পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
নাসা ও উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম মহাকাশে আলুর চাষ হয়। তার গুণগত মান আশানুরূপ হয়নি। কিন্তু মহাকাশচারীরা আশাহত না হয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্র স্পেসশিপ লাভারের মধ্যে সব্জি চাষ শুরু করেন। এই ছোট্ট গ্রিন হাউসটিতে ২০০২ সাল থেকে চাষাবাদ শুরু হয়। মহাকাশচারীরা লাল, নীল ও সবুজ এলইডি বাতি ব্যবহার করে ‘ভেজ্জি’ পদ্ধতিতে সব্জি চাষে নতুনত্ব এনে খুবই সাফল্য লাভ করেছেন। লাল ও নীল এলইডি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে বিচ্ছুরিত করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সবুজ এলইডি সব্জিগুলোকে খাওয়ার জন্য আরও উপযুক্ত করে। ২০১৫ সালে লেটুস পাতার চাষ করেছিলেন মহাকাশচারীরা। ৩০ দিন পর তা তাঁরা খেয়েছিলেন এবং এর পুষ্টিমূল্যও অক্ষুণ্ণ ছিল বলে নাসা জানিয়েছে।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে চীনা বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন মার্কিন মহাকাশচারীরা। রঙে ও স্বাদে অতুলনীয় এই চীনা বাঁধাকপি উৎপাদনে প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন নভশ্চর পেগি হুইটসন।
২০২০ সালে মহাকাশে ফসল ফলানোর বেশি সাফল্য এল মুলো চাষ করে। নাসার মহাকাশচারী এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কেট রুবিনস মহাকাশ স্টেশনে মুলোর উৎপাদন সম্ভব করেছিলেন।
পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাঠানো খাবার দু’-তিন বছর ভালো থাকে। মহাকাশে উৎপাদিত সব্জি নভশ্চরদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই কাজ দেয়। বিস্বাদ, বাসি খাবার থেকে তাঁদের মুক্তির দরজা খুলে দেবে এই গবেষণা। চলতি বছরে মহাকাশে জিনিয়া ফুল ফুটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশচারীরা। কক্ষপথে ন্যূনতম অভিকর্ষের ক্ষেত্রে কীভাবে উদ্ভিদ বিকাশ লাভ করতে পারে, সেটা দেখাও এই গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য। এই গবেষণা থেকে পৃথিবীর চাষাবাদেও ভবিষ্যতে কিছু দিক নির্দেশ আসবে বলেই নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করেন।