পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
এমনকী, মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করার কারণে বিহার এবং পাঞ্জাবের মতো দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যেও গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদির পার্টি। লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে এখন তারা আদাজল খেয়ে পড়ে রয়েছে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রিয় সরকারের পিছনে। রাজভবনকে ব্যবহার করার পরেও বারেবারে ব্যর্থ হয়েছে তারা কলকাতায়। স্বঘোষিত নীতির রাজনীতির কারবারিদের এজন্য নিন্দামন্দ যা হচ্ছে, স্বাধীন ভারতে তার তুলনা কই! ‘ভারতেশ্বর’ হওয়ার পরই মোদি অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছিলেন ভীমরবে। কিন্তু ২০২৪ যত এগিয়ে আসছে, তত যেন দম ফুরচ্ছে তার। পাঞ্জাব, বিহার, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলিতে পালাবদলের খতিয়ান সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। ক্রমে সোনার পাথরবাটির আকার নিচ্ছে এনডিএ নামক গেরুয়া মহাজোট। প্রায় এক দশকের এই কাহিনি হালফিল রাজনীতির জন্য নতুন করে এই শিক্ষাই রেখেছে যে, মানুষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের বিকল্প নেই। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষের জন্য এবং মানুষের হয়ে কাজ করাই হল রাজনীতির সার্থকতা। যে দল বা জোট এটা আন্তরিকভাবে করতে পারে, মানুষ নিজেরই স্বার্থে তার পাশে থাকে। সেই দল বা জোটের সংগঠন মজবুত হয়। স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ‘জয়’ হয় তারই। আর এর উল্টোপথে যাদের চলাফেরা তাদের নামের পাশে ‘পরাজয়’ ভিন্ন অন্যকিছু লেখার অবকাশ রাখে না গণতন্ত্র।
যারা বুদ্ধিমান তারা দেখেই শেখে। এক দশকের দুঃসময় সবে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে কংগ্রেস। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, ... সন্তর্পণেই এগচ্ছে নেহরু, ইন্দিরার দল। দিন কয়েক আগে পাটনায় অনুষ্ঠিত বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের আলোচনা অনুষ্ঠানেও রাহুল গান্ধীর ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। এই জোট চূড়ান্ত করার প্রশ্নে অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেসের কাছে আরও দায়িত্ববোধ প্রত্যাশিত। আর ঠিক তখনই সামনে এল কর্ণাটকের পড়শি রাজ্য তেলেঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পার্টি ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে (বিআরএস) বড়সড় ভাঙনের ছবি। সোমবার বিআরএসের প্রাক্তন মন্ত্রী, এমপি, বিধায়ক প্রভৃতি মিলিয়ে ৩৫ জন বড় নেতা দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেছেন। তাঁরা দেখা করেছেন রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে। এই বিক্ষুব্ধ বিআরএস নেতাদের কংগ্রেসে যোগদান উপলক্ষ্যে তেলেঙ্গানার খাম্মামে শীঘ্রই জনসমাবেশও করা হতে পারে। সেখানে বিশেষ ভূমিকায় পাওয়া যেতে পারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। চলতি বছরের একেবারে শেষদিকে তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের লক্ষ্য, বেঙ্গালুরুতে পালাবদলের পুনরাবৃত্তি হায়দরাবাদেও ঘটানো। এমন একটি যুগসন্ধিক্ষণে কংগ্রেস যেন অতি উৎসাহে নির্বাচিত কেসিআর সরকার ফেলে দেওয়ার চিন্তাও না করে। সেটা হবে নিজের হাতে বাড়া ভাতে ছাই ফেলার মতোই কাণ্ড। তাদের নামে নিন্দা ছড়াবে বিজেপির থেকে বহুগুণ। কংগ্রেসের কাছে সংযম এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাই প্রত্যাশা করে দেশ।