Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

সোনার ঘড়ি
বাণীব্রত চক্রবর্তী

মঞ্জুমাসি বলেন, ‘কুবলয়, মাঝে মাঝে তোমাকে নিয়ে চিন্তা হয়।’ সে জিজ্ঞেস করে, ‘চিন্তা হয়! কেন?’ উনি বলেন, ‘তুমি বড় সরল। তার উপর তোমার যা ভুলো মন। তাই চিন্তা হয়।’
কুবলয় হাসে। মঞ্জুমাসি তার নিজের মাসি নন। তার মায়ের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট।
বাস থেকে নামল। বৃষ্টি থেমেছে। আকাশের দিকে তাকাল। এখনও মেঘ জমে আছে। এক্ষুনি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। কুবলয়ের কাঁধে ঝোলানো লেদারের ব্যাগে সাধারণত যা যা থাকে সেসব আছে। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরনোর সময় চারদিক রৌদ্রময় ছিল। তাই ছাতার কথা মনে পড়েনি।
সোনার ঘড়িটা মনে করে এনেছে তো! ব্যাগটা একবার দেখা দরকার। চারদিকে তাকাল। মোটামুটি ফাঁকা। হয়তো রবিবার বলে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। অদূরে সাইনবোর্ডটা দেখে স্বস্তি বোধ করল। পল্টু বস্ত্রালয়। বন্ধ। এখানেই তাকে অপেক্ষা করতে হবে। হাতে এখনও সময় আছে। এখন সাড়ে পাঁচটা। উনি বলেছেন ছ’টায় আসবেন। তার আগে একবার সোনার ঘড়িটা এনেছে কি না দেখা দরকার। প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাগ হাতড়ে ঘড়ি খুঁজবে! তা কি হয়! অথচ দেখতে হবে। তার কী যে হয়েছে! ইদানীং একটুতেই ভুলে যাচ্ছে। চশমা, চাবি যখন তখন হারিয়ে ফেলছে। তবে শেষপর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে ঠিকই। অনেকক্ষণ বসে বসে ভাবতে হচ্ছে।
চশমা কোথায় রাখল! খাটের উপর! কই! নেই তো! টেবিলের ড্রয়ারে! সেখানে না পেয়ে ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল বাথরুমে আছে। ঠিক তাই। বাথরুমের মিররের ব্যাকেটে ছিল। ফ্ল্যাটে ফিরে হাত-মুখ ধোয়ার সময় চশমাটা এখানেই রেখেছিল।
ফ্ল্যাটের চাবি! কোত্থাও নেই। পকেটে, ব্যাগে, বিছানায়, বালিশের নীচে, টেবিলে, ড্রয়ারে নেই। শেষপর্যন্ত পেল। ফ্ল্যাটে চাবি খুলে ঢোকার সময় চাবিটা কি-হোলে থেকে গিয়েছিল। এক ঘণ্টা বাদে দরজা খুলে সেটা দেখতে পেল। আরে! এই তো চাবি! বাইরে থেকে কেউ চাবিটা টেনে খুলে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারত।
এখন সে দাঁড়িয়ে আছে শাটার নামানো বন্ধ পল্টু বস্ত্রালয়ের সামনে। পাশেই পানাপুকুর। পুকুরে ধ্যানমগ্ন একটা দুধসাদা বক। খানিকটা ফাঁকা জমি। কয়েকটি গাছ। ঝোপঝাড়।
বাহ্। বেশ একটা আড়াল পাওয়া গেল। সেই আড়ালে গিয়ে ব্যাগ হাতড়ে নিশ্চিন্ত হল। ঘড়িটা এনেছে। এটা সত্যিই সোনার কি না যাচাই করা হয়নি। স্যাকরার কাছে গেলে তিনি হয়তো জিজ্ঞেস করতেন, ‘ এটা কি আপনার ঘড়ি? এমন সেকেলে পকেটঘড়ি আজকাল পাওয়া যায়! এ তো দেখছি সোনার ঘড়ি! 
পেলেন কোথা থেকে?’ 
এইসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। তাই যায়নি। একবার ভেবে ছিল মঞ্জুমাসিকে দেখাবে। তাঁর বড় ফ্ল্যাটের সংলগ্ন এই সেপারেট ছোট্ট ফ্ল্যাটটায় কুবলয় থাকে। ওঁর পিজি হয়ে। মঞ্জুমাসি তাকে যতই স্নেহ করুন ঘড়ি দেখে চমকে উঠতেন, ‘এই সোনার ঘড়ি কোথায় পেলে!’ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে অনেক কথা বলতে হয়। তাই ঘড়িটা আলমারিতে লুকিয়ে রেখেছিল। তাও ঘড়ি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়। পাওয়ার পরের দিন। আসলে ঘড়ির কথা সে ভুলে গিয়েছিল। সেই ভদ্রলোকের ফোন পেয়ে মনে পড়েছিল। যাঁর ঘড়ি আজ তাঁকে ফেরত দিতে এসেছে।
...
ফোনে ভদ্রলোক বলেছিলেন, ‘ গতকাল দুশো সাতাশ নম্বর বাসে আপনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। আমার নাম আদিনাথ নাগ। মনে পড়ছে?’ কুবলয় বলেছিল, ‘আপনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল! কই, মনে পড়ছে না তো!’ উনি বলেছিলেন, ‘সে কী! মনে পড়ছে না! বাসে খুব ভিড় ছিল। আপনার সিটের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার হাতে একটা ছোট বাক্স ছিল। বাসের ঝাঁকুনিতে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। মনে পড়ছে না!’ তক্ষুনি কুবলয়ের সব মনে পড়ে গেল, ‘হ্যাঁ। হ্যাঁ। এবার মনে পড়েছে। আপনি বাক্সটা আমার হাতে দিয়ে বললেন, আপনার ব্যাগে রাখুন। নামার সময় চেয়ে নেব। বাক্সটা ব্যাগে রাখলাম। খানিকক্ষণ পর আমার পাশের সিট খালি হল। আমার পাশে বসলেন। কত গল্প হল। আমার ফোন নাম্বার একটা চিরকুটে টুকে নিলেন। বললেন আপনার কোনও ফোন নেই। তারপর হঠাৎ রাজাবাজারের স্টপে নেমে গেলেন।’ আদিনাথ বললেন, ‘বড় ভুল হয়ে গেছে। আপনার ব্যাগে আমার ছোট বাক্সটা থেকে গেল।’ কুবলয় বলল, ‘তাই নাকি! আপনার বাক্সের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনি হোল্ড করুন। দেখছি। কী আছে ওই ছোট বাক্সে?’
কুবলয়ের মনে হল আদিনাথ ফোনের ওপারে মুচকি হাসছেন। সেই সঙ্গে তার খেয়াল হল, ‘বলেছিলেন, আপনার ফোন নেই। কিন্তু...’ আদিনাথ তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললেন, ‘অন্য একজনের ফোন থেকে কথা বলছি। আপনি বাক্সটা দেখুন। ফোন হোল্ড করে আছি।’
কুবলয় ব্যাগ হাতড়ে বাক্স পেল। খুলে দেখল একটা সোনালি রঙের সেকেলে পকেটঘড়ি। ফোন তুলে নিয়ে বলল, ‘বাক্স আছে। তাতে সোনালি রঙের একটা পকেটঘড়ি।’ আদিনাথ বললেন, ‘ওটা খাঁটি সোনার ঘড়ি।’
কুবলয় বলল, ‘তাই নাকি! কিন্তু  কীভাবে আপনাকে এটা ফেরত দেব? এক কাজ করুন আমার অফিসে আসুন।’ উনি বললেন, ‘না। সেটা ঠিক হবে না। আপনি বরং আমার কাছে আসুন।’ কুবলয় বলল, ‘কোথায় আসব? আপনার বাড়িতে?’ উনি বললেন, ‘না। না। আমরা বাইরে কোথাও মিট করি।’ কুবলয় বলল, ‘রবিবার ছাড়া অন্যদিন যেতে পারব না।’ উনি বললেন, ‘বেশ। তাই ঠিক রইল। সামনের রবিবার। কোথায় আসতে হবে বলে দিচ্ছি।’ গন্তব্যস্থল বুঝিয়ে দিয়ে শেষে বললেন, ‘মনে রাখবেন পল্টু বস্ত্রালয়ের সামনে। ওখানে বাস থামে। কথা বলে মনে হল আপনি একটু ভুলোমনের মানুষ। সোনার ঘড়িটা মনে করে আনবেন কিন্তু।’ হঠাৎ কুবলয়ের মনে হল ফোনের ওপারে কে যেন বাবা বলে ডাকল। মেয়ের গলা। ভদ্রলোক হঠাৎ ফোন ছেড়ে দিলেন।
আজ রবিবার। সকালে আদিনাথবাবু ফোন করেছিলেন, ‘সোনার ঘড়ি নিয়ে আজ আসছেন তো! সন্ধে ছ’টা। পল্টু বস্ত্রালয়।’ কুবলয় বলেছিল, ‘আসছি।’ কিন্তু কুবলয় চেক করে দেখল না আদিনাথ নাগ একই ফোন থেকে দ্বিতীয় ফোনটা করেছিলেন কি না।
কুবলয়ের বয়স তিরিশ। বাড়ি আসানসোলে। কলকাতার কিড স্ট্রিটে একটা অডিট ফার্মে চাকরি করে। তার সিনিয়র অজিত মিত্র। তাঁকে সে অজিতদা বলে। একদিন তিনি বলেছিলেন, ‘এই বয়সে এত ভুলোমন কেন! কোথায় কোন ফাইল রাখছ ভুলে যাচ্ছ। এইভাবে কাজ করলে মিস্টার দত্ত একদিন তোমাকে জবাব দিয়ে দিতে পারেন।’
কুবলয় ঘাবড়ে গিয়েছিল, ‘তাহলে!’ অজিতদা বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে তোমাকে একদিন সুবীরের কাছে নিয়ে যাব। আমার এই বন্ধু কিন্তু নামকরা মনোবিদ।’
কুবলয় একবার ভেবেছিল অজিতদাকে সোনার ঘড়ির কথাটা বলবে। দেখাবেও। আলমারি থেকে ওটা বের করে অফিসে নিয়ে যাবে। পরমুহূর্তে মত বদলাল। বাসে কেউ চুরি করে নেবে না কে বলতে পারে।
 সেদিন চলন্ত বাসে কথায়-কথায় আদিনাথ নাগকে সে কোথায় থাকে, কোথায় কী চাকরি করে, কোথায় তার অফিস ইত্যাদি আবেগের বশে বলে দিয়েছে। ঘড়ি সাবধানে রাখতে হবে। ঘড়ি খোয়া গেলে ভদ্রলোক পুলিসের সাহায্য নেবেন। সুতরাং অজিতদাকে ঘড়ি দেখাতে নিয়ে যাওয়া রিস্কি।
...
আজ সকালে মঞ্জুমাসি তার ঘরে এসেছিলেন, ‘কুবলয়, আজ রবিবার। বিকেলে আমার কাছে চা খাবে। কেমন!’ কুবলয় বলেছিল, ‘বিকেলে! ক’টায়!’ উনি বলেছিলেন, ‘এই ধর চারটে-সাড়ে চারটেতে।’ কুবলয় বলেছিল, ‘আজ হবে না। একটা কাজ আছে। ওই সময় বেরব। ফিরতে ফিরতে রাত আটটা হয়ে যাবে।’ উনি বলেছিলেন থাকতে পারলে ভালো হতো। আমার মাসতুতো বোন ধীরা আসবে। ওর বর সুবীর আবার ডাক্তার।’ এইটুকু বলে উনি থেমেছিলেন। কুবলয়ের মনে হল সুবীর নামটা শোনা শোনা। কার কাছে শুনেছে এখন মনে পড়ছে না।
এরপর মঞ্জুমাসি বলেছিলেন, ‘এই কাজটা অন্য একদিন করা যায় না! থাকলে ভালো করতে। এই যে মাঝে মাঝে তুমি যে ভুলে যাও... আজ চশমা, কাল চাবি, পরশু ফোন কোথায় রাখছ মনে থাকছে না। পরে অবশ্য মনে পড়ছে। খুঁজেও পাচ্ছ। এই বয়সে এত ভুলে যাওয়া কি ঠিক! সুবীর মনের ডাক্তার। আমার ইচ্ছে ছিল তার সঙ্গে তোমার আলাপ করিয়ে দিই।’ কথা শেষ করে মঞ্জুমাসি আর দাঁড়াননি। চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কুবলয় নিরুপায়। আজ ঘড়ি আদিনাথবাবুকে ফেরত না দিলে হয়তো একদিন এই বাড়িতে পুলিস নিয়ে চড়াও হবেন। এসব কথা তো মঞ্জুমাসিকে বলা যায় না! 
সত্যিই তার বড় ভুলোমন। সেদিন যখন আদিনাথ সিট ছেড়ে উঠলেন নামবেন বলে, তখন তার ব্যাগে রাখা বাক্সের কথা একবারও মনে পড়ল না! যাঁর বাক্স তাঁরও মনে পড়েনি। বাড়ি ফিরেও মনে পড়েনি। আদিনাথ নাগ ফোন করে মনে করিয়ে দিলেন।
মঞ্জুমাসির সুবীর ডাক্তার কি তাহলে অজিতদার সেই বন্ধু!
পৌনে ছ’টা বাজল। আকাশ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। মনে হয় আর বৃষ্টি হবে না। আকাশ থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল পাঞ্জাবি-পাজামা পরা এক ভদ্রলোক রাস্তা পেরিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছেন। আর একটু এগিয়ে এলে সে আদিনাথ নাগকে চিনতে পারল। ভদ্রলোকের মুখে হাসি নেই কেন! কুবলয় তো তাঁর সোনার ঘড়ি ফেরত দিতে এসেছে।
উনি সামনে এসে দাঁড়ালেন, ‘ঘড়ি এনেছেন?’ কুবলয় ব্যাগ থেকে ঘড়িসুদ্ধ বাক্সটা বের করে ওঁর হাতে দিল। উনি বাক্স খুলে ঘড়ি বের করে দেখে আবার সেটা বাক্সে রেখে পাঞ্জাবির সাইড পকেটে রেখে বললেন, ‘আপনাকে কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’ কুবলয় অবাক, ‘কীসের ক্ষতিপূরণ!’ উনি হাসছেন, ‘বাহ্ রে। আমার হাত থেকে এই বাক্সসুদ্ধ সোনার ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে এই ক’দিন নিজের কাছে রাখলেন। তার তো ক্ষতিপূরণ বলে একটা ব্যাপার থাকে।’ কুবলয় রেগে গেল, ‘কী সব আবোল-তাবোল বকছেন!’ উনি বললেন, ‘যা সত্যি তাই বলছি।’ বলে বুক পকেট থেকে ফোন বের করলেন, ‘তাহলে পুলিসকে ডাকি?’ কুবলয় এবারও অবাক, ‘আপনার ফোন আছে!’ প্রত্যুত্তর এল, ‘আছে। দেখতেই তো পাচ্ছেন।’
কুবলয় বুঝতে পারল ফাঁদে পড়েছে। তবু সাহস করে বলল, ‘ডাকুন। বাসের সব কথা পুলিসকে বলব।’ আদিনাথ আবার হাসলেন, ‘বানিয়ে বলছেন না, সেটা প্রমাণ করতে পারবেন তো? তাই বলছি, আপনার পার্সে যা আছে দিন।’ কুবলয় একবার ভাবল চিৎকার করে লোক ডাকলে হয়। কিন্তু তার কথা কেউ বিশ্বাস করবে কি! প্রমাণ তো নেই।
আদিনাথ জিজ্ঞেস করলেন, ‘পার্সে কত আছে?’ কুবলয় বলল, ‘ঠিক মনে নেই। তবে সাতশোর মতো থাকতে পারে।’ অজিতদা পরামর্শ দিয়েছিল, ‘যখনই বাড়ির বাইরে বেরবে সঙ্গে কিছু এক্সট্রা টাকা রাখবে। কমপক্ষে সাতশো অন্তত।’
আদিনাথ বললেন, ‘বেশ। আমাকে ছ’শো দিলেই হবে।’ কুবলয় একবার শেষ চেষ্টা করল, ‘আপনার ফোন নাম্বার কিন্তু আমার কল লিস্টে আছে। পুলিসকে দেখাতে পারি।’ এবার উনি অট্টহাস্য করলেন, ‘ওই নম্বর কোথায় পাবেন! সেই সিমকার্ড নষ্ট করে দিয়েছি।’ কুবলয় পার্স বের করল।
হঠাৎ কোথা থেকে ছুটে এল এক তরুণী। চিৎকার করে বলল, ‘একটা টাকাও দেবেন না।’ আদিনাথের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে, ‘কুমু, তুই!’
কুমু এগিয়ে এসেছে, ‘হ্যাঁ। আমি।’ আদিনাথ বললেন, ‘চল। চল। বাড়ি ফিরি।’ হাতে পার্স নিয়ে কুবলয় ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে রইল।
কুমু বলল, ‘আমিই পুলিসকে ডাকছি।’ হাতের বটুয়া থেকে কুমু ফোন বের করল। আদিনাথ আর্তকণ্ঠে বললেন, ‘তুই তোর বাবাকে পুলিসের হাতে তুলে দিবি! বুক কাঁপবে না!’ কুমু বলল, ‘না। কাঁপবে না। অনেকদিন ধরে সহ্য করেছি। আর নয়। ঠাকুরদার ওই নকল সোনার ঘড়ি নিয়ে কম দুষ্কর্ম করনি। সেদিন এঁকে ফোন করে কী কী বলছিলে এবং আজও যা বলছিলে সব শুনেছি। তোমাকে হাতেনাতে ধরব বলেই ছুটে এসেছি।’
করুণ দৃষ্টিতে আদিনাথ কুবলয়ের দিকে তাকালেন, ‘প্লিজ, ওকে বারণ করুন।’ কী বলবে কুবলয় ভেবে পেল না। কুমু ততক্ষণে ফোনে কথা শুরু  করেছে, ‘হ্যালো। হ্যালো। করিমপুর পুলিস স্টেশন...’
আবার আকাশ কালো হয়ে উঠছে। এবার বোধহয় জোরে বৃষ্টি নামবে। তখনও কুমু হ্যালো, হ্যালো করে যাচ্ছে। কুবলয় কুমুর হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে নিল, ‘না। পুলিস ডাকবেন না। মেয়ে কখনও বাবাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়!’
আদিনাথ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। কুমু হাত বাড়াল, ‘ফোনটা দিন।’ কুবলয় ফেরত দিল। কুমু ফোন অফ করে বটুয়াতে রেখে দিল।
কুবলয় বলল, ‘রাগের মাথায় কী করতে যাচ্ছিলেন ভেবে দেখেছেন!’ কুমু বলল, ‘আর উনি দিনের পর দিন কী করে চলেছেন সেটা জানেন! ওই ঘড়ি ওঁর সর্বনাশের মূল কারণ। সহজ-সরল লোক পেলেই ফাঁদে ফেলেছেন।’ 
তারপর বাবার দিকে ফিরে হাত বাড়াল, ‘ঘড়িটা দাও।’ বাবা মাথা নাড়লেন, ‘না।’ কুমু আবার বলল, ‘দাও।’ বাবা দিল।
ওটা নিয়ে কুমু ছুটে গেল পানাপুকুরের দিকে। ছুড়ে ফেলে দিল ওই পুকুরে। তারপর শান্তভাবে এসে দাঁড়াল দু’জনের মাঝখানে।
কুবলয় আকাশের দিকে তাকাল। মেঘ এবার কেটে যাচ্ছে। আর সন্ধে নামছে। 
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
25th  June, 2023
ব্রহ্মপুরের মনোজ শিকদার
শ্যামলী রক্ষিত

বিপুল ঘুম থেকে উঠেই দেখল, চার-চারটে মিসড কল। নামটা দেখেই মটকা গরম হয়ে গেল তার। ঘুম থেকে উঠতে সবুর সয়নি! কী অদ্ভুত মানুষ! এপ্রিল ফুল করার এমন উন্মাদ নেশা যে, কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলছে! এপ্রিল ফুল করবে বলে ভোর থেকে ফোন করছে! বিশদ

09th  July, 2023
রুপোলি শস্যের জাদু
হারাধন চৌধুরী

‘মিঠে গঙ্গাজলে তোলা অন্নপূর্ণা-ঘাটে।/ মেছোর পাটায় শোভে কিবা বাঁকা ঠাটে।।’ ... ‘কাঁচা ইলিশের ঝোল কাঁচা লঙ্কা চিরে।/ ভুলিবে না খেয়েছে যে ব’সে পদ্মাতীরে।।’ ... ‘আষাঢ়ে প্রথম মৎস্য প্রবেশিলে ঘরে।/ দূর্ব্বাধানে পূজে তারে শঙ্খরব ক’রে।।’ ... ‘একটি একটি কাঁটা তারিয়ে তারিয়ে।/ অবলা বিরলে খান বেড়ালে হারিয়ে।। বিশদ

09th  July, 2023
ছায়া গাছ
ছন্দা বিশ্বাস

তপেশরঞ্জন একসময়ে লটারির টিকিট বিক্রি করত। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ে পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। এখন মস্ত বড় প্রমোটার হয়েছে। কয়েকজন বন্ধু মিলে পার্টনারশিপ ব্যবসা খুলেছে। আয় পত্তর ভালোই হচ্ছে সেটা ওর বাড়ি দেখেই শতানিক গেলবারই বুঝতে পেরেছিল। তবে, তপেশ দান ধ্যান করে। বিশদ

02nd  July, 2023
হারিয়ে যাওয়া যৌথ পরিবার
সমৃদ্ধ দত্ত

হেরে গিয়েছে গণতন্ত্র। জিতেছে স্বৈরতন্ত্র। সেইসব একান্নবর্তী পরিবারে বহু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই ছিল আলোচনার পরিসর। সেজো মামার নাতনির অন্নপ্রাশনে কী দেওয়া হবে? নূপুরের জন্য এই শ্যামনগরের পাত্রটি কি মানানসই? নাকি কসবার এই ডাক্তার ছেলেকেই বাছাই করা হবে? বিশদ

02nd  July, 2023
আম প্রীতির ইতিহাস
সন্দীপন বিশ্বাস

গৌতম বুদ্ধ, সম্রাট আলেকজান্ডার, মুঘল সম্রাট আকবর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা অমিতাভ বচ্চন— বিভিন্ন সময়ের এই মনীষী ও ব্যক্তিত্বদের মধ্যে মিল কোথায়?
বিশদ

25th  June, 2023
শততম বিবাহবার্ষিকী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

বরাবরই ভোরে ওঠা অভ্যাস নন্দিতার। আজ একটু আগেই ঘুম ভাঙল। দেখল, জাঁকিয়ে নাক ডাকছে রিক্ত। আজ যেন বেশিই গর্জন করছে তার ধারালো নাকটা। সেই নাকে একটা ছোট্ট টোকা মেরে নন্দিতা বলল, ‘অ্যাই, ওঠো না।’  বিশদ

18th  June, 2023
দায়িত্বভার
শ্যামলী আচার্য

‘একজন আয়া দিয়ে তো হবে না, বারো ঘণ্টার হিসেবে দু’জন আয়া রাখতেই হবে। কথা বলে নাও তোমার শাশুড়ির সঙ্গে,’ টেলিফোনের ওপারে ঝনঝন করে বেজে উঠল পরমার গলা। এই প্রান্তে দিয়া মোবাইল লাউডস্পিকারে রেখে জামাকাপড় ভাঁজ করছিল, তার মনে হল মা বড্ড জোরে কথা বলে। বিশদ

11th  June, 2023
হাজারদুয়ারির হাতছানি
মৃদুলকান্তি ঘোষ

জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁফিয়ে উঠেছে সৈকত। দোকান দেখলেই চাতক চাহনিতে এগচ্ছে সে। ‘এক বোতল জল দিন।’ তাঁর অবাক জলপান চলছে ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে, ছোট ছোট স্পেলে। মুর্শিদাবাদের শুকনো গরমে ঝরঝর করে ঘাম ঝরছে। তৃষা এবার হেসেই ফেলল বন্ধুর কাণ্ড দেখে। বিশদ

11th  June, 2023
ক্রমাগত
সুমন দাস

সকালের ট্রেন। আপ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। ঠাসাঠাসি ভিড়। তিল ধারণেরও জায়গা নেই। একে ভিড়, তায় আবার গরম। বৈশাখ মাসের সকাল। দশটাও বাজেনি, অথচ সীমাহীন গরমে দরদর করে ঘামছে বিকাশ। একটু হাওয়ার জন্যে হন্যে হয়ে রয়েছে সে। বাকিরাও তাই। বিশদ

04th  June, 2023
কালের যাত্রার ধ্বনি
সন্দীপন বিশ্বাস

 

দক্ষিণে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। উত্তরে মদনমোহন ঠাকুরবাড়ি। সংলগ্ন দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির। পশ্চিম দিকে গঙ্গার অনন্তধারা। এই অঞ্চলটুকুই হল চিৎপুর। কেউ বলেন, দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির থেকেই এই স্থানের নাম চিৎপুর। আবার কারও মতে, চিতু ডাকাতের নামানুসারেই এই নামকরণ। বিশদ

04th  June, 2023
চিরশৈশব
সুমন মহান্তি

 

বিকেল হয়ে আসছে, আকাশে বিস্কুট রং, টিলার ওপারে সূর্য স্তিমিত হচ্ছে। ট্রেনের সাইড বার্থে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম। প্রতিমুহূর্তে দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল। কেন জানি না অবেলার দৃশ্য আমাকে আনমনা করে দেয় বারবার। বিশদ

28th  May, 2023
অযাচিত
সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

বাসস্ট্যান্ডে লাবণ্য যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, ভালো লাগছে না। চটির ডগায় একটা পাথরকুচি নাড়াচাড়া করছে। বাসের পাত্তা নেই। অনেকদিন পর বেরিয়েছে ও। এখন লাবণ্যর একটা নতুন পরিচয় হয়েছে সমাজে। বিধবা! শব্দটাতেই কেমন একটা সাদাটে-ফ্যাকাশে ভাব। নিরামিষ গন্ধ। বিশদ

21st  May, 2023
বিন্নি ধানের খেত
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

রাস্তার পাশে একটা সাইনবোর্ডের গায়ে ‘সুন্দরপুর’ নামটা দেখে সুমিতানন্দ ওরফে সুমিত বুঝতে পারলেন, তিনি তাঁর গন্তব্যে প্রায় পৌঁছে গিয়েছেন। সামনেই একটা প্রাইমারি স্কুল পড়বে। সেখানে তাঁর জ্ঞাতিভাই পলাশের অপেক্ষা করার কথা। সে-ই তাঁকে নিয়ে যাবে। বাড়ি। বিশদ

14th  May, 2023
প্রতিক্ষা
নির্মাল্য রায়

সল্টলেকের নার্সিংহোমের দোতলায় আইসিসিইউ-এর বাইরে বসে হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিল বছর পনেরো আগে। সংবিৎ ফিরল নার্সের বাজখাঁই গলার চিৎকারে, ‘মিস্টার সুখেন্দু চৌধুরীর বাড়ির লোক কে আছেন?’ ডাঃ অনির্বাণ সারেঙ্গীর চিকিৎসায় প্রায় দু’মাস হয়ে গেল এই নার্সিংহোমে ভর্তি সুখেন্দু। বিশদ

07th  May, 2023
একনজরে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় সম্প্রতি জিএসটিকে আনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এর ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি নাক গলাতে পারবে জিএসটি নেটওয়ার্কে। সেখান থেকে তারা তথ্য নিতে পারবে।  ...

মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...

২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। একবছরের মধ্যে তা বেড়েছে আড়াই শতাংশ। তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে সব ধরনের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM