পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
প্রত্যেক বস্তুরই চূড়ান্ত প্রমাণ হলো অপরোক্ষানুভূতি। যদি একান্তই ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকে তবে তাঁকে অবশ্যই দর্শন এবং উপলব্ধি করা সম্ভব। শুধু তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করলেই হবে না। যাঁরা ঈশ্বর দর্শন করেছেন তাঁদের কথা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁদের অনুভূত সত্যকে আমাদের জীবনে পরীক্ষা করে নিতে হবে। শুধু বিশ্বাস থাকলেই হবে না যদিও সাধনার প্রথম দিকে এর প্রয়োজনীয়তা আছে। রাজযোগের ভূমিকায় স্বামী বিবেকানন্দ যেমন বলেছেন: “যদি এই জগতে জ্ঞানরাশির কোন বিশেষ বিষয়ে একটি অভিজ্ঞতা লাভ হয়ে থাকে, নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যায় যে, পূর্বেও কোটি কোটি বার ঐরূপ অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছিল, পরেও অনন্তকাল ধরে বার বার ঐরূপ হবে। যোগবিদ্যার আচার্যগণ তাই বলেন যে, ধর্ম কেবল পুরাকালের অনুভূতির উপর স্থাপিত নয়, পরন্তু স্বয়ং এই সকল অনুভূতি লাভ না করিয়া কেহই ধার্মিক হইতে পারে না।” ঈশ্বরানুভূতির এই হলো আদর্শ এবং এই আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। ইন্দ্রিয় সুখের মাধ্যমে যে উল্লাস আমাদের হয় তা পরিণামে দুঃখ নিয়ে আসে। প্রথমে এটা অমৃতের মতো মনে হয় কিন্তু পরিশেষে তা ব্যর্থতা ও নিরাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বুদ্ধিগত সুখ অবশ্য এর থেকে উঁচুস্তরের, কিন্তু এর দ্বারাও আমরা আত্যন্তিক সন্তুষ্টি বা পূর্ণতা লাভ করতে পারি না। আমরা যখন ধ্যান করি বা ঈশ্বরের নাম কীর্তন করি তখন অন্তরে উল্লাস বোধ করি। এই সুখ বেশ ভালই, তবে দীর্ঘস্থায়ী না হতেও পারে। কিন্তু জ্ঞানাতীত অবস্থায় সাধক যে দিব্যানন্দ লাভ করে তা চিরস্থায়ী। একেই বলে পরমানন্দ। আনন্দের অন্যান্য স্তরগুলি এর ছায়ামাত্র। সাধকের আধ্যাত্মিক অনুভূতি যদি পূর্ণ নাও হয়ে থাকে এবং সে যদি জ্ঞানাতীত অবস্থার দোরগোড়া পর্যন্ত যেতে পারে, তাহলে ঐ অবস্থায় একবার যে পরমানন্দের অনুভূতি তার হয় তার রেশ কিন্তু মিলিয়ে যায় না এবং ঐ আনন্দের রেশ তাঁকে আরো কঠোর সাধনায় ব্রতী হয়ে উদ্বুদ্ধ করে।