Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অযাচিত
সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

বাসস্ট্যান্ডে লাবণ্য যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, ভালো লাগছে না। চটির ডগায় একটা পাথরকুচি নাড়াচাড়া করছে। বাসের পাত্তা নেই। অনেকদিন পর বেরিয়েছে ও। এখন লাবণ্যর একটা নতুন পরিচয় হয়েছে সমাজে। বিধবা! শব্দটাতেই কেমন একটা সাদাটে-ফ্যাকাশে ভাব। নিরামিষ গন্ধ। বৈধব্য খানিকটা সমাজের অ্যানিমিয়ার মতন। লাল ছোঁয়াচ আর বাঁচবার ইচ্ছে কমে যাওয়া। নিঃসন্তান, বাঁঝার তকমার সঙ্গে এবার দোসর বিধবা শব্দটি! সবুজের মৃত্যুর পর, সরাসরি সন্তানহীনতার গঞ্জনা থেকে অব্যাহতি মিলেছে। ভিড় জমিয়েছে অন্যরকম কথা... একেবারে একলা থাকা যায়?— এই টাইপের প্রশ্ন। লাবণ্য সত্যিই একলা থাকার জীবনে ঢুকে পড়ল হুড়মুড়িয়ে! না থাকাটাই সবচেয়ে বেশি অস্তিত্বের হদিশ দেয়। নেই তো শুধু অবয়বে সবুজ। ও তো রং হয়ে গাছের পাতায়, ঘাসের গালিচায় জীবন পাবে বার বার এই পৃথিবীতে।
সবুজ চলে গিয়েছে আট মাস হল। সবুজ বসু। খ্যাতনামা বংশীবাদক। হঠাৎ করেই এল সেই অভিশপ্ত দিন... ম্যাসিভ অ্যাটাক। সময় দিল না। না ফেরার দেশের ছাড়পত্র পেল মাত্র দেড় দিনে! একটা অধ্যায়, সমগ্র বেঁচে থাকা অস্তিত্বের অবসান হয়ে গেল। বন্ধ ফ্ল্যাটের একাকিত্বে ভাঙাচোরা লাবণ্য রোজ রাতে ওষুধে ঘুম কেনে। এ যেন তলানিতে পৌঁছনো বেলাশেষের জীবন।
ছিপছিপে গড়নে পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। এ বয়সে পুরুষ দৃষ্টি বর্জিত শ্রীহীনতাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এ কম ব্যথাদায়ক নয়। যদিও লাবণ্য দারুণ মেন্টেন করেছে। চুলে পরিপাটি রঙের  মজবুত ঢালাই। ফর্সা কোঁচহীন ত্বক, চোখের কাজল রিমলেস বন্দি। মুখে কোথাও শুকনো নদীখাতের নিষ্প্রাণ বলিরেখার চিহ্নটুকু নেই। সদ্য কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি। গাঢ় পাড়ের রংমিলান্তিতে কপালে ঘন সবুজ টিপ। থ্রি কোয়ার্টার লাইট ব্রাউন জ্যাকেট ব্লাউজ। হাতে রুলি বালা, ঘড়ি। সব মিলিয়ে রবীন্দ্রভারতীর পলিটিক্যাল সায়েন্সের লেকচারার লাবণ্য মানুষের থেকে অতিরিক্ত সম্ভ্রম আদায় করে নেয়।
গত আটমাসে লাবণ্য লাল রং আর আমিষ পদ ছেঁটে দিয়েছে নিজের আভা আর স্বাদ থেকে। মন খারাপ থেকেই! যেদিন আবার মনটা ভালো হবে, সেইদিন আবারও আপন করে নেবে আমিষপদ, লাল রং। শুধু বৈধব্যই নয়, যৌবন দেহ ছাড়ছে, এটা বোঝাতেই এ বয়সে পৃথিবীর সব রং ফুরিয়ে আনে মেয়েরা। ইচ্ছের সঙ্গে আপসের রঙে ঘি-চন্দন-ছাই-মাটি সার হয়! তবে রোদ লাগালে কাপড় ভালো থাকে। তাই লাবণ্যও তার রঙিন শাড়িগুলোয় রোদ ঝালায়। ঝালিয়ে নেয় হারানো দাম্পত্যও।
অবশেষে টানা দেড় ঘণ্টা পর বাস পেয়ে দোকানের সামনে এসে নামল লাবণ্য। মাথার ওপর মাছরাঙা নীল আকাশের দেশ, তুলট কোলাজ মেঘের ছন্নছাড়া দল। শরৎ আকাশ ছোঁ মেরে মন তুলে নেয় স্মৃতির ঠোঁটে। দোকানে ঢুকেই বেশ অবাক হল লাবণ্য। বছর বারোর এক কিশোরকে ওরা কাজে রেখেছে। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। তবুও?
হলুদ টি শার্ট আর ঘন নীল জিনসে আশ্চর্য সুন্দর লাগছে ছেলেটিকে। গোলপানা মুখশ্রী, উপর ঠোঁটের চামড়াটা রুক্ষ হচ্ছে। গোঁফ ওঠার পূর্ব মুহূর্ত। রাত শেষে ফিকে ভোরের নিস্তব্ধতা চাপা পড়ে আছে যেন। পরিপাটি আঁচড়ানো চুল। মায়াময় বড় বড় দু’চোখ টানটান। চকচকে কালচে চামড়া। নাম লাট্টু। সব মিলিয়ে ওর প্রতি অদ্ভুত একটা স্নেহ জন্মাচ্ছে লাবণ্যর। অপত্য স্নেহ? হবে হয়তো ওর তো জানা নেই।
বিকেল চারটে হতেই একছুটে নীচে নেমে যায় লাট্টু। দোকানে পুজোর ভিড়। লাট্টুর উদভ্রান্ত আচরণে আজ বেজায় চটেছে মালিক। ওকে আর কাজে রাখতে চায় না। ঝাঁঝালো গলায় বলে চলেছে, ‘পেটের টানে পায়ে ধরে ভিক্ষে করেছিল! কাজ দিয়েছি। চারটে বাজলেই রোজ কোথায় যায় ও? সারাদিন তো সাত চড়ে রা নেই। আজ ফিরুক। বিদেয় করে দেব একবারে। স্ট্রিট ডগের জাত তো! ঘি সহ্য হবে কেন। মোক্তার, (অন্য কর্মচারী) একবার দেখ তো... দেখতে পেলে মারতে মারতে আনবি হারামজাদাকে।’ দম নিচ্ছে রাগে লালমুখো মালিক। দোকান ছেড়ে লাবণ্যও বেরিয়ে আসে। হঠাৎ বিক্ষিপ্ত দৃষ্টির গোচরে জল ছাঁকা রূপোলি মাছের মতোই চকচক করে ওঠে এক অপূর্ব দৃশ্য। চওড়া রাস্তার ধারে বাঁধানো অশ্বত্থতলায় লাট্টু বাঁশি বাজাচ্ছে। বাহ্যিক জ্ঞানে নেই। রাস্তায় ছুটন্ত শহুরে ব্যস্ততা। পাশে এক বৃদ্ধ বাঁশিওয়ালা।
আহা... এগতে এগতে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে লাবণ্য। সুরের উপর কী ভীষণ গভীর দক্ষতা এতটুকু ছেলের। এ সুর লাবণ্য বহুদিন ধরে চেনে। এসে দাঁড়ায়। ফ্যাঁসফেঁসে ভাঙা গলায় বাঁশিওয়ালা জিজ্ঞেস করে, বাঁশি কিনবে? লাট্টু বাঁশি থামিয়ে তাকাতেই ভয়ে চমকে ওঠে। শাড়ি প্যালেসের ম্যাডাম। ওকে দেখে ফেলেছে। এবার কাজটা যাবে নির্ঘাত। ভাঙা গলায় ঢোক গিলে লাট্টু বলে, যা...আ...চ্ছি এক্ষুণি... শাড়ি দেখাতে। মানে... এ...এ যাচ্ছি তো...।
জানো ম্যাডাম, আমি না সুর তুললে বাঁশিদাদুর বিক্রি হয় না।! দাদু ছাড়া আমার যে আর কেউ নেই! ম্যাডাম তুমি যাও, আমি এখানে বাঁশি বাজাতে আসি ওদের বোলো না। কামাইয়ের টাকায়, আমাদের দুজনের দু’বেলা ডাল-ভাত জুটে যায়। বলতে বলতেই কেঁদে ফেলে হাউমাউ করে। কান্নার শব্দটা কেমন একলা আহত জন্তুর গোঙানির মতো শোনাচ্ছে। কেঁপে ওঠে লাবণ্য। পৃথিবীতে কতপ্রকার কষ্ট ছিটিয়ে রয়েছে। এই কঠিন শহরে শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ফুটপাতের এক সহজ পাঠের কিশলয় গল্প। ভীষণরকম শিল্পীসত্তা।
ছেলেটির বিপদ বুঝে, ঘন সর চায়ের আস্তরণ রঙা শতছিদ্র ময়লা পাঞ্জাবির কনুই গোটানো হাতা থেকে নীল শিরা ফুলে ওঠা দু’খানা হাত জোড় করে ওঠে, বয়স্ক মানুষটি। কুঁজো খয়াটে অবয়বে কপাল জোড়া ভাঁজে লুকিয়ে থাকা ভবঘুরে ক্লান্তি, হতাশা। এক মুখ পাকা খোঁচা দাড়ি সমেত বৃদ্ধটি গুনগুনিয়ে কেঁদে বলে, ওর দোষ নেই গো, বাচ্চা মানুষ। আমিই বিক্রির লোভে ওকে দিয়ে আশ্চর্য সুন্দর সব সুর বাজিয়ে নিই। আমি ওর রক্তের কেউ নয় গো। মায়া। খালি মায়া। আমারও তো ওর মতো নাতি আছে। মেয়ে, জামাই আমার সব নিয়ে তাড়িয়ে দিলে একদিন। পুরুলিয়ার বাড়ি ছেড়ে কলকাতা এলাম। পেটের টানে এই বাঁশি বাজাতে বাজাতেই লাট্টুবাবুর সঙ্গে আলাপ। খালপাড়ে বড় নালার ধারে বস্তা টাঙানো ঘর। লাট্টুর মা গত বছর ডেঙ্গুতে মরে গেল। চারদিনের জ্বরে। অনাথ ছেলে কী করে একলা ফেলে দিই কও? দিদিমণি, ওকে ক্ষমা করে দাও গো। ও বড় অন্যায় করছে। এভাবে আসা ঠিক না। বুঝাইছি। তবু শুনে না। আমার জন্য আসে। তারচেয়ে বড় কথা, সুর ওকে টেনে আনে। আসলে ও এত ভালো বাজায়, কিছু মানুষ বাজাতে না জানলেও অমন সুরে মজে কেনার আগ্রহ নিয়ে কিনে ফেলে। আমার বিক্রি বেড়ে যায়।
উড়ন্ত বাতাসটা বড্ড ভারী লাগছে। বিস্মিত, হতভম্ব লাবণ্য জিজ্ঞেস করল, এ বাঁশি তুই শিখলি কোথা থেকে? এ সুর কোনও বিক্রেতার কাছে নেই রে।
লাট্টু চোখ মুছে বলে, আমার গুরু সবুজ বসু। চমকায় লাবণ্য। 
লাট্টু বলতে শুরু করেছে, ওই যে নেতাজি স্ট্যাচুর পাশ দিয়ে এগিয়ে একটা বাড়িতে একজন মাস্টারমশাই আসত বাঁশি শেখাতে। নাম সবুজ বসু। আমার মা যে চায়ের দোকানে বাসন ধুতো, সেখান থেকেই আমি লাল চা দিতে যেতাম। ব্যস সেই শুরু।
লাবণ্য শুনতে পাচ্ছে, মনের ভিতরে সবুজের বাঁশির সুর। ভাবছে, যারা বাঁশি বাজায় বা বিক্রি করে সবাই কি হ্যামলিন? না সম্পর্কিত? এখানে উইসার নদী না থাক, ইঁদুরের দল না আসুক, শাড়ি প্যালেসের একঘেয়ে শাড়ির পরত খোলা আর বন্ধের জন্য কাজে আসা লাট্টুও তো শ্যামবাজারের হতদরিদ্র হ্যামিলন। ওর সুরের টান সবুজেরই মতো সকলকে মোহিত করছে। মনে মনে একবুক জীবনের সুর মেশে ওর বাঁশিতে। কিন্তু পৃথিবীতে ক’জন করবে এই কদর? কৈশোরের পকেটে অচল পয়সার মতো ভারী হয়ে পড়ে থাকবে লাট্টুর সুর?
লাট্টু বলেই চলেছে, আমি চা দিয়ে দরজার বাইরে বসে থাকতাম, বাঁশি শেখার লোভে। কী অদ্ভুত, সুন্দর সব সুর তুলত মাস্টারমশাই! আমি, বাইরে থেকে দেখে আর শুনে শিখেছি। তাই তো সবুজ বসু আমার গুরু। হঠাৎ শুনি, উনি নেই! মরে গেল মানুষটা। আমার আর শেখা হল না। একদিন ফেরার পথে বাঁশিদাদুকে দেখি। দরদাম করে আমি বাঁশি কিনতে চাইলে, দাদু আমায় নাতি বলে ডাকে। ফিরিতেই একটা বাঁশি দেয়। সেই শুরু। সবুজ স্যারের মতো ভালো বাঁশি বাজানোর চেষ্টা।
লাবণ্য লাট্টুর মাথায় হাত ছুঁইয়ে বলল, পৃথিবীজোড়া নাম হবে রে তোর। তবে দোকানের মালিক বলেছে আজ ফিরলে তোর কপালে কষ্ট আছে! লাট্টুর শান্ত উত্তর, জানি তো। হঠাৎ একদলা ছাইচাপা ইচ্ছে, কাশির জোরালো দমকের মতো লাবণ্যর গলা থেকে বেরিয়ে আসে, লাট্টু?... এই লাট্টু? আমার সঙ্গে যাবি? আমার কাছে ছেলে হয়ে থাকবি? আমারও তো কেউ নেই রে আর...। তোকে অনেক বড় বংশীবাদক হতে হবে। পড়াশোনা শিখতে হবে। পারবি না?
এই শেষ জীবনে এসে এমন সহজে মা হওয়ার লোভটা যে সামলাতে পারছি না রে! আমি যে তোর সবুজ স্যারের স্ত্রী। তোর মধ্যেও যে সবুজের সুর মিশে আছে। তোকে দেখে আমার যে এই বয়সে নতুন করে ‘মা’ শব্দের বন্ধনে জড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে রে...
লাট্টুর চোখ জোড়া বিস্ফারিত। কথারা থমকেছে। হাঁ করা দু’খানি ঠোঁটের ওপর অস্পষ্ট শব্দেরা গুঁতোগুঁতি করছে। কিছু বলতে চেয়েও পারছে না লাট্টু। ঝলমলে শরৎ বিকেলের রোদে ভেসে যাচ্ছে সামনের রাস্তা। আমি তো স্বপ্ন দেখি না। এ স্বপ্ন নয়তো? লাট্টু বিড়বিড় করছে। বাঁশিদাদু ভেজা গলায় কাঁপা শব্দে বলছে, তোমার মতো মানুষও হয়? কখনও দেখিনি তো। সাক্ষাৎ মা দুগ্গা তুমি। 
বহু কথায় অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। লাবণ্য বলল, দোকানের  কাজের আজকেই ইতি করে গুছিয়ে নে সব। কি রে যাবি না?
লাট্টু স্তব্ধতা খানখান করে বলে উঠল, চল ‘নতুন মা’। থতমত লাবণ্য মনে মনে বলে, কে বলে আমি সন্তানহীনা? আজ আমি সত্যি সত্যি মা হলাম। এতদিনের মনখারাপ এক লহমায় উধাও হয়ে যাচ্ছে। কেবল সবুজের না থাকাটাই হু হু করে কাঁদিয়ে দিচ্ছে ওকে।
দোকানে লাট্টু ঢুকতেই লালমুখো মালিক যাচ্ছেতাই করে বলল, তোর কাজের জমানো দু’হাজার টাকা নিয়ে এক্ষুণি দূর হ... আপদ কোথাকার...। অবিচলিত লাট্টু টাকাটা না নিয়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল জামদানির শোকেসের দিকে। উজ্জ্বল লাল আর টিয়া সবুজের সংমিশ্রণে সবচেয়ে জমকালো শাড়িটি নিল। একুশশো টাকার একশো টাকা ‘লেস’ করিয়ে, বকেয়ার পুরোটাই মিটিয়ে দিল। মালিক যতটা রাগল, অবাক হল আরও বেশি। তাচ্ছিল্য ভরে জিজ্ঞেস করল, বাব্বা... তোর দেখছি শখ মন্দ নয়? বদ ভিখিরি ছোঁড়া, এত দামি শাড়ি... কার জন্য রে? সে শুনে আপনার কী কাজ? আমার কাজ আজ শেষ বলে, লাট্টু বেরিয়ে আসে। বাইরে অপেক্ষা করছিল লাবণ্য। লাট্টু ছুট্টে এসে প্যাকেটটা লাবণ্যর দিকে এগিয়ে ধরে। লাবণ্যর জিজ্ঞাসা, এটা কী? আমি কিছু তো কিনিনি?
লাট্টু উদ্বিগ্ন, আমি এ  শাড়িটা তোমায় দিলাম। তুমি পরবে না?
বাকরুদ্ধ লাবণ্য... সন্ধে নামছে। মাথার উপর এক থালা চাঁদ। চিকচিকে চোখে শুধু ঘষা অবয়ব। শুনতে পাচ্ছে লাট্টুর কণ্ঠস্বর। চেনা রাস্তাগুলো অচেনা। বয়স্ক গাছের শরীরেও গাঢ় রং ধরছে। সবুজের আভা কমে যাবে আর একটু পর। ও কোনওদিনও এমন জ্যোৎস্নার নীলাভ-সাদার স্নেহময় স্পর্শ দেখেনি। লাট্টু বলতে থাকে, জানো... আমার মায়ের একটাও ভালো শাড়ি ছিল না। মা লাল শিমুল রঙা শাড়ি খুব পছন্দ করত। পথচলতি কারও শাড়িতে এ রং দেখলে আমায় ডেকে দেখাত আর বলত, তুই বড় হয়ে আমায় ঠিক অমন লাল একখানা শাড়ি কিনে দিবি বাবা? কোনওদিন তো পরিনি। আমায় মানাবে না, বল? তবুও পরব... বলতে বলতে হাউহাউ করে কাঁদছে লাট্টু। আমি মাকে দিতে পারিনি গো কিনে। মায়ের এতটুকু ইচ্ছেও মেটাতে পারিনি। মরে গেল গতবছরে আজকের দিনেই। আর দেখ, তোমাকেও পেলাম আজই! তুমি বোধহয় আমার গত জন্মের মা!
লাবণ্য মনের জোরটা আবার ফিরে পাচ্ছে। লাল-সবুজের আভায় নিজেকে সাজিয়ে যখন সবুজের ছবির সামনে ছেলে লাট্টুকে নিয়ে দাঁড়াবে, তখন সবুজ বড় খুশি হবে। লাবণ্য শাড়ির প্যাকেটটা বুকে টেনে বলে, যা, গুছিয়ে নে।
লাট্টু ছুট লাগায়। থাকার মধ্যে একটা পুটুলিতে কিছু জিনিসপত্র, মায়ের ছবিখানা, ক্যাঁচক্যাঁচে আওয়াজের একখানা স্যুটকেসে খেলনায় গোছানো ছোটবেলা, আর এই বাঁশিটা। খুব মনখারাপ করছে ওর। এখানেই ওর হাঁটতে শেখা। বেঁচে থাকা। এখানেই মায়ের গায়ের গন্ধ মিশে থাকবে চিরকাল। ও রোজ এইসময় আসবে বাঁশিদাদুর কাছে। সেইমতো ছাড়পত্র করিয়ে নিচ্ছে নতুন মায়ের কাছে। বাঁশিদাদুর মুখে ভেজা হাসি। লাট্টু ভাবল, এসব অযাচিত স্বপ্ন নয় তো? সজোরে চিমটি কাটল নিজের বাঁ হাতের উপর। উ...উ করে উঠল বাস্তবতা।
অঙ্কন : সোমনাথ পাল
21st  May, 2023
সিকি মানবী

আমরা কেউ মায়ের সঙ্গে থাকি না। আমার অন্য তিন ভাই অনেক আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। সংসারের গল্পগাথা যেরকম হয়।
বিশদ

16th  July, 2023
ছাতা উপাখ্যান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতক তখন সবে দ্বিতীয় দশকে পড়েছে। এক বিকেলে কলকাতার হোয়াইট টাউন বা সাহেব পাড়ায় একটি শ্বেতাঙ্গ শিশু বেড়াতে এল তার আয়ার সঙ্গে।
বিশদ

16th  July, 2023
ব্রহ্মপুরের মনোজ শিকদার
শ্যামলী রক্ষিত

বিপুল ঘুম থেকে উঠেই দেখল, চার-চারটে মিসড কল। নামটা দেখেই মটকা গরম হয়ে গেল তার। ঘুম থেকে উঠতে সবুর সয়নি! কী অদ্ভুত মানুষ! এপ্রিল ফুল করার এমন উন্মাদ নেশা যে, কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলছে! এপ্রিল ফুল করবে বলে ভোর থেকে ফোন করছে! বিশদ

09th  July, 2023
রুপোলি শস্যের জাদু
হারাধন চৌধুরী

‘মিঠে গঙ্গাজলে তোলা অন্নপূর্ণা-ঘাটে।/ মেছোর পাটায় শোভে কিবা বাঁকা ঠাটে।।’ ... ‘কাঁচা ইলিশের ঝোল কাঁচা লঙ্কা চিরে।/ ভুলিবে না খেয়েছে যে ব’সে পদ্মাতীরে।।’ ... ‘আষাঢ়ে প্রথম মৎস্য প্রবেশিলে ঘরে।/ দূর্ব্বাধানে পূজে তারে শঙ্খরব ক’রে।।’ ... ‘একটি একটি কাঁটা তারিয়ে তারিয়ে।/ অবলা বিরলে খান বেড়ালে হারিয়ে।। বিশদ

09th  July, 2023
ছায়া গাছ
ছন্দা বিশ্বাস

তপেশরঞ্জন একসময়ে লটারির টিকিট বিক্রি করত। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ে পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। এখন মস্ত বড় প্রমোটার হয়েছে। কয়েকজন বন্ধু মিলে পার্টনারশিপ ব্যবসা খুলেছে। আয় পত্তর ভালোই হচ্ছে সেটা ওর বাড়ি দেখেই শতানিক গেলবারই বুঝতে পেরেছিল। তবে, তপেশ দান ধ্যান করে। বিশদ

02nd  July, 2023
হারিয়ে যাওয়া যৌথ পরিবার
সমৃদ্ধ দত্ত

হেরে গিয়েছে গণতন্ত্র। জিতেছে স্বৈরতন্ত্র। সেইসব একান্নবর্তী পরিবারে বহু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই ছিল আলোচনার পরিসর। সেজো মামার নাতনির অন্নপ্রাশনে কী দেওয়া হবে? নূপুরের জন্য এই শ্যামনগরের পাত্রটি কি মানানসই? নাকি কসবার এই ডাক্তার ছেলেকেই বাছাই করা হবে? বিশদ

02nd  July, 2023
আম প্রীতির ইতিহাস
সন্দীপন বিশ্বাস

গৌতম বুদ্ধ, সম্রাট আলেকজান্ডার, মুঘল সম্রাট আকবর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা অমিতাভ বচ্চন— বিভিন্ন সময়ের এই মনীষী ও ব্যক্তিত্বদের মধ্যে মিল কোথায়?
বিশদ

25th  June, 2023
সোনার ঘড়ি
বাণীব্রত চক্রবর্তী

মঞ্জুমাসি বলেন, ‘কুবলয়, মাঝে মাঝে তোমাকে নিয়ে চিন্তা হয়।’ সে জিজ্ঞেস করে, ‘চিন্তা হয়! কেন?’ উনি বলেন, ‘তুমি বড় সরল। তার উপর তোমার যা ভুলো মন। তাই চিন্তা হয়।’
কুবলয় হাসে। মঞ্জুমাসি তার নিজের মাসি নন। তার মায়ের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট।
বিশদ

25th  June, 2023
শততম বিবাহবার্ষিকী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

বরাবরই ভোরে ওঠা অভ্যাস নন্দিতার। আজ একটু আগেই ঘুম ভাঙল। দেখল, জাঁকিয়ে নাক ডাকছে রিক্ত। আজ যেন বেশিই গর্জন করছে তার ধারালো নাকটা। সেই নাকে একটা ছোট্ট টোকা মেরে নন্দিতা বলল, ‘অ্যাই, ওঠো না।’  বিশদ

18th  June, 2023
দায়িত্বভার
শ্যামলী আচার্য

‘একজন আয়া দিয়ে তো হবে না, বারো ঘণ্টার হিসেবে দু’জন আয়া রাখতেই হবে। কথা বলে নাও তোমার শাশুড়ির সঙ্গে,’ টেলিফোনের ওপারে ঝনঝন করে বেজে উঠল পরমার গলা। এই প্রান্তে দিয়া মোবাইল লাউডস্পিকারে রেখে জামাকাপড় ভাঁজ করছিল, তার মনে হল মা বড্ড জোরে কথা বলে। বিশদ

11th  June, 2023
হাজারদুয়ারির হাতছানি
মৃদুলকান্তি ঘোষ

জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁফিয়ে উঠেছে সৈকত। দোকান দেখলেই চাতক চাহনিতে এগচ্ছে সে। ‘এক বোতল জল দিন।’ তাঁর অবাক জলপান চলছে ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে, ছোট ছোট স্পেলে। মুর্শিদাবাদের শুকনো গরমে ঝরঝর করে ঘাম ঝরছে। তৃষা এবার হেসেই ফেলল বন্ধুর কাণ্ড দেখে। বিশদ

11th  June, 2023
ক্রমাগত
সুমন দাস

সকালের ট্রেন। আপ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। ঠাসাঠাসি ভিড়। তিল ধারণেরও জায়গা নেই। একে ভিড়, তায় আবার গরম। বৈশাখ মাসের সকাল। দশটাও বাজেনি, অথচ সীমাহীন গরমে দরদর করে ঘামছে বিকাশ। একটু হাওয়ার জন্যে হন্যে হয়ে রয়েছে সে। বাকিরাও তাই। বিশদ

04th  June, 2023
কালের যাত্রার ধ্বনি
সন্দীপন বিশ্বাস

 

দক্ষিণে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। উত্তরে মদনমোহন ঠাকুরবাড়ি। সংলগ্ন দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির। পশ্চিম দিকে গঙ্গার অনন্তধারা। এই অঞ্চলটুকুই হল চিৎপুর। কেউ বলেন, দেবী চিত্তেশ্বরীর মন্দির থেকেই এই স্থানের নাম চিৎপুর। আবার কারও মতে, চিতু ডাকাতের নামানুসারেই এই নামকরণ। বিশদ

04th  June, 2023
চিরশৈশব
সুমন মহান্তি

 

বিকেল হয়ে আসছে, আকাশে বিস্কুট রং, টিলার ওপারে সূর্য স্তিমিত হচ্ছে। ট্রেনের সাইড বার্থে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম। প্রতিমুহূর্তে দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল। কেন জানি না অবেলার দৃশ্য আমাকে আনমনা করে দেয় বারবার। বিশদ

28th  May, 2023
একনজরে
রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে বার্থ রিজার্ভেশন করেও ট্রেনে উঠতে পারলেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ যাবেন হায়দ্রাবাদ, কেউ যাবেন বিজয়ওয়াড়া। পঞ্চায়েত ভোট দিতে তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ...

ফের পৃথিবীর বুকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করল চীন। এবারের উদ্দেশ্য, ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে ...

এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় ‘এ’ দলের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন যশ ধুলরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২১১ ...

বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ, শনিবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দু’-তিনদিন থানে, রায়গড়, পুনে ও পালঘরেও লাগাতার ভারী বৃষ্টির ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১২: ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা
১৯১৮: প্রথম ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে)
১৯২২: বিশিষ্ট লোকগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯২৩: অভিনেত্রী সুমিত্রা দেবীর জন্ম, যিনি অভিনয় দিয়ে বাংলা আর হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রকেই সমৃদ্ধ করেছেন
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৬ : ব্রিটেনে পাওরুটির রেশন চালু
১৯৪৭: ভারতের গণ পরিষদে তেরঙা ভারতের জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রীয় ধ্বজা হিসাবে গৃহীত হয়
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৭০: রাজনীতিবিদ দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী মান্যতা দত্তর জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৮: নাট্য সম্রাজ্ঞী সরযূবালা দেবীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.২০ টাকা ৮২.৯৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.২৩ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৩ টাকা ৯২.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৯/২৭। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র অপঃ ৪/৫৯ সূর্যোদয় ৫/৭/১৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে।  রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬  গতে উদয়াবধি। 
৫ শ্রাবণ, ১৪৩০, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩। চতুর্থী দিবা ৬/৩২। পূর্বফল্গুনীনক্ষত্র দিবা ৩/৬ । সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৩ গতে ১২/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২২ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩৪ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪২ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে ৩/৪৫ গতে ৫/৬ মধ্যে।  
২ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা
মণিপুর ইস্যু নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে রাজ্য বিধানসভায়। ...বিশদ

04:33:00 PM

মেসিকে টপকে শীর্ষে রোনাল্ডো
লিও মেসিকে টপকে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই মুহূর্তে ...বিশদ

03:50:07 PM

বোর্ড ঝুলিয়ে বিপাকে
‘দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’ নিজের জমিতে নির্মিত মন্দিরে এমন ...বিশদ

03:18:24 PM

২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন
আগামী ২৪ জুলাই, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন বসছে। সেই ...বিশদ

02:58:24 PM

উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২৪
উত্তরাখণ্ডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১ শ্রমিক। গুরুতর জখম ২৪। আজ, ...বিশদ

02:53:21 PM

রাস্তায় গোরু, শাস্তি
বাড়ির গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরলে জুতোপেটা করা হবে মালিককে। দিতে ...বিশদ

02:13:20 PM