পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
গল্প কেমন ভেবেছেন? সৌরভ জানালেন, রাজারহাট বা যেখানে বড় বড় অট্টালিকা রয়েছে, সেখান থেকে পাঁচ, দশ মিনিটের দূরত্বে যে বস্তি বা দারিদ্র্য, সেই অঞ্চলেরই গল্প মূলত। সেখান থেকে হাইরাইজগুলো দেখা যায়, স্পর্শ করা যায় না, এমন একটা জায়গা। ওই অঞ্চলে অবৈতনিক বিদ্যালয় চলে। কোভিডের পর প্রচুর অবৈতনিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মূলত বস্তির বাচ্চারা মিড ডে মিলের জন্যই পড়াশোনা করতে যেত। সেখানকারই তিন শিশুর গল্প। একটি ছেলে চিকিৎসক হতে চায়। কারণ ছোট থেকেই দেখছে বাবা অসুস্থ। আর একটি মেয়ে মাকে নার্সিং করতে দেখে, তাই সে নার্স হতে চায়। ওই অঞ্চলে প্রচুর প্রোমোটিং হয়। সেখান থেকে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ শব্দটা শুনেছে আর একটি ছেলে। সে তাই ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এরা তিনজন পরিকল্পনা করে, আমাদের এখানে কেউ অসুস্থ হলে যাতে পরিষেবা পায়, তার জন্য একটা হাসপাতাল তৈরি করব। যেখানে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার এই তিনজনকেই প্রয়োজন। একটা পুরনো পরিত্যক্ত বহুতলে প্রায় থিয়েটারের সেটের মতো করে বিভিন্ন জিনিস কুড়িয়ে এনে হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করে। শুধুমাত্র অর্থের অভাব আছে বলে ওদের হয়তো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া হবে না, কিন্তু ওরা স্বপ্ন ছাড়েনি। ওদের এই কাজের মধ্যে আরও কিছু চরিত্র এসে পড়ে।
কেমন সেই চরিত্ররা? পরিচালক জানালেন, ওদের একজন হিরো আছে পাড়ার। তার নাম শাহরুখ। ওরা শাহরুখদা বলে ডাকে। ওই পাড়াতেই কাজল নামের একটা মেয়ে থাকে। শাহরুখ আর কাজলের প্রেমের সম্পর্ক। ওদের জীবনেও স্বপ্ন আছে। ওরা মনে করে সিনেমায় শাহরুখ-কাজলের প্রেম অর্থাৎ হিন্দু-মুসলিম প্রেম মেনে নেন সকলে। কিন্তু বাস্তবে সমাজ তা মেনে নেয় না। সৌরভের কথায়, ‘খুব সহজ গল্প। স্বপ্নপূরণের গল্প। তিনটি বাচ্চা যে পরিত্যক্ত বাড়িতে হাসপাতাল তৈরি করছে তার নাম দেয় আব্বুলিশ। কারণ অর্ধেক কাজ হয়ে বাড়িটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ছোট থেকে আব্বুলিশ শব্দটা ওইভাবে ব্যবহার হতে দেখেছে। ওরা স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছতে পারছে কি না, সেটাই বলবে গল্পটা।’
ছবির নামের মধ্যে কী বার্তা রয়েছে? সৌরভ বললেন, ‘ছোট থেকে আমাদের মাথায় ঢোকে অঙ্ক কঠিন একটা বিষয়। কিন্তু সেটা যদি চর্চা করা যায়, এর থেকে সহজ বা নম্বর তোলার বিষয় আর কিছু হয় না। ওদের জীবনটাও সেরকম। স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছনো ওদের জীবনে সবথেকে কঠিন। কিন্তু ওদের ইচ্ছেশক্তি এত জোরালো, সেটা থাকছে গল্পে।’
গল্প সৌরভেরই। তাঁর সঙ্গে চিত্রনাট্য লিখছেন সৌমিত দেব। মিউজিক করছেন দেবদীপ মুখোপাধ্যায়। ক্যামেরায় অঙ্কিত সেনগুপ্ত। পার্নো মিত্র, শঙ্কর দেবনাথ, ঊষসী চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা থাকবেন এই ছবিতে। তবে তিনটি শিশুর চরিত্রে আনকোরা নতুনদের নিয়ে কাজ করতে চান সৌরভ। তাদের পরিচয় এখনই খোলসা করলেন না।