তাঁর ছবিতেই স্মরণ চিত্রগ্রাহক প্রণব বসুকে
চিত্রগ্রাহক প্রণব বসুর সঙ্গে বর্তমান পত্রিকার সম্পর্ক দু’দশকেরও বেশি। দীর্ঘ কেরিয়ারে বিভিন্ন স্বাদের ছবি তুলেছেন তিনি। কখনও টেবিল টপ কখনও প্রোডাক্ট শ্যুট, কখনও বা ওয়াইল্ড লাইফ। আবার থিয়েটারের ছবিতেও তাঁর মুনশিয়ানা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। প্রকৃতি যেন তাঁর ক্যামেরার সামনে কথা বলে উঠত। কখনও বাজপাখির উড়ন্ত ভঙ্গি ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায় আবার কখনও তিনি কোনও হ্রদের শান্ত রূপ লেন্সবন্দি করেছেন। সেই জলের শান্ত শোভায় রোদ লেগে সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। আবার কখনও কোনও বন্য পশুকে হিংস্র ভঙ্গিতে ধরেছেন তিনি ঠিক শিকারের মুহূর্তে। এছাড়াও রয়েছে তাঁর নাটক ও থিয়েটারের ছবির জগৎ। কলাকুশলীদের কোন ফ্রেমে ধরলে নাটকের বক্তব্যটা ফুটে উঠবে বা কোন অভিব্যক্তির মাধ্যমে তাঁদের চরিত্রের সঠিক বর্ণনা সম্ভব, সবই ক্যামেরার এক ক্লিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন চিত্রগ্রাহক। গত ২৯ এপ্রিল তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিজন প্রিয়জনেরা। সম্প্রতি তাঁর তোলা ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের নর্থ গ্যালারিতে। অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলা থিয়েটারের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সংগঠন সৌভ্রাতৃত্ব। ২৭ জুন সে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নাট্য জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বরা। উপস্থিত ছিলেন ইতালির ডেপুটি কনসাল জেনারেল মারিয়া ক্লডিয়া মারিনি এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার নিক লো। শিল্পজগতের বিশিষ্টজনরাও ছিলেন। নাট্যপরিচালক ও অভিনেতা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত প্রণব বসুর ছবির একটি অ্যালবাম প্রকাশ করার প্রস্তাব দেন। আর এক প্রবীণ পরিচালক ও অভিনেতা বিভাস চক্রবর্তী বলেন, ‘ক্যামেরা হাতে তুললে প্রণব এক অন্য মানুষ হয়ে যেত। অভিব্যক্তির এত নিখুঁত প্রদর্শন খুব কমই দেখেছি। প্রণব চলে যাওয়ায় শিল্পজগতের প্রচুর ক্ষতি হল।’ অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গে বেড়ানোর ও ছবি তোলার নানা মুহূর্ত দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। শেষ সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি। খুবই মনোগ্রাহী এক অনুষ্ঠানের সাক্ষী হন চিত্রপ্রেমী মানুষেরা।         
সাহা টেক্সটাইল-এর বিশেষ আয়োজন
সাহা টেক্সটাইল বস্ত্রজগতের এক জনপ্রিয় নাম। দক্ষিণ কলকাতায় মূল শোরুম ছাড়াও রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় তাদের শাখা ছড়িয়ে আছে। কাঁচরাপাড়ায় সাহা টেক্সটাইলের পথ চলা শুরু হয়েছিল এক বছর আগে। প্রথম বর্ষপূর্তিতে তাই গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুযোগের আয়োজন করেছিল এই বস্ত্রপ্রতিষ্ঠান। গত ১-৭ জুলাই পর্যন্ত কাঁচরাপাড়া শো রুমে সব কেনাকাটার উপর ছিল ২০ শতাংশ ছাড়, সঙ্গে নগদ গিফট চেক জেতার সুযোগ। এছাড়া ইএমআই পদ্ধতিতে কেনাকাটা করার সুযোগও ছিল। বেশ কিছু পোশাকে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফারও প্রযোজ্য ছিল। নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জন্মদিনের বিশেষ অফারে কেনাকাটা করার জন্য শো রুমে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
পয়েন্টালিজমে ফুটে উঠল অপু-দুর্গা
শিল্পীর একক প্রদর্শনীতে সেজে উঠেছিল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর ওয়েস্ট গ্যালারি। ছবির ভাষায় যা পয়েন্টালিজম, বা লক্ষ লক্ষ বিন্দু দিয়ে একটি পরিপূর্ণ ছবির জন্ম, তা নিয়েই এবারের প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ তৈরি করেছেন হুগলি নিশ্চিন্তপুর নিবাসী শিল্পী শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী অবলম্বনে অপু দুর্গাকে নিয়ে এই পয়েন্টালিজমের মাধ্যমে ছ’টি ভিন্ন স্বাদের ছবি এঁকেছেন শিল্পী। এবছর অ্যাকাডেমিতে ছিল তাঁর ষষ্ঠবর্ষীয় প্রদর্শনী। পয়েন্টালিজম ছাড়াও মোট ১১টি বিভিন্ন জলরং ব্যবহার করে কিছু ফুলগাছের চিত্র অঙ্কন করেছেন। পয়েন্টালিজম সহ সব চিত্রই  প্রশংসা কুড়িয়েছে শিল্পমোদীদের। শিল্পীর কাজের প্রতি নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও ধৈর্য নিয়েও তাঁরা চর্চা করেন। 
ছবি আঁকার 
কর্মশালা ও প্রদর্শনী
সম্প্রতি উত্তরপাড়ার আজাদ হিন্দ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হল তিনদিনের শিল্পকলা প্রদর্শনী ও ছবি আঁকার কর্মশালা। তরুণ শিল্পী অনুময় ভৌমিকের ‘দেন অ্যান্ড নাও’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে মোট ৪০টি ছবি স্থান পেয়েছিল। নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শিল্পী এই প্রদর্শনীতে তাঁর ছবিকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছিলেন। একটা নির্দিষ্ট সময়ের শুরু, আরেকটা শেষের দিকের। প্রত্যেকটা ছবিই অ্যাক্রিলিক অন ক্যানভাস। গঠনগত দিক থেকে আলাদা হলেও ছবির বিষয়বস্তু কোথাও না কোথাও একে অন্যকে ছুঁয়ে যায়। শুরুর দিকের ছবিতে রঙের প্রাধান্য লক্ষ্যণীয়। পরের দিকের ছবিতে তুলনামূলকভাবে রেখার ব্যবহার স্পষ্ট। এই প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিত্রকর সুব্রত ঘোষ ও মিহির কয়াল, উত্তরপাড়া সঙ্গীতচক্রের যুগ্ম সম্পাদক অনীশ মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রনাথ পাল, তবলাশিল্পী পণ্ডিত বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
অরিও ফার্মার 
জনদরদি উদ্যোগ
বিনামূল্যে ওষুধপ্রদান ও চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করল অরিও ফার্মা। সম্প্রতি এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রামলাল ভট্টাচার্যের জন্মবার্ষিকী ও সংস্থার প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে অরিও ফার্মার নিমতা শাখাপ্রাঙ্গণে এই চিকিৎসাশিবির আয়োজন করা হয়। চলে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ। রামলাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালনায় এই কর্মকাণ্ডে সাড়া দিয়েছিলেন অনেক সাধারণ মানুষ। অদূর ভবিষ্যতে এই ট্রাস্ট ‘আরতি’ নামক বৃত্তিমূলক এক কর্মসূচির আয়োজন করতে চলেছে। দুঃস্থ, মেধাবী মেডিক্যাল পড়ুয়ারা এতে উপকৃত হবেন। অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক, অ্যান্টিআলসারেন্ট, কাশির সিরাপ-সহ বহু অসুখের ওষুধ প্রস্তুত করে অরিও ফার্মা। গত ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করে আসছে সংস্থাটি। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগণার ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান পরিচালনাও করছে অরিও ফার্মা।