পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
প্রেক্ষাপট ক্যানসার হাসপাতাল। অনেক রোগীর ভিড়ে কেউ কেউ বিশেষ হয়ে ওঠেন নিজ গুণে। তেমনই অজিত সামন্তও (অমিতাভ ভট্টাচার্য)। হাসপাতালে সকলের ‘গান দাদু’। গানে সমর্পিত প্রাণ। স্ত্রী গত হওয়ার পর অজিত একাই সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে যোগ্য করে তোলেন। দুই সন্তান বিদেশ যাওয়ার পর নিজের বাকি জীবন গান শিখিয়ে কাটাবেন ভেবেছিলেন। হিসেব পাল্টে দেয় ক্যানসার।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাট্যকার-পরিচালক অমিতাভ মূল্যবান কিছু সংলাপের মধ্যে দিয়ে সমাজের বাস্তব জীবনকে তুলে ধরেছেন মঞ্চে। হাসপাতালে চিকিৎসক রায় (রাকেশ পাল) ও নার্স অনিতার (সোমা চক্রবর্তী) রুটিন ডিউটির পাশাপাশি অপ্রকাশিত প্রেম সাবলীল অভিনয়ের ছোঁয়ায় নাটকে দারুণ ফুটে উঠেছে। স্বাস্থ্যকর্মী রামধন (প্রদীপ মণ্ডল), শ্যামধনের (শিবনাথ আচার্য) সঙ্গে টুকটুকির (পায়েল রায়) ছোট ছোট মুহূর্তগুলি নাটকে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। প্রৌঢ়া সিস্টারের চরিত্রে ধৃতিকণা ভট্টাচার্য ফেলে আসা সময়ের প্রেক্ষাপটে অভিমানী সত্ত্বাকে উপস্থাপনা করেছেন। অল্প সময়ের জন্য উকিলের (শক্তিপ্রসাদ নিয়োগী) উপস্থিতি উপভোগ্য।
নাটকে গানকে প্রাধান্য দিয়েছেন পরিচালক। তালাত মাহমুদ, অখিলবন্ধু ঘোষ, বেগম আখতার সহ নানা শিল্পীর গান ব্যবহার করা হয়েছে। গোটা নাটকে গান সূত্রধরের ভূমিকায়। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ঠুমরি উপরি পাওনা। সঙ্গীত পরিচালনায় গৌতম চক্রবর্তী। আবহ নির্মাণে মানিক দত্ত। আলোর দায়িত্বে ছিলেন বাবলু চৌধুরি।