পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
বিয়েতে বিভ্রাট
বিয়ে সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হওয়ার পিছনে কত যে বিভ্রাট থাকে তার হিসাব কে রাখে? এই যেমন নতুন ছবি ‘বিয়ে বিভ্রাট’। ‘ছবিটা মজার। সিচুয়েশনাল কমেডি। একটা বিয়েকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া কিছু সিরিয়াস সমস্যা, যা দেখে দর্শকের মজা লাগবে’, বলছিলেন আবীর। তাঁকে দর্শক মূলত থ্রিলারধর্মী এবং সিরিয়াস ঘরানার ছবিতেই বেশি দেখেন। সেসব ক্ষেত্রে আবীরের সাফল্যও প্রশ্নাতীত। তাহলে হঠাৎ ঘরানা বদলের কারণ কী? ‘আমি ‘কাটমুন্ডু’তেও কমেডি করেছি। তবে সেটা ছিল স্ল্যাপস্টিক কমেডি। আমি যে ধরনের ছবি করি সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার এই ছবিটাকে ফ্রেশ এয়ার মনে হয়েছে।’ পাশাপাশি অভিনেতা জানালেন কাহিনিকার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পরিচালক রাজা চন্দের সঙ্গে এই ছবিতে প্রথম বার কাজ করলেন তিনি। ‘রাজাদার সঙ্গে আলাপ অনেকদিনের। উনি যে ধরনের ছবি তৈরি করেন আমি তাতে খুব বেশি কাজ করি না। প্রথম কাজ করলাম। দেখলাম রাজাদা অত্যন্ত বিচক্ষণ পরিচালক’, বললেন আবীর।
ছবির কথার সঙ্গে জুড়েই নিজের বিয়ের মজাদার বিভ্রাট প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন আবীর। হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী নন্দিনী সহপাঠী ছিলাম। একে অপরকে তুই বলে ডাকতাম। বিয়ের সময় দুই বাড়ি থেকে কড়াভাবে জানানো হল, তুমি সম্বোধন করতেই হবে। যেটার হয়তো কোনও লজিক নেই। কিন্তু আমরা মেনে নিয়ে দু’জনেই অভ্যাস শুরু করি। তাও বড়দের সামনে মাঝেমধ্যেই তুই বলে ফেলে বেকায়দায় পড়তাম। এখন মনে হয় বিষয়টা খুবই মজার ছিল। এই মজাটাই আমি ছবিটায় পেয়েছি। অনেকদিন পর এখানে গানে লিপ দিলাম।’ ছবিতে দু’জন নায়ক থাকার সুবিধার কথাও বললেন নিজেই, ‘দু’জন থাকলে চাপটা একটু হালকা থাকে। সেজন্য নিজের কাজটা যেন খারাপ না হয় সেদিকে লক্ষ্য থাকে।’
পছন্দের কাজ
সিরিয়াস ছবি হোক বা ফেলুদা, ব্যোমকেশ, সোনাদা সবই আবীরের ঝুলিতে রয়েছে। ‘বাদামি হায়না রহস্য’-এ ‘দীপক’ হয়ে বড়পর্দায় আসছেন। ‘রোজ রাত জেগে শ্যুটিং চলছে। আমি জানি না ছবিটাকে ঠিক কোন ঘরানায় ফেলা উচিত। অ্যাকশন, সাসপেন্স- আরও অনেক কিছু রয়েছে। ছবিটার কোনও কৃতিত্ব আমার নয়। সবটাই পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের। দীপকের জন্য আমিও অপেক্ষায় আছি।’ আবীর শুধুমাত্র গোয়েন্দা ছবিতে অভিনয় করতে পছন্দ করেন, এমন মনে করেন অনেকে। তা কি সত্যি? অভিনেতার জবাব, ‘একেবারেই তা নয়। ব্যক্তিগতভাবে মজার গল্প আমার ভালো লাগে। কোনও গুরুগম্ভীর বিষয় যদি হালকা চালে বলা হয় সেই ধরনের কাজ বেশি পছন্দের।’
বক্স অফিস
সাম্প্রতিক অতীতে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’, ‘প্রজাপতি’, ‘একেনবাবু’ সহ হাতেগোনা কয়েকটা ছবি বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে। অথচ সারা বছরে অসংখ্য বাংলা ছবি তৈরি হচ্ছে। লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে কই? প্রসঙ্গ উঠতেই আবীরের সাফ জবাব, ‘ছবি তো অনেক হবেই। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যদি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ছবিও সাফল্য পায় তাহলেও বলব, আমরা ঠিক পথেই এগচ্ছি। আমাদের আরও বেশি ভালো কাজ করা উচিত।’
নতুন কাজ
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘রক্তবীজ’, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘ডিপফ্রিজ’। প্রস্তাবও রয়েছে বেশ কিছু। ‘তবে বলিউডের ভালো প্রস্তাব এই মুহূর্তে নেই। আর ওয়েব করছি না’, জানালেন নিজেই।
ট্রোলিং এবং পরিবার
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং এখন তারকাদের জীবনের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা স্বীকার করলেন আবীরও। ‘বাবা-মা সিনিয়র সিটিজেন। তাদের এই বিষয়টা সম্পর্কে ধারণাই নেই। আমার স্ত্রী খুবই ম্যাচিওর। তবে ট্রোলিং বিষয়টা অত্যন্ত অসুস্থ একটা প্রবণতা। এটা দিন দিন বাড়ছে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু এটাকে আমরা মানতেও পারছি না’, স্পষ্ট মত তাঁর। যেহেতু আবীরের বাবা-মাও অভিনেতা, তাই এক্ষেত্রে সুবিধার কথাই বললেন তিনি। ‘আমি, বাবা, মা আমরা তিনজনই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাদের কাজের বিষয়ে আমাদের থেকেও বেশি প্যাশনেট হওয়ায় খুব সুবিধা হয়। বাবা-মা-স্ত্রীর সঙ্গে যেমন ছবি নিয়ে আলোচনা হয়, তেমনি সাংসারিক অন্যান্য বিষয়েও কথা,গল্প হয়’, বললেন তিনি।