Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

হাজারদুয়ারির হাতছানি
মৃদুলকান্তি ঘোষ

জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁফিয়ে উঠেছে সৈকত। দোকান দেখলেই চাতক চাহনিতে এগচ্ছে সে। ‘এক বোতল জল দিন।’ তাঁর অবাক জলপান চলছে ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে, ছোট ছোট স্পেলে। মুর্শিদাবাদের শুকনো গরমে ঝরঝর করে ঘাম ঝরছে। তৃষা এবার হেসেই ফেলল বন্ধুর কাণ্ড দেখে। ঘোড়ার গাড়ির উপর শুয়ে পড়েছে সৈকত। আর কিছু দেখবে না ও। হোটেলে ফিরবে। তৃষা ওকে টানছে—কলিজা খাকির সমাধিটা দেখতেই হবে। ঘোড়ার গাড়িতে বসেই মোবাইলে গোটা কয়েক ছবি তুলল সৈকত। মাথায় দ্বিপ্রহরের রোদ। শরীর আর চলছে না। গাড়ি থেকে নামার ধকল আর নয়। গাড়ির মালিক সামাই শেখ রসিক মানুষ। তৃষা-সৈকতের রসায়ন কিছুটা বুঝেছে ও। দাদা, ভাবি ডাকছে। ফিচেল হাসি গোঁফের কোণে। যান না দাদা। দুটো ছবি তুলে আসুন। আমি দাঁড়িয়ে আছি টেনশন করবেন না। আপনাদের সব না ঘুরিয়ে ছাড়ব না। সৈকত কলকাতার ছেলে। চাকরি সূত্রে বেশ ক’বছর দিল্লিতে। তৃষা মুর্শিদাবাদের মেয়ে। থাকে কলকাতায়। আগে ওরা এক অফিসে চাকরি করত, সেখান থেকেই পরিচয়। 
জার্নিটা শুরু হয়েছিল সকালে। চিৎপুর স্টেশন থেকে। হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে চড়ে বসা। গন্তব্য নবাবের মুলুক। মুর্শিদাবাদ স্টেশনে নেমে ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া করে সোজা কাটরা মসজিদ। তৃষার পৈতৃক জেলা। আগে থেকেই ও রুট ম্যাপ সাজিয়ে রেখেছিল, কোনটার পর কোনটা দেখা হবে। প্রথমেই কাটরা মসজিদ। ঘোড়ার খুরের টকটক শব্দ। গাড়োয়ানের ঘোড়া চমকানো মুখের আওয়াজ বেশ উপভোগ করছিল ওরা। সিরাজের শহরের সঙ্গে শুভদৃষ্টি সৈকতের। ইতিহাসের পাতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা বাস্তব। কামান, গোলা, তরবারি...। ইটের পাঁজরে জমে থাকা কথা আলতো হাতে ছুঁয়ে দেখা। কোনও এক প্রাগৈতিহাসিক পটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ওরা। কাটরা মসজিদ দেখে তেমনই মনে হল। 
বিস্ময় ভরা চোখে গাইডের দিকে মুখ ফেরাল সৈকত। ৩০ টাকা ঘণ্টায় ভাড়া করা গাইড যেন গুগল। গড়গড় করে বলে চলেছে— কাটরা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ। ঐতিহাসিক স্যর যদুনাথ সরকারের মতে, প্রথম জীবনে তিনি মুসলিম ছিলেন না। দাক্ষিণাত্যের কোনও এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম তাঁর। বাল্যকালে দাস ব্যবসায়ীরা অপহরণ করে বিক্রি করে দেয় তাঁকে। ক্রেতা ছিলেন এক ধনী মুসলিম ব্যবসায়ী। তিনি বালককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেন। নতুন নাম হয় মহম্মদ হাদি। হাদি আওরঙ্গজেবের সান্নিধ্য লাভ করেন। বাংলায় রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে থাকলে মুঘল সম্রাট তাঁকে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন। তখন দেওয়ানি রাজধানী ছিল ঢাকা। নানা কারণে দেওয়ানি অফিস তিনি ঢাকা থেকে মুখসুদাবাদে আনেন ১৭০২ সালে। ১৭০৬ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে মীর কুতুব মুর্শিদকুলি খাঁ উপাধি দেন। একই সঙ্গে সেখানে সদর দেওয়ানি কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেন। মুখসুদাবাদের নতুন নাম হয় মুর্শিদাবাদ। 
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মুর্শিদকুলি পুণ্য অর্জনের আশায় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করলেন। ১৭২৩ সালে কাটরা মসজিদ তৈরি শুরু হয়। দু’বছরে তৈরি হয় মসজিদ। সেটির প্রবেশপথে সিঁড়ির নীচেই রয়েছে মুর্শিদকুলি খাঁর কবর। মসজিদের সাতটি গম্বুজ সেগুলি প্রায় ধ্বংসের মুখে। মসজিদের চারপাশে গম্বুজ যুক্ত ছোট ছোট ঘর রয়েছে। সেগুলিতে দ্বীন শিক্ষার ছাত্ররা থাকতেন বলে অনুমান করা হয়। দু’পাশে দু’টি উঁচু মিনার। উচ্চতা ৭০ ফুট।  
লাল ইটের শানে বসে সৈকত ফ্লাস্ক থেকে চা ঢেলে গলা ভেজাচ্ছে। মসজিদের ইটে পুরনো টেরাকোটার মূর্তি রয়েছে কোথাও কোথাও। সেগুলি খুঁটিয়ে দেখছিল তৃষা।
—এবার চল! হাজারদুয়ারি যাই। 
কাঁচা-পাকা বাড়ির মাঝ দিয়ে ছুটছে এক্কাগাড়ি। অজানা গাছগাছালিতে ভরা চারপাশ। হাজার দরজার সামনে এসে পৌঁছল ওরা। মুর্শিদাবাদের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ এই হাজারদুয়ারি। ১৮২৬ সালে ডানকান ক্যামলয়েড নামে এক ইঞ্জিনিয়ার হাজারদুয়ারি তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেন। ১৮২৯ সালে ২৯ আগস্ট নবাব হুমায়ুন জা হাজারদুয়ারির ভিত্তি স্বরূপ চার কোণে চারটি সোনার ইট গেঁথে দেন। ভবন তৈরির কাজ শেষ হয় ১৮৩৭ সালে। ভবনটির দৈর্ঘ্য ৪২৫ ফুট। প্রস্থে ২০০ ফুট। উত্তরের প্রবেশদ্বারের বারান্দায় ছ’টি সুদীর্ঘ থাম রয়েছে। বারান্দায় ওঠার জন্য ৩৬টি সিঁড়ি। ওখানেই গা এলিয়ে বসে আছেন পর্যটকরা। সামনে বিরাট চওড়া একটা মাঠ। মাঠের ওপাশে ইমামবাড়া। এই সিঁড়িই এখন সেলফি জোন। ভাড়াটে ক্যামেরাম্যানও পাওয়া যায়। টিমটিম করে বেঁচে আছে ছবি তুলে দেওয়ার প্রাচীন পেশা। 
হাজার দরজার হাতছানির ঘোর কাটিয়ে প্যালেসে ঢুকলেই ইতিহাসের মায়াজাল। রং তুলির শামিয়ানা। ঝাড়বাতির বাহার। হাজারদুয়ারি মূলত মিউজিয়াম। ইতিহাসের স্মৃতিকে গর্ভে নিয়ে বসে থাকা এক বিস্ময় অট্টালিকা। দেওয়ালের গায়ে ফ্রেমে বাঁধানো ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, হল্যান্ড সহ নানা দেশের জানা-অজানা শিল্পীদের আঁকা মূল্যবান ছবি। কাচের শো-কেসে রাখা অস্ত্রশস্ত্র, বর্ম, সমর সরঞ্জাম। সৈকত বার বার দাঁড়িয়ে পড়ছিল শো-কেসের সামনে। ওকে ঠেলা দিচ্ছে তৃষা। পা চালাও, এখনও অনেক দেখা বাকি।
সব মিলে হাজারদুয়ারিতে ২ হাজার ৬০০টি অস্ত্র রয়েছে। তার মধ্যে ৪০টি পিস্তল, ৪১টি তরবারি, ১১টি মাসকেট, ৩টি লোহার ড্যাগা, ৭টি কুঠার, ৬টি চপার, একনলা ও দু’নলা মিলিয়ে ১৭টি বন্দুক সাজানো রয়েছে নানা কক্ষে। অমূল্য এই অস্ত্র সম্ভারে রয়েছে সিরাজ-উদ-দৌল্লার বল্লম, নাদির শাহের তরবারি, বিক্রমাদিত্যের বর্শা, মীরকাশিমের দু’নলা বন্দুক, আলিবর্দির তরবারি, সিরাজকে খুনে ব্যবহৃত ছুরি। বিদেশি অস্ত্রও রয়েছে। রয়েছে খাবারে বিষ পরীক্ষা করার প্লেট। হাজারদুয়ারির গ্রন্থাগারে প্রাচীন কোরান সহ বহু মূল্যবান গ্রন্থ রয়েছে। রয়েছে আইন-ই-আকবরির পাণ্ডুলিপি। আছে মুর্শিদকুলি খানের ব্যবহৃত মার্বেল পাথরের সিংহাসন। সিরাজের রুপোর সিংহাসন, রানি ভিক্টোরিয়ায় উপহার দেওয়া ঝাড়বাতি। হাতির দাঁতের সোফাসেট, পালকি। বিলিয়ার্ড বোর্ড। আর পর্যটকদের বিস্মিত করা এক অত্যাশ্চর্য আয়না। যেখানে শুধু নিজের মুখটি দেখা যায় না। যে কোনও দরজা দিয়ে ঢুকলে তা আয়নায় ধরা পড়ে। 
প্যালেসের উল্টোদিকে ইমামবাড়া। একপাশে ক্লক টাওয়ার, অন্যপাশে মসজিদ। এখানে প্রথম ইমামবাড়াটি তৈরি করেছিলেন সিরাজ-উদ-দৌল্লা। সেটি ছিল কাঠের। ইংরেজরা সেটি ভেঙে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ধর্মীয় ভাবাবেগের কারণে তা ভাঙা হয়নি। ১৮৩৭ সালে এক ইংরেজ আধিকারিক নতুন ইমামবাড়া তৈরির প্রস্তাব দেন। ১৮৪০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার অনুমতি দেয়। ১৮৪৭ সালে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন সিরাজের তৈরি কাঠের ইমামবাড়া আগুনে ভস্মীভূত হয়। অনেকে মনে করেন এই আগুন ইচ্ছাকৃতভাবে লাগানো হয়েছিল। ১৮৪৭ সালে নতুন ইমামবাড়া তৈরি হয়। এটি এশিয়ার বৃহত্তম ইমামবাড়া। 
প্যালেসের পিছনেই ওয়াশিফ মঞ্জিল। প্যালেস প্রাঙ্গণে মাথা উঁচু করে সুউচ্চ ক্লক টাওয়ার। এর শীর্ষে রয়েছে একটি ঘড়ি। এটি তৈরি করেছিলেন ইউরোপীয় শিক্ষায় শিক্ষিত নবাব ফেরাদুন জা। 
কাঠগোলা বাগানে ঢোকার মুখে ডাব বিক্রি করছেন স্থানীয়রা। একটা তুলে নিয়ে ঢক ঢক করে জল খেল সৈকত। কিছুটা এগতেই বসে আছে গাইডের দল। ঘণ্টায় ৩০, কোথাও ৫০ টাকা মজুরি। হাজারদুয়ারি থেকে চার কিলোমিটার উত্তরে জিয়াগঞ্জের রাজা লক্ষ্মীপৎ সিং দুগার ও ধনপৎ সিং দুগার নামে দুই ভাই জায়গাটি কিনে বাগান বাড়ি তৈরি করেন। ১৮৭৩ সালে বাগান ও বাড়ি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রবেশপথে নহবত গেট। অর্থাৎ ফটকের মাথায় বাজনদারদের বসার জায়গা। ভিতরে প্রবেশের পর বাঁদিকে একটি জলপূর্ণ সুড়ঙ্গ। কথিত আছে এই, সুড়ঙ্গটি ভাগীরথীর সঙ্গে মিশেছে। এমনকী দেড় কিলোমিটার দূরে জগৎশেঠের বাড়িও এই সুড়ঙ্গ পথে যাওয়া যেত। ডান দিকে ছোট্ট পাখিরালয়। বাগান বাড়ির সামনেই বিরাট পুকুর, রঙিন মাছের সাঁতার। চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। গাইড ওদের নিয়ে এল শ্বেতশুভ্র একটা মন্দিরের সামনে। জেলার বিখ্যাত ও দর্শনীয় আদিনাথের মন্দির। এটি জৈনদের মন্দির। প্রধান কক্ষের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু বেদীতে মূল বিগ্রহ আদিনাথের। মন্দিরে দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর—উভয় সম্প্রদায়ের মূর্তির দেখা মেলে। বাগানের আলো-ছায়ার কড়িবরগার ঘরেই চালু হয়েছে হোটেল। মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে সেখানে জিরিয়ে নিল ওরা।   
কাঠগোলা বাগান থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই সে যুগের ব্যাঙ্কার জগৎ শেঠের বাড়ি। মুর্শিদকুলি খাঁ ঢাকা থেকে দেওয়ানি কার্যালয় মুখসুদাবাদে নিয়ে আসার সময়ই তাঁর সঙ্গে এখানে আসেন মানিক চাঁদ। মানিক চাঁদের ভাগ্নে তথা পোষ্যপুত্র ফতেচাঁদই ইতিহাস খ্যাত জগৎশেঠ। ১৭২৪ সালে তিনি দিল্লির বাদশার কাছে ‘জগৎশেঠ’ উপাধি পান।   
শেঠের বাড়িটি এখন মিউজিয়াম। বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, পিস্তল, তলোয়ার, মশাল, খড়্গ, ঢাল, গণ্ডারের চামড়া, হাত কামান, উল্কাপিণ্ড, হাতির দাঁতের পাশা, মসলিন শাড়ি, টাঁকশালে তৈরি মুদ্রা সহ বহু কিছু রয়েছে সেখানে। জগৎশেঠ নবাব বা রাজা না হয়েও তার রাজ-জৌলুসের খামতি ছিল না। বিপুল ধনসম্পদ থাকায় বহুবার তাঁর বাড়িতে আক্রমণ হয়। ফলে তাঁর বাড়িতে দু’টি গুপ্ত গুহা বা পথ ছিল, যার অংশ বিশেষ এখনও আছে। এই গুপ্ত পথ বহুদূর পর্যন্ত গিয়েছে। কথিত আছে, একটি পথ নিকটবর্তী ভাগীরথী নদীতে গিয়েছে, যাতে আক্রমণ হলে তিনি পালিয়ে বাঁচা যেতে পারে। আবার এও কথিত আছে যে, একটি পথ কিছুদূর গিয়ে দিক পরিবর্তন করে অন্য কোথাও গিয়েছে, যা আজও অজানা।  এছাড়া, একটি গুপ্ত পথ কাঠগোলা বাগানে গিয়েছে। 
গুপ্ত গুহাগুলি আজ আর নেই। সামনের কিছু অংশ রেখে বাকিটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই গুহা আজ মিউজিয়ামের অংশ। দু’টি গুপ্ত গুহাতেই পুরনো দিনের অনেক স্মারক সংগ্রহে রাখা হয়েছে। জগৎশেঠের রাজকীয় পোশাক ও ব্যবহার্য সামগ্রী তাঁর রাজকীয় জৌলুসেরই পরিচয় বহন করে। লর্ড ক্লাইভের একটি পোশাক আছে এখানে। রয়েছে একটি অতিসূক্ষ্ম মসলিন কাপড়। বিষাক্ত খাবার পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ থালা এখানে রক্ষিত আছে। তরলে বিষ মেশানো রয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য রয়েছে কাচের জার। সেকালের দেশসেরা রাজ-নর্তকী হীরা বাইয়ের একটি পেইন্টিং রয়েছে এখানে। ব্যক্তি মালিকানায় মিউজিয়ামের আকার নিয়েছে জগৎশেঠের প্রাসাদ। 
ঘোড়াগাড়ির টকটক আওয়াজ থামল এসে আরও এক প্রাসাদের সামনে। এ তো হাজারদুয়ারির আদলেই গড়া! নশিপুর রাজবাড়ি। কুখ্যাত রাজা দেবী সিংহ  পানিপথ থেকে বাংলায় এসেছিলেন ব্যবসা করতে। পলাশির যুদ্ধের ঠিক পরে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ব্যবসায় বিশেষ প্রতিপত্তি করতে না পেরে মুর্শিদাবাদের রাজস্ব আদায়ের দেওয়ান রেজা খাঁর সঙ্গে সখ্য এবং ওয়ারেন হেস্টিংসের বিশেষ প্রিয়পাত্রে পরিণত হন। রংপুর ও দিনাজপুরের রাজস্ব আদায়ে নিযুক্ত হন। এক নিঃশ্বাসে বলে চলেছেন গাইড। খাজনা আদায়ে তিনি ছিলেন নির্মম আর ভীষণ অত্যাচারী। প্রাসাদের পিছনের অংশে এখনও ফাঁসির শিকল ও কুয়ো দেখতে পাওয়া যায়। দেবী সিংহকে পরবর্তীকালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজা উপাধি দেয়। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন তাই তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র রাজা উদমন্ত সিংহ নশিপুরের রাজা হন। তিনি বহু মন্দির নির্মাণ করেছিলেন পূর্ব পুরুষদের পাপ মোচনের জন্য। তাঁর জমিদারির অধিকাংশ আয় দেবতা, ব্রাহ্মণ ও দরিদ্র মানুষের সেবায় ব্যয় করতেন। রাজা উদমন্ত সিংহের নাতি রাজা কীর্তিচাঁদ ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে হাজারদুয়ারির আদলে বর্তমান নশিপুর রাজবাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন । 
বেলা ফুরিয়ে আসছে। সন্ধে নামার আগে পৌঁছতে হবে খোশবাগ। ভাগীরথীর ওপারে। ফেরিঘাটে যাওয়ার রাস্তায় পড়ল কসবিখাকি। মিরজাফর ও তাঁর বংশধরদের জাফরাগঞ্জ কবরস্থান। হাতে সময় কম। লালবাগের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অগুনতি ছোট বড়, নামী-অনামী মসজিদ। কোনওটা ভগ্নপ্রায়। কোনওটির সংস্কার হয়েছে। নৌকার দোলা, পড়ন্ত সূর্য আর ভাগীরথীর হাওয়া। চোখ বুজে আসছে সৈকতের। ওপারে নেমে টোটো চেপে খোশবাগ। খুশবু থেকে খোশবাগ। নবাব আলিবর্দি ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি সৌধ নির্মাণ করেন। চারদিকে ফুলের গাছ লাগান। গন্ধে ম ম করত এলাকা। আলিবর্দি উইলে লেখেন, ‘কর্ম চঞ্চল প্রাণপাখি বেরিয়ে গেলে অকর্মা দেহটাকে খোশবাগে সমাধি করিও। যেন কেহ বিরক্ত না করে।’  মৃত্যুর পর তাঁকে খোশবাগে কবর দেওয়া হয়। এখানেই চিরশয্যায় তাঁর প্রিয় দৌহিত্র বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা। সিরাজের বেগম লুৎফুন্নেসা। আর আছে চরাচরব্যাপী নিস্তব্ধতা। কোলাহল মুক্ত সবুজের মাঝে শান্তির আশ্রয়। কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় একটা মেয়ে ফুল রেখে গিয়েছে সিরাজ-লুৎফার কবরে। ও রোজ আসে।  
ফের গঙ্গা পেরিয়ে এপারে আসা। বাহারি আলোয় সেজে উঠেছে মোতিঝিল পার্ক। সামনে বোটিং। পর্যটকদের জন্য মোতিঝিলকে নতুন করে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। যতটা ঝাঁ চকচকে করা যায়। ১৭৫০-’৫১ খ্রিস্টাব্দে নবাব আলিবর্দি খাঁয়ের জ্যেষ্ঠ জামাতা তথা ঘসেটি বেগমের স্বামী নবাব নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ সুদৃশ্য মোতিঝিল এবং ঝিলের পাড়ে সিংহী দালান নামে এক প্রাসাদ নির্মাণ করেন। এখন সেই প্রাসাদ আর নেই। রয়েছে শুধু দালানের ভিত। কথিত আছে এই ঝিলে মোতি চাষ হতো। তাই নাম মোতিঝিল। ঝিলের জলে চাঁদের প্রতিচ্ছবি, সন্ধ্যা মিশছে রাতে। এবার ফেরাল পালা।        
তৃষা জানতে চাইল, প্রি ওয়েডিং শ্যুটটা? 
সৈকত বলল, নবাবি মুলুক। ...ফাইনাল। 
11th  June, 2023
ব্রহ্মপুরের মনোজ শিকদার
শ্যামলী রক্ষিত

বিপুল ঘুম থেকে উঠেই দেখল, চার-চারটে মিসড কল। নামটা দেখেই মটকা গরম হয়ে গেল তার। ঘুম থেকে উঠতে সবুর সয়নি! কী অদ্ভুত মানুষ! এপ্রিল ফুল করার এমন উন্মাদ নেশা যে, কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলছে! এপ্রিল ফুল করবে বলে ভোর থেকে ফোন করছে! বিশদ

09th  July, 2023
রুপোলি শস্যের জাদু
হারাধন চৌধুরী

‘মিঠে গঙ্গাজলে তোলা অন্নপূর্ণা-ঘাটে।/ মেছোর পাটায় শোভে কিবা বাঁকা ঠাটে।।’ ... ‘কাঁচা ইলিশের ঝোল কাঁচা লঙ্কা চিরে।/ ভুলিবে না খেয়েছে যে ব’সে পদ্মাতীরে।।’ ... ‘আষাঢ়ে প্রথম মৎস্য প্রবেশিলে ঘরে।/ দূর্ব্বাধানে পূজে তারে শঙ্খরব ক’রে।।’ ... ‘একটি একটি কাঁটা তারিয়ে তারিয়ে।/ অবলা বিরলে খান বেড়ালে হারিয়ে।। বিশদ

09th  July, 2023
ছায়া গাছ
ছন্দা বিশ্বাস

তপেশরঞ্জন একসময়ে লটারির টিকিট বিক্রি করত। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ে পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। এখন মস্ত বড় প্রমোটার হয়েছে। কয়েকজন বন্ধু মিলে পার্টনারশিপ ব্যবসা খুলেছে। আয় পত্তর ভালোই হচ্ছে সেটা ওর বাড়ি দেখেই শতানিক গেলবারই বুঝতে পেরেছিল। তবে, তপেশ দান ধ্যান করে। বিশদ

02nd  July, 2023
হারিয়ে যাওয়া যৌথ পরিবার
সমৃদ্ধ দত্ত

হেরে গিয়েছে গণতন্ত্র। জিতেছে স্বৈরতন্ত্র। সেইসব একান্নবর্তী পরিবারে বহু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই ছিল আলোচনার পরিসর। সেজো মামার নাতনির অন্নপ্রাশনে কী দেওয়া হবে? নূপুরের জন্য এই শ্যামনগরের পাত্রটি কি মানানসই? নাকি কসবার এই ডাক্তার ছেলেকেই বাছাই করা হবে? বিশদ

02nd  July, 2023
আম প্রীতির ইতিহাস
সন্দীপন বিশ্বাস

গৌতম বুদ্ধ, সম্রাট আলেকজান্ডার, মুঘল সম্রাট আকবর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা অমিতাভ বচ্চন— বিভিন্ন সময়ের এই মনীষী ও ব্যক্তিত্বদের মধ্যে মিল কোথায়?
বিশদ

25th  June, 2023
সোনার ঘড়ি
বাণীব্রত চক্রবর্তী

মঞ্জুমাসি বলেন, ‘কুবলয়, মাঝে মাঝে তোমাকে নিয়ে চিন্তা হয়।’ সে জিজ্ঞেস করে, ‘চিন্তা হয়! কেন?’ উনি বলেন, ‘তুমি বড় সরল। তার উপর তোমার যা ভুলো মন। তাই চিন্তা হয়।’
কুবলয় হাসে। মঞ্জুমাসি তার নিজের মাসি নন। তার মায়ের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট।
বিশদ

25th  June, 2023
শততম বিবাহবার্ষিকী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

বরাবরই ভোরে ওঠা অভ্যাস নন্দিতার। আজ একটু আগেই ঘুম ভাঙল। দেখল, জাঁকিয়ে নাক ডাকছে রিক্ত। আজ যেন বেশিই গর্জন করছে তার ধারালো নাকটা। সেই নাকে একটা ছোট্ট টোকা মেরে নন্দিতা বলল, ‘অ্যাই, ওঠো না।’  বিশদ

18th  June, 2023
দায়িত্বভার
শ্যামলী আচার্য

‘একজন আয়া দিয়ে তো হবে না, বারো ঘণ্টার হিসেবে দু’জন আয়া রাখতেই হবে। কথা বলে নাও তোমার শাশুড়ির সঙ্গে,’ টেলিফোনের ওপারে ঝনঝন করে বেজে উঠল পরমার গলা। এই প্রান্তে দিয়া মোবাইল লাউডস্পিকারে রেখে জামাকাপড় ভাঁজ করছিল, তার মনে হল মা বড্ড জোরে কথা বলে। বিশদ

11th  June, 2023
ক্রমাগত
সুমন দাস

সকালের ট্রেন। আপ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। ঠাসাঠাসি ভিড়। তিল ধারণেরও জায়গা নেই। একে ভিড়, তায় আবার গরম। বৈশাখ মাসের সকাল। দশটাও বাজেনি, অথচ সীমাহীন গরমে দরদর করে ঘামছে বিকাশ। একটু হাওয়ার জন্যে হন্যে হয়ে রয়েছে সে। বাকিরাও তাই। বিশদ

04th  June, 2023
কালের যাত্রার ধ্বনি
সন্দীপন বিশ্বাস

 

দক্ষিণে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। উত্তরে মদনমোহন ঠাকুরবাড়ি। সংলগ্ন দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির। পশ্চিম দিকে গঙ্গার অনন্তধারা। এই অঞ্চলটুকুই হল চিৎপুর। কেউ বলেন, দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির থেকেই এই স্থানের নাম চিৎপুর। আবার কারও মতে, চিতু ডাকাতের নামানুসারেই এই নামকরণ। বিশদ

04th  June, 2023
চিরশৈশব
সুমন মহান্তি

 

বিকেল হয়ে আসছে, আকাশে বিস্কুট রং, টিলার ওপারে সূর্য স্তিমিত হচ্ছে। ট্রেনের সাইড বার্থে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম। প্রতিমুহূর্তে দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল। কেন জানি না অবেলার দৃশ্য আমাকে আনমনা করে দেয় বারবার। বিশদ

28th  May, 2023
অযাচিত
সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

বাসস্ট্যান্ডে লাবণ্য যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, ভালো লাগছে না। চটির ডগায় একটা পাথরকুচি নাড়াচাড়া করছে। বাসের পাত্তা নেই। অনেকদিন পর বেরিয়েছে ও। এখন লাবণ্যর একটা নতুন পরিচয় হয়েছে সমাজে। বিধবা! শব্দটাতেই কেমন একটা সাদাটে-ফ্যাকাশে ভাব। নিরামিষ গন্ধ। বিশদ

21st  May, 2023
বিন্নি ধানের খেত
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

রাস্তার পাশে একটা সাইনবোর্ডের গায়ে ‘সুন্দরপুর’ নামটা দেখে সুমিতানন্দ ওরফে সুমিত বুঝতে পারলেন, তিনি তাঁর গন্তব্যে প্রায় পৌঁছে গিয়েছেন। সামনেই একটা প্রাইমারি স্কুল পড়বে। সেখানে তাঁর জ্ঞাতিভাই পলাশের অপেক্ষা করার কথা। সে-ই তাঁকে নিয়ে যাবে। বাড়ি। বিশদ

14th  May, 2023
প্রতিক্ষা
নির্মাল্য রায়

সল্টলেকের নার্সিংহোমের দোতলায় আইসিসিইউ-এর বাইরে বসে হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিল বছর পনেরো আগে। সংবিৎ ফিরল নার্সের বাজখাঁই গলার চিৎকারে, ‘মিস্টার সুখেন্দু চৌধুরীর বাড়ির লোক কে আছেন?’ ডাঃ অনির্বাণ সারেঙ্গীর চিকিৎসায় প্রায় দু’মাস হয়ে গেল এই নার্সিংহোমে ভর্তি সুখেন্দু। বিশদ

07th  May, 2023
একনজরে
সদ্য শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ফলাফলে জেলার বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু, যতদিন বোর্ড গঠন না হচ্ছে, ততদিন কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারছে না গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ...

মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে মুখোমুখি মার্কেটা ভন্ড্রুসোভা ও ওনস জাবিউর। সেমি-ফাইনালে এলিনা ভিতোলিনাকে ৬-৩, ৬-৩ স্ট্রেট সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের অবাছাই প্লেয়ার মার্কেটা। এই প্রথম অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে খেতাবি লড়াইয়ে নামবেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM