পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
দাঁড়িয়ে রয়েছে এখানকার সুপ্রাচীন সেকুইয়া গাছগুলি।
সমগ্র বিশ্বে ‘রেড উড’ বৃক্ষ গোত্রের মধ্যে বর্তমানে রয়েছে পনেরোটি প্রজাতি। এর মধ্যে সেকুইয়া হল সর্ববৃহৎ আকারের। এই গাছের জন্য একটি নির্দিষ্ট জলবায়ুর প্রয়োজন হয়। সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালার পশ্চিমে এই গাছ সবচেয়ে বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এই জঙ্গল দাবানল প্রবণ। তারপরও সেকুইয়া গাছগুলি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকে। সব গাছই যে টিকে যায়, তা নয়। কিন্তু একবার বেড়ে উঠতে পারলে, এই গাছ জঙ্গলের আগুন সহজেই সহ্য করে নেয়। অন্যান্য গাছের তুলনায় সেকুইয়ার তাপ সহ্য করার ক্ষমতা অনেক বেশি। কিন্তু এমনটা কীভাবে সম্ভব? আসলে সেকুইয়ার গাছের ছাল প্রায় ২০ ইঞ্চি পুরু। গাছের ছালে রয়েছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক উপকরণ । ফলে ছত্রাক ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছগুলি রক্ষা পায়।
আর এই গাছগুলির জীবনচক্রও খুবই অদ্ভুত। তাদের বংশবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আগুনের। ছোট্ট একটি বীজ থেকে এই মহীরুহর জন্ম। আর গাছগুলিতে ফল তৈরি হয় কুড়ি বছর পর পর। শঙ্কু আকৃতির সেই ফলে ছোট্ট ছোট্ট বীজগুলি এক ধরনের শক্ত আঠায় আটকে থাকে। এই খোলের বর্ম ভাঙলে তবেই বাইরে বেরতে পারে বীজগুলি। কাঠবেড়ালির প্রিয় খাদ্য সেকুইয়ার ফল। শক্ত আবরণ ভেঙে খায় কাঠবেড়ালি। তখন বীজ বেরিয়ে পড়ে মাটিতে। তবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আগুনের। জঙ্গলে দাবানলের প্রবল তাপমাত্রা সেকুইয়া ফলের আঠা গলিয়ে ফেলতে পারে। এর জেরে বীজ ছড়িয়ে পড়ে মাটিতে। শুধু তাই নয়, দাবানলের কারণে পোড়া ছাই মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই ছাই ঢাকা মাটি সেকুইয়া বীজের অঙ্কুরোদ্গমের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।