পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
আনন্দলাভের সঙ্কেত
তোমার ক্ষুদ্র ইচ্ছা মহা-ইচ্ছাতে মিশিয়ে দাও—পৃথক্ কোন ইচ্ছা পোষণ করো না। ক্ষুদ্র বুদ্ধি মহাবুদ্ধিতে ডুবিয়ে দাও—তবেই সত্য কি তা জান্তে পারবে। তখন আর কোন অশান্তি উদ্বেগ থাক্বে না, আনন্দের অধিকারী হতে পারবে। পরিশ্রমের পর দেহের বিশ্রাম যেমন সুখের, তা আর বল্বার নয়। কত যুগ যুগান্তর ধরে এই মনকে খাটিয়ে মার্ছ, এক মুহূর্ত্তের জন্যও সে বিশ্রাম পায়নি। সে যদি বিশ্রাম পায়, অর্থাৎ মন যদি চিন্তাশূন্য হয়, তাহলে অনির্ব্বচনীয় আনন্দে হৃদয় ভরে যাবে।
মন ও বুদ্ধি
কেউ কেউ প্রশ্ন করে, মনে কেন সংশয় আসে? এর আর কি জবাব হবে! যিনি মনের তত্ত্ব জানেন, তিনি তো বোঝেন, অন্তঃকরণের সংশয়াত্মিকা বৃত্তির নামই মন, সুতরাং মন সর্ব্বদাই সংশয়পূর্ণ। তাই জোর ক’রে বল্তে হয়, আমি মনের কথায় চল্ব কেন? আমি তো মনের অতীত। মনে যখন যে ভাব জাগবে, আমি তাতে বিচলিত হব কেন? অন্তঃকরণের নিশ্চয়াত্মিকা বৃত্তির নাম বুদ্ধি। এই বুদ্ধি আরও ভয়ঙ্কর। কারণ মনে সংশয় উপস্থিত হল, আর বুদ্ধি তার ইচ্ছামত তার মীমাংসা ক’রে দিল; মন তখন সেই মীমাংসা মত কাজ আরম্ভ ক’রে দিল। সুতরাং এই বুদ্ধির কার্য্য আরও জটিল। সে অপরকে বিপদে ফেলে, কিন্তু নিজে দূরে দাঁড়িয়ে মজা দেখে। তাই বুদ্ধির শুদ্ধি প্রয়োজন। বুদ্ধি যখন সত্ত্বে প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন তার দ্বারাই জ্ঞান প্রকাশিত হবে। ছেলে বায়না ধরল, “আমি ঘোড়ায় চড়ব; বাবা, তুমি ঘোড়া হও!” বাবা হয়তো ধমক দিয়ে বল্লেন, “নাঃ, মানুষ ঘোড়া হয় না!” মা তখন বল্তে লাগলেন, “আহা কচিছেলে একটা বায়না ধরেছে, তা হওনা—ঘোড়া হলে আর কি দোষ হবে!” অগত্যা বাবা ঘোড়া হলেন। ছেলে তাঁর পিঠে চড়ে চাবুক মারতে লাগল আর বল্তে লাগল, “বাবা তুমি চিঁহিঁ কর!” বাবা ইতস্ততঃ করছেন দেখে মা আবার বল্লেন—“আহা, ছেলেটা অমন আবদার করছে, একটু চিঁহিঁ করই না!”