পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
বাস্তবে মোদিবাবুদের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলার এই বেনজির অবনতি কেন, সেই প্রশ্নই তুলেছে রাজনৈতিক মহল। অনেক দেরিতে (২৯ মে - ২ জুন) হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিদর্শন করেন। হিংসার পিছনে জঙ্গি-যোগের কথা অস্বীকার করেছে সরকার। কিন্তু তারপরেও বাগে আসেনি হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত দুষ্কৃতীরা। মণিপুরের সমস্ত শ্রেণির বাসিন্দাকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা। তিনি যে-দেশের প্রধানমন্ত্রী, মণিপুর কি সেই দেশের একটি অঙ্গরাজ্য নয়? এমনও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে কেন তিনি মণিপুরের মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে মৌনী বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন? সেখানকার নাগরিক সমাজ, এই সন্দেহও উস্কে দিয়েছে—তাহলে প্রধানমন্ত্রীই কি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী! আমাদের প্রধানমন্ত্রী লাজুক কিংবা স্বল্পবাক—এমন কথা কেউ মনে করে না। বরং সবার অভিজ্ঞতা ঠিক এর উল্টো—তিনি অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনেই বেশি কথা বলেন। শ্রোতা থাক বা না-থাক, তিনি নিয়ম করে ‘আকাশবাণী’ প্রচার করেন। তাঁর ওই ‘মন কি বাত’-এ দেশের মানুষের কষ্ট-দুঃখ-যন্ত্রণার কথাই থেকে যায় যারপরনাই উপেক্ষিত। সর্বশেষ ‘মন কি বাত’-এও ছিল যথারীতি অনেক আগডুম বাগডুম, শোনা যায়নি শুধু মণিপুরের কথা, যা শোনার জন্য কান খাড়া করে রেখেছিল সারা দেশ। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মণিপুরের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা। এমনকী বিজেপি বিধায়ক প্রতিনিধিদেরও এই ‘দেবদর্শনের’ সৌভাগ্য হয়নি। তিনি উড়ে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশর সফরে। ইত্যবসরে, ২৪ জুন অমিত শাহের নেতৃত্বে সর্বদল বৈঠক হলেও সমাধান এখনও অধরা। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে সরাবার দাবিও মানা হয়নি। এই অচলাবস্থার ফাঁকে, যুগপৎ বিদেশে হাততালি কুড়িয়ে এবং কটাক্ষ হজম করে ফিরেও এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। শোনা যায়, এরপর তাঁর সঞ্জয়ের (অমিত শাহ) দিব্যদৃষ্টিতে দেখে নিয়েছেন মণিপুরের পরিস্থিতি।
তবু তিনি স্পিকটি নট! মণিপুর পরিদর্শনে যাওয়া তো দূর কি বাত। পরিবর্তে, প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়া গেল ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে। নিজের দিকে না তাকিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিরোধীদের। বিরোধী ঐক্যের উল্লেখযোগ্য চেষ্টায় উদ্বিগ্ন মোদি শান দিলেন মেরুকরণেরই চেনা অস্ত্রে। যেন এই মুহূর্তে এর চেয়ে বড় সমস্যা কিছু নেই দেশে। এই জন্যই মণিপুরে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ ‘স্টিল মিসিং’ পোস্টার পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ইংরেজিতে লেখা সেই পোস্টারের বাংলা তর্জমা এইরকম—‘আপনি কি এই মানুষটিকে দেখেছেন? নাম: নরেন্দ্র মোদি। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। ৫৬ ইঞ্চি চওড়া বুকের ছাতি। ইএনটি স্টেটাস: দৃষ্টিহীন ও বধির। মণিপুর বিধানসভার নির্বাচনী সভায় শেষবার দেখা গিয়েছিল।’