পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে বললেন, কোনও কিছুকে চোখের পলকে ভ্যানিশ করে দেওয়ার মতো মজার ম্যাজিক আর হয় না। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই যে অদৃশ্য করে দেওয়া বা ভ্যানিশ করা এটা আসলে একটা চোখের খেলা। কিন্তু এই খেলাটা কীভাবে দেখান ম্যাজিশিয়ানরা? সেই রহস্য ভেদ হবে আজ তোমাদের সামনে।
তিনি বললেন, ‘তোমরা সবাই দেখেছ ম্যাজিশিয়ানরা স্টেজে ঢোকেন একটা রঙিন সিল্কের কাপড় নাড়তে নাড়তে। আর স্টেজে ঢুকে কথাবার্তার মাঝে তোমাদের সঙ্গে পরিচিত হতে হতেই তাঁদের হাতের সিল্কটা কোথায় যে মিলিয়ে যায় তোমরা কেউ তা খেয়ালই করতে পার না। আর এই খেলাটার নামই ভ্যানিশিং সিল্ক।’ একটা রঙিন সিল্কের রুমাল নিয়ে স্টেজে ঢুকলেন জাদুকর। ঝলমলে সিল্কটা দু-চারবার তোমাদের চোখের সামনে নাড়লেন তিনি। তারপর সেটা হাতের তালুর মধ্যে গুটিয়ে নিলেন ক্রমশ। গোটাতে গোটাতে হাতও মুঠো করে ফেললেন। তারপর এক দু’মিনিট একথায় সেকথায় কাটল। এরপর তিনি যখন হাতের বন্ধ মুঠো খুললেন, তোমরা দেখলে ওহ মা! সিল্কের কাপড়খানা গেল কই? ম্যাজিশিয়ান
বললেন, ‘ভ্যানিশ!’
মজার কথা হল এই খেলাটা নাকি নেহাতই সহজ। অল্প কয়েকটা উপকরণ থাকলেই অনায়াসে শিখে নেওয়া যায় এই খেলাটা। তাহলে বলি কী
কী লাগবে।
ম্যাজিকের উপকরণ: একটা পাতলা সিল্কের রুমাল, একটা এক ফুটের সরু ইলাস্টিক গার্টার, একটা সেফটিপিন।
ম্যাজিকের পদ্ধতি: রুমালের এক কোণে ইলাস্টিক গার্টার সেলাই করে নিতে হবে। এই ম্যাজিকটা দেখানোর সময় একটা ফুল স্লিভস কোট বা জ্যাকেট পরতে হবে। সেই কোটের একটা হাতার ভিতর দিকে সেফটিপিন দিয়ে ইলাস্টিকটা আটকে দিতে হবে। এবার হাতের মুঠোয় রুমালের কোণ চেপে ধরে তা নাড়াতে নাড়তে স্টেজে ঢুকে পড়তে হবে। কথা বলতে বলতে ক্রমশ রুমালটাকে গোটাতে গোটাতে হাতের ভিতর দিকে চালান করতে থাকো। ইলাস্টিকটা টেনে যে ধরে রেখেছিলে সেটা যেই না ছেড়ে দেবে অমনি তা গুটিয়ে জ্যাকেটের হাতার ভিতর ঢুকে যাবে। আর তোমরাও হাতের মুঠো খুলে সবাইকে দেখিয়ে দেবে রুমাল কোত্থাও নেই। সবাই যখন অবাক চোখে রুমাল রহস্যভেদে মশগুল তোমরা তখন চেঁচিয়ে বলবে, ‘ভ্যানিশ!’