পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
পাবলিক বাস বা ট্রেনে যাতায়াতের অভ্যেস আছে? তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বেশ কিছু বাসে এখনও লেডিস সিট বহাল তবিয়তে রয়েছে। ট্রেনে রয়েছে লেডিস কামরা। লেডিস স্পেশাল ট্রেনও রমরমিয়ে চলে। শুধু বাস বা ট্রেনেই বা কেন? মহিলাদের সংরক্ষণ এখনও বহু ক্ষেত্রে সত্যি। এই সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে পুরুষও ঢুকে পড়েছেন। তবে তা অবশ্য অন্য ধারার সংরক্ষণ। ভাবুন তো, ফ্যাশন, বিউটি, সাজগোজ এসব শব্দগুলোর সঙ্গে যেন আবাল্যের সখ্য মেয়েদের। ফ্যাশন সরণিতে যেন পুরুষরা ব্রাত্য। চিরাচরিত এই ধারণা ইদানীং কিছুটা হলেও ভেঙেছে। ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছেন পুরুষ। ভালোবেসে নিজের যত্ন, নিজেকে সাজিয়ে রাখার প্রয়াসে তো কোনও ক্ষতি নেই। ফলে নিজেকে পরিপাটি করে রাখতে শিখছেন তাঁরা।
ফ্যাশনের চেনা সংজ্ঞায় বছরভর প্রাধান্য পায় আরাম। কিন্তু পুরুষদের অপশন যেন বড্ড কম। না! এই ধারণারও মূলে আঘাত করার সময় এসেছে। আরামের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু অন্য ধরনের পোশাক ট্রাই করতে পারেন পুরুষরাও। তেমন হদিশ দিলেন ডিজাইনাররা।
ফ্যাশন ডিজাইনার অনুশ্রী মালহোত্রা বললেন, ‘গরমে পুরুষরা ট্রাই করতে পারেন পোলো টি শার্ট। লিনেনের ফতুয়াও খুব আরামদায়ক এসময়। কোন অনুষ্ঠানে যাবেন, সেটা মাথায় রেখে কার্গো বা লিনেন প্যান্ট পরতে পারেন। খাকি প্যান্ট, চিনোসও এখন সব বয়সি পুরুষ পছন্দ করছেন।’ গরমে মেটিরিয়াল হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে লিনেন পছন্দ করেন ডিজাইনার সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, লিনেন ট্রাউজার্স খুব ট্রেন্ডি। সঙ্গে বেছে নিন লিনেন শার্ট। ‘কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা হারেম বা ধোতি প্যান্ট পরতে স্বচ্ছন্দ। এখন দেশজ খাদি দিয়ে ধোতি প্যান্ট তৈরি হয়। অনেক ধরনের কাট হয় হারেমের। স্ট্রেচ, স্ট্রাইপ তো থাকেই। বিভিন্ন প্যাচ দিয়ে ডিজাইনার লুকও দেওয়া যায়’, বললেন তিনি।
কস্টিউম স্টাইলিস্ট দেবযানী ঘোষও লিনেনে উপর জোর দিলেন। তাঁর কথায়, ‘গরমে পুরুষরা প্যাস্টেল শেডের একরঙা কর্ডসের টিশার্ট, প্যান্ট পরতে পারেন। লিনেনের কুর্তা ভালো অপশন। প্যান্টের সঙ্গে সুতির শর্ট কুর্তা টিমআপ করুন। ওভারসাইজড শর্ট লেন্থ শার্ট-এর সঙ্গে একরঙা প্যান্ট বা সেমি পাটিয়ালা প্যান্টও পরতে পারেন।’
সৈকত মনে করেন, ‘খাদিতে ন্যাচারাল ডাই হয় হরীতকী, মঞ্জিষ্ঠা, পলাশ, পদ্মর বীজ দিয়ে। তেমন কোনও লুজ ফিট কুর্তা অথবা জামা পরুন। লিনেন শার্টে এমব্রয়ডারি, কাঁথার কাজ থাকতে পারে। এতে ইকো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশনও হল আবার পরেও আরাম।’