পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
চরম লক্ষ্যের দিকে অনেক দূর না অগ্রসর হতে পারলে কোন নিরাপত্তার আশা নেই। যে কোন ভক্তের আত্মজ্ঞান লাভের পূর্বে যে কোন সময়ে দুর্দশা অথবা জঘন্যরকম পতন আসতে পারে। যথেষ্ট অগ্রসর হবার পূর্বে আমাদের নিজেদের শক্তির উপর নির্ভর করে বেশি ঝুঁকি নেওয়া কখনোই উচিত হবে না। আধ্যাত্মিক সাধনা ও প্রার্থনা অবশ্যই তীব্র হতে হবে। দিবারাত্র সর্বদা প্রার্থনা, সর্বদা ধ্যান ও সর্বদা উচ্চ চিন্তা আমাদের অশেষ কল্যাণ করে। প্রবর্তকের মনকে সর্বদা ঐশ্বরিক ভাবের সঙ্গে যুক্ত রাখা প্রয়োজন, তবেই এটা তার অভ্যাসে পরিণত হবে। অভ্যাস ঠিক হলে পথ চলা বেশ সহজ হয়ে যায়; তখন সাধকের জীবনে পরিশ্রমে ক্লেশবোধ অল্পই হয়।
ঈশ্বরকে আমাদের সমস্ত মন দিতে হবে, মনের কিছুটা দিলে হবে না। শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, “আমি যদি এক টাকার একটা কাপড় কিনতে চাই, তবে আমাকে এক টাকাই দিতে হয়, এক পয়সা কম হলে হয় না। না দিলে ওটি আমি পাব না।” আধ্যাত্মিক জীবনেও তাই, সমস্ত মন না দিলে কিছুই পাওয়া যায় না। কয়েক মাস বা কয়েক বছর যেমন তেমন ভাবে ধ্যান অভ্যাস করে যদি দেখ যে তোমার আধ্যাত্মিক লাভ কিছুই হয়নি, তার জন্য অন্য কাউকে দোষ দিতে পার না। যেটা আমাদের দরকার তা হলো অধ্যবসায়। অবিচলিত ও নিয়মিত সাধন চাই। হাল ছেড়ে দেবার থেকে শরীর ও মন পবিত্র রাখার সংগ্রামে দেহ পাত হওয়া বরং ভাল। যদি আমাদের মৃত্যু হয় তাতে কি এসে যায়? যা প্রয়োজন তা হলো সৎ-বস্তুকে উপলব্ধি করা, আমাদের স্বরূপের পূর্ণতায় ও প্রকৃত সত্তায় উপনীত হওয়া। আমরা যদি সাধ্যমত সাধনা করি এবং যথাসাধ্য তা আচরণ করি, তবেই আমাদের কর্তব্য করা হলো। বাকি সব ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এইখানেই আত্ম-সমর্পণ ও কর্ম অর্পণের স্থান।