পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
• ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’তে আপনার ইশারায় সকলকে চোখ ধাঁধানো স্টান্ট করতে দেখা যায়। আপনি নিজে স্টান্ট করতে ভয় পান?
•• আমি কোনও স্টান্ট করতে ভয় পাই না। এই নয় যে আমার কোনও ভয় নেই। আসলে স্টান্টের কলাকৌশল আমি জানি। এটাই তো আমার কাজ।
• আপনার বাবা বলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার এবং অভিনেতা এমবি শেট্টি। ওঁকে দেখে আপনার বেড়ে ওঠা। তাই কি স্টান্ট করতে ভয় পান না?
•• একদমই তাই। ছোটবেলা থেকে আমি ওঁর এই কাজ দেখে বড় হয়েছি। আর তখন থেকে মাথায় বসে গিয়েছিল যে আমাকেও এই একই কাজ করতে হবে। আজ এটাই আমার পেশা।
• ছোটবেলায় এমন কিছু জিনিসে ভীতি ছিল, যা সময়ের সঙ্গে জয় করেছেন?
•• শুনলে অবাক হবেন, মানুষের ভিড়কে আমি ভয় পেতাম। মঞ্চে উঠতে আমার ভীষণ ভয় লাগত। স্কুলে আবৃত্তির সময় আমার রীতিমতো ঘাম হতো। আমি এসব থেকে দূরে পালাতাম। আজ দেখুন, আমি কতটা বদলে গিয়েছি (সশব্দে হেসে)।
• বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় ছবির সেটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে?
•• সেই সময়কার বাতাবরণই ছিল আলাদা। ‘কালা পাত্থার’ ছবির সেটে গিয়েছিলাম। আমার এখনও মনে আছে ম্যাঙ্গালোর প্যালেসে বাবার সঙ্গে ‘শালিমার’ ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলাম। তখন সবকিছু বাস্তবে করা হতো। কারণ তখন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ছিল না। অমিতজি (অমিতাভ বচ্চন), ধরমজিকে (ধর্মেন্দ্র) চোখের সামনে আমি স্টান্ট করতে দেখেছি। সেসব ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। আমি যখন স্টান্টম্যান ছিলাম তখন অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি নিজেরাই স্টান্ট করতেন। এখন তো সবকিছু অনেকটাই সহজ।
• সঞ্চালক হিসাবে প্রতিবার নিজেকে নতুন ভাবে মেলে ধরা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
•• ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। এটা এমনই এক শো যার ভক্ত ছোট থেকে বড় সকলেই। টেলিভিশনে এমন শো কমই আছে। তাই সঞ্চালক হিসাবে প্রতিবার চ্যালেঞ্জ থাকে যে এবার নতুন কী করব।
• আপনাকে বলিউডের ‘হিট মেশিন’ বলা হয়। কিন্তু আপনার পরিচালিত শেষ ছবি ‘সার্কাস’-এর গায়ে হিটের তকমা লাগেনি। কী বলবেন?
•• ‘সার্কাস’ আমার ভুল বলে স্বীকার করে নিচ্ছি। আর এতে আমার কোনও কুণ্ঠা নেই। পরিচালক হিসাবে কখনও আমরা সাফল্য পাই, আবার কখনও ভুল করি। পরের বার আমি আর কোনও এক্সপেরিমেন্ট করব না। দর্শক আমার থেকে যেমন ছবির প্রত্যাশা করেন, আমি সেরকম ছবিই তৈরি করব।
• ব্যর্থতা মেনে নিতে অসুবিধা হয় না?
•• দেখুন, এখানে পরিচালক হিসাবে আমি ব্যর্থ নই। আমার জীবনের একটা প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে মাত্র। অনুপম খেরের বাবা একথা বলতেন। আমিও তা মানি। আর ব্যর্থতা আমার জীবনে নতুন নয়। কেরিয়ারের শুরুতে আমি একাধিকবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি। ভুল থেকে সবসময় শিখেছি।
দেবারতি ভট্টাচার্য, মুম্বই