পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
একটা গল্প বলি শোনো। একবার ম্যাজিক শোয়ের আয়োজন হয়েছে, আমিও গিয়েছি ম্যাজিকের নানা সাজ সরঞ্জাম নিয়ে। ছোট থেকে বড়— দর্শকাসনে লোকের কমতি নেই। একের পর এক ম্যাজিক দেখাচ্ছি আমি, দর্শকও দেখছে মুগ্ধ হয়ে। এমন সময় একটা ছোট্ট ছেলে একগ্লাস দুধ এনে আমার হাতে ধরিয়ে বলল, ম্যাজিক আঙ্কেল এই দুধটাকে ভ্যানিশ করে দাও না। সেই থেকেই পরিকল্পনা করলাম। এই ম্যাজিকটার। নাম দিলাম
ভ্যানিশিং মিল্ক।
তোমরাও নিশ্চয়ই সকলেই দুধ খাও রোজ। অথচ মোটেও ভালো লাগে না দুধ খেতে তাই তো? তাহলে একটা মজার ম্যাজিক শিখিয়ে দিই আজ। দুধকে ভ্যানিশ করার ম্যাজিক। ছোট্ট বাচ্চাটা আমার হাতে দুধ ভরা গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল। আমি ভাবছি, সেটাকে ভ্যানিশ করব কীভাবে? এমন সময় দেখি একটা বাংলা খবরের কাগজ রয়েছে আমার সঙ্গে। দুধের গ্লাসটা পাশে রেখে আমি খবরের কাগজটাকে ঝালমুড়ির ঠোঙার মতো করে মুড়ে ফেললাম। এরপর ঠোঙার খোলা মুখের ভেতর গ্লাসের পুরো দুধটা ঢেলে দিলাম। গ্লাস তো খালি হয়ে গেল। কিন্তু দুধ ভ্যানিশ হল কই? দর্শকরা বলল, দুধ নিশ্চয়ই কাগজের ঠোঙার ভেতর জমা হয়েছে। আমি তখন ঠোঙার মোড়ক খুলে তা সবাইকে দেখালাম। কাগজে কোথাও দুধের কোনও চিহ্ন নেই। গ্লাস খালি, কাগজ ফাঁকা, দুধটা গেল কই? আরে দুধ তো ভ্যানিশ।
কেমন লাগল গল্পটা? শিখতে চাও নাকি ম্যাজিকখানা? তাহলে কী কী লাগবে বলি।
উপকরণ: একটা বাংলা খবরের কাগজ, সেলোটেপ, ট্রান্সপারেন্ট জিপলক পাউচ।
পদ্ধতি: প্রথমে গোটা খবরের কাগজের একটা ভাঁজে পাউচটার মুখ খুলে সেটাকে সেলোটেপ দিয়ে আটকে দিতে হবে। এরপর খবরের কাগজটাকে এমনভাবে ঠোঙা করে মুড়তে হবে যাতে জিপলক পাউচের খোলা মুখটা সোজাসুজি ঠোঙার মুখের ভেতর থাকে। এবার যখন দুধটা ঢালবে তখন তা জিপলক পাউচে পড়বে। তারপর গল্পচ্ছলে দর্শককে ভুলিয়ে পাউচের মুখটা আস্তে করে লক করে দিতে হবে। এরপর কাগজটা যখন খুলবে তখন জিপলক পাউচ কাগজের ভাঁজে থেকে যাবে। ফলে দর্শক তা দেখতে পাবে না। তারা শুধু খবরের কাগজটাই দেখতে পাবে। সবাই যখন বিস্মিত চোখে দুধ রহস্য খুঁজতে ব্যস্ত তোমরা তখন বলবে ‘মিল্ক ভ্যানিশ।’