়েছে তৃণমূলের। হাতছাড়া হয়েছে জেলা পরিষদের একটি আসনও। বাকি ৯টি পঞ্চায়েতেও তৃণমূলের আশানুরূপ ফল হয়নি। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা ৪৬টি আসনে জেতাটা তৃণমূলের তুরুপের তাস হয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভাঙড়ে যে সমস্ত আসনে ভোট হয়েছে, সেখানে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েছে আইএসএফ। এই ফল প্রকাশ্যে আসার পর খানিকটা ব্যাকফুটে আরাবুল। বৃহস্পতিবার সকালে হাতিশালায় দলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে একটি কর্মী বৈঠক করেন তিনি। সেখানে শওকত মোল্লার পাশে বসে আরাবুল বলেন, ভাঙড়ে অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে খুশি হব। আমি হয়তো সকলের জন্য কাজ করতে পারিনি।
আরাবুলের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নিজের গড় ছাড়াও চালতাবেড়িয়া, শানপুকুর, পোলেরহাট ১ অঞ্চলের বহু আসনে দলীয় প্রার্থী পরাস্ত হয়েছে আইএসএফের কাছে। অথচ ভাঙড়ে কান পাতলেই শোনা যায়, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার নির্দেশেই আরাবুল অনুগামীরা প্রার্থী হন। ভোটে সেই প্রার্থীদের হারের
জন্য অভিমানী আরাবুল। পাশাপাশি মনোনয়ন পর্ব থেকে ভাঙড়ে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায়শই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে সেখানে তৃণমূল ব্যাকফুটে। যদিও অভিমানী আরাবুলের পাশে দাঁড়িয়ে বিধায়ক শওকত
মোল্লা জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে আরাবুল ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকে কনভেনর হয়েছেন। তাঁর ইচ্ছায় কিছু হবে না। স্বাভাবিকভাবে তিনি ভাঙড়ের দায়িত্ব নিয়েই কাজ করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত আরাবুল কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে হাতিশালার বৈঠকে একটি ভাইরাল ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে শওকত দাবি করেন, কার্গিল যুদ্ধের কায়দায় ভাঙড়ে ভোট করেছে আইএসএফ। আগামী কাল যদি ফের ভোট হয়, ভাঙড়ের প্রতিটি আসন জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।