নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমে নিহত হলেন দুই মাওবাদী নেতা। সেখানে গোয়েলকেরা থানা এলাকায় রাতভর গুলির লড়াই চলে সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে। তাতেই মৃত্যু হয় ওই দু’জনের। মৃতদের মধ্যে একজন বাঁকুড়ার বারিকুলের বাসিন্দা। সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সমীর ওরফে সুরেন্দ্রনাথ সোরেন। এই লড়াইতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কোবরার ডেপুটি কমান্ড্যান্ট দীপককুমার তেওয়ারি। তাঁর বাম হাতের কনুইতে গুলি লেগেছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচিতে। একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সিআরপিএফের এক সূত্র জানাচ্ছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা ইনপুটের ভিত্তিতে কোবরা বাহিনী ঝাড়খণ্ডের ওই জেলায় ১১ জুলাই থেকে মাওবাদী দমন অভিযানে নামে। কোবরার কাছে খবর ছিল, সেখানে ঝাড়খণ্ডের শীর্ষ মাওবাদী নেতা মিসির বেসরা, ‘অনলদা’, ‘আকাশদা’, প্রমোদ মিশ্রের মতো নেতারা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। বুধবার রাত তখন সওয়া ১১টা। কোবরা বাহিনীর ২০৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড পুলিসের যৌথ অভিযান চলছে। বাহিনীকে লক্ষ্য করেই গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা। তখনই পাল্টা গুলি চালায় কোবরা বাহিনী। তাতেই ঘটনাস্থলে দুই মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যের মৃত্যু হয়।
মৃতদের মধ্যে একজনকে বাংলার সমীর ওরফে সুরেন্দ্রনাথ সোরেন হিসেবে শনাক্ত করেছে সিআরপিএফ। সমীর দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের ঝাড়খণ্ড স্কোয়াডে সক্রিয় ছিলেন। অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে দফায় দফায় তল্লাশি চলে। ২০ কেজির মতো আইডি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান রুখতেই এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক দিয়ে ফাঁদ পেতেছিল মাওবাদীরা।