Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

সুভদ্রার রথ দর্পদলন

বহু তত্ত্বের মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত সুভদ্রা। তিনি যেমন নারী সৌন্দর্যের ধী এবং শ্রীকে প্রকাশ করেন, তেমনই তাঁর মধ্যে যোগমায়ার শক্তিও প্রকাশিত। রথের প্রাক্কালে তাঁর এই নারী সত্তার নানা রূপ বিশ্লেষণ করলেন সন্দীপন বিশ্বাস।
 
মহাভারতের সুভদ্রাকে যতটা চেনা সহজ, যতটা নারীসত্তায় তিনি প্রকাশিত, পুরীর মন্দিরের সুভদ্রা কিন্তু ততটা প্রকাশিত নন। আসলে এঁরা দুই সুভদ্রা নাকি, এক সুভদ্রা তাই নিয়েই দ্বন্দ্ব আছে! ভিন্ন দুই কাহিনিকে মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পুরাণের ধারা অনুসরণ করলে দেখা যায়, পুরীর মন্দিরের সুভদ্রাকে ঘিরে লৌকিক আখ্যানের ভিন্নতর ধারা আছে। মহাভারতের সুভদ্রার অবস্থান তার থেকে বহু দূরে। তবে একবিন্দুতে দু’জনেই সমান। সেটা হল সুভদ্রা হলেন শ্রীকৃষ্ণ তথা জগন্নাথের ভগিনী। 
পুরীর মন্দিরের তিন দেবতা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা এক তাত্ত্বিক সত্তার ভিতরে অধিষ্ঠিত। তাঁদের ঘিরে রয়েছে বহু গভীর তথা লৌকিক দর্শন। একেবারে প্রথম স্তরে পুরীর সুভদ্রা ছিলেন সুলুক উপজাতিদের পূজ্য এক আঞ্চলিক দেবতা। তখন তাঁর নাম ছিল খাম্বেশ্বরী বা স্তম্ভেশ্বরী। সময়ের নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ জগন্নাথ মন্দিরে পূজিত হন ত্রিমূর্তি, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। সুভদ্রাকে পুজো করা হয় ভুবনেশ্বরী মন্ত্রে। অর্থাৎ সুভদ্রাকে এখানে মনে করা হয় শক্তিরই অংশ। 
বিভিন্ন পুরাণে সুভদ্রার বর্ণনা করতে গিয়ে তাঁকে বলা হয়েছে শক্তির প্রতিমূর্তি, লাবণ্যের আধার এবং তিনি সাক্ষাৎ লক্ষ্মীরূপা। যেমন স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সুভদ্রা হি মহালক্ষ্মীঃ’। আবার তান্ত্রিক মতে বলা হয়েছে, ‘সুভদ্রা হি স্বয়ং শক্তিঃ ভবানী যোগমায়া চ’। অর্থাৎ তিনি একাধারে লক্ষ্মী ও দেবী পার্বতী। এরকম অসংখ্য তাঁর রূপ ও সত্তা। 
প্রতি বছর আষাঢ় মাসে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিনটি রথে গুণ্ডিচা মন্দিরে যান। সেই রথযাত্রা ঘিরে দেখা যায় প্রবল উন্মাদনা। এই রথযাত্রা ঘিরে নানারকম গল্প আছে। মন্দিরে অধিষ্ঠান করতে করতে সুভদ্রার একদিন খুব মন খারাপ। তাই দাদা জগন্নাথ তাঁকে মন খারাপের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। সুভদ্রা বললেন, তাঁর নগর পরিক্রমা করতে ইচ্ছে করছে। সেকথা শুনে বোনের ইচ্ছেপূরণে জগন্নাথ দাদা বলভদ্রকে নিয়ে রথে চড়ে নগর প্রদক্ষিণ করতে বেরলেন। আরও একটা গল্পে পাই, অর্জুনের সঙ্গে বিয়ের বেশ কিছুদিন পর সুভদ্রা কৃষ্ণ বা জগন্নাথকে বলেন, তাঁকে একবার বাপের বাড়ি নিয়ে যেতে। এরপর জগন্নাথ এবং বলরাম তাঁকে রথ নিয়ে নিতে আসেন। বাপের বাড়ি ফিরতেই রাজ্যের গোপ এবং গোপিনীরা মহানন্দে সেই রথ টানতে শুরু করেন। রথযাত্রা নিয়ে এরকমই বেশ কিছু কাহিনি প্রচলিত আছে। 
আসলে পুরাণ কাহিনির এই গল্পগুলি যতটা সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, রথযাত্রার কারণ কিন্তু তত সহজ নয়। এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে গূঢ় ধর্মীয় দর্শন। রথযাত্রার সঙ্গে আমাদের শরীর ও জীবনের এক জটিল তত্ত্বের অচ্ছেদ্য বন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই জটিলতার মধ্যে না গিয়ে আমরা দেখি পুরীতে রথযাত্রায় সুভদ্রার অংশগ্রহণ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনটি রথ বের হয় বটে, কিন্তু মানুষের ভক্তির ৯৯ শতাংশ গিয়ে পড়ে প্রভু জগন্নাথদেবের চরণকমলে। তিনিই তো প্রধান হয়ে ওঠেন।     
রথযাত্রায় পুরীতে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের তিনটি রথ বের হয়। এই তিনটি রথেরই আলাদা নাম রয়েছে। জগন্নাথের রথটির নাম নন্দীঘোষ, বলরামের রথটির নাম তালধ্বজ, সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন। শুধু নামই নয়, তিনটি রথের চাকার সংখ্যাও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন, জগন্নাথের রথের চাকার সংখ্যা ১৬, বলরামের রথের চাকার সংখ্যা ১৪, সুভদ্রার রথের চাকার সংখ্যা ১২। প্রতি রথেই ৩৪টি অংশ। যেমন চাকা, আরা, ডাণ্ডিয়া, বেকি, হংসপট, কানি, শঙ্খদ্বার, জালি, গইপট, সিংহাসন, রুশিপট প্রভৃতি।
এমনকী, প্রত্যেকটি রথের আলাদা রংও রয়েছে। সুভদ্রার রথের রং লাল ও কালো। তিনটি রথে যে ঘোড়া ব্যবহার করা হয়, তাদেরও রয়েছে পৃথক নাম। সুভদ্রার রথে রয়েছে চারটি লাল রঙের ঘোড়া। এদের নাম যথাক্রমে রোচিকা, মোচিকা, জিতা এবং অপরাজিতা। আবার কোথাও কোথাও পাওয়া যায়, এই ঘোড়া চারটির নাম প্রজ্ঞা, অনুজ্ঞা, ঘোরা, অঘোরা। সুভদ্রার রথের সারথির নাম অর্জুন বা দেবদত্ত। সুভদ্রার রথের রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগিনী বা যাজ্ঞবল্ক্য। তাঁর রথের চূড়ায় উড্ডীন পতাকার নাম নদাম্বিকা। ধ্বজার পাশের পাখি দু’টির নাম শ্রুতি ও স্মৃতি। রথটির রক্ষকের নাম জয়দুর্গা।
রথের মধ্যে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা একা থাকেন না। তাঁদের সঙ্গে সহযাত্রী হিসেবে থাকেন অন্য দেব-দেবীও। সুভদ্রার রথ দর্পদলনে সওয়ারি হন সুদর্শন ও আরও ৯ দেবী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চণ্ডী, চামুণ্ডা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, মঙ্গলা, তারা, দেবী বিমলা।
রথ নির্মাণের মধ্যেও অভিনবত্ব আছে। ৫৯৩টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি সুভদ্রার রথটির আরও দু’টি নাম আছে। যেমন দেবদলন ও পদ্মধ্বজ। সুভদ্রাকে ধনসম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী বলে মান্যতা দেওয়া হয়। তাই তাঁর রথে রয়েছে পদ্মের চিহ্ন। সেই রথের উচ্চতা ৪৩ ফুট ৩ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সাড়ে ৩১ ফুট করে। এতে থাকে বারোটি চাকা। এই ১২টি চাকা ১২ মাস ব্যাপী সাধনার প্রতীক। চাকার পরিধি ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। 
মজার ব্যাপার হল, কোনও আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই এই রথগুলি নির্মাণ করা হয়। এমনকী গজ, ফিতে, স্কেলের ব্যবহারও করা হয় না। হাত দিয়ে মেপেই রথ তৈরি করেন হাজার দেড়েক কর্মী। এতে পেরেক, নাট বল্টু, বা ধাতু জাতীয় কিছু জোড় হিসাবে ব্যবহার করা হয় না।
রথযাত্রার দু’দিন আগে হয় পদ্মবেশ। নতুন পট্টবস্ত্রে সাজানো হয় ত্রিদেবকে। মাখানো হয় চন্দন। সেই সময় তাঁদের রাখা হয় মন্দিরের জগমোহনে। রথের দিন যে প্রক্রিয়ায় ত্রিমূর্তিকে রথে তোলা হয়, তাকে বলে পাহান্ডি পর্ব। সেদিন তাঁদের নানাবিধ অলঙ্কারে সাজানো হয়। শ্রীভূজ, কিরীটি, মাথায় টায়রা, কেয়ুর, কঙ্কন সহ বহু অলঙ্কারে সুভদ্রাকে সজ্জিত করা হয়। সেই বেশ দেখে ভক্তের মনে ভক্তিরসের প্রাবল্য আসে। চোখ দিয়ে নেমে আসে জলের ধারা। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য বারবার ভক্তিভাবে চোখের জলে ভাসতেন। মাঝে মাঝে জ্ঞানরহিত হতেন।
রথযাত্রা শুরুর আগে পুরীর রাজপরিবারের রাজা এসে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সামনে ঝাঁট দেন। একে বলে ‘চেরা পহন্‌রা’। এই নিয়ম চালু হয়ে আসছে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে রাজা অনঙ্গ ভীমদেবের সময় থেকে। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ওড়িশার ‘রাজা’ একমাত্র জগন্নাথদেব। তাঁদের রাজবংশ তাঁর সেবকমাত্র। প্রতি বছর রথযাত্রার সময় সেই ঝাড়ু দেওয়ার পর যাত্রা শুরু হয়। রাজত্ব না থাকলেও বংশপরম্পরায় পুরীর রাজপরিবার আজও আছে। 
রথযাত্রায় সবার প্রথমে থাকে দাদা বলরামের রথ। মাঝে থাকে আদরের বোন সুভদ্রার রথ এবং পিছনে থাকে জগন্নাথের রথ। এরও এক আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা রয়েছে। কারণ বলরাম হলেন গুরুতত্ত্বের প্রতীক। মাঝে সুভদ্রা হলেন ভক্তিতত্ত্বের প্রতীক। মানব জীবনে গুরুকৃপার লাভের পর ভক্তির পথ ধরে পৌঁছতে হয় পিছনের রথে অধিষ্ঠিত মহাপ্রভু জগন্নাথের কাছে অর্থাৎ দেবতার কাছে। 
রথ যায় ৩ মাইল দূরে মাসির বাড়ি বা গুণ্ডিচা বাড়ি। এই গুণ্ডিচা হলেন মালব রাজ্যের সূর্যবংশীয় রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রী। ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। সত্যযুগে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে তিনিই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন বলে ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য প্রাচীন কালের মালব দেশই এখনকার ওড়িশা বলে ধরা হয়। 
অনেকদিন আগে অবশ্য এখনকার মতো তিনটি রথ ছিল না। তিন দেবতারই ছিল দু’টি করে রথ। তখন গুণ্ডিচা বাড়ি যাওয়ার পথে পড়ত একটি নদী। সেই নদীর নাম ছিল বাঁকিমোহনা। এপারে এসে থামত তিনটি রথ। তারপর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নৌকায় করে নদী পার করানো হতো। অন্য পারে গিয়ে সেখানে অপেক্ষমান অন্য রথে আবার তাঁদের তোলা হতো। সেই নদী কবেই হারিয়ে গিয়েছে।  
রথযাত্রার নবম দিনে ফের সেই রথ মাসির বাড়ি থেকে ফিরে আসে পুরীর মন্দিরে। আমরা বলি উল্টোরথ। ওঁরা বলেন, বহুড়া যাত্রা। সেদিন একাদশী। পথের মাঝেই তিন দেবতাকে অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়। একে বলে ‘সোনা বেশ’। এই নিয়ে একটি কাহিনি আছে। প্রায় ছ’শো বছর আগে এক উল্টোরথের দিন রথ ফিরছে মন্দিরে। সেই সময় সূর্যবংশীয় রাজা গজপতি শ্রীকপিলেন্দ্রদেব ছিলেন কলিঙ্গের রাজা। তিনি ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা হন। তাঁর ছিল বিপুল পরাক্রম। তিনি তাঁর সীমানা বিস্তৃত করেছিলেন তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং বঙ্গদেশ পর্যন্ত। তাই তাঁকে বলা হতো ‘নবকোটি কর্ণাট কলাবর্গেশ্বর বীরাধি বীরবর কলিঙ্গ উৎকল রাজাধিরাজ শ্রীশ্রীকপিলেন্দ্রদেব’। রাজা ছিলেন জগন্নাথের পরম ভক্ত। তিনি একদিন দাক্ষিণাত্য বিজয় সেরে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর প্রচুর সোনাদানা, হীরে জহরত, মণিমানিক্য। সেদিন জগন্নাথের বহুড়া যাত্রা। রাস্তায় সেই রথকে দেখে রাজা রথ দাঁড় করাতে বললেন। তারপর রাজা সেই সব সোনা উৎসর্গ করলেন তিন দেবতাকে। সেই ‘সোনা বেশ’ দেখে রাজা আনন্দে কেঁদে ফেললেন এবং প্রভুর চরণে লুটিয়ে পড়লেন। সেই থেকে এই ‘সোনা বেশ’ চলে আসছে। 
রথযাত্রার সময় বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথকে নানা অলঙ্কারে সাজানো হয়। সুভদ্রার অলঙ্কারগুলি হল শ্রীপায়র, শ্রীভূজ, কিরীটি, ওড়না মালি, ঘাগরা মালি, কানা মালি, সূর্যচন্দ্র, আদাকানি, সেবতী মালি, তড়াগি, তিলক চন্দ্রিকা, অলক চন্দ্রিকা প্রভৃতি। এই গয়নার মোট ওজন একশো কেজি। 
বহু তত্ত্বের মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত সুভদ্রা। সময়ের বিবর্তনের মধ্য দিয়েই তাঁর আজকের প্রকাশ। তিনি যেমন নারী সৌন্দর্যের ধী এবং শ্রীকে প্রকাশ করেন, তেমনই তাঁর মধ্যে যোগমায়ার শক্তিকেও প্রকাশ হতে দেখা যায় বলে পুরাণকর্তারা মনে করেন। অর্থাৎ সুভদ্রার একদেহে লীন হয়ে আছেন দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তাঁর মধ্য দিয়ে যেন নারীত্বের এক আদর্শ সত্তারই প্রকাশ ঘটেছে। 
17th  June, 2023
বেঁচে থাকার গান

পেশায় শিক্ষিকা মানুষটির নেশায় গান। যেমন তেমন গান নয়, প্রান্তিক মেয়েদের মনের গান। সে গান শোনা বা গাওয়া শুধু নয়, সংগ্রহ করার কাজটিও করছেন অতি যত্নে। চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতার কথা শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

08th  July, 2023
চা বাগানের মহিলাদের নিরাপত্তা  

চা বাগানের মহিলা কর্মীদের জন্য কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে চায় ‘উইমেন সেফটি অ্যাকসেলারেটর ফান্ড’। এই বিষয়ে কলকাতায় একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল তারা। সেই আলোচনাচক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন চা বিক্রেতা। ভারতের নানা রা‌জ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চায়ের বাগান। বিশদ

08th  July, 2023
ছৌ নাচবই 
জিতল  জেদ

নিভা আনন্দ বিদ্যালয়ে নিয়ম করে ছৌ শিখছে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষ সব পড়ুয়া। কান্ডারি মধুমিতা পাল। দেখে এসে লিখলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।  বিশদ

01st  July, 2023
বিদেশে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাঠ

নিউ ইয়র্কে ভারতীয় সঙ্গীত শেখান নমামী কর্মকার। বিদেশি ছাত্রদের আগ্রহ ও নিষ্ঠা কতটা? নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন তিনি। বিশদ

01st  July, 2023
ইট কাঠ কংক্রিটে
ভাঙছে ছক 

ক্রমশ নিজেদের কাজের পরিধি বাড়িয়ে চলেছে মেয়েরা। কনট্র্যাক্টরির মতো পেশাতেও  মহিলাদের বিচরণ বাড়ছে। লেবার খাটিয়ে বাড়ির অন্দর ও বাহির সাজিয়ে তুলছেন তাঁরা। তেমনই কয়েকজন মহিলা কনট্র্যাক্টরের কথায় কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

24th  June, 2023
এখন মেয়েরা

চাঁদনী অরোরা আর সীমা মারথি একটা রেস্তরাঁ চালান রাজস্থানের যোধপুরে। রেস্তরাঁটির বিশেষত্ব, তা পুরোপুরি মহিলাচালিত। রাঁধুনি থেকে ওয়েটার, এমনকী ঠিকে কাজের লোক সকলেই মহিলা। রাজস্থানে এই দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তরাঁটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশদ

24th  June, 2023
আম পাতা জোড়া জোড়া

গ্রীষ্মের নিঝুম দুপুরে আমবাগানে কচিকাঁচাদের লুটোপুটি, আম কুড়িয়ে ভাগাভাগি, আবার তারই মাঝে কৈশোরের ভালোলাগা মিলেমিশে একাকার শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়-এর স্মৃতিতে। বিশদ

17th  June, 2023
পোষ্যদের পাশে 

পোষ্য প্রশিক্ষণ। এই কাজে এতদিন পুরুষই ছিল একচেটিয়া। ক্রমশ মহিলারাও কাজটি আয়ত্তে এনে ফেলেছেন। পোষ্যদের পাশাপাশি সিকিওরিটি ডগ ট্রেনিংয়ের কাজও করছেন তাঁরা। কয়েকজন মহিলা পশু-প্রশিক্ষকের সঙ্গে কথা বললেন  কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

10th  June, 2023
কদর বাড়ছে মহিলা কর্মীদের

কোভিড পরবর্তীকালে অনেকেরই কাজ চলে গিয়েছিল। সেই চিত্রটা একটু একটু করে বদলাচ্ছে। বদলটা মূলত ঘটছে হসপিটালিটি সেক্টরে। তবে অনেক কর্পোরেট সংস্থাও মহিলা কর্মচারীদের কাজে নিযুক্ত করতে আগ্রহী হচ্ছেন। বিশদ

10th  June, 2023
বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস

সম্প্রতি নিউটাউনের ইকোপার্কের কাছে অনুষ্ঠিত হল বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল সাইক্লিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ (কেএসকেএইচ)-এর প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। বিশদ

10th  June, 2023
জলের নেশায়
সাফিং

জলের সঙ্গে প্রাণের খেলায় মেতেছেন কখনও? সার্ফিং তেমনই এক ক্রীড়া। ইদানীং মেয়েরাও এই খেলায় মগ্ন হয়ে উঠছেন। নেশার পাশাপাশি একে পেশাও করে নিচ্ছেন। খবরে কমলিনী চক্রবর্তী বিশদ

03rd  June, 2023
অযোগ্য পাত্র, বিয়েতে
নারাজ মেয়েরা

 

শিক্ষা ও স্বনির্ভরতার সঙ্গেই নারীজীবনে এক অসম্ভব আত্মবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই তারা অযোগ্য পাত্রকে বিয়ে করতে সাফ না করে দিয়েছেন। সম্প্রতি পটনায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। কাছাকাছি সময়ের মধ্যে পাঁচজন মহিলা বিয়েতে নারাজ হয়েছেন পাত্র পছন্দ না হওয়ার কারণে। বিশদ

03rd  June, 2023
সাইকেল অভিযানে 

মেয়েরা স্বনির্ভর, মেয়েরা স্বাবলম্বী। তবু তাদের নিরাপত্তার এখনও যথেষ্ট অভাব। নারীর নিরাপত্তার জন্য চাই সামাজিক সচেতনতা। আর সেই সচেতনতার প্রচারেই সাইকেল চড়ে ভারত ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের কন্যা আশা মালব্য। বিশদ

03rd  June, 2023
আগামী আলোর খোঁজে

শিক্ষার রেশ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিতে চান এই মহিলারা। মেয়েদের হাতে বইখাতা তুলে দেওয়ার যে কাজ তাঁরা শুরু করেছিলেন তা এখন সামগ্রিক শিক্ষা প্রসারের প্রয়াস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই কয়েকজন মহিলার কথায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  May, 2023
একনজরে
মালদহের বামনগোলা ব্লক থেকে এবার  বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বিজেপির কঙ্কালসার দশা বেরিয়ে এসেছে। যে ব্লককে এক সময়  বিজেপির গড় মনে করা হতো, সেই ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ...

২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। একবছরের মধ্যে তা বেড়েছে আড়াই শতাংশ। তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে সব ধরনের ...

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের মধ্যেই অস্বস্তির কাঁটা মণিপুর।  বৃহস্পতিবার তাঁর প্যারিসে পৌঁছনোর আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসার  নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল ইউরোপীয় সংসদে। ...

রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ম্যাকাউট) উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হল অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই অধ্যাপকের কাছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে।   ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৪: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতর রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর জন্ম
১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মৃত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মৃত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.১৫ টাকা ৮২.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০১ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৮৩ টাকা ৯৩.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/১৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৩/২৭ রাত্রি ১০/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯  মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ-দিবা ৫/৫৭ গতে ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
২৮ আষাঢ় ১৪৩০, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩। দ্বাদশী রাত্রি ৮/১৩। রোহিনীনক্ষত্র রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ও ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে  ৬/৫০ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১০/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।   
২৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট: তৃতীয় দিনে ভারত ৪২১/৫ (ডিক্লেয়ার)

11:12:00 PM

কুনোতে মৃত্যু হল আরও এক চিতার
ফের একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মৃত ...বিশদ

03:59:23 PM

লেকটাউনে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
লেকটাউনে দমকল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জন শ্যুটার। তাদের একজনের ...বিশদ

03:57:00 PM

পৃথিবীর কক্ষপথে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-৩ এর

03:47:33 PM

শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ
চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ, শুক্রবার ঠিক ...বিশদ

02:50:04 PM

কাঁচি দিয়ে খুনের চেষ্টা মানিকতলা এলাকায়, গ্রেপ্তার ১

02:38:43 PM