Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বিদ্রোহী
বিশ্বজিৎ রায়

তখন বিশ্বযুদ্ধের দামামা থেমেছে। ফলাফলের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষভাবে টের পেতে শুরু করেছে যুদ্ধে-নামা দেশগুলি। ইংরেজ উপনিবেশ ভারতবর্ষের সঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যোগ পরোক্ষ। তবে অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ এদেশের গায়েও লেগেছে। ভারতবাসীর প্রতি ইংরেজদের অত্যাচার কত কদাকার ও পাশবিক হতে পারে, তা প্রমাণ করেছে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ড। সে-সময় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসে ভারতীয় রাজনীতিতে মহাত্মা গান্ধী নতুন নীতির ও প্রতিবাদের ভাষা নির্মাণ করছেন। বলশেভিক বিপ্লবের খবর এদেশে এসে পৌঁছেছে। সেই সূত্রেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে শ্রেণিস্বার্থ যে গুরুত্বপূর্ণ, এই বোধে তরুণেরা সচেতন হয়ে উঠছেন। তাছাড়া এদেশে কাটা-ঘায়ে নুনের ছিটের মতো জ্বালা ধরাচ্ছে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িকতা। ঠিক এই সময় যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে এসে বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য-অঙ্গনে গভীর ভাবে প্রবেশ করলেন নজরুল ইসলাম। 
‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ (১৯২১) কবিতাটি প্রকাশ পেতেই বাঙালি-পাঠক তাঁর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তীব্র ভাবে সচেতন হয়ে উঠলেন। এই নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার জন্য আশীর্বাণী লিখে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যার (১১ আগস্ট ১৯২২) প্রথম পৃষ্ঠায় তাঁর হাতের লেখায় ছাপা হয়েছিল সেই আশীর্বচন। ‘অলক্ষণের তিলক রেখা/ রাতের ভালে হোক্‌ না লেখা,/ জাগিয়ে দেরে চমক্‌ মেরে/ আছে যারা অর্দ্ধচেতন!’ এই চমক মেরে জাগিয়ে দেওয়ার কাজটাকে রবীন্দ্রনাথ সে-সময় নানা ভাবে বিচার করছিলেন। এর আগে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজ পত্র’ (১৯১৪) যখন প্রকাশিত হয়েছিল তখন তিনি আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচানোর কথা বলেছিলেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির বিবেচনা রবীন্দ্রনাথের তারুণ্যকে গ্রাস করতে পারেনি। সামাজিকতার কায়েমি স্থিতিকে নানাভাবে প্রশ্ন করতে চাইছিলেন তিনি। সেই আবেগ একরকমের গতিময় তীব্র কাব্যভাষার জন্ম দিয়েছিল। ‘সবুজ পত্র’-এর পাতায় তার প্রমাণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ‘সবুজ পত্র’-এর প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘আমরা চলি সমুখ পানে’ নামের কবিতা। ঘোষণা করলেন, ‘জাগবে ঈশান,  বাজ্‌বে বিষাণ/  পুড়বে সকল বন্ধ/ উড়বে হাওয়ায় বিজয় নিশান/ ঘুচবে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।’  এই যে উচ্চকিত ঘোষণাময় কবিতার ভাষা তা বিদ্রোহী কবি নজরুলের লেখায় তীব্রতর হয়েছিল।
লেখায় এই চমক নজরুলের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগদীপ্ত স্বভাবের ফল। খুবই আবেগতাড়িত ছিলেন তিনি। সেই আবেগের তলায় মননও ছিল। তবে আবেগের ঢেউ আপাতভাবে বড়ই প্রবল। আর সেজন্যই হয়তো আত্মপ্রকাশের পর্ব থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত নজরুলের লেখার চমক আর দোলাতে বাঙালি পাঠক মজে আছে। কিন্তু সেই গতিময়, স্ফূর্তিদীপ্ত, আবেগতীব্র লেখার পিছনে যে বৌদ্ধিক বিবেচনা ছিল বাঙালি তা খেয়াল করেনি। এতে বাঙালির নজরুলবীক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। 
‘ধূমকেতু’ সম্পাদক নজরুল ‘ধূমকেতুর পথ’ নামে যে ইস্তাহারধর্মী রচনাটি লিখেছিলেন, তাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা জনসাধারণকে খেয়াল করানো হয়। ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারি, তার বেশি বুঝবার ভান করে যেন কারুর শ্রদ্ধা বা প্রশংসা পাওয়ার লোভ না করি। তা সে মহাত্মা গান্ধীর মত হোক আর মহাকবি রবীন্দ্রনাথের মত হোক কিংবা ঋষি অরবিন্দের মত হোক, আমি সত্যিকার প্রাণ থেকে যতটুকু সাড়া পাই রবীন্দ্র, অরবিন্দ বা গান্ধীর আহ্বানে, ঠিক ততটুকু মানব।’ এ-কথা সেদিন মুক্তকণ্ঠে বলা খুব সহজ ছিল না। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় এর আগেই নজরুল লিখেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহী ভৃগু’ – ভগবানের বুকে বিদ্রোহের পদচিহ্ন এঁকে দেওয়া ভৃগুকে যে নিতান্ত আবেগ থেকে স্মরণ করেননি কবি তা এই ‘ধূমকেতু’র পথ  লেখাটি পড়লেই বোঝা যাচ্ছে। ভৃগু যেমন-তেমন ভক্ত নন। পরিপ্রশ্নশীল ভক্ত। ঈশ্বরকে নির্বিচারে গ্রহণ করেন না। রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ, গান্ধীর ভক্তরা তাঁদের অনুসরণ করেন মাত্র। কিন্তু তাঁদের কথাটুকু নিজের মতো বাজিয়ে দেখে যেটুকু গ্রহণ করার, সেটুকু গ্রহণ ও যা বর্জন করার, তা  বর্জন করেন না। এই অন্ধ গুরুবাদী ভক্তিতন্ত্র রাজনৈতিক সাধারণতন্ত্রের বিরোধী। এই ভক্তিতন্ত্র সামন্ততন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। নজরুল সাধারণতন্ত্রের পক্ষে। ভৃগু এই পৌরাণিক চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি জনসাধারণকে সাধারণতন্ত্রের মহিমা সম্বন্ধে সচেতন করে তুলছেন। 
এ কথাটি রবীন্দ্রনাথও কি সমকালে বলেননি? সমকালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’ নাটকে বিদ্রোহী ধনঞ্জয় বৈরাগী রাজার অন্যায় দাবির বিরুদ্ধে প্রজাদের পাড়ায় পাড়ায় গান গেয়ে খেপিয়ে বেড়ায়। এই প্রজারা ধনঞ্জয়কে তাদের হয়ে ভেবে দিতে বললে সে এই ‘অতিভক্তি’র বিরোধিতা করে। কথাটা নিজে বোঝা চাই, যেটুকু বিশ্বাস করার বা গ্রহণ করার সেটুকুই বিশ্বাস করা চাই। রবীন্দ্রনাথ এ কথাটি কেবল ‘মুক্তধারা’ নাটকে আটকে রাখেননি। গান্ধীর সঙ্গে চরকা বিষয়ক বিতর্কেও উত্থাপন করেছিলেন। গান্ধী যখন অহিংসপন্থা ও চরকার কথা বলছেন, তা বুঝে এবং আত্মবিশ্বাস থেকে বলছেন। দলচর গান্ধীবাদীরা কিন্তু যান্ত্রিকভাবে অনুকরণ করছেন মহাত্মাকে। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ যান্ত্রিক চরকাপন্থীদের বিরোধী। নজরুলের বিদ্রোহী ভৃগুপন্থা আসলে ব্যক্তিগত চিন্তার স্বরাজপন্থা। যাঁরা তাঁর কাব্যকথার আবেগে তলিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা কথার সত্যটি মননে উপলব্ধি করতে পারেননি।
নজরুল পূর্ণ স্বরাজের দাবি উত্থাপন করেন এই লেখাটিতে, ‘স্বরাজ-টরাজ বুঝি না, কেননা, ও কথাটার মানে এক এক মহারথি এক এক রকম করে থাকেন। ভারতবর্ষের এক পরমাণু অংশও বিদেশের অধীন থাকবে না।’  অর্থাৎ ‘মহারথি’দের দার্শনিক-তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার চেয়ে নজরুলের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণের ভাষায় সোজা-সাপ্টা সার্বিক অধিকার। এই সোজা-সাপ্টা ভাষাই ছিল নজরুলের সাংবাদিকতার গদ্যের মূল বৈশিষ্ট্য। হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের কারণ নির্দেশ করতে গিয়ে সহজ কথাটি বলে দিতে পেরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের দূরত্ব নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল তাঁর, তখন কবিগুরু নাকি বলেছিলেন, ‘যে ন্যাজ বাইরের তাকে কাটা যায়। কিন্তু ভিতরের ন্যাজকে কাটবে কে?’ ভিতরের ন্যাজের চিহ্ন কী? নজরুল বলবেন ‘টিকিপুর ও দাড়িস্তান’ এই ভিতরের ন্যাজকে ধরে রেখেছে। লোকাচার আর শাস্ত্রাচার ধর্মের সত্যকে মেরে ফেলে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে বড়ো করে তুলছে। নজরুলের জিজ্ঞাসা, ‘মানুষ কি এমনই অন্ধ হবে যে, সুনীতিবাবু হয়ে উঠবেন হিন্দু-সভার সেক্রেটারি এবং মুজিবর রহমান সাহেব হবেন তঞ্জিম তবলিগের প্রেসিডেন্ট?’   
এই টিকিপুর আর দাড়িস্তানের অধিবাসীরা ‘পরশ্রমভোগী’ এ-কথাটা নজরুলের বুঝতে অসুবিধে হয়নি। নজরুল তাঁর প্রিয় বন্ধু মুজফ্‌ফর আহমেদের মতো রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন না, সুস্থিত সাংগঠনিক সামর্থ তাঁর ছিল না। তবে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলার কাণ্ডজ্ঞান ছিল। আর সবচেয়ে বড়ো কথা সেই উপলব্ধিকে নির্ভয়ে সাদা কথায় প্রকাশ করতে পারতেন। ‘রুদ্রমঙ্গল’ রচনাটিতে তাঁর নির্ভীক আহ্বান শোনা গেল। ‘জাগো জনশক্তি! হে আমার অবহেলিত পদপিষ্ট কৃষক, হে আমার মুটে-মজুর ভাইরা! তোমার হাতে এ-লাঙল আজ বলরাম-স্কন্ধে হলের মতো ক্ষিপ্ত তেজে গগনের মাঝে উৎক্ষিপ্ত হয়ে উঠুক, এই অত্যাচারীর বিশ্ব উপড়ে ফেলুক – উলটে ফেলুক! আনো তোমার হাতুড়ি, ভাঙো ওই উৎপীড়কের প্রাসাদ – ধূলায় লুটাও অর্থপিশাচ বল-দর্পীর শির। ছোঁড়ো হাতুড়ি, চালাও লাঙল, উচ্চে তুলে ধরো তোমার বুকের রক্ত-মাখা লালে-লাল ঝান্ডা! যারা তোমাদের পায়ের তলায় এনেছে, তাদের তোমরা পায়ের তলায় আনো।’ এই আহ্বান প্রত্যক্ষ, শ্রমশক্তির প্রতি আহ্বান। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দের দুটি ভ্রমণ-কাহিনি – যথাক্রমে সেই ভ্রমণ-কাহিনি দুটি হল ‘বিলাত যাত্রীর পত্র’ ও ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য’। এই দুই ভ্রমণ-কাহিনিতে বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের খেটে খাওয়া মানুষদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ‘বিলাত যাত্রীর পত্র’ ভ্রমণ-কাহিনিতে বিবেকানন্দ লিখেছিলেন, ‘ঐ যারা চাষা-ভুষা, তাঁতি, জোলা ভারতের নগণ্য মনুষ্য, বিজাতিবিজিত স্বজাতিনিন্দিত ছোট জাত, তারাই আবহমান কাল নীরবে কাজ কোরে যাচ্ছে ... সে তোমরা, ভারতের চিরপদদলিত শ্রমজীবী! তোমাদের প্রণাম করি।’ বিবেকানন্দ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে নজরুলের জন্মের বছরে যাঁদের বন্দনা করেছিলেন যুবক নজরুল ‘রুদ্রমঙ্গল’-এ তাঁদের হাতুড়ি-লাঙল তুলে উৎপীড়কের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বললেন। এঁরা সজাগ হলে মোল্লাতন্ত্র আর পুরোহিততন্ত্র নিপাত যেতে বাধ্য। ‘রুদ্রমঙ্গল’ নামটি তাৎপর্যবাহী। রুদ্র ভাঙনের দেবতা। কখনও কখনও ভাঙা গড়ার চেয়েও মূল্যবান। না ভাঙলে মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা করা যাবে কেমন করে! 
বুঝতে অসুবিধে হয় না, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে নজরুল জনগণের পক্ষে পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করছিলেন। সেই দাবি যাতে জনগণের ঐকান্তিক দাবি হয়ে উঠতে পারে সেদিকে তাঁর লক্ষ ছিল, এই সাধারণতন্ত্রের দাবিতে মোল্লাতন্ত্র আর পুরোহিত তন্ত্রের কোনো স্থান নেই। নজরুল ভাগ্যের ফেরে আজীবন তো সরব আর থাকতে পারলেন না। সংবেদীমন ডেকে আনল শারীরিক অসুস্থতা, কবি নীরব হলেন। নীরব নজরুলের জীবন অবশ্য দীর্ঘ। কেবল ভারতবর্ষের ভাঙা স্বাধীনতা পর্যন্ত নয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পর্যন্ত ও তার পরেরও কিছুকাল তাঁর জীবনসীমার অন্তর্গত। জীবনে তিন দেশের নাগরিক তিনি। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ ভারতের নাগরিক, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে ওঠার আগে তিনি ভারতের নাগরিক আর স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করার পর ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে তাঁকে বাংলাদেশে আনা হয়। ১৯৭৬-এ স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর জীবনাবসান। তাঁর সরব দাবি কিন্তু প্রকৃত অর্থে আজও প্রতিষ্ঠিত হল না। ভারতবর্ষ আর বাংলাদেশ দুই দেশের বাঙালি আজ পুরোহিততন্ত্র আর মোল্লাতন্ত্র দুয়ের দাপটের শিকার। ধূমকেতু পথে বিদ্রোহী ভৃগু এখনও হয়ে উঠতে পারেনি তারা। অপেক্ষা অপেক্ষা করে কোনও নায়কের জন্য। কোনও নায়ক কি সত্যই প্রয়োজন! আমরা কি নিজের উপলব্ধিতে সবাই রাজা হয়ে ওঠবার আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারি না!  নজরুল জয়ন্তী আসে যায় – তাঁর চমক লাগানো বাণীর অন্তরালে যে সুদৃঢ় সাধারণতান্ত্রিক পরিকল্পনা তা আমাদের, বাঙালিদের,  অধরাই থেকে যায়।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
28th  May, 2023
ঘাতক বাহিনী
পুতিনের ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন!

‘মার্সেনারি’-র অর্থ ভাড়াটে সেনা। মধ্যযুগ থেকেই ইউরোপে দেখা গিয়েছে তাদের দাপট। এই আধুনিক যুগেও ‘মার্সেনারি’দের বেজায় কদর। সময় পাল্টেছে। তবে নোট ফেললে আজও হাজির করা যায় তাদের। বিশ্বের কুখ্যাত সেই সব মার্সেনারি বাহিনীর অজানা কাহিনিই লিখলেন মৃণালকান্তি দাস। বিশদ

09th  July, 2023
ভয়ঙ্কর ব্ল্যাকওয়াটার

ওভাল অফিস ছাড়ার আগে এরিক প্রিন্সের যাবতীয় অপরাধ গোপনে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ‘পরাজিত’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার সীমাহীন ক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য তাঁকে কোনও কৈফিয়ত পর্যন্ত দিতে হয় না। বিশদ

09th  July, 2023
বিশ্বের সেরা মার্সেনারি বাহিনী

ভাড়াটে যোদ্ধাদের ইতিহাস বহু পুরনো। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, এটাই পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীন পেশা। মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ পি ডব্লু সিঙ্গার ‘কর্পোরেট ওয়ারিয়র্স: দ্য রাইজ অব দ্য প্রাইভেটাইজড মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি’ বইয়ে লিখেছেন, ‘প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার উর রাষ্ট্রের সুমেরীয় রাজা শুলঘি (খ্রিস্টপূর্ব ২০৯৪-২০৪৭) প্রথম ভাড়াটে সেনাদের কাজে লাগান। বিশদ

09th  July, 2023
আলিনগরের আখ্যান

আজ ২ জুলাই। বাংলার ইতিহাসে এই দিন ফিরে ফিরে এসেছে। কলকাতা হয়েছে আলিনগর, কিংবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সিরাজ-উদ-দৌলা। অতীতকে শব্দে ধরলেন সৌম্য নিয়োগী বিশদ

02nd  July, 2023
ইন্ডিয়া  ইজ...

আজ ১২ জুন! সকালটা খারাপভাবে শুরু হল।  এই তো কিছুদিনের আগেই মস্কোয় ভারতের রাষ্ট্রদূত থাকা দুর্গা প্রসাদ ধরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইন্দিরা। বিশদ

25th  June, 2023
ইমার্জেন্সি
 

সরকার নির্দেশ দিয়েছে? সব জিনিসের দাম এত বাড়ছে কেন? সরকার আগে দাম এত বাড়ছে কেন? সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

25th  June, 2023
বিবর্তনের ডারউইনবাদ
মৃন্ময় চন্দ
 

১৮ই অক্টোবর, ২০০৪। রাত সাড়ে দশটা। তামিলনাড়ুর পাড়ির ‘সেভেনথ ডে ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল’। ছায়ামূর্তির মতো স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কমান্ডোরা চুপিসারে পজিশন নিচ্ছে। পিক্কিলি পাহাড় থেকে নেমে, ভুট্টাখেতের আল ধরে চার ছায়ামূর্তি এসে উঠল রাস্তার ধারে অপেক্ষমাণ একটি অ্যাম্বুলেন্সে। বিশদ

18th  June, 2023
মৃত্যুসফর
শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

অন্ধকার জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছে আমাদের গাড়ি। মাঝরাত। বাইরে মাঝেমধ্যে ঝলসে উঠছে আলো। ভিতরে উৎকণ্ঠায় জ্বলজ্বলে ছ’জোড়া চোখ। বালেশ্বর আর কতদূর! গাড়িতে উঠে থেকে মোবাইলটা সামনে থেকে সরাতে পারিনি। আপডেট ঢুকছে... একের পর এক। ওড়িশায় ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিশদ

11th  June, 2023
স্বজনহারার  স্তব্ধতা
অলকাভ নিয়োগী

চওড়া বাদশাহী রোড। বাঁদিক ঘেঁষে গাড়ি নামল একফালি সরু রাস্তায়। আকাশে তখন হলদে চাঁদ। পূর্ণিমার আগের রাত। জোৎস্না গলে গলে পড়ছে দু’পাশের সারিবদ্ধ দোকানে। টিমটিম করে জ্বলছে ব্লাল্বের আলো। হাজার মানুষের ভিড়। অথচ, অদ্ভূত এক নিস্তব্ধতা। হঠাৎ, নাকে এল ‘মৃত্যুর গন্ধ’। বিশদ

11th  June, 2023
ক্ষণ-জন্মা
সমৃদ্ধ দত্ত

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সংসদ মার্গ, নয়াদিল্লি-১১০০১। বিকেল সাড়ে ৫টা। ৮ নভেম্বর, ২০১৬। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ডের জরুরি মিটিং। ৫৬১ তম। ‌ভারত সরকারের ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি শক্তিকান্ত দাস জানতে চাইছেন, প্রস্তাবটি সম্পর্কে বোর্ডের মতামত কী? যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেটির ভালো ও মন্দ কী কী হতে পারে?  বিশদ

04th  June, 2023
শ্যামাসঙ্গীতের পূজারি
সোমনাথ বসু

১৯৩০ সাল। মে মাসের ৭ তারিখ, বুধবার। প্রচণ্ড গরম। সকাল থেকেই গাছের পাতা স্তব্ধ। কলকাতার আকাশে-বাতাস কেমন যেন গুমোট হয়ে আছে। এন্টালির ৮/১ পালবাগান লেনের বাড়িতে আনচান করছেন কবি। বসন্ত রোগে আক্রান্ত ছেলে বুলবুলের শরীরটা বেশ খারাপ। বিশদ

28th  May, 2023
মাফিয়া মার্ডার মিস্ট্রি

সালটা ১৯৯৬। নতুন বছর শুরু হতে তখনও মাসখানেক বাকি। সবে ‘রেলনগরীর আন্ডারওয়ার্ল্ড’ সিরিজের দুটো কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের মাইকো গলির যে বাড়িটা বর্তমান’এর জেলা অফিস বলে পরিচিত ছিল, এক বৃহস্পতিবারে সকাল ১০টা নাগাদ সেখানকার ল্যান্ড লাইনটা বেজে উঠল। বিশদ

21st  May, 2023
হাইচরিত
মৃন্ময় চন্দ

‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।’ কিন্তু জৃম্ভণ, থুড়ি হাই তোলা দিয়েও কি তা সম্ভব? বিজ্ঞান বলছে, হ্যাঁ। শুধু চেনা নয়, হাড়ে হাড়ে চেনা যায়। সুন্দরী উদ্ভিন্নযৌবনার দিকে অপলকে চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ বেয়াদপ-বেআক্কেলে হাই হোক কিংবা পরীক্ষা হলে চোতা বার করে গুছিয়ে বসতে গিয়ে জল্লাদ পরীক্ষকের সঙ্গে শুভদৃষ্টির সময় সর্বহারার সব খোয়ানো হাই বিশদ

14th  May, 2023
রাজকাহিনি 
রূপাঞ্জনা দত্ত

এক যে ছিল রাজা, তার ছিল এক রানি’—শৈশবে রূপকথার বই যে উত্তেজনাকর রোমাঞ্চ মনে ছড়িয়ে দিত, তাকে নেহাত গল্প বলেই মনে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যে এমন রাজা-রানি রয়েছে, তা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বুঝতে শিখেছি। বিশদ

07th  May, 2023
একনজরে
মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে মুখোমুখি মার্কেটা ভন্ড্রুসোভা ও ওনস জাবিউর। সেমি-ফাইনালে এলিনা ভিতোলিনাকে ৬-৩, ৬-৩ স্ট্রেট সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের অবাছাই প্লেয়ার মার্কেটা। এই প্রথম অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে খেতাবি লড়াইয়ে নামবেন তিনি। ...

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় সম্প্রতি জিএসটিকে আনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এর ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি নাক গলাতে পারবে জিএসটি নেটওয়ার্কে। সেখান থেকে তারা তথ্য নিতে পারবে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM