Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

সুভদ্রার রথ দর্পদলন

বহু তত্ত্বের মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত সুভদ্রা। তিনি যেমন নারী সৌন্দর্যের ধী এবং শ্রীকে প্রকাশ করেন, তেমনই তাঁর মধ্যে যোগমায়ার শক্তিও প্রকাশিত। রথের প্রাক্কালে তাঁর এই নারী সত্তার নানা রূপ বিশ্লেষণ করলেন সন্দীপন বিশ্বাস।
 
মহাভারতের সুভদ্রাকে যতটা চেনা সহজ, যতটা নারীসত্তায় তিনি প্রকাশিত, পুরীর মন্দিরের সুভদ্রা কিন্তু ততটা প্রকাশিত নন। আসলে এঁরা দুই সুভদ্রা নাকি, এক সুভদ্রা তাই নিয়েই দ্বন্দ্ব আছে! ভিন্ন দুই কাহিনিকে মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পুরাণের ধারা অনুসরণ করলে দেখা যায়, পুরীর মন্দিরের সুভদ্রাকে ঘিরে লৌকিক আখ্যানের ভিন্নতর ধারা আছে। মহাভারতের সুভদ্রার অবস্থান তার থেকে বহু দূরে। তবে একবিন্দুতে দু’জনেই সমান। সেটা হল সুভদ্রা হলেন শ্রীকৃষ্ণ তথা জগন্নাথের ভগিনী। 
পুরীর মন্দিরের তিন দেবতা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা এক তাত্ত্বিক সত্তার ভিতরে অধিষ্ঠিত। তাঁদের ঘিরে রয়েছে বহু গভীর তথা লৌকিক দর্শন। একেবারে প্রথম স্তরে পুরীর সুভদ্রা ছিলেন সুলুক উপজাতিদের পূজ্য এক আঞ্চলিক দেবতা। তখন তাঁর নাম ছিল খাম্বেশ্বরী বা স্তম্ভেশ্বরী। সময়ের নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ জগন্নাথ মন্দিরে পূজিত হন ত্রিমূর্তি, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। সুভদ্রাকে পুজো করা হয় ভুবনেশ্বরী মন্ত্রে। অর্থাৎ সুভদ্রাকে এখানে মনে করা হয় শক্তিরই অংশ। 
বিভিন্ন পুরাণে সুভদ্রার বর্ণনা করতে গিয়ে তাঁকে বলা হয়েছে শক্তির প্রতিমূর্তি, লাবণ্যের আধার এবং তিনি সাক্ষাৎ লক্ষ্মীরূপা। যেমন স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সুভদ্রা হি মহালক্ষ্মীঃ’। আবার তান্ত্রিক মতে বলা হয়েছে, ‘সুভদ্রা হি স্বয়ং শক্তিঃ ভবানী যোগমায়া চ’। অর্থাৎ তিনি একাধারে লক্ষ্মী ও দেবী পার্বতী। এরকম অসংখ্য তাঁর রূপ ও সত্তা। 
প্রতি বছর আষাঢ় মাসে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিনটি রথে গুণ্ডিচা মন্দিরে যান। সেই রথযাত্রা ঘিরে দেখা যায় প্রবল উন্মাদনা। এই রথযাত্রা ঘিরে নানারকম গল্প আছে। মন্দিরে অধিষ্ঠান করতে করতে সুভদ্রার একদিন খুব মন খারাপ। তাই দাদা জগন্নাথ তাঁকে মন খারাপের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। সুভদ্রা বললেন, তাঁর নগর পরিক্রমা করতে ইচ্ছে করছে। সেকথা শুনে বোনের ইচ্ছেপূরণে জগন্নাথ দাদা বলভদ্রকে নিয়ে রথে চড়ে নগর প্রদক্ষিণ করতে বেরলেন। আরও একটা গল্পে পাই, অর্জুনের সঙ্গে বিয়ের বেশ কিছুদিন পর সুভদ্রা কৃষ্ণ বা জগন্নাথকে বলেন, তাঁকে একবার বাপের বাড়ি নিয়ে যেতে। এরপর জগন্নাথ এবং বলরাম তাঁকে রথ নিয়ে নিতে আসেন। বাপের বাড়ি ফিরতেই রাজ্যের গোপ এবং গোপিনীরা মহানন্দে সেই রথ টানতে শুরু করেন। রথযাত্রা নিয়ে এরকমই বেশ কিছু কাহিনি প্রচলিত আছে। 
আসলে পুরাণ কাহিনির এই গল্পগুলি যতটা সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, রথযাত্রার কারণ কিন্তু তত সহজ নয়। এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে গূঢ় ধর্মীয় দর্শন। রথযাত্রার সঙ্গে আমাদের শরীর ও জীবনের এক জটিল তত্ত্বের অচ্ছেদ্য বন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই জটিলতার মধ্যে না গিয়ে আমরা দেখি পুরীতে রথযাত্রায় সুভদ্রার অংশগ্রহণ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনটি রথ বের হয় বটে, কিন্তু মানুষের ভক্তির ৯৯ শতাংশ গিয়ে পড়ে প্রভু জগন্নাথদেবের চরণকমলে। তিনিই তো প্রধান হয়ে ওঠেন।     
রথযাত্রায় পুরীতে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের তিনটি রথ বের হয়। এই তিনটি রথেরই আলাদা নাম রয়েছে। জগন্নাথের রথটির নাম নন্দীঘোষ, বলরামের রথটির নাম তালধ্বজ, সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন। শুধু নামই নয়, তিনটি রথের চাকার সংখ্যাও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন, জগন্নাথের রথের চাকার সংখ্যা ১৬, বলরামের রথের চাকার সংখ্যা ১৪, সুভদ্রার রথের চাকার সংখ্যা ১২। প্রতি রথেই ৩৪টি অংশ। যেমন চাকা, আরা, ডাণ্ডিয়া, বেকি, হংসপট, কানি, শঙ্খদ্বার, জালি, গইপট, সিংহাসন, রুশিপট প্রভৃতি।
এমনকী, প্রত্যেকটি রথের আলাদা রংও রয়েছে। সুভদ্রার রথের রং লাল ও কালো। তিনটি রথে যে ঘোড়া ব্যবহার করা হয়, তাদেরও রয়েছে পৃথক নাম। সুভদ্রার রথে রয়েছে চারটি লাল রঙের ঘোড়া। এদের নাম যথাক্রমে রোচিকা, মোচিকা, জিতা এবং অপরাজিতা। আবার কোথাও কোথাও পাওয়া যায়, এই ঘোড়া চারটির নাম প্রজ্ঞা, অনুজ্ঞা, ঘোরা, অঘোরা। সুভদ্রার রথের সারথির নাম অর্জুন বা দেবদত্ত। সুভদ্রার রথের রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগিনী বা যাজ্ঞবল্ক্য। তাঁর রথের চূড়ায় উড্ডীন পতাকার নাম নদাম্বিকা। ধ্বজার পাশের পাখি দু’টির নাম শ্রুতি ও স্মৃতি। রথটির রক্ষকের নাম জয়দুর্গা।
রথের মধ্যে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা একা থাকেন না। তাঁদের সঙ্গে সহযাত্রী হিসেবে থাকেন অন্য দেব-দেবীও। সুভদ্রার রথ দর্পদলনে সওয়ারি হন সুদর্শন ও আরও ৯ দেবী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চণ্ডী, চামুণ্ডা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, মঙ্গলা, তারা, দেবী বিমলা।
রথ নির্মাণের মধ্যেও অভিনবত্ব আছে। ৫৯৩টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি সুভদ্রার রথটির আরও দু’টি নাম আছে। যেমন দেবদলন ও পদ্মধ্বজ। সুভদ্রাকে ধনসম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী বলে মান্যতা দেওয়া হয়। তাই তাঁর রথে রয়েছে পদ্মের চিহ্ন। সেই রথের উচ্চতা ৪৩ ফুট ৩ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সাড়ে ৩১ ফুট করে। এতে থাকে বারোটি চাকা। এই ১২টি চাকা ১২ মাস ব্যাপী সাধনার প্রতীক। চাকার পরিধি ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। 
মজার ব্যাপার হল, কোনও আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই এই রথগুলি নির্মাণ করা হয়। এমনকী গজ, ফিতে, স্কেলের ব্যবহারও করা হয় না। হাত দিয়ে মেপেই রথ তৈরি করেন হাজার দেড়েক কর্মী। এতে পেরেক, নাট বল্টু, বা ধাতু জাতীয় কিছু জোড় হিসাবে ব্যবহার করা হয় না।
রথযাত্রার দু’দিন আগে হয় পদ্মবেশ। নতুন পট্টবস্ত্রে সাজানো হয় ত্রিদেবকে। মাখানো হয় চন্দন। সেই সময় তাঁদের রাখা হয় মন্দিরের জগমোহনে। রথের দিন যে প্রক্রিয়ায় ত্রিমূর্তিকে রথে তোলা হয়, তাকে বলে পাহান্ডি পর্ব। সেদিন তাঁদের নানাবিধ অলঙ্কারে সাজানো হয়। শ্রীভূজ, কিরীটি, মাথায় টায়রা, কেয়ুর, কঙ্কন সহ বহু অলঙ্কারে সুভদ্রাকে সজ্জিত করা হয়। সেই বেশ দেখে ভক্তের মনে ভক্তিরসের প্রাবল্য আসে। চোখ দিয়ে নেমে আসে জলের ধারা। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য বারবার ভক্তিভাবে চোখের জলে ভাসতেন। মাঝে মাঝে জ্ঞানরহিত হতেন।
রথযাত্রা শুরুর আগে পুরীর রাজপরিবারের রাজা এসে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সামনে ঝাঁট দেন। একে বলে ‘চেরা পহন্‌রা’। এই নিয়ম চালু হয়ে আসছে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে রাজা অনঙ্গ ভীমদেবের সময় থেকে। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ওড়িশার ‘রাজা’ একমাত্র জগন্নাথদেব। তাঁদের রাজবংশ তাঁর সেবকমাত্র। প্রতি বছর রথযাত্রার সময় সেই ঝাড়ু দেওয়ার পর যাত্রা শুরু হয়। রাজত্ব না থাকলেও বংশপরম্পরায় পুরীর রাজপরিবার আজও আছে। 
রথযাত্রায় সবার প্রথমে থাকে দাদা বলরামের রথ। মাঝে থাকে আদরের বোন সুভদ্রার রথ এবং পিছনে থাকে জগন্নাথের রথ। এরও এক আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা রয়েছে। কারণ বলরাম হলেন গুরুতত্ত্বের প্রতীক। মাঝে সুভদ্রা হলেন ভক্তিতত্ত্বের প্রতীক। মানব জীবনে গুরুকৃপার লাভের পর ভক্তির পথ ধরে পৌঁছতে হয় পিছনের রথে অধিষ্ঠিত মহাপ্রভু জগন্নাথের কাছে অর্থাৎ দেবতার কাছে। 
রথ যায় ৩ মাইল দূরে মাসির বাড়ি বা গুণ্ডিচা বাড়ি। এই গুণ্ডিচা হলেন মালব রাজ্যের সূর্যবংশীয় রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রী। ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। সত্যযুগে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে তিনিই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন বলে ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য প্রাচীন কালের মালব দেশই এখনকার ওড়িশা বলে ধরা হয়। 
অনেকদিন আগে অবশ্য এখনকার মতো তিনটি রথ ছিল না। তিন দেবতারই ছিল দু’টি করে রথ। তখন গুণ্ডিচা বাড়ি যাওয়ার পথে পড়ত একটি নদী। সেই নদীর নাম ছিল বাঁকিমোহনা। এপারে এসে থামত তিনটি রথ। তারপর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নৌকায় করে নদী পার করানো হতো। অন্য পারে গিয়ে সেখানে অপেক্ষমান অন্য রথে আবার তাঁদের তোলা হতো। সেই নদী কবেই হারিয়ে গিয়েছে।  
রথযাত্রার নবম দিনে ফের সেই রথ মাসির বাড়ি থেকে ফিরে আসে পুরীর মন্দিরে। আমরা বলি উল্টোরথ। ওঁরা বলেন, বহুড়া যাত্রা। সেদিন একাদশী। পথের মাঝেই তিন দেবতাকে অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়। একে বলে ‘সোনা বেশ’। এই নিয়ে একটি কাহিনি আছে। প্রায় ছ’শো বছর আগে এক উল্টোরথের দিন রথ ফিরছে মন্দিরে। সেই সময় সূর্যবংশীয় রাজা গজপতি শ্রীকপিলেন্দ্রদেব ছিলেন কলিঙ্গের রাজা। তিনি ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা হন। তাঁর ছিল বিপুল পরাক্রম। তিনি তাঁর সীমানা বিস্তৃত করেছিলেন তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং বঙ্গদেশ পর্যন্ত। তাই তাঁকে বলা হতো ‘নবকোটি কর্ণাট কলাবর্গেশ্বর বীরাধি বীরবর কলিঙ্গ উৎকল রাজাধিরাজ শ্রীশ্রীকপিলেন্দ্রদেব’। রাজা ছিলেন জগন্নাথের পরম ভক্ত। তিনি একদিন দাক্ষিণাত্য বিজয় সেরে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর প্রচুর সোনাদানা, হীরে জহরত, মণিমানিক্য। সেদিন জগন্নাথের বহুড়া যাত্রা। রাস্তায় সেই রথকে দেখে রাজা রথ দাঁড় করাতে বললেন। তারপর রাজা সেই সব সোনা উৎসর্গ করলেন তিন দেবতাকে। সেই ‘সোনা বেশ’ দেখে রাজা আনন্দে কেঁদে ফেললেন এবং প্রভুর চরণে লুটিয়ে পড়লেন। সেই থেকে এই ‘সোনা বেশ’ চলে আসছে। 
রথযাত্রার সময় বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথকে নানা অলঙ্কারে সাজানো হয়। সুভদ্রার অলঙ্কারগুলি হল শ্রীপায়র, শ্রীভূজ, কিরীটি, ওড়না মালি, ঘাগরা মালি, কানা মালি, সূর্যচন্দ্র, আদাকানি, সেবতী মালি, তড়াগি, তিলক চন্দ্রিকা, অলক চন্দ্রিকা প্রভৃতি। এই গয়নার মোট ওজন একশো কেজি। 
বহু তত্ত্বের মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত সুভদ্রা। সময়ের বিবর্তনের মধ্য দিয়েই তাঁর আজকের প্রকাশ। তিনি যেমন নারী সৌন্দর্যের ধী এবং শ্রীকে প্রকাশ করেন, তেমনই তাঁর মধ্যে যোগমায়ার শক্তিকেও প্রকাশ হতে দেখা যায় বলে পুরাণকর্তারা মনে করেন। অর্থাৎ সুভদ্রার একদেহে লীন হয়ে আছেন দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তাঁর মধ্য দিয়ে যেন নারীত্বের এক আদর্শ সত্তারই প্রকাশ ঘটেছে। 
17th  June, 2023
মৃত্শিল্পীদের  সংগঠন  গড়ার  স্বপ্ন

মরু শহর দুবাইতে ইট কাঠ কংক্রিটের মেলা। কনস্ট্রাকশনের নতুনত্ব অনেক চোখে পড়লেও মন মজানো শিল্পকলার তেমন কদর এখানে ছিল না। সেই চেনা ছকটাকেই ভেঙে দিতে চান শিল্পী প্রীতি পাওয়ানি। দুবাইতে সৃষ্টিশীল দুনিয়া গড়ে তোলার স্বপ্ন তাঁর চোখে। বিশদ

মায়ের শরীর ও মনের সঠিক দেখভাল

মাতৃত্বের স্বাদ এক অনন্য অনুভূতি। সন্তানের জন্ম দেওয়া দম্পতিদের কাছে এক বিশেষ প্রাপ্তি। আগামিকাল, ২৩ জুলাই পেরেন্টস ডে। তার আগেই মাতৃত্ব ও নতুন মায়ের যত্নের দিকে নজর দিলেন সিএমআরআই  হাসপাতালের গাইনকোলজিস্ট ডাঃ অর্চনা সিংহ। বিশদ

চায়ের   স্বাদ বিচার

চায়ের স্বাদ ও গন্ধ বিচারে মহিলারা কতটা এগিয়েছেন? দেশ ও বিদেশের চিত্রটাই বা কেমন? ইতিহাস ঘেঁটে বিভিন্ন তথ্য উঠে এল প্রতিবেদনে। বিশদ

এখনও   সারেঙ্গীটা   বাজছে...

বাংলা গানের ইতিহাসে এই গান অমর। যাঁর কণ্ঠে এটি বাঙালির দোরগোড়ায় পৌঁছেছিল, তিনি হৈমন্তী শুক্লা। গানজীবনের ৫০ বছর যিনি পেরিয়ে এসেছেন সদ্য। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় মনীষা মুখোপাধ্যায়।  
বিশদ

রাবড়ির রান্নাঘর

ভোজনরসিক ও ভ্রমণবিলাসীদের কাছে রাবড়িগ্রাম বেশ পরিচিত নাম। এই গ্রামে অধিকাংশ পরিবারের পেশাই রাবড়ি তৈরি ও বিক্রি। বাড়ির মেয়ে-বউরা ঘরকন্নার কাজ সামলে ব্যবসায় হাত লাগান। তাঁদের কথায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

15th  July, 2023
শাড়ি পরে যোগাসন

শরীর সচল রাখতে যোগাসনের জুড়ি মেলা ভার, একথা সবাই স্বীকার করেন। তাই যোগাসন সব বয়সেই অভ্যাস করা জরুরি। কিন্তু যোগাসনের জন্য চাই সঠিক পোশাক। আধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুযায়ী যাকে বলে জিমওয়্যার। এই ধারণাই এবার ভেঙে দিলেন মুম্বইয়ের একদল মহিলা। বিশদ

15th  July, 2023
নারী নিরাপত্তায় সেফটি আইল্যান্ড

নারী ক্ষমতায়ন ও স্বনির্ভরতা বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে মেয়েদের অবাধ ঘোরাফেরা। কিন্তু তাই বলে নারী নিরাপত্তা বাড়ছে কই? এখনও রাতবিরেতে একা মেয়েরা নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন। নারীকে নিরাপত্তা দিতেই সেফটি আইল্যান্ড চালু হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিশদ

15th  July, 2023
ঘরকন্নার টুকিটাকি

অনেক সময় গারবেজ ব্যাগ বাড়ির বাইরে রাখলে তাতে কুকুর বা বেড়াল মুখ দেয়। সেখান থেকে এটা সেটা বের করে বাড়ির উঠোন নোংরা করে। সেক্ষেত্রে ওই গারবেজ ব্যাগের ভিতর এক বা দু’টুকরো কর্পূর ফেলে দেবেন। বিশদ

15th  July, 2023
বেঁচে থাকার গান

পেশায় শিক্ষিকা মানুষটির নেশায় গান। যেমন তেমন গান নয়, প্রান্তিক মেয়েদের মনের গান। সে গান শোনা বা গাওয়া শুধু নয়, সংগ্রহ করার কাজটিও করছেন অতি যত্নে। চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতার কথা শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

08th  July, 2023
চা বাগানের মহিলাদের নিরাপত্তা  

চা বাগানের মহিলা কর্মীদের জন্য কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে চায় ‘উইমেন সেফটি অ্যাকসেলারেটর ফান্ড’। এই বিষয়ে কলকাতায় একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল তারা। সেই আলোচনাচক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন চা বিক্রেতা। ভারতের নানা রা‌জ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চায়ের বাগান। বিশদ

08th  July, 2023
ছৌ নাচবই 
জিতল  জেদ

নিভা আনন্দ বিদ্যালয়ে নিয়ম করে ছৌ শিখছে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষ সব পড়ুয়া। কান্ডারি মধুমিতা পাল। দেখে এসে লিখলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।  বিশদ

01st  July, 2023
বিদেশে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাঠ

নিউ ইয়র্কে ভারতীয় সঙ্গীত শেখান নমামী কর্মকার। বিদেশি ছাত্রদের আগ্রহ ও নিষ্ঠা কতটা? নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন তিনি। বিশদ

01st  July, 2023
ইট কাঠ কংক্রিটে
ভাঙছে ছক 

ক্রমশ নিজেদের কাজের পরিধি বাড়িয়ে চলেছে মেয়েরা। কনট্র্যাক্টরির মতো পেশাতেও  মহিলাদের বিচরণ বাড়ছে। লেবার খাটিয়ে বাড়ির অন্দর ও বাহির সাজিয়ে তুলছেন তাঁরা। তেমনই কয়েকজন মহিলা কনট্র্যাক্টরের কথায় কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

24th  June, 2023
এখন মেয়েরা

চাঁদনী অরোরা আর সীমা মারথি একটা রেস্তরাঁ চালান রাজস্থানের যোধপুরে। রেস্তরাঁটির বিশেষত্ব, তা পুরোপুরি মহিলাচালিত। রাঁধুনি থেকে ওয়েটার, এমনকী ঠিকে কাজের লোক সকলেই মহিলা। রাজস্থানে এই দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তরাঁটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশদ

24th  June, 2023
একনজরে
রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে বার্থ রিজার্ভেশন করেও ট্রেনে উঠতে পারলেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ যাবেন হায়দ্রাবাদ, কেউ যাবেন বিজয়ওয়াড়া। পঞ্চায়েত ভোট দিতে তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ...

বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ, শনিবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দু’-তিনদিন থানে, রায়গড়, পুনে ও পালঘরেও লাগাতার ভারী বৃষ্টির ...

পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাস ও ভোট লুটের প্রতিবাদে বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগের বিভিন্ন বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।  ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM