Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আলিনগরের আখ্যান

আজ ২ জুলাই। বাংলার ইতিহাসে এই দিন ফিরে ফিরে এসেছে। কলকাতা হয়েছে আলিনগর, কিংবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সিরাজ-উদ-দৌলা। অতীতকে শব্দে ধরলেন সৌম্য নিয়োগী

‘হলওয়েল মনুমেন্ট জাতীয় পরাধীনতার অন্যতম চিহ্নস্বরূপ। ৩ জুলাই সিরাজউদ্দৌলার স্মৃতিদিবসের মধ্যে সেটি লোকচক্ষুর অন্তরালে সরাইয়া লইবার দাবি বাংলার সরকারের নিকট করা হইয়াছে।’ আজকের কলকাতার কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের নাম তখন অ্যালবার্ট হল। তিল ধারণের জায়গা নেই। বক্তব্য রাখছেন সুভাষচন্দ্র বসু। ২৯ জুন, ১৯৪০। হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলন চরম আকার নিচ্ছে। শুধু জনসভা নয়, ফরওয়ার্ড ব্লক পত্রিকাতেও সুভাষের ঘোষণা, ‘আগামী ৩ জুলাই আমাদের অভিযান শুরু হবে। প্রথম দিনের বাহিনী পরিচালনা করব আমি নিজে।’ প্রমাদ গুণল ইংরেজ সরকার। এলগিন রোডের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হলেন সুভাষচন্দ্র। তারিখটা বাংলার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ২ জুলাই। কলকাতা, নবাব সিরাজ, ইংরেজ— কার ভাগ্য জড়িয়ে নেই এই তারিখের সঙ্গে। এই দিনের চক্করে কলকাতা নিজের নামটাই হারাতে বসেছিল। আজও দৈবাৎ পুরনো বইপত্র ঘাঁটতে বসলে সামনে চলে আসে সেই নাম... আলিনগর।
সেই ইতিহাস সুভাষচন্দ্রের গ্রেপ্তারি থেকে আরও ১৮৪ বছর আগের। ৯ রজব, ১১৬৯ হিজরি। ইংরেজি ক্যালেন্ডারে ৯ এপ্রিল, ১৭৫৬। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আলীবর্দী খাঁ মহাবত জঙ-বাহাদুর। এক সপ্তাহের মধ্যেই সিরাজউদ্দৌলা বিনা বাধায় বাংলার তখ্‌঩তে বসলেন। প্রথমে কিছুটা প্রশাসনিক সংস্কার। বলা‌ ভালো, বেগড়বাঁই করার সম্ভাবনা থাকা কর্মচারীদের ছেঁটে ফেলা শুরু হল। সিরাজকে সরানোর ষড়যন্ত্র অবশ্য তার আগে থেকে শুরু করে দিয়েছেন বড় মাসি ঘসেটি বেগম। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র, মুন্সি নবকৃষ্ণ, রাজা রাজবল্লভ, জগৎশেঠ, মীরজাফর, রায়দুর্লভরাও সেই দলে। চক্রান্তকারীদের চিনতে ভুল করেননি নবাব। তাই ঘসেটি বেগমকে মোতিঝিলের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চলে আসেন নিজের প্রাসাদে। এমনকী সিরাজের দৃঢ় ধারণা হয়েছিল, ইংরেজরাও নাকি এই চক্রান্তের অংশীদার। 
ঘসেটি বেগমের বিশ্বস্ত প্রিয়পাত্র দেওয়ান রাজবল্লভকে আগে থেকেই সহ্য করতে পারতেন না নবাব। তাই মসনদে বসার পরেই তাঁর কোষাগার দখলে ঢাকায় লোক পাঠালেন। কিন্তু অতিশয় চালাক রাজবল্লভ আগেভাগে ছেলে কৃষ্ণদাসকে টাকাকড়ি-ধনরত্ন নিয়ে কলকাতায় পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কাশিমবাজারের ইংরেজ কুঠির সর্দার উইলিয়ম ওয়াটসের বদান্যতায় কলকাতার গভর্নর রজার ড্রেকের কাছে আশ্রয় নেন কৃষ্ণদাস। সিরাজও ছাড়ার পাত্র নন। একে ইংরেজদের উপর তিনি খাপ্পা। কারণ, তাঁর মসনদে বসার সময় নবাবি নজরানা দেয়নি ওরা। তার উপর তাঁর অনুমতি না নিয়েই শুরু হয়েছিল কেল্লার সংস্কার। সব মিলিয়ে ক্ষিপ্ত নবাব তখন দূতের মাধ্যমে গভর্নর ড্রেককে বার্তা পাঠালেন— দুর্গ সংস্কার বন্ধ কর। আর, রাজবল্লভের ছেলে কৃষ্ণদাসকে পত্রপাঠ মুর্শিদাবাদে ফেরত পাঠাও। কিন্তু কর্ণপাত করলেন না ড্রেক। জবাব এল— কোনওটাই সম্ভব নয়। সিরাজ তখন পূর্ণিয়ার পথে। শওকত জঙ্গকে শায়েস্তা করতে যাচ্ছেন। সেই সময়ই এসে পৌঁছল ড্রেকের জবাব। তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন সিরাজ। পূর্ণিয়া অভিযান স্থগিত রইল। সসৈন্যে রওনা হলেন কলকাতার উদ্দেশে। প্রথমে কাশিমবাজার কুঠি দখল করে নবাব বন্দি বানালেন ইংরেজ কর্মচারীদের। সেই বন্দিদের মধ্যে অন্যতম ওয়ারেন হেস্টিংস। দিনটা ২৪ মে, ১৭৫৬। সিরাজ যদি এখানে থেমে যেতেন তাহলে বাংলার ভাগ্য হয়তো অন্যরকম হতো। কিন্তু নবাব তো সেই পাত্র নন।
৫ জুন। ত্রিশ হাজার সৈন্যসামন্ত নিয়ে তিনি চললেন কলকাতা দখলে। কোম্পানির মালখানায় কিন্তু তখন বেশি কিছু টাকাকড়ি ছিল না। ডালহৌসি স্কোয়ারে পুরনো কেল্লা— ফোর্ট উইলিয়ামের অবস্থাও তথৈবচ। দেওয়াল নড়বড়ে। বুরুজে জংধরা কতগুলো কামান। নামমাত্র গোলা-বারুদ। আর সৈন্যসংখ্যা? মাত্র ২৭৫ জন। তার মধ্যেও ৭০ জন অসুস্থ, ২৫ জন বাইরে। বাকি ১৮০-র মধ্যে আবার মাত্র চারজন গোরা সাহেব। বাকিরা মেটে-ফিরিঙ্গি। সেনাপতি ক্যাপ্টেন জর্জ জীবনে যুদ্ধ করেননি। দৌত্যের শেষ চেষ্টা করলেন ড্রেক। কিন্তু সিরাজ ততক্ষণে কালনার পথ ধরে হুগলির কাছে। বাহিনী জোগাড়ে নামল নিরুপায় ইংরেজরা। তবে মিলল জনাকতক জাহাজি-গোরা, ফিরিঙ্গি, আরমানি। সব মিলিয়ে ৫১৫ জন, যারা জীবনেও বন্দুক ধরেনি।
ততদিনে কলকাতাজুড়ে রব উঠেছে... সিরাজ আসছে, মহাসব্বনাশ দুয়ারে। শহর ছেড়ে পালানোর ধুম পড়েছে। গোবিন্দ মিত্তিরই শুধু রয়ে গেলেন। ইংরেজরা গোটাকতক কামান নিয়ে গড় বানাল বাগবাজারে পেরিন-সাহেবের বাগানের উত্তর সীমানায়, চিৎপুর ব্রিজের গায়ে। ২৫ জন সৈন্য নিয়ে এডওয়ার্ড পিকার্ড সেখানকার চার্জে রইলেন। তৈরি হল আরও তিনটি ব্যাটারি বা তোপমঞ্চ। একটি লালদিঘির উত্তর-পূর্বে, এখন যেখানে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চ। একটি রানি মুদিনীর গলির কাছে, আজকের গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের সামনে। এবং একটি পুরনো কেল্লার উত্তরে, তৎকালীন সেন্ট অ্যান গির্জার কাছে। সেই গির্জা অবশ্য আর নেই। 
ততদিনে উমিচাঁদ এবং কৃষ্ণদাসকে কেল্লার গারদে ঠুসে দেওয়া হয়েছে। শোনা গেল, আশপাশের জমিদারদের উপর নবাব কড়া হুকুম, কেউ যেন ইংরেজদের রসদ দিয়ে সাহায্য না করে। 
১৫ জুন। হুগলির কাছে গঙ্গা পেরিয়ে এপারে পৌঁছে গেলেন নবাব। যুদ্ধ আসন্ন তা বোঝাই যাচ্ছিল। মাদ্রাজ-কাউন্সিলকে সৈন্য পাঠানোর জন্য চিঠি লেখা হল। কেল্লায় মাসদুয়েকের খাবার জড়ো করল ইংরেজরা। আশ্রয় নিলেন মেমসাহেবরাও। পরদিনই মীরজাফরের নেতৃত্বে চিৎপুরে খালের ধারে পৌঁছে গেল সিরাজের একদল সৈন্য। কিন্তু সেখানেই থামতে হল তাদের। কারণ, পিকার্ড মহাবিক্রমে লড়লেন। পিছু হটলেন মীরজাফর। ফিরে গেলেন দমদমে, নবাবের ছাউনিতে।
প্রথম রাউন্ডে জয় তাতিয়ে দিল ইংরেজদের। নবাবের চিন্তা ততক্ষণে বাড়িয়েছে মারাঠা ডিচ। এমন সময় দেবদূতের মতো এসে উপস্থিত হলেন উমিচাঁদ ঘনিষ্ঠ জগন্নাথ সিং। শহরে ঢোকার দু-দু’টি পথ বাতলে দিলেন তিনিই। তার মধ্যে একটি বর্তমানে টালার কাছে একটি ছোট সাঁকো। অন্যটি শিয়ালদহের কাছে মারাঠা ডিচের উপরকার নিচু সেতু। ব্যস, হাতি-ঘোড়া, ভারী কামান নিয়ে কলকাতায় ঢুকে পড়লেন সিরাজ। ঘাঁটি গাড়লেন হালসিবাগানে উমিচাঁদের বাগানবাড়িতে। ততক্ষণে অবশ্য বউবাজার, বড়বাজারের দিশিপাড়ায় লুটপাট, আগুন লাগাতে শুরু করেছে নবাবি সৈন্যরা।
১৮ জুন, শুক্রবার। ইসলামি মতে শুভ দিন। শুরু হল লালদিঘির যুদ্ধ। খোলা তোপমঞ্চে অধস্তন জেফনায়া হলওয়েলকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন ডেভিড ক্লেটন। দেখতে দেখতে শুরু জোরদার লড়াই। ফাঁকা বাড়িগুলির আড়াল থেকে নবাবের সৈন্যের গোলাগুলিতে পিছু হটল ইংরেজরা। ক্যাপ্টেন ক্লেটন তখন কেল্লায় পাঠালেন হলওয়েলকে। বললেন, ‘তুমি গভর্নরকে খবর দাও।’ তিনি ঘুরে আসতে আসতে অবশ্য লালদিঘির যুদ্ধ খতম। নবাবের সেনা এসে কামানগুলি দখল করে সেগুলি ইংরেজদের বিরুদ্ধেই কাজে লাগাল। শিশুদের নিয়ে নৌকায় উঠে পালাতে শুরু করলেন মেমসাহেবরা। পালালেন প্রধান সেনাপতিও।
১৯ জুন। আলো ফুটতে না ফুটতে শুরু হয়ে গেল কেল্লা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ। ইংরেজ সৈন্যদের আশ্রয়স্থান তখন সেন্ট অ্যান গির্জা। গোলাবারুদ প্রায় শেষ। যে মেমরা তখনও পালাননি, তাদের তুলে দেওয়া হল নৌকায়। সেদলে ভিড়লেন গভর্নর ড্রেক স্বয়ং। তাঁর পরিবর্তে কেল্লার বাকি সাহেবরা মনোনীত করলেন হলওয়েলকে। তিনি অবশ্য ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন, এখন লড়াই নয়, সন্ধির সময়। 
২০ জুন। রবিবার। ইংরেজদের আর যুদ্ধ করার ইচ্ছে নেই। নবাবের সেনারা তিন দিক থেকে ঘিরে ধরল কেল্লা। হলওয়েল বন্দি উমিচাঁদকে ধরে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না। কেল্লার ভিতর থেকে গঙ্গায় যাওয়ার ফটক ভেঙে পালায় এক ওলন্দাজ পল্টন। সেই পথ ধরেই ঢুকে পড়ে নবাবি সৈন্য। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন হলওয়েল। যুদ্ধ শেষ। দোলায় চড়ে হাজির সিরাজ। হলওয়েলকে বললেন, ‘এমন সুন্দর শহরটাকে নষ্ট করতে বাধ্য করল তোমাদের ড্রেক। সত্যিই দুঃখ হচ্ছে!’ 
ততদিনে রাজবল্লভের সঙ্গে নবাবের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। উমিচাঁদ আর কৃষ্ণদাস দু’জনকেই মুক্তি পেলেন। ৫০-৬০ জন সাহেবকে নিয়ে হলওয়েল রয়ে গেলেন কেল্লাতেই। রাতটা অবশ্য সুখে কাটল না। তর্কাতর্কির জেরে কেল্লার গারদখানার মধ্যেই তাঁদের পুরে দিল পাহারাদাররা। অসহ্য গরমে সেই খুপরিতেই প্রায় ৩০ জন দমবন্ধ হয়ে মারা যান। ২১ জুন। হলওয়েল সেই অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে নবাবকে সব জানালেন। পাত্তা দিলেন না সিরাজ। ২৪ জুন। মাত্র ৫০ হাজার টাকা হাতে এসেছে। নবাব তো রেগে আগুন! বাড়িঘর সব জ্বালিয়ে দিলেন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না! রাগ করে শেষপর্যন্ত কলকাতার আদ্যিকালের নামটা পর্যন্ত তুলে দিলেন তিনি। আলিবর্দীর নামে নতুন পরিচয় দিতে চাইলেন শহরটাকে।
২ জুলাই। মুর্শিদাবাদের পথ ধরলেন সিরাজ। তার আগে নবাবি সিলমোহর পড়ল শহরের নতুন নামে। কলকাতা বদলে গেল আলিনগরে। নতুন শাসক মানিকচাঁদ। বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হল হলওয়েলকে।
হলওয়েল পরে গারদে মৃত্যুর সংখ্যাটাকে শতাধিক বলে দাবি করেন। বাংলার ইতিহাসে সেই ঘটনাই অন্ধকূপ হত্যা নামে কুখ্যাত। সেই গল্পটাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৭৬০ সালে হলওয়েল বানান এক স্মৃতিস্তম্ভ, ব্ল্যাকহোল মনুমেন্ট। পরে অবশ্য তা সরিয়ে দেয় ইংরেজরাই। ১৯০২ সালে লর্ড কার্জন বড়লাট হয়ে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনেন সেই স্মৃতিস্তম্ভটি। নাম দেন হলওয়েল মনুমেন্ট। গ্রেপ্তার হলেও সেটিকে শেষ পর্যন্ত সরিয়ে ছেড়েছিলেন সুভাষচন্দ্র।
আলিনগরের ইতিহাসের শেষটা অবশ্য করুণ। নামকরণের ঠিক একবছরের মাথায় পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্লাইভ বাহিনীর কাছে পরাজিত হন সিরাজ। ৩০ জুন, ১৭৫৭। দুপুরবেলা রাজমহলের কাছে ধরাও পড়েন। তাঁকে নিয়ে আসা হয় মুর্শিদাবাদে, ক্লাইভের কাছে। সেই রাতে মীরনের নির্দেশে মহম্মদী বেগ নৃশংসভাবে হত্যা করেন বাংলার শেষ নবাবকে। ঘটনাচক্রে সেদিনটাও ছিল ২ জুলাই।
ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
 
02nd  July, 2023
ঘাতক বাহিনী
পুতিনের ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন!

‘মার্সেনারি’-র অর্থ ভাড়াটে সেনা। মধ্যযুগ থেকেই ইউরোপে দেখা গিয়েছে তাদের দাপট। এই আধুনিক যুগেও ‘মার্সেনারি’দের বেজায় কদর। সময় পাল্টেছে। তবে নোট ফেললে আজও হাজির করা যায় তাদের। বিশ্বের কুখ্যাত সেই সব মার্সেনারি বাহিনীর অজানা কাহিনিই লিখলেন মৃণালকান্তি দাস। বিশদ

09th  July, 2023
ভয়ঙ্কর ব্ল্যাকওয়াটার

ওভাল অফিস ছাড়ার আগে এরিক প্রিন্সের যাবতীয় অপরাধ গোপনে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ‘পরাজিত’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার সীমাহীন ক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য তাঁকে কোনও কৈফিয়ত পর্যন্ত দিতে হয় না। বিশদ

09th  July, 2023
বিশ্বের সেরা মার্সেনারি বাহিনী

ভাড়াটে যোদ্ধাদের ইতিহাস বহু পুরনো। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, এটাই পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীন পেশা। মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ পি ডব্লু সিঙ্গার ‘কর্পোরেট ওয়ারিয়র্স: দ্য রাইজ অব দ্য প্রাইভেটাইজড মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি’ বইয়ে লিখেছেন, ‘প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার উর রাষ্ট্রের সুমেরীয় রাজা শুলঘি (খ্রিস্টপূর্ব ২০৯৪-২০৪৭) প্রথম ভাড়াটে সেনাদের কাজে লাগান। বিশদ

09th  July, 2023
ইন্ডিয়া  ইজ...

আজ ১২ জুন! সকালটা খারাপভাবে শুরু হল।  এই তো কিছুদিনের আগেই মস্কোয় ভারতের রাষ্ট্রদূত থাকা দুর্গা প্রসাদ ধরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইন্দিরা। বিশদ

25th  June, 2023
ইমার্জেন্সি
 

সরকার নির্দেশ দিয়েছে? সব জিনিসের দাম এত বাড়ছে কেন? সরকার আগে দাম এত বাড়ছে কেন? সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

25th  June, 2023
বিবর্তনের ডারউইনবাদ
মৃন্ময় চন্দ
 

১৮ই অক্টোবর, ২০০৪। রাত সাড়ে দশটা। তামিলনাড়ুর পাড়ির ‘সেভেনথ ডে ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল’। ছায়ামূর্তির মতো স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কমান্ডোরা চুপিসারে পজিশন নিচ্ছে। পিক্কিলি পাহাড় থেকে নেমে, ভুট্টাখেতের আল ধরে চার ছায়ামূর্তি এসে উঠল রাস্তার ধারে অপেক্ষমাণ একটি অ্যাম্বুলেন্সে। বিশদ

18th  June, 2023
মৃত্যুসফর
শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

অন্ধকার জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছে আমাদের গাড়ি। মাঝরাত। বাইরে মাঝেমধ্যে ঝলসে উঠছে আলো। ভিতরে উৎকণ্ঠায় জ্বলজ্বলে ছ’জোড়া চোখ। বালেশ্বর আর কতদূর! গাড়িতে উঠে থেকে মোবাইলটা সামনে থেকে সরাতে পারিনি। আপডেট ঢুকছে... একের পর এক। ওড়িশায় ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিশদ

11th  June, 2023
স্বজনহারার  স্তব্ধতা
অলকাভ নিয়োগী

চওড়া বাদশাহী রোড। বাঁদিক ঘেঁষে গাড়ি নামল একফালি সরু রাস্তায়। আকাশে তখন হলদে চাঁদ। পূর্ণিমার আগের রাত। জোৎস্না গলে গলে পড়ছে দু’পাশের সারিবদ্ধ দোকানে। টিমটিম করে জ্বলছে ব্লাল্বের আলো। হাজার মানুষের ভিড়। অথচ, অদ্ভূত এক নিস্তব্ধতা। হঠাৎ, নাকে এল ‘মৃত্যুর গন্ধ’। বিশদ

11th  June, 2023
ক্ষণ-জন্মা
সমৃদ্ধ দত্ত

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সংসদ মার্গ, নয়াদিল্লি-১১০০১। বিকেল সাড়ে ৫টা। ৮ নভেম্বর, ২০১৬। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ডের জরুরি মিটিং। ৫৬১ তম। ‌ভারত সরকারের ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি শক্তিকান্ত দাস জানতে চাইছেন, প্রস্তাবটি সম্পর্কে বোর্ডের মতামত কী? যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেটির ভালো ও মন্দ কী কী হতে পারে?  বিশদ

04th  June, 2023
শ্যামাসঙ্গীতের পূজারি
সোমনাথ বসু

১৯৩০ সাল। মে মাসের ৭ তারিখ, বুধবার। প্রচণ্ড গরম। সকাল থেকেই গাছের পাতা স্তব্ধ। কলকাতার আকাশে-বাতাস কেমন যেন গুমোট হয়ে আছে। এন্টালির ৮/১ পালবাগান লেনের বাড়িতে আনচান করছেন কবি। বসন্ত রোগে আক্রান্ত ছেলে বুলবুলের শরীরটা বেশ খারাপ। বিশদ

28th  May, 2023
বিদ্রোহী
বিশ্বজিৎ রায়

তখন বিশ্বযুদ্ধের দামামা থেমেছে। ফলাফলের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষভাবে টের পেতে শুরু করেছে যুদ্ধে-নামা দেশগুলি। ইংরেজ উপনিবেশ ভারতবর্ষের সঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যোগ পরোক্ষ। তবে অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ এদেশের গায়েও লেগেছে। বিশদ

28th  May, 2023
মাফিয়া মার্ডার মিস্ট্রি

সালটা ১৯৯৬। নতুন বছর শুরু হতে তখনও মাসখানেক বাকি। সবে ‘রেলনগরীর আন্ডারওয়ার্ল্ড’ সিরিজের দুটো কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের মাইকো গলির যে বাড়িটা বর্তমান’এর জেলা অফিস বলে পরিচিত ছিল, এক বৃহস্পতিবারে সকাল ১০টা নাগাদ সেখানকার ল্যান্ড লাইনটা বেজে উঠল। বিশদ

21st  May, 2023
হাইচরিত
মৃন্ময় চন্দ

‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।’ কিন্তু জৃম্ভণ, থুড়ি হাই তোলা দিয়েও কি তা সম্ভব? বিজ্ঞান বলছে, হ্যাঁ। শুধু চেনা নয়, হাড়ে হাড়ে চেনা যায়। সুন্দরী উদ্ভিন্নযৌবনার দিকে অপলকে চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ বেয়াদপ-বেআক্কেলে হাই হোক কিংবা পরীক্ষা হলে চোতা বার করে গুছিয়ে বসতে গিয়ে জল্লাদ পরীক্ষকের সঙ্গে শুভদৃষ্টির সময় সর্বহারার সব খোয়ানো হাই বিশদ

14th  May, 2023
রাজকাহিনি 
রূপাঞ্জনা দত্ত

এক যে ছিল রাজা, তার ছিল এক রানি’—শৈশবে রূপকথার বই যে উত্তেজনাকর রোমাঞ্চ মনে ছড়িয়ে দিত, তাকে নেহাত গল্প বলেই মনে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যে এমন রাজা-রানি রয়েছে, তা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বুঝতে শিখেছি। বিশদ

07th  May, 2023
একনজরে
২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। একবছরের মধ্যে তা বেড়েছে আড়াই শতাংশ। তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে সব ধরনের ...

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ম্যাকাউট) উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হল অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই অধ্যাপকের কাছে ...

মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM