Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

শততম বিবাহবার্ষিকী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

বরাবরই ভোরে ওঠা অভ্যাস নন্দিতার। আজ একটু আগেই ঘুম ভাঙল। দেখল, জাঁকিয়ে নাক ডাকছে রিক্ত। আজ যেন বেশিই গর্জন করছে তার ধারালো নাকটা। সেই নাকে একটা ছোট্ট টোকা মেরে নন্দিতা বলল, ‘অ্যাই, ওঠো না।’ 
নন্দিতার টোকায় বেশ জোর, এককালে নাকি ভালোই খেলত ক্যারামটা। তার চোস্ত টোকায় নাকি স্ট্রাইকারটা দিশে না পেয়ে হুড়মুড় করে ঘুঁটিগুলো পাঠিয়ে দিত পকেট বরাবর। তবু রিক্তর চোখের পাতা খোলে না। শুধু তার নাসিকাগর্জনে সামান্য ক্ষান্তি। তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে পুনর্বার শুরু হল নাসিকাগর্জন। নন্দিতা তার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট ওল্টায়। তারপর কুঞ্চন তোলে তার নিখুঁত করে ছাঁটা ও আঁকা ভ্রূযুগলে। তার তর্জনী অতঃপর বেঁকে যায় ধনুকের মতো, একটু জোরেই টোকা দেয় রিক্তর নাকে। রিক্তর নাসাগ্র হয়ে উঠল রক্তিমতর। সেই সঙ্গে মুখে, ‘উহ্, সকালে একটু ঘুমোতেও দেবে না নাকি’ বলে নাসিকাগর্জনে আবার একটু ব্রেক দিয়ে এপাশে ফিরে শোওয়া। 
নন্দিতা ঝট করে উঠে পড়ে বিছানা থেকে, তারপর রিক্তর ঘুম–সাঁটানো চোখের দিকে তাকিয়ে মুখ বাঁকিয়ে বলল, ‘আজকের দিনেও এত ঘুম ঘুমোলে চলবে?’
পরক্ষণে রিক্তর ঘুমন্ত ঠোঁট ফুঁড়ে বেরিয়ে এল কয়েকটা গা-জ্বালানো শব্দের উচ্চারণ, ‘আমার ঘুম দেখলেই তোমার এত গা-জ্বালা করে কেন?’ 
নন্দিতার ঠোঁটের কাছে কিছু নাতিশীতোষ্ণ সংলাপ চলে এসেছিল, কিন্তু কোনওক্রমে নিবৃত্ত করে নিজেকে। আজ সকালে উঠেই কলহ করার বাসনা নেই তার। রিক্তর ঠুক-ঠুক কথার পৃষ্ঠে কথা বলতে গিয়ে রোজই কিছু টক-ঝাল-তেতো সংলাপ পরিবেশন করতে হয় নন্দিতাকে। তাতে রিক্ত তাকে মিষ্টি মিষ্টি কণ্ঠে বলেছে, ‘দেখো, তোমার ওই সুন্দর বদনখানি থেকে যে শব্দসম্ভারের উৎসারণ ঘটে, তাতে তোমাকে কলহপরায়ণা উপাধি দেওয়াই যায়।’
নন্দিতা বেশিরভাগ সময়েই রিক্তর এই হুলক্ষেপণকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রিক্তর তাতে বিন্দুমাত্র উৎসাহ কমে না। অনেকক্ষণ পর নন্দিতা ধৈর্য হারিয়ে কিছু একটা উত্তর দিলেই স্বামীর কাছ থেকে উড়ে আসে নানান কটাক্ষ।
আজও নন্দিতা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিক্তর শত প্ররোচনাতেও মেজাজ হারাবে না কিছুতেই। অতএব দরজা খুলে বাইরের দিকে পা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সে। ছিটকিনি খুলতে খুলতে খুব শান্ত মেজাজে বলল, ‘আজ আমাদের একটা শুভদিন। চোদ্দোই মে। তিরিশে বৈশাখ। এমন দিনেও তোমার ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে!’ 
পিছন থেকে রিক্ত অমনি বলে ওঠে ‘ও, তা হলে তো একটা গ্রেট ডে। তা, ইয়ে মানে কততম?’
নন্দিতা থমকায়, ‘সেটাও তোমার মনে নেই?’ 
রিক্ত বলল, ‘ধুর, কতকাল হয়ে গেল আমাদের বিয়ে হয়েছে। সেই মান্ধাতার ঠাকুরদার আমলে—’
নন্দিতা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল, ‘তা হলে ধরে নাও এবার শতবার্ষিকী।’ 
—সেন্টিনারি! বাহ্, বেশ বলেছ তো। তাহলে তো আমাদের দু’জনের ফোটোটায় একটা মালাটালা পরাতে হয়। 
নন্দিতা ঝপাং করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে বলল, ‘তা হলে দু-একটা মালা কিনে নিয়ে এসো। বাড়িতে তো আর মালা তৈরি হয় না। যাও, বাজার গিয়ে মালা কিনে আনো’
....
নন্দিতার এখন কিছু নৈমিত্তিক সাংসারিক কাজ থাকে। বাইরে বেরিয়ে তরতর করে নেমে এল নীচে। ছুটির দিনগুলোর রুটিন একটু অন্যরকম খাতে বয়। রিক্ত ঘুম থেকে উঠে চোখমুখ ধুয়ে ডাইনিংরুমে নেমে আসতেই নন্দিতা বলল, ‘যাক ঘুমমশাই তা হলে চলে গেলেন!’ 
ততক্ষণে রিক্ত মুখহাত ধুয়ে ঘরের কোণের চেয়ারটিতে বসে। রোজই কোনও বই বা খবরের কাগজে মুখ লুকোয়, যেন নন্দিতার সঙ্গে চা-টা খেতে হয় তাই খাওয়া। নইলে প্রায় দিনই একটা বাক্যও ব্যয় না করে চায়ের কাপ নিঃশেষ করে। যা বলার নন্দিতাই বলে যায়। 
কিছু সাংসারিক কাজের কথা বলতেই হয়। রিক্ত বেশিরভাগ সময়েই হ্যাঁ হুঁ করে চালায়। কোনও দিন তাকে বেশি অন্যমনস্ক দেখলে নন্দিতা চটেমটে বলে, ‘সংসারটা আমার একার নয়। সংসারে বাস করতে গেলে একটু বই থেকে চোখ নামনোরও দরকার আছে। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে কদ্দিন চলবে।’
আজও রিক্ত খবরের কাগজে মুখ ঢেকে চায়ের কাপে ঠোঁট ডোবাতেই নন্দিতা বলে ওঠে, ‘একটা দিন খবরের কাগজ কম পড়লে পরীক্ষায় ফেল করবে না।’ 
খবরের কাগজ থেকে মুখ না নামিয়েই রিক্ত বলল, ‘কী আনতে হবে বাজার থেকে? মাংস?’
—হ্যাঁ।  
—আর কিছু? 
রিক্তর নির্বিকার উচ্চারণে ছটফটিয়ে ওঠে নন্দিতা, ‘আর দু’ডজন রজনীগন্ধার স্টিক আর একটা বড় দেখে গোড়ের মালা এনো।’ 
নন্দিতার গলায় অন্যরকম সুর বাজতে দেখে রিক্ত খবরের কাগজ নামাতে বাধ্য হয়। 
নন্দিতা পর মুহূর্তে বলল, ‘বিবাহবার্ষিকী তো আর পালন হচ্ছে না। হচ্ছে শতবার্ষিকী উদ্‌যাপন। দেওয়ালে টাঙানো আমাদের দু’জনের ওই ফোটোটা, ওটা পেড়ে টেবিলে রাখছি। ওর সামনে ধূপ–দীপ জ্বেলে, দুপাশে দু–গুচ্ছ রজনীগন্ধা রেখে, ফোটোর গলায় গোড়ের মালাটা দিয়ে দিও। তাতে তোমার হবে কি না জানি না, তবে অন্তত আমার আত্মার শান্তি হবে।’ 
রিক্ত আরও ঠান্ডা গলায় বলল, ‘বাড়িতে ভালো ধূপ আছে তো? না সেটাও বাজার থেকে কিনে আনতে হবে?
নন্দিতা ধুপধাপ পায়ে মিলিয়ে গেল রান্নাঘরের দিকে।
বাজার থেকে রিক্ত সত্যিই রজনীগন্ধা আর গোড়ের মালা নিয়ে এসে বলল, ‘ফোটোটা এখনও দেওয়াল থেকে নামাওনি?’ 
নন্দিতার কান্না পেয়ে গেল। কান্নার দমক থামিয়ে বলল, ‘এতটা যখন কষ্ট করতে পেরেছ, তখন বাকি কাজটা নিজেই করো। ফোটোটা নামিয়ে মুছে সাফসুফ করে ফুল দিয়ে ভালো করে সাজাও।’  
এরপর রিক্তর উদ্দেশে কিছুক্ষণ নির্বাক ছবির পোজে লাভাক্ষেপণ করে বলল, ‘গাঁটছড়ায় বাঁধা সম্পর্কটা একটা সুতোয় এসে ঠেকেছে। যে কোনও সময় পট করে কেটে যাবে।’
নন্দিতা ততক্ষণে দুপুরের রান্না নিয়ে বসেছে। এখন টানা ঘণ্টাদুয়েক রান্নাঘরে তার লড়াই। কিন্তু রান্নায় তার একটুও হাত উঠছে না। বিয়ের পর কয়েকটি বিবাহবার্ষিকীর দিনে ছুটি নিয়েছিল রিক্ত। দুপুরে একটা দামি হোটেলে খাবার খেয়ে বিকেলের শোয়ে সিনেমা দেখেছিল। তারপর সন্ধেটা এখানে-ওখানে কাটিয়ে ঘরে ফিরেছিল রাত ন’টা নাগাদ। 
তবু তার পরের দুটো বিবাহবার্ষিকী ইভনিং শোয়ে সিনেমা দেখে হোটেলে ডিনার সেরে পালন করেছিল তাদের আকাঙ্ক্ষিত দিনটি। কিন্তু কখন যে একসময় তাদের সম্পর্ক আন-রোমান্টিক হতে শুরু করল তা বুঝতে পারেনি। নন্দিতা নিয়ম করে মনে করিয়ে দেয় তাদের জীবনের এই বিশেষ দিনটির কথা। চেষ্টা করে কী করে আর একটু বৈচিত্র্য আনা যায় একঘেয়ে জীবনে। কিন্তু প্রতি বছর এই দিনটিতে রিক্তর কাজ পড়ে যায় অফিসে। সিনেমা দেখার সময়টাও পায় না। 
তবে  এ বছরই প্রথম তাদের বিবাহবার্ষিকীর দিনটা ছুটির দিন পড়ে যাওয়ায় নন্দিতা ভেবেছিল তারা দিনটা একটু অন্যরকমভাবে কাটাবে।  কিন্তু—
এরকমই একটা ‘কিন্তু’ দিয়েই তাদের আজকের দিনটা শুরু। বরং আরও উস্কে দিতে রিক্ত বলল, ‘কই, ফোটোটা নামিয়ে ধূপ জ্বালাবে বললে যে—’
নন্দিতার চোখ ফেটে জল আসছিল, বলল, ‘সত্যিই তা হলে আজ শোকদিবস পালন করবে।’ 
রিক্ত ঠোঁটের কোণে সামান্য হাসি ঝুলিয়ে বলল, ‘সেরকমই ভাবছি। ঠিক করেছি, এ বছর আমরা নতুনভাবে বিবাহবার্ষিকী পালন করব।’
—নতুনভাবে? 
—হ্যাঁ, কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করব লাঞ্চের সময়। 
—মাত্র কয়েক মিনিট!
—হ্যাঁ। এক মিনিট যে কত দীর্ঘ সময় তা বোঝা যায় নীরবতা পালনের সময়। মনে হয় না, সময় যেন কাটছেই না আর কয়েক মিনিট তো অনন্ত সময়। বেশ নতুন রকম না?
কোনও ক্রমে চা খেয়ে রিক্ত বলল, ‘যাই, অনেকদিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারা হয় না।’ এই বলে বেরিয়ে গেল পাড়ার ক্লাবে। 
নন্দিতা গম্ভীর হয়ে রইল। দুপুরে খাওয়ার টেবিলে যেন জমলই না আজ। সাধারণত যে কোনও ছুটির দিনে নন্দিতাই ডাইনিং টেবিলে নানারকম মজা করে মাতিয়ে তোলে খাওয়ার আসর। আজ কোনও উৎসাহই পাচ্ছিল না খেতে বসে। 
রান্নাঘরের কাজ সেরে নন্দিতা যখন দুপুরে শুতে এল ঘরে, এসে দেখল, পুপুন খেয়েদেয়ে এসে নিজের মনে খেলা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে। রিক্তকে বেশ আলতো-হাসি মাখানো মুখে আবিষ্কার করল হঠাৎ। কী জানি রিক্তর মতিগতি বদলে গেল নাকি? ভাবল হয়তো কিছু একটা ভালো প্রস্তাব দেবে রিক্ত। 
—আজ দুপুরে টিভিতে ‘অপুর সংসার’ দিয়েছে। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছবিটা আর একবার দেখার। সেই কবে অল্প বয়সে দেখেছিলাম চলো, দেখি।  ওদের টিভি থাকে একতলার ড্রয়িংরুমে। রিক্তর প্রস্তাবে নন্দিতা মুখখানা ব্যঙ্গের হাসিতে ভরিয়ে তোলে, ‘আমি চার-পাঁচবার দেখেছি। তোমার যখন দেখার ইচ্ছে তুমি দেখো গে যাও। নিজের সংসার তো রোজই দেখো। দুপুরের মহার্ঘ সময় বউয়ের সঙ্গে গল্প করে নষ্ট করার চেয়ে অপুর সংসার দেখা অনেক বেশি উপভোগ্য।’ 
রিক্ত নীচে চলে যেতে নন্দিতার সামনে বিকেলটা প্রায় একটা গড়ের মাঠ। একা-একা এতখানি শূন্যতা পেরনো বেশ কঠিন। বিছানায় গড়াগড়ি খেতে-খেতে একটা কবিতার বই নিয়ে ওল্টাতে বসে। 
বইটা সদ্য পেয়েছে তার এক বান্ধবীর কাছ থেকে। সব কবিতাই প্রেমের। প্রেমের বলেই কবিতাগুলো পড়তে শুরু করে। সে নিজে ভারী রোমান্টিক স্বভাবের।
সে কথা জানিয়ে নন্দিতা প্রায়ই বলে, ‘তুমি একেবারেই রোমান্টিক নও।’ 
রিক্ত আবার রোমান্টিক শব্দটাই যেন শোনেনি এমন মুখ করবে শব্দটা শুনলে। বলে, ‘তুমি কি রোমান্টিক? তুমি তো ডমিনেটিং।’  
নন্দিতা বলেছিল, ‘যাদের বর ম্যাদামারা হয়, তাদের বউদের এরকম একটু ডোমিনেটিং হতে হয়।’ 
আজ অপুর সংসার দেখে রিক্ত যখন উপরে এল, বিকেল চারটে। নন্দিতা তখন গোসাঘরে খিল দেওয়ার মতো শুয়ে আছে বিছানায়। ঘরে উঁকি দিয়ে রিক্ত বলল, ‘জানো, রঙ্গনরা পুরী গেছে।’ 
রঙ্গন হল রিক্তর স্কুলজীবনের বন্ধু। নন্দিতা নিস্পৃহকণ্ঠে বলল, ‘ওহ।’ 
—এই সময় পুরী! যা গরম ভাবা যায়।
নন্দিতা তেমনই নির্বিকার। অবশ্য, মুখে বলল, ‘কেন ভাবা যাবে না। আমাকে নিয়ে গেলেও যাব।’ 
—এখন পুরীতে! মে মাসে পুরী জ্বলছে। মরে যাব।  
—তাতে অসুবিধে কী আছে। তিলে তিলে মরার চেয়ে একেবারে মরাই তো ভালো। তাই না?
রিক্ত অম্লান বদলে বলল,  ‘এই গরমে যেতে হলে কালিম্পংয়ে যেতে হয়।’
নন্দিতা বলল, ‘হ্যাঁ, ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখো।’ 
—এখন লাখ টাকার কোনও দাম নেই। স্বপ্ন দেখতে হলে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখতে হয়।
—তা হলে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখো।
নন্দিতা মুখ ঝামটা দেয়।
রিক্ত হেসে বলল, ‘ইচ্ছে করলে কোটি টাকার স্বপ্ন আমরা দু’জনেই দেখতে পারি।’ 
এই বলে ওয়ারড্রোব খুলে শার্টের পকেট থেকে একটা টিকিট বের করল। ট্রেনের টিকিট। এই বৈশাখ মাসে মুখে আষাঢ়ের মেঘ মেখে শুয়ে থাকা নন্দিতার পাশে টিকিটটা রেখে বলল, ‘দু’মাস আগে এক এজেন্টের কাছে টিকিট কাটতে দিয়েছিলাম, পইপই করে বলেছিলাম আজকের সন্ধের দার্জিলিং মেলের তিনটে টিকিট  কাটতে। শেষে বলল, ফোর্টিন্থ মে পেলাম না, ফিফটিনন্থ আছে, নেব? বললাম, অগত্যা তাই নাও। ফাইভ ডেজ ফোর নাইটস।’
টিকিটটা তুলে দেখে তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠল নন্দিতা, টিকিটটা ভালো করে পরখ করে বলল, ‘সত্যি নিউ জলপাইগুড়ির টিকিট কেটেছ!’
রিক্তর মুখে মিটিমিটি হাসি, বলল, ‘টিকিটটা পড়েও মনে হচ্ছে সত্যি নয়। কাল সকালের মধ্যে ব্যাগ-বাক্স গুছিয়ে নেবে। আমি ছ’দিনের ছুটি নিয়েছি। বিবাহের শতবার্ষিকী বলে কথা।’ 
অঙ্কন : সোমনাথ পাল
18th  June, 2023
সিকি মানবী

আমরা কেউ মায়ের সঙ্গে থাকি না। আমার অন্য তিন ভাই অনেক আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। সংসারের গল্পগাথা যেরকম হয়।
বিশদ

16th  July, 2023
ছাতা উপাখ্যান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতক তখন সবে দ্বিতীয় দশকে পড়েছে। এক বিকেলে কলকাতার হোয়াইট টাউন বা সাহেব পাড়ায় একটি শ্বেতাঙ্গ শিশু বেড়াতে এল তার আয়ার সঙ্গে।
বিশদ

16th  July, 2023
ব্রহ্মপুরের মনোজ শিকদার
শ্যামলী রক্ষিত

বিপুল ঘুম থেকে উঠেই দেখল, চার-চারটে মিসড কল। নামটা দেখেই মটকা গরম হয়ে গেল তার। ঘুম থেকে উঠতে সবুর সয়নি! কী অদ্ভুত মানুষ! এপ্রিল ফুল করার এমন উন্মাদ নেশা যে, কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলছে! এপ্রিল ফুল করবে বলে ভোর থেকে ফোন করছে! বিশদ

09th  July, 2023
রুপোলি শস্যের জাদু
হারাধন চৌধুরী

‘মিঠে গঙ্গাজলে তোলা অন্নপূর্ণা-ঘাটে।/ মেছোর পাটায় শোভে কিবা বাঁকা ঠাটে।।’ ... ‘কাঁচা ইলিশের ঝোল কাঁচা লঙ্কা চিরে।/ ভুলিবে না খেয়েছে যে ব’সে পদ্মাতীরে।।’ ... ‘আষাঢ়ে প্রথম মৎস্য প্রবেশিলে ঘরে।/ দূর্ব্বাধানে পূজে তারে শঙ্খরব ক’রে।।’ ... ‘একটি একটি কাঁটা তারিয়ে তারিয়ে।/ অবলা বিরলে খান বেড়ালে হারিয়ে।। বিশদ

09th  July, 2023
ছায়া গাছ
ছন্দা বিশ্বাস

তপেশরঞ্জন একসময়ে লটারির টিকিট বিক্রি করত। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ে পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। এখন মস্ত বড় প্রমোটার হয়েছে। কয়েকজন বন্ধু মিলে পার্টনারশিপ ব্যবসা খুলেছে। আয় পত্তর ভালোই হচ্ছে সেটা ওর বাড়ি দেখেই শতানিক গেলবারই বুঝতে পেরেছিল। তবে, তপেশ দান ধ্যান করে। বিশদ

02nd  July, 2023
হারিয়ে যাওয়া যৌথ পরিবার
সমৃদ্ধ দত্ত

হেরে গিয়েছে গণতন্ত্র। জিতেছে স্বৈরতন্ত্র। সেইসব একান্নবর্তী পরিবারে বহু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই ছিল আলোচনার পরিসর। সেজো মামার নাতনির অন্নপ্রাশনে কী দেওয়া হবে? নূপুরের জন্য এই শ্যামনগরের পাত্রটি কি মানানসই? নাকি কসবার এই ডাক্তার ছেলেকেই বাছাই করা হবে? বিশদ

02nd  July, 2023
আম প্রীতির ইতিহাস
সন্দীপন বিশ্বাস

গৌতম বুদ্ধ, সম্রাট আলেকজান্ডার, মুঘল সম্রাট আকবর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা অমিতাভ বচ্চন— বিভিন্ন সময়ের এই মনীষী ও ব্যক্তিত্বদের মধ্যে মিল কোথায়?
বিশদ

25th  June, 2023
সোনার ঘড়ি
বাণীব্রত চক্রবর্তী

মঞ্জুমাসি বলেন, ‘কুবলয়, মাঝে মাঝে তোমাকে নিয়ে চিন্তা হয়।’ সে জিজ্ঞেস করে, ‘চিন্তা হয়! কেন?’ উনি বলেন, ‘তুমি বড় সরল। তার উপর তোমার যা ভুলো মন। তাই চিন্তা হয়।’
কুবলয় হাসে। মঞ্জুমাসি তার নিজের মাসি নন। তার মায়ের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট।
বিশদ

25th  June, 2023
দায়িত্বভার
শ্যামলী আচার্য

‘একজন আয়া দিয়ে তো হবে না, বারো ঘণ্টার হিসেবে দু’জন আয়া রাখতেই হবে। কথা বলে নাও তোমার শাশুড়ির সঙ্গে,’ টেলিফোনের ওপারে ঝনঝন করে বেজে উঠল পরমার গলা। এই প্রান্তে দিয়া মোবাইল লাউডস্পিকারে রেখে জামাকাপড় ভাঁজ করছিল, তার মনে হল মা বড্ড জোরে কথা বলে। বিশদ

11th  June, 2023
হাজারদুয়ারির হাতছানি
মৃদুলকান্তি ঘোষ

জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁফিয়ে উঠেছে সৈকত। দোকান দেখলেই চাতক চাহনিতে এগচ্ছে সে। ‘এক বোতল জল দিন।’ তাঁর অবাক জলপান চলছে ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে, ছোট ছোট স্পেলে। মুর্শিদাবাদের শুকনো গরমে ঝরঝর করে ঘাম ঝরছে। তৃষা এবার হেসেই ফেলল বন্ধুর কাণ্ড দেখে। বিশদ

11th  June, 2023
ক্রমাগত
সুমন দাস

সকালের ট্রেন। আপ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। ঠাসাঠাসি ভিড়। তিল ধারণেরও জায়গা নেই। একে ভিড়, তায় আবার গরম। বৈশাখ মাসের সকাল। দশটাও বাজেনি, অথচ সীমাহীন গরমে দরদর করে ঘামছে বিকাশ। একটু হাওয়ার জন্যে হন্যে হয়ে রয়েছে সে। বাকিরাও তাই। বিশদ

04th  June, 2023
কালের যাত্রার ধ্বনি
সন্দীপন বিশ্বাস

 

দক্ষিণে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। উত্তরে মদনমোহন ঠাকুরবাড়ি। সংলগ্ন দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির। পশ্চিম দিকে গঙ্গার অনন্তধারা। এই অঞ্চলটুকুই হল চিৎপুর। কেউ বলেন, দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির থেকেই এই স্থানের নাম চিৎপুর। আবার কারও মতে, চিতু ডাকাতের নামানুসারেই এই নামকরণ। বিশদ

04th  June, 2023
চিরশৈশব
সুমন মহান্তি

 

বিকেল হয়ে আসছে, আকাশে বিস্কুট রং, টিলার ওপারে সূর্য স্তিমিত হচ্ছে। ট্রেনের সাইড বার্থে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম। প্রতিমুহূর্তে দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল। কেন জানি না অবেলার দৃশ্য আমাকে আনমনা করে দেয় বারবার। বিশদ

28th  May, 2023
অযাচিত
সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

বাসস্ট্যান্ডে লাবণ্য যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, ভালো লাগছে না। চটির ডগায় একটা পাথরকুচি নাড়াচাড়া করছে। বাসের পাত্তা নেই। অনেকদিন পর বেরিয়েছে ও। এখন লাবণ্যর একটা নতুন পরিচয় হয়েছে সমাজে। বিধবা! শব্দটাতেই কেমন একটা সাদাটে-ফ্যাকাশে ভাব। নিরামিষ গন্ধ। বিশদ

21st  May, 2023
একনজরে
বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ, শনিবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দু’-তিনদিন থানে, রায়গড়, পুনে ও পালঘরেও লাগাতার ভারী বৃষ্টির ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...

পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাস ও ভোট লুটের প্রতিবাদে বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগের বিভিন্ন বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।  ...

১৭ বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছিলেন নদীয়ার তেহট্টের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ রমাদেবী। রান্নাবান্না, ঘর-সংসার আর ছেলে মেয়েদের সামলাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM